“বিশ্বাস এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সহযোগিতার নতুন উচ্চতায়”

 

1.  রুশ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি মহামান্য শ্রী ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ভারতীয় সাধারণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী মহামান্য নরেন্দ্র মোদী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর রুশ প্রজাতন্ত্রে সরকারি সফর করেন। ভ্লাদিভস্টকে বিংশতিতম ভারত – রুশ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল। মহামান্য শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধান অতিথি হিসাবে পঞ্চম পূর্ব অর্থনৈতিক মঞ্চে অংশ নিলেন।

 

2.  বিংশতিতম বার্ষিক সম্মেলন জয়ন্তীতে দুই নেতাই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বিশেষ এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত অংশীদারিত্বের অগ্রগতির উল্লেখ করলেন। এই সম্পর্কগুলি অভিনব। প্রাকৃতিকভাবে সুবিধাজনক দুই পক্ষের কাছেই যা সহযোগিতার সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রগুলিতে বিস্তৃত হয়ে আছে। এগুলির ভিত্তি একই সভ্যতার মূল্যবোধ, সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধুত্ব আপোষ, বোঝাপড়া, বিশ্বাস, সমস্বার্থ এবং উন্নয়নে অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলির প্রতি একই দৃষ্টিভঙ্গী। দুটি দেশের নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠকের ফাঁকে হওয়া বৈঠক সহ নিয়মিত আলোচনা এবং বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়াই এই অংশীদারিত্বের আসল প্রমাণ।

 

3.  ভারত – রাশিয়া মৈত্রী সমসাময়িক বিশ্বের ঝঞ্ঝাময় বাস্তবতাকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। এটি বাইরের কোনও প্রভাবের দ্বারা কখনও প্রভাবিত হয়নি এবং হবেও না। ভারত – রুশ সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়ন দু’দেশের বৈদেশিক নীতিকে অগ্রাধিকার দেয়। নেতৃবৃন্দ সম্ভাব্য সব উপায়ে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে পূর্ণমাত্রায় নিয়ে যেতে সহমত হয়েছেন। জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে স্থায়ীর নোঙর হিসাবে যা প্রতিভাত হচ্ছে।

 

4.  দুই পক্ষই দু’দেশের সংসদের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল্যবান অংশ হিসাবে আন্তঃসংসদীয় আলোচনার গুরুত্বের উল্লেখ করেছে। ২০১৮’র ডিসেম্বরে সেদেশের দুমার চেয়ারম্যানের সফরের ওপর আলোকপাত করেছে এবং ২০১৯ – এর শেষ নাগাদ লোকসভার অধ্যক্ষের রুশ সফরের দিকে তাকিয়ে থাকার কথা বলেছে।

 

5.  ভারত – রাশিয়া সম্পর্কের পরিসর আরও সম্প্রসারিত করতে দু’পক্ষই শক্তিশালী বহুমুখী বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে ভিত্তি হিসাবে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

 

6.  দুই নেতাই উচ্চ প্রশংসা করেছেন বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত – রাশিয়া আন্তঃসরকারি আয়োগের কাজের, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে নিশ্চিত করেছে।

 

7.  বাণিজ্য পরিমাণে স্থায়ী বৃদ্ধিতে দুই পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এর পরিমাণ ৩ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যেতে তাঁরা ভারত ও রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসম্পদকে সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত করতে রাজি হয়েছেন – শিল্প সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে, নতুন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা তৈরি করতে, বিশেষ করে উচ্চ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন নতুন পথ ও পদ্ধতি খুঁজতে।

 

8.  দুই পক্ষই ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে রাশিয়ার বণিকদের অংশগ্রহণ এবং রাশিয়ায় অবস্থিত প্রকল্পগুলিতে ভারতীয় কোম্পানির লগ্নি প্রসারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই সূত্রে বিলগ্নিকরণ বৃদ্ধি এবং তার সুরক্ষার জন্য ভারত – রাশিয়া আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরের দ্রুত প্রস্তুতিতে রাজি হয়েছে।

