শুরুতে আমি তামিলনাড়ুর চেন্নাই ও অন্যান্য অংশে ভারী বর্ষণও বন্যার সাম্প্রতিক ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যারা কঠিনকষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদেরকে সমবেদনা ও সহানুভুতি জানাই| আমি রাজ্য সরকারকেসম্ভাব্য সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানে আশ্বস্ত করেছি| আমি প্রবীণ সাংবাদিক থিরু আর.মোহনের প্রয়াণেও গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি|
‘ দৈনিক থান্থি ’ গৌরবময় পঁচাত্তর বছর পূরণ করেছে| এই সাফল্যময়যাত্রায় আমি থিরু এস.পি. আদিথানার, থিরু এস.টি. আদিথানার এবং থিরুবালাসুব্রমনিয়ানজি ’ রঅবদানের প্রসংসা করছি| গত সাড়ে সাত দশক ধরে তাঁদের উজ্জ্বল প্রচেষ্টা থান্থিকে একবৃহত্তম মিডিয়া ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করেছে| আর তা শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে নয়,গোটা দেশ জুড়েই তা হয়েছে| এই সাফল্যের জন্য আমি থান্থির মানাজেমেন্ট ও কর্মীদেরঅবদানেরও প্রশংসা করছি|
বর্তমানে চব্বিশ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেল কোটি কোটি ভারতবাসীরকাছে সহজলভ্য| তার পরও বেশিরভাগ মানুষের কাছেই দিনের শুরু হয় এক হাতে খবরের কাগজএবং অন্য হাতে চা বা কফি দিয়ে| আমি জানতে পেরেছি দিনা থান্থি এখন শুধুমাত্রতামিলনাড়ু নয়, এর পাশাপাশি ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই এমনকি দুবাই থেকেও সত্তরটিএডিশনের মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে| পঁচাত্তর বছর ধরে চলা এই উল্লেখযোগ্য বিস্তৃতিহচ্ছে থিরু এস.পি. আদিথানারের স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বের প্রতি এক শ্রদ্ধাঞ্জলি, যিনি১৯৪২ সালে এই সংবাদপত্রের সূচনা করেছিলেন| সেই যুগে নিউজপ্রিন্ট খুবই দুর্লভসামগ্রী ছিল| কিন্তু তিনি খড় থেকে হাতে তৈরি করা কাগজে ছাপিয়ে সংবাদপত্রের সূচনাকরেন|
লেখার আকার, সাধারণ ভাষা এবং সহজবোধ্য লেখার জন্য মানুষেরকাছে দিনা থান্থি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে| সে সময় এই সংবাদপত্র মানুষের কাছে রাজনৈতিকসচেতনতা ও তথ্য নিয়ে হাজির হয়| মানুষ এই পত্রিকা পড়ার জন্য চায়ের দোকানে ভিড়জমাতেন| এভাবে যে যাত্রাপথের সূচনা হয়েছিল তা এখনও চলছে, যখন ভারসাম্যপূর্ণ লেখারজন্য দিনা থান্থি একজন দিনমজুর থেকে রাজ্যের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্মীর কাছেজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে|
আমি জানতে পেরেছি যে, থান্থি ’ র মানে হচ্ছে টেলিগ্রাম| দিনা থান্থি ’ র অর্থ ‘ ডেইলি টেলিগ্রাম ’ | গত পঁচাত্তর বছর ধরে প্রথাগত টেলিগ্রাম যাডাক বিভাগের মাধ্যমে দেওয়া হতো, তা বাতিল হয়ে গেছে এবং হারিয়ে গেছে| কিন্তু এইটেলিগ্রাম প্রতিদিনই ক্রমশ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে| এটাই হচ্ছে কঠোর শ্রম ও অঙ্গীকারেরদ্বারা পরিচালিত মহত চিন্তাধারার শক্তি|
আমি জানতে পেরে খুশি হয়েছি যে, তামিল সাহিত্যকে উত্সাহদেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠাতা থিরু আদিথারানের নামে থান্থি গ্রুপ পুরস্কার চালু করেছে|সমস্ত পুরস্কারপ্রাপক থিরু তামিলানবান, ডক্টর ইরাই আনবু এবং থিরু ভি.জি. সন্তোষমকেআমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি| আমি নিশ্চিত যে, লেখালেখিকে যারা মহান পেশাহিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাছে এই স্বীকৃতি এক প্রেরণাদায়ক বিষয় হয়ে থাকবে|
ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
