প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সর্বশেষ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে ভাষণে, চিলড্রেন ইউনিভার্সিটি অফ গান্ধীনগর, মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক, শিক্ষা মন্ত্রক এবং অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের সঙ্গে কিভাবে শিশুদের জন্য নতুন ধরনের খেলনা বানানো যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। মন্ত্রকগুলির সঙ্গে আলোচনায় খেলনা উৎপাদনের দিক থেকে ভারতকে এক উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে শ্রী মোদী জানান। তিনি বলেন, খেলনা কেবল শিশুদের সক্রিয়তা বাড়াতেই সাহায্য করে না, সেইসঙ্গে আমাদের প্রত্যাশাগুলিকে ডানা মেলে ওড়ার পথ দেখায়। খেলনা কেবল বিনোদনের জন্যই নয়, বরং মানসিকতার বিকাশেও সমান ভূমিকা পালন করে।
গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খেলনা সম্পর্কে অভিব্যক্তির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুদেব খেলনা সম্পর্কে বলেছিলেন – সেরা খেলনা হল সেটিই যা এক প্রকার অসম্পূর্ণ। একটি খেলনা হবে এমন যা শিশুরা খেলার ছলে পূর্ণ আকার দেবে। গুরুদেব বলতেন, খেলনা এমন হবে যা শিশুদের শৈশবের বিকাশ ঘটাবে এবং প্রত্যেক শিশুর সৃজনশীলতাকে বের করে নিয়ে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষানীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে খেলনার প্রভাব বিস্তারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন অনেক সুদক্ষ শিল্পী রয়েছেন যাঁরা গুণমান বিশিষ্ট ও আধুনিক খেলনা তৈরির ক্ষেত্রে তাঁদের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। দেশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলি খেলনা উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এগুলি হল – কর্ণাটকের রামনগরমের চান্নাপাটনা, অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণার কোন্ডাপাল্লি, তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর, আসামের ধুবরি এবং উত্তরপ্রদেশের বারাণসী উল্লেখযোগ্য। এক পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান, বিশ্ব জুড়ে খেলনা শিল্পের লেনদেনের পরিমাণ ৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। অবশ্য এই শিল্পে ভারতের বর্তমান অবদান খুবই কম।
খেলনা তৈরির ক্ষেত্রে বিশাখাপত্তনমের শ্রী সি ভি রাজুর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ও গুণমান বিশিষ্ট এটি-কোপ্পাকা খেলনা বানিয়ে স্থানীয় খেলনার গৌরবময় ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। শ্রী মোদী শিল্পোদ্যোগীদের দলবদ্ধ হয়ে খেলনা নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বলেন, এখন সময় এসেছে স্থানীয় খেলনার ক্ষেত্রে আরও জোরদার সওয়াল করার।
কম্পিউটার গেমসের বর্তমান প্রবণতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাস এবং আদর্শগুলির ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের গেম উদ্ভাবনের পরামর্শ দেন।