 

9.  রক্ষণশীল মনোভাব শুল্ক এবং প্রশাসনিক বাধা-সহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে যৌথভাবে কাজ করতে রাজি হয়েছে দু’পক্ষ। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিগুলি কমানোর বিষয়টি আরও বিবেচনা করতেও রাজি হয়েছে। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন (ইএইইউ) এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত করতে এটি সাহায্য করবে।

 

10.পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্য কাঠামোর উন্নতিতে রাজি হয়েছেন তাঁরা। উদ্যোগ সংক্রান্ত কার্যকলাপ এবং লগ্নির পরিবেশের জন্য এবং সংশ্লিষ্ট আমদানি – রপ্তানি পদ্ধতি সরল করতে এবং সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থার সাধারণীকরণেও রাজি হয়েছেন তাঁরা।

 

11.জাতীয় মুদ্রায় টাকা মেটানোর বিষয়টি নিয়ে আপোষে মীমাংসা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে।

 

12.দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে রাশিয়ান এক্সপোর্ট সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতে রুশ ট্রেড মিশনের মঞ্চে মুম্বাইতে স্থাপিত রুশ রপ্তানি সহায়ক গোষ্ঠীর কার্যালয়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। দুই পক্ষই ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার রাশিয়া প্লাস ডেস্কের দ্বারা সম্পাদিত ভারতে রুশ লগ্নির সুবিধা চালু রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে।

 

13.বাণিজ্য, অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এ বছর সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক ফোরাম এবং ভারত – রাশিয়া বাণিজ্য সংক্রান্ত যে আলোচনা হয়েছে, তার অবদানেরও উল্লেখ করা হয়েছে।

 

14.নতুন দিল্লিতে ২০১৯ – এর ১০ই জুলাই ভারত – রাশিয়া কৌশলগত অর্থনৈতিক আলোচনার দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন দুই নেতাই। আমাদের দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে মূল ক্ষেত্রগুলিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যপদ্ধতি হিসাবে উঠে এসেছে কৌশলগত অর্থনৈতিক আলোচনা। ঐ আলোচভনার ভিত্তিতে ২০১৮ – ১৯ – এ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অর্থনৈতিক এবং বিলগ্নিকরণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কৌশলগত প্রণালী তৈরি হয়েছে এবং গৃহীত হয়েছে।

 

15.রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের উন্নয়নে নতুন দিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেতারা। দূরপ্রাচ্য অঞ্চলে বেশ কিছু ভারতীয় কোম্পানি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমন – হীরা কাটায় ভ্লাদিভস্টকে মেসার্স কেজিকে এবং কয়লা খনির ক্ষেত্রে কামচাটকার ক্রুতগোরভো-তে মেসার্স টাটা পাওয়ার। দূরপ্রাচ্য অঞ্চল এবং সাইবেরিয়ায় অর্থনৈতিক এবং লগ্নি বাড়াতে ভারতীয় পক্ষের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া।

 

16.রুশ দূরপ্রাচ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ভারত উদ্যোগ নিচ্ছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রীর নেতৃত্বে এই প্রথম ভারতের চারটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি দল ২০১৯ – এর ১২ ও ১৩ আগস্ট ভ্লাদিভস্টক সফর করেছেন। উদ্দিষ্ট ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর পথ খুঁজতে। দূরপ্রাচ্য রাশিয়ায় ভারত থেকে দক্ষ শ্রমিক সাময়িকভাবে নিয়োগ করার বিষয়টিও দুই পক্ষের ভাবনাচিন্তায় আছে।

 

17.মেরু অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার দিকে তাকিয়ে আছে ভারত। মেরু অঞ্চলে অগ্রগতির দিকে লক্ষ্য রাখছে ভারত এবং মেরু পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনেও সে প্রস্তুত।

 

18.অন্যদিকে রাশিয়া ভারতে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও অন্যান্য প্রকল্পে অংশ নিতে তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে। মুম্বাইতে সম্প্রতি ফার ইস্ট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট এজেন্সির অফিস খোলাকে স্বাগত জানিয়েছে দু’পক্ষই। রুশ দূরপ্রাচ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উন্নয়নে এই অফিসের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে আছে তারা।