জ্ঞানের জন্য মানবের আকাঙ্ক্ষা ও তৃষ্ণা আমাদের ইতিহাসেরমতই প্রাচীন| সেই তৃষ্ণাকে নিবারণ করতে সহায়তা করে সাংবাদিকতা| আজ সংবাদপত্রশুধুমাত্র সংবাদই উপস্থাপনা করেনা| সেগুলো আমাদের চিন্তাধারাকে রূপ দান করে|বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে বলতে গেলে, প্রচার মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক রূপান্তরের একটিউপায়| সে কারণে আমরা প্রচার মাধ্যমকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে উল্লেখ করি|আমি আজ সৌভাগ্যবান যে, যারা কলমের শক্তিকে প্রদর্শিত করেছেন এবং এটা কীভাবে একগুরুত্বপূর্ণ জীবনীশক্তি ও সমাজের বিবেক হতে পারে তা দেখিয়েছেন, আমি সেইসবমানুষদের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরেছি|
উপনিবেশবাদের কালো দিনগুলোতে রাজা রামমোহন রায়ের ‘ সম্বাদ কৌমুদী ’ , লোকমান্য তিলকের ‘ কেশরী ’ ও মহাত্মা গান্ধীর ‘ নবজীবন ’ -এর মত প্রকাশনা একআলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত করেছিল এবং স্বাধীনতা আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিল| দেশজুড়েসাংবাদিকতার এমনসব পথিকৃত ছিলেন, যারা স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন পরিত্যাগ করেছিলেন|তাঁরা তাঁদের সংবাদপত্রের মাধ্যমে একটি গণচেতনা এবং জাগরণ তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন|হয়ত সেইসব পথিকৃতদের উচ্চ আদর্শের জন্যই সেই ব্রিটিশ রাজ-এর সময় প্রতিষ্ঠিত হওয়াঅনেক সংবাদপত্র এখনও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে চলেছে|
বন্ধুগণ,
আমাদের এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, এর পরবর্তী প্রজন্মওসমাজ ও জাতির প্রতি তাঁদের কর্তব্য পালন করেছিলেন| আর সেভাবেই আমরা স্বাধীনতাঅর্জন করেছিলাম| স্বাধীনতার পর, নাগরিকদের অধিকার জন-সম্ভাষণের মধ্যে গুরুত্ব লাভকরেছে| দুর্ভাগ্যবশত সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা যেন আমাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতকর্তব্যবোধকে উপেক্ষা করে চলেছি| যা আজ আমাদের সমাজের ক্ষতিকর বিভিন্ন শক্তিকেনানাভাবে সহায়তা করে চলেছে| তাই সময়ের ডাক হচ্ছে এক “সংযুক্ত, দায়িত্বশীল ও সচেতননাগরিক” হওয়ার জন্য এক গণ জাগরণ| ‘ অধিকার ’ নিয়ে যে সামাজিক বোধ রয়েছে, তাকে অবশ্যই ‘ দায়িত্বশীল সংযুক্তি ’ র সামাজিক বোধের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলিয়ে নিতে হবে| আর এগুলো অবশ্যই আমাদেরশিক্ষা পদ্ধতি, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বগণের ভূমিকার মধ্য দিয়ে গঠিত হবে| কিন্তুএখানে প্রচার মাধ্যমেরও এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে|
ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
যেসব সংবাদপত্র স্বাধীনতার ভাষ্যকে রূপ দিয়েছিল, তারবেশিরভাগই হচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন ভাষার সংবাদপত্র| তাই ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় দেশীয়ভাষার সংবাদপত্র নিয়ে ভীত হয়ে উঠেছিল| এইসব সংবাদপত্রের মুখ বন্ধ করার জন্যই ১৮৭৮সালে ‘ ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট ’ বা দেশীয় ভাষার সংবাদপত্র আইন কার্যকর হয়েছিল|
আমাদের এই বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে এইসব দেশীয় ভাষার সংবাদপত্রঅর্থাত যেগুলো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত হয়, সেগুলোর গুরুত্ব আগের মতই রয়েগেছে| এই পত্রিকাগুলো যে ভাষায় নানা বিষয়ের উপস্থাপনা করে, তা মানুষের কাছে সহজেইবোধগম্য হয়| বেশিরভাগ সময়ই এগুলো সমাজের দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর কথা বলে|এদের শক্তি, প্রভাব এবং দায়িত্বকে কোনভাবেই অবমূল্যায়ন করা যায় না| এগুলো হচ্ছেপ্রত্যন্ত এলাকায় সরকারের উদ্দেশ্য ও নীতির বার্তাবাহক| একই সঙ্গে তারা আমাদেরমানুষের চিন্তা-চেতনা, অনুভুতি ও আবেগের অগ্রদূত|
এই প্রসঙ্গে আজকাল একটি বিষয় অবশ্যই উত্সাহব্যঞ্জক যে,আমাদের অসাধারণ প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে, সর্বাধিক বিক্রিত পত্রিকাগুলোর মধ্যেঅনেকগুলোই আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে| ‘ দিনা থান্থি ’ অবশ্যই এর মধ্যে একটি
