আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ওয়াশিংটন ডিসি-তে সরকারি সফরে যান। 

 

আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বহুত্ববাদকে গুরুত্ব দেওয়া সার্বভৌম ও প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের দুই নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-মার্কিন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের শক্তি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই অংশীদারিত্ব পারস্পরিক আস্থা, অভিন্ন স্বার্থ, সুনাম এবং দুই দেশের নাগরিকদের শক্তিশালী সংযোগের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

 

দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রধান ভিত্তিগুলিতে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী একবিংশ শতকের জন্য ভারত-মার্কিন COMPACT (Catalyzing Opportunities for Military Partnership, Accelerated Commerce and Technology)-এর সূচনা করেছেন।

 

ভারত-মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের গভীরতার উল্লেখ করে দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত গতিশীল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের প্রতি তাঁদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রতিরক্ষা সংযোগ আরও নিবিড় করতে তাঁরা ১০ বছর মেয়াদী এক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

 

সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস, সি১৭ গ্লোব মাস্টার ৩, হারপুন জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বিভিন্ন মার্কিন সমরাস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দুই নেতা সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে তাদের সমরাস্ত্র বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়াবে এবং সহ উৎপাদনে উদ্যোগী হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রয়োজন মেটাতে চলতি বছরে জ্যাভেলিন ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ট্রাইকার সামরিক যান ভারতে বিক্রি এবং সহ উৎপাদনের পরিকল্পনা ব্যক্ত করা হয়েছে। 

 

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার এবং কোয়াডের অংশীদার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত তাদের অস্ত্র হস্তান্তর সংক্রান্ত বিধি খতিয়ে দেখতে সহমত হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সরঞ্জাম, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিমার্জনে শুল্কের হার খতিয়ে দেখতেও দুই দেশ সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও পণ্যের ক্ষেত্রে একটি পারস্পরিক ভারসাম্যযুক্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দুই নেতা চলতি বছরেই আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। মহাকাশ, আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র, সমুদ্র এবং গভীর সমুদ্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিবিড় করার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা। 

 

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার গুরুত্ব ক্রমশ বেড়ে চলায় দুই নেতা Autonomous Systems Industry Alliance – ASIA গঠনের ঘোষণা করেছেন। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নিয়ে আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মাহিন্দ্রা গ্রুপের মধ্যে নতুন অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। 

 

আকাশ, ভূমি, সমুদ্র, মহাকাশ, সাইবার পরিসর – সব ক্ষেত্রেই সামরিক সহযোগিতা প্রসারিত করার অঙ্গীকার নিয়েছেন দুই নেতা। ভারতে অনুষ্ঠেয় টাইগার ট্রায়ামফ মহড়াকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন।

 

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায় ভারত ও মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় ও গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের উপর জোর দিয়েছেন দুই নেতা। 

 

অর্থনীতির উন্নয়নে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ আরও প্রসারিত করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। 

 

নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারসাম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দুই নেতা ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বহুক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা জানিয়েছেন। এজন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও শক্তিশালী ও সুগভীর করার লক্ষ্যে সংযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে। এর আওতায় শুল্ক প্রতিবন্ধকতা কমানোর এবং বাজারকে আরও বেশি করে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার প্রয়াস চালানো হবে। 

 

ভারত কিছু মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাগত জানিয়েছে। একইভাবে ভারতের আম ও অন্য কয়েকটি সামগ্রীর রপ্তানি বাড়ানোর মার্কিন প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। 

 

দুই দেশ উচ্চ মূল্যের শিল্প ক্ষেত্রে ভারতীয় ও মার্কিন সংস্থাগুলির সামনে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। ভারতীয় কোম্পানীগুলি সম্প্রতি ৭.৩৫ বিলিয়ন ডলারের যে বিনিয়োগ করেছে, দুই নেতা তাকে স্বাগত জানিয়েছে। 

 

জ্বালানি সুরক্ষাকে অর্থনৈতিক বিকাশ, সামাজিক কল্যাণ ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য বিষয় বলে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সহযোগিতার উপর দুই নেতা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তেল, গ্যাস ও অসামরিক পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন তাঁরা।

 

দুই নেতা হাইড্রো কার্বনের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং তেলের কৌশলগত মজুত ভান্ডার গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্ণ সদস্য পদ পাওয়ার যে দাবি ভারত জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। 

 

দুই নেতা জ্বালানি বাণিজ্য বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন। অপরিশোধিত তেল, পেট্রোপণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের অগ্রণী সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে ভারত সহমত হয়েছে। হাইড্রো কার্বন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে বলে দুই নেতা মত ব্যক্ত করেছেন। তেল ও গ্যাস পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দু দেশের জ্বালানি সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশ সহমত হয়েছে। 