 

19.দু’দেশের মধ্যে আলোচনায় বিদ্যুৎ শিল্প চিরাচরিতভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতি পারস্পরিক বোঝাপড়ার সূত্রে গ্রোথিত। কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে অসামরিক পরমাণু সহযোগিতা। কুড়ানকুলামে ৬টি পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লির মধ্যে বাকি ৪টি নির্মাণে অগ্রগতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি নিয়ে আলোচনায় যুক্ত আছে দুই পক্ষই ও রুশ নক্‌শায় ভিভিইআর ১২০০ নিয়ে প্রযুক্তিগত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। উপকরণ ও জ্বালানি উৎপাদন যৌথভাবে করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

 

20. বাংলাদেশে রূপপুর এনপিপি নির্মাণে সফল সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করেছে দুটি দেশ এবং তৃতীয় কোনও দেশে একই রকম সহযোগিতা প্রসারিত করতে ইচ্ছার কথা প্রকাশ করা হয়েছে।

 

21.অপারমাণবিক জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন নেতৃবৃন্দ। জেএসসি রসনেফট্‌ অয়েল কোম্পানি এবং কনসোর্টিয়াম অফ অয়েল অ্যান্ড গ্যাস পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস্‌ – এর মধ্যে ভ্যাংকরনেফট্‌ তাসইয়ুরইয়াখনেফ্তেগাজোদোবিচা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা, নায়ারা এনার্জি লিমিটেড তৈল শোধনাগারের কাজ এবং গত দুই দশক ধরে হাইড্রো কার্বন সম্পদ উত্তোলনে সহযোগিতার সাফল্যকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত ও রাশিয়া। একই সঙ্গে, গাজপ্রম এবং গেইল ইন্ডিয়ার মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ঠিক সময়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য থেকে ভারতে কোকিন কোল সরবরাহে সহযোগিতায় রাজি হয়েছে দুই পক্ষ।

 

22. রাশিয়া এবং ভারতে সমুদ্র-সহ বিভিন্ন জায়গায় তৈল ও গ্যাস ক্ষেত্রের যৌথ উন্নয়ন এবং ভূ-তাত্ত্বিক খননে সহযোগিতা বাড়াতে দুই নেতাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। রাশিয়া থেকে ভারতে বৈদ্যুতিক সম্পদ সরবরাহের পদ্ধতি উন্নয়নে তাঁরা কাজ করে যাবেন। রুশ প্রজাতন্ত্রের অশোধিত তেল সংক্রান্ত দীর্ঘকালীন চুক্তিটিও আছে এর মধ্যে, যাতে উত্তরের সমুদ্রপথ এবং পাইপ লাইন ব্যবস্থার সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। ভিদিনার তৈল শোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নায়ারা এনার্জি লিমিটেডের সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন তাঁরা। জল ও তাপবিদ্যুতে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রাজি হয়েছে ভারত ও রাশিয়া। অচিরাচরিত উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে নক্‌শা ও নির্মাণের কাজের পাশাপাশি, বিদ্যুতের উপযুক্ত ব্যবহার নিয়েও সহযোগিতায় রাজি দুই দেশ।

23. সম্মেলনের সময় ২০১৯ – ২০১৪ এর জন্য হাইড্রো কার্বনের সহযোগিতার রোডম্যাপ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে এই ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে দুই পক্ষের আশা।

 

24.         ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে দুই দেশই চায় পরিবহণ পরিকাঠামোর উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করতে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ – সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর (আইএনএসটিসি)-র উন্নয়নে প্রভূত গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা। আইএনএসটিসি-তে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে পরিমাণের ওপর এবং পরিবহণ ও লজিস্টিক পরিষেবার উন্নতির ওপর। সরলীকরণ করা হচ্ছে কাগজপত্রের বিষয়টি। ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং উপগ্রহের সাহায্য নেওয়া হবে পরিবহণ প্রক্রিয়ায়।