বন্ধুগণ,
আমি মানুষকে প্রায়শই আশ্চর্য হতে শুনি যে, প্রতিদিন বিশ্বেকত পরিমাণ ঘটনা ঘটছে যা সংবাদপত্রে জায়গা পেয়ে যায়|
বাস্তবিকই এক উদ্বেগের বিষয়, আমরা সবাই জানি যে, পৃথিবীতেপ্রতিদিন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি ঘটনা ঘটে চলেছে| সম্পাদকরাই কোন বিষয়টিগুরুত্বপূর্ণ তা নির্বাচন করেন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন| তাঁরা ঠিক করেন যে, কোনবিষয়টিকে প্রথম পাতায় দিতে হবে, কোন বিষয়টিকে বেশি জায়গা দিতে হবে এবং কোনবিষয়টিকে উপেক্ষা করতে হবে| এই বিষয়টি অবশ্যই তাদের কাছে এক গুরুদায়িত্ব|সম্পাদকের স্বাধীনতা অবশ্যই জনস্বার্থে প্রজ্ঞার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত| একইসঙ্গে লেখালেখির স্বাধীনতা এবং কোন বিষয়ে লেখা হবে তা নির্ধারণ করার মধ্যেও ‘ প্রকৃতপক্ষে ভুল ’ অথবা ‘ সঠিক নয় ’ এ ধরনের বিষয় বাছাই করার স্বাধীনতা যুক্ত নয়|মহাত্মা গান্ধী স্বয়ং বলেছেন: “প্রচার মাধ্যম হচ্ছে চতুর্থ স্তম্ভ| এটা অবশ্যই একক্ষমতা, কিন্তু সেই ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে অপরাধ”|
কোনো ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রচার মাধ্যমও জনকল্যাণের কাজকরে| বিদ্বানরা বলেছেন, প্রচার মাধ্যম হচ্ছে শক্তির পরিবর্তে শান্তির মধ্য দিয়েসংস্কার সাধনের এক মাধ্যম| তাই নির্বাচিত সরকার বা বিচার ব্যবস্থার মতই এর সামাজিকগ্রহণযোগ্যতা রয়েছে| আর এর আচরণ স্পষ্টভাবে সমদর্শী হতে হবে| আমি এখানে মহান সন্তথিরুভাল্লুভরের বাণী স্মরণ করতে চাই, “পৃথিবীতে নীতি ছাড়া আর এমন কিছু নেই, যা একইসঙ্গে খ্যাতি ও সম্পদ এনে দিতে পারে”|
বন্ধুগণ,
প্রযুক্তি প্রচার মাধ্যমে এক বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে|এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামের ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা দিনের হেডলাইন গভীরবিশ্বাসযোগ্যতা বহন করত| আজ আমাদের প্রচার মাধ্যম সেই গ্রামের ব্ল্যাকবোর্ড থেকেঅনলাইন বুলেটিন বোর্ড পর্যন্ত বিস্তৃতি পেয়েছে|
শিক্ষার ক্ষেত্রে এখন যেমন জানার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়াহয়, তাই বিভিন্ন বিষয় গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে| আজপ্রত্যেক নাগরিক আলোচনা করেন, বিচার-বিশ্লেষণ করেন, তাঁর কাছে আসা সংবাদটিকে নানাক্ষেত্র থেকে যাচাই করেন| তাই প্রচার মাধ্যমকে এর বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার জন্যঅবশ্যই বাড়তি প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে| প্রচার মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার মঞ্চেস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তাই আমাদের গণতন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালোবিষয়|
বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছেঅন্তর্দর্শনের বিষয় হয়ে উঠে| আমি বিশ্বাস করি যে, প্রয়োজন হলে প্রচার মাধ্যমেরসংস্কার শুধুমাত্র অন্তর্দর্শনের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভেতর থেকেই হতে পারে| অবশ্যইআমরা সেই অন্তর্দর্শনের প্রক্রিয়া কোনো কোনো সময় দেখেছি| যেমন দেখেছি ২৬/১১ – এর মুম্বাই হামলার প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনারসময়| এই অন্তর্দর্শনের প্রক্রিয়া আরও বেশি হওয়া উচিত|
বন্ধুগণ,
আমি আমাদের প্রিয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর এ.পি.জে.আব্দুল কালামের উদ্ধৃতি স্মরণ করতে চাই: “আমরা এমন এক মহান জাতি যে, আমাদেরবেশকিছু অসাধারণ সাফল্য রয়েছে কিন্তু আমরা সেগুলোকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করি|কেন?”