 

ভারত-মার্কিন ১২৩ অসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির সম্পূর্ণ রূপায়ণে দুই নেতা তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে বিভিন্ন পরমাণু চুল্লি নির্মাণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

 

দুই নেতা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে TRUST-Transforming the Relationship Utilizing Strategic Technology কর্মসূচি চালু করার ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় প্রতিরক্ষা, কৃত্রিম মেধা, সেমিকনডাকটর, কোয়ানটাম, জৈব প্রযুক্তি, জ্বালানি ও মহাকাশ ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হস্তান্তরে সহায়তা করা হবে। 

 

উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহ দিতে দুই নেতা INDUS শীর্ষক একটি উদ্ভাবনী সেতু গড়ে তোলার ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ, জ্বালানি ও অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিল্পগত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগত অংশীদারিত্ব এবং বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়া হবে। 

 

উদীয়মান প্রযুক্তি এবং অত্যাধুনিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিরল খনিজগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃত দিয়ে দুই দেশ এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরল খনিজের অনুসন্ধান, খনন, উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একটি যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 

 

২০২৫ সালকে ভারত-মার্কিন অসামরিক মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক বিশেষ বছর হিসেবে চিহ্নিত করে দুই নেতা নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় এই প্রথম একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইসরো ও নাসা যৌথভাবে নিসার মিশন-এর সূচনা করবে। এর আওতায় দ্বৈত রাডার ব্যবহার করে ভূ-পৃষ্ঠে পরিবর্তনের মানচিত্র তৈরি করা হবে। 

 

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক গবেষণামহলের মধ্যেকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে দুই নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং ভারতের অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মধ্যে নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছেন। 

 

দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাড়াতে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে দুদেশের সরকার তাদের প্রয়াস আরও জোরদার করবে বলে জানানো হয়েছে। 

 

এক মুক্ত, বাধাহীন, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব অপরিহার্য বলে দুই নেতা মত ব্যক্ত করেছেন। কোয়াডের অংশীদার হিসেবে তাঁরা আশিয়ান কেন্দ্রীকতা, আন্তর্জাতিক আইন ও সুশাসনের মান্যতা, নিরাপদ ও মুক্ত সমুদ্রযাত্রা, বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সমুদ্র বিবাদের নিষ্পত্তির প্রতি দায়বদ্ধ বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী মোদী কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে নতুন দিল্লিতে আসার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানান। 

 

দুই নেতা মধ্যপ্রাচ্যের অংশীদারদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বাড়ানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। ওই অঞ্চলে পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার কথা বলেছেন তাঁরা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডরের অংশীদারদের এবং I2U2 গ্রুপের সদস্যদের বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা জানিয়েছেন দুই নেতা।

 

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, ভারতের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা জালের প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রসঙ্গে দুই নেতা ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও আলোচনা আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা ভারত মহাসাগরীয় কৌশলগত উদ্যোগের সূচনার ঘোষণা করেন। এর আওতায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ বৃদ্ধিতে সুসমন্বিত বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করা হবে। 

 

পশ্চিম ভারত মহাসাগর, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক নতুন বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা। 

 

বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুই নেতা বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

 

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে দুই নেতা বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে। আলকায়দা, আইসিস, জঈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। ২৬/১১-র মুম্বাই হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। মুম্বাই ও পাঠানকোট হামলায় যুক্ত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুই নেতা। 

 

দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই নেতা সহমত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে, প্রতি বছর ৩ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী মার্কিন অর্থনীতিতে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অবদান রাখে। পড়ুয়া, গবেষক ও কর্মীদের এই প্রবাহ দুই দেশকেই লাভবান করছে বলে তাঁরা স্বীকার করেছেন। দুদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সংযোগ আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন দুই নেতা। মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভারতে অফ-শোর ক্যাম্পাস গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

 

অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক, সংগঠিত অপরাধী সিন্ডিকেট, মাদক-অস্ত্র-মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নির্ণায়ক ব্যবস্থা নিতে দুই নেতা প্রশাসনিক সহযোগিতা আরও নিবিড় করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। 

 

দুদেশের নাগরিকদের জন্য এক উজ্জ্বল ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ, বিশ্বকল্যাণ এবং মুক্ত ও স্বাধীন ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যে এক সুদৃঢ় ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এবং দুদেশের সরকার, শিল্পমহল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নিবিড় সংযোগ রক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

Media Coverage

"Huge opportunity": Japan delegation meets PM Modi, expressing their eagerness to invest in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।