 

25.         দুই পক্ষই দেখছে রেল ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ভালো সম্ভাবনা আছে। নাগপুর – সেকেন্দ্রাবাদ শাখায় গতি বৃদ্ধির জন্য সমীক্ষার কাজের উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে রুশ সরকারের আগ্রহেরও উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে দু’পক্ষই কাজ চালিয়ে যাবে।

 

26.         দুই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উড়ান-সহ সরাসরি যাত্রী বিমান ও পণ্য পরিবহণ বিমান পরিষেবা বৃদ্ধি সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখছে দুই দেশ।

 

27.         পরিবহণ শিক্ষা পেশাদারী প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞানসম্মত সহায়তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে দুই দেশ রাজি পরিবহণ পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য।

 

28.         বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে দুটি দেশই। টেলি সংযোগ, রোবোটিক্স কৃত্রিম বুদ্ধি, মনোটেকনোলজিস, ওষুধ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যের উন্নয়ন জোরালো করতে দুই দেশই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই জন্য উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ও রুশ প্রজাতন্ত্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়ায় সন্তুষ্ট দুই নেতা।

 

29.         ২০১৮’র সারা ভারত বাঘ সুমারির ফলকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়া। ঐ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতে আছে ২ হাজার ৯৬৭টি বাঘ, যা বিশ্বের মোট বাঘের ৭৫ শতাংশ। ২০২২ সালে রাশিয়া দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র সংরক্ষণ ফোরাম অনুষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়াকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। এটিকে বলা হয় দ্বিতীয় ব্যাঘ্র শিখর সম্মেলন। প্রথম সম্মেলনটি হয়েছিল ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণের উদ্যোগে তাঁদের নেতৃত্বের ভূমিকার কথা স্বীকার করে দুই পক্ষই ২০২০-তে ভারতে উচ্চ স্তরের ব্যাঘ্র ফোরাম গঠন করতে সহমত হয়েছে।

 

30.         আকাশপথে পরিবহণ ও মহাকাশ সহ সহযোগিতার আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র আছে। অসামরিক বিমান উৎপাদন ও উন্নয়নের জন্য ভারতে যৌথ উদ্যোগ গঠনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

 

31.         ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং রাশিয়ার স্টেটয় স্পেস কর্পোরেশন ‘রসকসমস’ – এর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ। উপগ্রহ মারফৎ পথ-নির্দেশ এবং মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচিও রয়েছে এর মধ্যে। বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ যান নির্মাণ এবং তার ব্যবহার বিষয়ে নতুন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যে প্রয়োজন, তাতে সহমত দুই দেশ। নতুন গ্রহ আবিস্কার, শান্তির লক্ষ্যে মহাকাশের ব্যবহার এবং গবেষণা এইসব বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট মহাকাশযান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

 

32.         ভারতের প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচি ‘গগণ যান’ – এর জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, যাকে স্বাগত জানিয়েছে দুটি দেশ।

 

33.         স্পেস ২০৩০ কর্মসূচির উন্নয়ন এবং তার রূপায়ণ মহাকাশে দীর্ঘকালীন নিশ্চিত কার্যকলাপ-সহ শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে মহাকাশ সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের কমিটির ভেতরে থেকেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় দু’পক্ষই।

 

34.         হীরা শিল্পে সহযোগিতায়ও প্রভূত গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। ভারতে পিজেএসসি আলরোসা অফিসের সাফল্যের সঙ্গে কাজ করা, খুশি করেছে দুটি দেশকেই।  ঘোষণা করা হয়েছে যে, আকাটা হীরা ব্যবসার বৃদ্ধি করা হবে এবং প্রাকৃতিক হীরা সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশ তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতি খুঁজে দেখা হবে।

 