আমি দেখতে পাই, আজ বেশকিছু প্রচার মাধ্যমের ভাষ্য শুধুমাত্ররাজনীতিকেই কেন্দ্র করে ঘুরপাক খায়| এটা শুধুমাত্র ন্যায্য যে, একটি গণতন্ত্রেরাজনীতি এত দীর্ঘ বিস্তৃতিতে আলোচিত হয়| কিন্তু ভারত আমাদের মত রাজনীতিবিদগণ ছাড়াওআরও অনেক কিছু| একশ পঁচিশ কোটি ভারতবাসীই এই ভারতকে নির্মাণ করেছেন| প্রচার মাধ্যমতাঁদের কথা, তাঁদের সাফল্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে দেখলে আমি আনন্দিত হবো|
এই প্রচেষ্টার পথে মোবাইল ফোন হাতে থাকা প্রত্যেক নাগরিকইআপনাদের বন্ধু| কোনো বিষয় অথবা ব্যক্তির সাফল্যের বিষয় উপস্থাপনার ক্ষেত্রেনাগরিকদের প্রতিবেদন একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে| এটা কোনো সংকটেরমুহূর্তে বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ত্রাণ ও উদ্ধারের প্রচেষ্টাকে নির্দেশিত করারক্ষেত্রেও বিশেষ সহায়তা করতে পারে|
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ জানানোর জন্যপ্রচার মাধ্যম তাদের সেরা কাজ করে থাকে| বিশ্বজুড়েই এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগবিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে| জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রত্যেকের কাছেই এখন একচ্যালেঞ্জ| এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচার মাধ্যম কি নেতৃত্ব দিতে পারে? জলবায়ুপরিবর্তন মোকাবিলার জন্য আমরা কী করতে পারি, তা নিয়ে প্রতিবেদনে, আলোচনা করায় ওসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কি প্রচার মাধ্যম নিয়মিতভাবে একটু সামান্য জায়গা বা সময় দিতেপারে না?
আমি এই সুযোগে স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে প্রচার মাধ্যমেরউদ্যোগের প্রশংসা করতে চাই| আমরা ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তীরআগে যে স্বচ্ছ ভারতের লক্ষ্য পূরণ করতে চাই, তার জন্য পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা ওজন-চেতনা জাগরণ করার জন্য প্রচার মাধ্যম যে গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করছে, তাতে আমিআপ্লুত| আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি, এই দাবি করার আগে তারা আমাদের যেসব কাজবাকি রয়েছে, সেগুলোকেও নজরে নিয়ে আসছে|
ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেখানে প্রচার মাধ্যমতাদের ভুমিকা পালন করতে পারে| আর তা হচ্ছে ‘ এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ’ |একটি উদাহরণ দিয়ে আমি তা বোঝাতে চাই|
এর জন্য কোনো সংবাদপত্র এক বছর ধরে প্রতিদিন সামান্য কয়েককলাম বা ইঞ্চির জায়গা কি দিতে পারে? প্রতিদিন সেখানে সেই সংবাদপত্রের ভাষায় একটিসাধারণ বাক্য থাকবে, যার সঙ্গে এর অনুবাদ ও ভারতের প্রধান ভাষাগুলিতে বর্ণান্তরথাকবে|
বছর শেষে, এগুলো দেশের সব ভাষার ৩৬৫টি সাধারণ বাক্যের একসংকলন হয়ে যাবে| এই একটি সাধারণ পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব কী হবে তা ভাবুন তো!তাছাড়া প্রতিদিন বিদ্যালয়েও এই বিষয়টি একবার করে আলোচনা করা যেতে পারে, তাতেছেলেমেয়েরাও আমাদের সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যের শক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে| এতে শুধুমাত্রযে এই মহান কাজটিই হবে তা নয়, প্রকাশনার শক্তিও বৃদ্ধি পাবে|
ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
পঁচাত্তর বছর একজন মানুষের জীবনের বেশ একটা ভালো পরিমাণসময়| কিন্তু একটি জাতির পক্ষে অথবা একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তা শুধুমাত্র একউল্লেখযোগ্য মাইলফলক| তিনমাস আগে আমরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৫তম জয়ন্তী উজাপনকরেছি| তাই দিনা থান্থি ’ রএই যাত্রা তরুণ ও উজ্জ্বল জাতি হিসেবে ভারতের গড়ে ওঠাকে প্রতিবিম্বিত করেছে|
