প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন দিল্লি – কানপুর – আমেদাবাদ – বারাণসী রুটে ভারতের প্রথম মাঝারি মানের দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ – এর যাত্রা সূচনা করবেন। ভারতীয় রেলের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় এই ট্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এই যাত্রা সূচনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখবেন এবং এক জনসভাতেও ভাষণ দেবেন।
আগামীকাল ট্রেনটির যাত্রা সূচনা উপলক্ষে রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েলের নেতৃত্বে আধিকারিক ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি দল এই ট্রেনে সফর করবেন। যাত্রাপথে ট্রেনটি কানপুর ও আমেদাবাদে থামবে এবং সেখানে সাধারণ মানুষ ছাড়াও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন।
‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। এই ট্রেনটিতে শতাব্দী ট্রেনের তুলনায় আরও ভালো মানের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে, সফরের সময়ে যাত্রীরা ভ্রমণের এক নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন।
নতুন দিল্লি থেকে বারাণসী পৌঁছতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা। সোমবার ও বৃহস্পতিবার বাদ দিয়ে ট্রেনটি রোজ চলবে।
এই ট্রেনের সমস্ত কামরায় অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় দরজা, জিপিএস-ভিত্তিক অডিও – ভিজুয়াল যাত্রী তথ্য জ্ঞাপন ব্যবস্থা, বিনোদনের জন্য চলন্ত ট্রেনে হটস্পট ওয়াইফাই ব্যবস্থা ও আরামদায়ক যাত্রী আসন থাকছে। কামরার প্রতিটি শৌচাগারে বায়ো-ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি সিটে যাত্রীদের জন্য দু’ধরণের আলোক-ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও, প্রতিটি কামরায় রয়েছে একটি করে প্যান্ট্রি কার। এই প্যান্ট্রি কারগুলি থেকে যাত্রীদের গরম খাবার, গরম ও শীতল পানীয় সরবরাহ করা হবে। এমনকি, অতিরিক্ত যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানে কামরাগুলিতে তাপ ও শব্দ প্রতিরোধী ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ – এ ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কামরা এক্সিকিউটিভ শ্রেণীর। ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ১২৮, যা বর্তমানে চালু শতাব্দী ট্রেনগুলির তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও, ট্রেনের কামরাগুলিতে রি-জেনারিভ ব্রেকিং ব্যবস্থা রয়েছে, যার দরুণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব হবে এবং দূষণ কমাতে সাহায্য করবে।
গতি, নিরাপত্তা ও পরিষেবা – এই ট্রেনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে এই ট্রেন নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই ট্রেনের নক্শা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনটির কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করে তোলা হয়েছে। এমনকি, এর জন্য খরচ হয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খরচের তুলনায় অর্ধেক। বিশ্ব রেল বাণিজ্য ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার প্রভূত সম্ভাবনা এই ট্রেনটির মধ্যে রয়েছে।