35.         কৃষি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সুবিধার কথা স্বীকার করেছে দুই দেশ। এক্ষেত্রে আইনি কাঠামো এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কাঠামো আরও বাড়াতে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী দুই দেশ। কৃষি পণ্য বাজারজাত করার পদ্ধতি এবং একে অন্যের ক্ষমতা ও প্রয়োজনীয়তা সমীক্ষা করার বিষয়টিও থাকবে এই সহযোগিতা ক্ষেত্রে। দুই দেশের প্রশাসনের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান সূচিত করবে গ্রিন করিডর মেকানিজম। এর ফলে পণ্য চলাচল দ্রুত হবে, বাড়বে বাণিজ্যিক সুবিধা।

 

36.         দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিশেষ এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তম্ভ সামরিক এবং সামরিক প্রাযুক্তিক ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়া দুই দেশের সহযোগিতা। দুই দেশই একে অপরের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ এবং সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ মহড়া নিয়মিত হওয়ায় সন্তুষ্ট ভারত ও রাশিয়া। সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ২০১১ – ২০২০ দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার সফল রূপায়ণ হওয়ায় দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই ক্ষেত্রে নতুন দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা দ্রুত করতে দুই পক্ষই রাজি।

 

37.         প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উন্নয়ন করতে দুই পক্ষই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সামরিক যন্ত্রপাতি, উপকরণ, স্পেয়ার পার্টস উৎপাদন ও যৌথ উন্নয়ন ছাড়াও বিক্রয় পরবর্তী পরিষেবা ব্যবস্থা এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত যৌথ মহড়া চালাতেও রাজি দুই দেশ।

 

38.         ভারতে রাশিয়ায় নির্মিত অস্ত্রের স্পেয়ার পার্টস ও উপকরণ যৌথভাবে উৎপাদন ও উন্নয়নে দুই পক্ষই রাজি। এর জন্য তৈরি হবে যৌথ উদ্যোগ এবং প্রযুক্তির হস্তান্তর।

 

39.         দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আরও উন্নতির জন্য একটি ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করতে প্রত্যাশি দুই দেশ। এই ক্ষেত্রে লজিস্টিক সহযোগিতা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে পরিষেবা প্রদান করতে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটি সংস্থাগত ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করা হয়েছে। এর জন্য সহযোগিতা পরিকাঠামো পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে গড়ে তুলতে রাজি হয়েছে দুটি দেশ।

 

40.         সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়েও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুই দেশ। এর মধ্যে রয়েছে – সামরিক রাজনৈতিক আলোচনা, যৌথ সামরিক মহড়া, একে অপরের বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অন্যান্য বিষয়, যা বোঝাপড়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হবে। দুই নেতাই উল্লেখ করেছেন যে, এ বছর ভারতে যৌথ তিন বাহিনীর মহড়া ‘ইন্দ্র – ২০১৯’ অনুষ্ঠিত হবে।

 

41.         দ্বিপাক্ষিক সংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি রূপায়ণের প্রশংসা করেছে দুই দেশ, যা সরাসরি দু’দেশের মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। রাশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির উৎসব এবং ভারতে রুশ সংস্কৃতির আয়োজন করতে স্বীকৃত হয়েছে তাঁরা। যেমন, ভারতে রুশ চলচ্চিত্র উৎসব এবং রাশিয়ায় হবে ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব। ২০১৯ – এর ২০ থেকে ২৮শে নভেম্বর গোয়ায় ৫০তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রাশিয়া হবে অংশীদারি দেশ। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক পরিসর বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা এবং যুবসম্প্রদায়ের বেশি করে অংশগ্রহণ জরুরি। লোক শিল্প সংস্থাগুলিকেও যোগ দিতে হবে। এর পাশাপাশি, ভারতে রুশ ভাষা এবং রাশিয়ায় হিন্দি ভাষার প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বাড়ানো হবে যোগাযোগ।

 

42.         শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাত্রা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন চালিয়ে যাওয়া হবে। দ্বিপাক্ষিক আন্তঃসরকারি চুক্তি সহায়তা দেবে এই কাজে। নেতারা চুক্তি তৈরির কাজ দ্রুত করতে সহমত হয়েছেন।

 