সেদিন সংসদে আমি ভাষণ দিতে গিয়ে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে একনব ভারত নির্মাণের ডাক দিয়েছিলাম| এমন এক ভারত, যে ভারত হবে দুর্নীতি, জাতিভেদ,সাম্প্রদায়িকতা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও রোগের প্রকোপ থেকে মুক্ত এক দেশ| তাইআগামী পাঁচ বছর হবে শুধুমাত্র ‘ সংকল্পথেকে সিদ্ধি ’ র জন্য| আর তাহলেই আমরাআমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নের ভারত নির্মাণ করতে পারব| ভারত ছাড়োআন্দোলনের সময় জন্ম নেওয়া সংবাদপত্র হিসেবে আমি মনে করি এক্ষেত্রে দিনা থান্থি ’ র এক বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে| আমি আশা করি যে,আগামী পাঁচ বছর ধরে আপনাদের পাঠক অথবা ভারতবাসীর জন্য সেই বিষয়েরই প্রতিফলন ঘটানোরসুযোগ আপনারা ব্যবহার করবেন|
এমনকি আগামী পাঁচ বছরের বাইরে গিয়েও এই প্ল্যাটিনামজয়ন্তীতে দিনা থান্থিকে আগামী পঁচাত্তর বছর কীরকম হবে তা অবশ্যই ভাবতে হবে| আর তাহচ্ছে, বর্তমানে আঙ্গুলের এক স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গেই সংবাদ জেনে যাওয়ার প্রযুক্তিরযুগে দেশ ও জাতির কাছে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়| আর এর মধ্য দিয়েপেশাদারি, নীতি ও বাস্তবতার সর্বোচ্চ গুণমান বজায় রক্ষা করা যাবে|
সবশেষে আমি আরও একবার তামিলনাড়ুর জনগণের সেবায় দিনা থান্থি ’ র প্রকাশকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি| আমিনিশ্চিত যে, আমাদের মহান জাতির ভবিষ্যত নির্ধারণে তারা গঠনমূলক সহায়তা চালিয়েযাবেন|
Today, newspapers do not just give news. They can also mould our thinking & open a window to the world. In a broader context, media is a means of transforming society. That is why we refer to the media as the fourth pillar of democracy: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
The then British Government was fearful of the Indian Vernacular Press. It was to muzzle vernacular newspapers, that the Vernacular Press Act was enacted in 1878. The role of newspapers published in regional languages remains as important today, as it was then: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
I have often heard people wonder, as to how the amount of news that happens in the world every day always just exactly fits the newspaper: PM @narendramodi on a lighter note.
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
Editorial freedom must be used wisely in public interest. The freedom to write, does not include the freedom to be 'factually incorrect'. Mahatma Gandhi said: “The press is called the Fourth Estate. It is definitely a power, but, to misuse that power is criminal.": PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
Even though media may be owned by private individuals, it serves a public purpose. As scholars say, it is an instrument to produce reform through peace, rather than by force. Hence, it has as much social accountability as the elected government or the judiciary: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
Today, every citizen analyses & attempts to verify the news that comes to him through multiple sources. Media, therefore, must make an extra effort to maintain credibility. Healthy competition among credible media platforms is also good for the health of our democracy: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
A lot of the media discourse today revolves around politics. However, India is more than just us politicians. It is the 125 crore Indians, which make India what it is. I would be happy to see media focus a lot more, on their stories, and their achievements: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017
Natural calamities seem to be occurring with increasing frequency across the world. Can media take a lead in the battle against climate change? Can media devote just a little space to report or increase awareness about what we can do to combat climate change?: PM Modi
— PMO India (@PMOIndia) November 6, 2017