প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনার সুফলভোগী এবং জনৌষধি কেন্দ্রগুলির দোকান মালিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনৌষধি দিবসকে কেবল একটি প্রকল্প উদযাপনের দিন হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং এই প্রকল্প থেকে লাভবান লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলার দিন হিসেবে দেখা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক ভারতীয়ের সুস্বাস্হ্যের জন্য চারটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছি। প্রথমটি হল, প্রত্যেক ভারতীয়ের রোগমুক্তি। দ্বিতীয়, সব ধরনের রোগের সুলভে ভালো চিকিৎসা। তৃতীয়, আধুনিক পরিষেবা সম্বলিত হাসপাতাল, চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ভালো চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী সুনিশ্চিত করা এবং চতুর্থ, মিশন মোড ভিত্তিতে যেকোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় কাজ করা।’

শ্রী মোদী বলেন, জনৌষধি প্রকল্প দেশে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সুলভে ভালো মানের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে সারা দেশে ৬ হাজারেরও বেশি জনৌষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই ধরনের কেন্দ্রের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, যার সুফল আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এখন প্রতি মাসে ১ কোটির বেশি পরিবার জনৌষধি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে সুলভে ওষুধপত্র পাচ্ছেন।’

|

বাজারের তুলনায় জনৌষধি কেন্দ্রগুলিতে ওষুধের দাম ৫০-৯০ শতাংশ কম বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যে ওষুধের বাজার দাম প্রায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা, তবে তা জনৌষধি কেন্দ্রগুলিতে পাওয়া যায় কেবল ৮০০ টাকায়।

আগের তুলনায় চিকিৎসার খরচ কমছে বলে অভিমত প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে জানানো হয়েছে যে জনৌষধি কেন্দ্রগুলির দরুন সারা দেশে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কোটি কোটি মানুষ ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন।’

জনৌষধি কেন্দ্রগুলি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সব পক্ষের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে পুরস্কার প্রবর্তনের কথা ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনৌষধি প্রকল্প ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের পাশাপাশি যুবাদের কাছেও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যম হয়ে উঠছে। হাজার হাজার যুবক-যুবতী পরীক্ষাগারে জেনেরিক ওষুধগুলির গুণমান যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সহ জনস্বাস্হ্য কেন্দ্রগুলিতে এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজে কর্মরত রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে স্বাস্হ্য পরিষেবার সম্প্রসারণে সর্বাত্মক প্রয়াস নিচ্ছে। জনৌষধি প্রকল্পকে আরও কার্যকর করে তোলার জন্য নিরন্তর কাজ চলছে।’

আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রায় ৯০ লক্ষ দরিদ্র রোগী এই কর্মসূচির সুফল পেয়েছেন। নিখরচায় ৬ লক্ষেরও বেশি ডায়ালিসিস করা হয়েছে। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের ফলে অত্যাবশ্যকীয় ১ হাজার ওষুধের দাম কমায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। স্টেন্ট ও হাঁটু প্রতিস্হাপনের খরচ কমায় লক্ষ লক্ষ রোগী নতুন জীবন পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে আমরা দ্রুত গতিতে কাজ করছি। যক্ষ্মা মুক্ত ভারত কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক স্বাস্হ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩১ হাজারেরও বেশি এ ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক নাগরিককে স্বাস্হ্যক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, যোগচর্চা, সুষম আহার, খেলাধুলা ও অন্যান্য শারীরিক কসরতের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দৈহিক সক্ষমতা বজায়ের লক্ষে আমাদের এসব প্রচেষ্টা এক স্বাস্হ্যকর ভারত গড়ে তুলতে উপযোগী হবে।’

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Rise of the white-collar NRI gives India hard power

Media Coverage

Rise of the white-collar NRI gives India hard power
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 মার্চ 2025
March 21, 2025

Appreciation for PM Modi’s Progressive Reforms Driving Inclusive Growth, Inclusive Future