43.         ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এবং রুশ প্রজাতন্ত্রের রাজ্যগুলির সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই সূত্রে দুই নেতাই উল্লেখ করেছেন যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মাধ্যমে একটি ফোরাম গড়ার আগ্রহের কথা। দুই পক্ষই রাজি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক মিশন পরিবর্তনে। বর্তমানে চালু মৈত্রী এবং নতুন কোনও পথ খুঁজতে যমজ শহরের ভাবনাতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

 

44.         ভারত – রাশিয়া পর্যটন সহযোগিতা দ্রুত বেড়ে চলেছে এবং বিশেষ ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বে সহায়ক হয়ে উঠবে এই সম্পর্ক।

 

45.         ভিসা সংক্রান্ত বিধির সরলীকরণকে স্বাগত জানিয়েছে দুটি দেশ। বাণিজ্য ও পর্যটনের জন্য ই-ভিসা সুবিধা বৃদ্ধির চিন্তা করা হয়েছে। এটি হবে এক বছরের। রাশিয়ার নাগরিকও সেই সুবিধা পাবেন। কালিনিনগ্রাদ অঞ্চল এবং ভ্লাদিভস্টক সফর করতে ভারতীয় নাগরিকদের বিনামূল্যে বৈদ্যুতিন ভিসা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে ভিসা ব্যবস্থার সরলীকরণ করার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছে দুই দেশ।

 

46.         রাষ্ট্রসংঘ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে রাজি দুই দেশ।

 

47.         দুই দেশই বলেছে, বহুমুখীনতাকে শক্তিশালী করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে  রাষ্ট্রসংঘের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ভূমিকা নেবে দুই দেশ। আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে দুই দেশই তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথা জানিয়েছে। এই সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সনদের। কোনও সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ না করার মতো যেসব নীতি আছে, সেটি রক্ষার্থে দায়বদ্ধতার কথাও বলা হয়েছে।

 

48.         দুই পক্ষই মনে করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিগুলি সঠিকভাবে রূপায়ণ করতে হবে। কোনও কোনও দেশ যেমন দুমুখো ব্যবহার করে, নিজের ইচ্ছে মতো অন্য দেশের ওপর শুল্ক চাপায়, আন্তর্জাতিক আইন না মেনে এক তরফাভাবে কোনও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চাপানো এর উদাহরণ।

 

49.         রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারে ডাক দিয়েছে দুই দেশ, যাতে বাস্তব আন্তর্জাতিক ছবিটা ফুটে ওঠে এবং এই সংস্থাকে যাতে আরও কার্যকরি, দক্ষ ও প্রতিনিধিত্বমূলক করে তোলা যায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে।

 

50.         সংস্কারের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদের জন্য ভারতের দাবিকে সমর্থন করে যাবে রাশিয়া।

 

51.         ব্রিক্‌স – এর মধ্যে বহুক্ষেত্রীক অংশীদারিত্ব জোরালো করতে দুই পক্ষই জানিয়েছে তাদের দায়বদ্ধতার কথা। ২০১৯ – এর নভেম্বরে ব্রাজিলে একাদশ ব্রিক্‌স শিখর সম্মেলনের সাফল্যে পুরোপুরি সাহায্য করবে দুই দেশ।

 

52.         ভারত ও রাশিয়া সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের কার্যকারিতা ও সম্ভাবনা স্বীকার করেছে এক সুরে। ভারত ও রাশিয়া নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা বৃদ্ধি করবে। ২০১৯ – ২০’তে রাশিয়ার এসসিও প্রেসিডেন্সির পরিকাঠামোর মধ্যে, সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে, যা বর্তমান বহুপাক্ষিক বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

 

53.         সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ জোর দিতে চায় দুই দেশ। শুধু সন্ত্রাসবাদ চরমপন্থা নয়, মাদক পাচার, সীমান্ত পারের সংগঠিত অপরাধ এবং তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি সবই আছে এর মধ্যে। বিশেষ করে, এসসিও আঞ্চলিক সন্ত্রাস বিরোধী কাঠামোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে চায় দুই দেশ।

 

54.         এসসিও-র মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসার করবে দুই দেশ। প্রাথমিকভাবে পরিবহণ ও লজিস্টিক পরিকাঠামো, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন যাতে ইউরেশিয়ার ক্ষেত্রে উপকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। আমরা এসসিও কাঠামোর মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং মানবিক মৈত্রী গভীর করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

 

55.         আন্তর্জাতিক বিষয়ে এসসিও-র বেড়ে চলা ভূমিকাকে সমর্থন জানিয়েছে দুই দেশ। রাষ্ট্রসংঘ এবং তার বিশেষ বিশেষ সংগঠনগুলি যেমন – সিএসটিও, সিআইএস, আসিয়ান এবং অন্যান্য বহুমুখী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসসিও-র সম্পর্ক বৃদ্ধিতে। এই সূত্রে এসসিও এবং ইউরেশিয়ান ইকনমির মধ্যে সরকারি যোগাযোগ স্থাপনকে তাঁরা সমর্থন জানায়।

 

56.         আরআইসি কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা তীব্র করতে চায় দুটি দেশই। আন্তর্জাতিক আইন যাতে মানা হয়, তার জন্য আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা একযোগে সোচ্চার হন। সংরক্ষণবাদের প্রসার, এক তরফা নিষেধাজ্ঞা জারি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অন্যান্য নতুন নতুন আতঙ্কের মোকাবিলায় তাঁদের এই উদ্যোগ। এই কাঠামোয় বিভিন্ন দেশ ও সরকারের প্রধান ও বিদেশ মন্ত্রীদের মধ্যে, প্রয়োজনে এমনকি অন্যান্য সংস্থার প্রধানদের মধ্যেও চলতে থাকবে নিয়মিত বৈঠক।

 

57.         জি – ২০ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আমরা সহমত। এর লক্ষ্য আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আশু সমাধান। জি – ২০ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের মধ্যে আন্তর্জাতিক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা গভীর করতে দুই দেশই তাদের দায়বদ্ধতার কথা পুনরায় জানিয়েছে।

 

58.         সব ধরনের সর্বপ্রকারের সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা করেছেন দুই নেতা এবং এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ মঞ্চ গঠনের ডাক দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি। সন্ত্রাসবাদের প্রতিরোধ এবং মোকাবিলায় সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছেন পুনরায়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকের বিসকেক ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার মোকাবিলায় দ্বিমুখী নীতি যাতে না প্রবেশ করে, তার ওপর জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে, জোর দিয়েছেন, যাতে রাজনৈতিক স্বার্থে জঙ্গি গোষ্ঠীকে ব্যবহার না করার ওপর। সন্ত্রাসবাদী কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই সহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতার কাঠামোর মধ্যে আমাদের দুই দেশের উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন দুই নেতা। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক উপায়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা জোরালো করতে তাঁরা রাজি হয়েছেন। ডাক দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সার্বিক সম্মেলনের দ্রুত চূড়ান্তকরণের জন্য। তিনটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনের ভিত্তিতে চলতি আন্তঃদেশীয় মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করতে পারস্পরিক দায়বদ্ধতা পুনরায় জানিয়েছে দুই দেশ। বর্তমানে কোনও দেশই সন্ত্রাসবাদের ছায়া থেকে মুক্ত নয়। ভারত ও রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী উদ্যোগে এক হতে হবে। রাশিয়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলন আয়োজন করার ভারতের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে।

 

59.দুই দেশই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সহযোগিতা নিয়ে আলাপ-আলোচনায় মাত্রাকে প্রশংসা করেছে দুই দেশ। শুধু রাষ্ট্রসংঘই নয়, বহুমুখী বিশেষ আলোচনার মঞ্চেও এটি কার্যকর। এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউএনজিএ-র ৭৩তম অধিবেশনের ফলাফলের ভিত্তিতে একপ্রস্থ আন্তর্জাতিক রীতি-নিয়ম পদ্ধতি গৃহীত হয়েছে ২০১৮’র ডিসেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিরাপত্তা এবং অপরাধমূলক কাজে তার ব্যবহারের প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সূচনা হয়েছে।

 

60.তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্রিক্‌স দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা কাঠামো তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর তাঁরা জোর দিয়েছেন। সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে প্রাসঙ্গিক আন্তঃসরকারি চুক্তির মাধ্যম সহ।

 

61.  দুই দেশই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের নিরাপত্তা নিয়ে একই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করেছে এবং ভারত – রুশ আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর করতে দ্বিপাক্ষিক আন্তঃসংস্থা বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে।

 

62.২০১৯ – ২০’র জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার মূল লক্ষ্য রূপায়ণের পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সংকল্প করেছেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিবেশের উন্নতির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি, আন্তঃদেশ বিশ্বাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘকালীন শান্তি রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক স্থায়িত্ব জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সব দেশের স্বার্থ ও উদ্বেগকে সম্মান জানিয়ে সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তার নীতির ওপর দাঁড়িয়ে এই কাজ করার শপথ নেওয়া হয়েছে।

 

63.ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়ট এবং দ্য সিকিউরিটি কাউন্সিল অফ দ্য রাশিয়ান ফেডারেশনের মাধ্যমে নিরাপত্তার বিস্তারিত ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে নিবিড় সংযোগ রক্ষা করতে তাঁরা রাজি হয়েছেন।

 

64.মহাকাশে অস্ত্রের দৌড়ে সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুই দেশ। মহাকাশ পরিণত হচ্ছে সামরিক দ্বন্দ্বের অঙ্গন হিসাবে। পুনরায় বলা হয়েছে যে, মহাকাশে অস্ত্রের দৌড়-পারোস প্রতিরোধ করা গেলে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় সড় আশঙ্কা এড়ানো যাবে। এই লক্ষ্যে তাঁরা উদ্যোগ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। চলতি আন্তর্জাতিক আইনি চুক্তি কঠোরভাবে মানার ওপর পূর্ণ গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। যে আইন তৈরি হয়েছে মহাকাশকে শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে, যাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ে।

 

65.পৃথিবীর কক্ষে যাতে কোনও অস্ত্র জমা না হয়, তার বিশ্বাসযোগ্য নিশ্চয়তা দিতে একটি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলোচনাকে সমর্থন করেছে দুই দেশ। তাঁরা আরও জানান যে, নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সম্মেলন একমাত্র উপায় বহুদেশীয় আলোচনা করা, যাতে মহাকাশে যে কোনও ধরনের অস্ত্র দৌড় রোধে আন্তর্জাতিক একটি বা একাধিক চুক্তি করা যায়।

 

66.পারোস নিয়ে নির্দিষ্ট আইনের সহায়ক হিসাবে বৈষম্যহীন স্বচ্ছতাসম্পন্ন আস্থা বৃদ্ধির কারণে পদক্ষেপ জরুরি। এই বিষয়ে সহমত হয়েছে দুই দেশ।

 

67.বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড টকসিন্স ওয়েপন্স কনভেনশন-কে জোরদার করতেও সহমত জানিয়েছেন তাঁরা, যাতে এই কনভেনশনে একটি প্রোটোকল গ্রহণ করা যায়, এখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না, যাতে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাঁরা আরও আশ্বস্থ করেছেন যে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিশদকে বিব্রত করতে পারে, এমন কাজ অন্য কোনও ব্যবস্থাপনার দ্বারা অনুকরণ করা যাবে না।

 

68.রাসায়নিক অস্ত্র প্রতিরোধ সংস্থাকে পুনরায় সমর্থন জানিয়েছে দুই দেশ। যে সংস্থা কেমিক্যাল ওয়েপন্স কনভেনশনের সংস্থানগুলি কার্যকর রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সিডব্লিউসি-র ভূমিকা রক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। ওপিসিডব্লিউ-র কার্যকলাপে রাজনৈতিক ছায়াপাতের বিরোধিতাও করা হয়েছে। তাঁরা সবদলকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং গঠনমূলক আলোচনায় যোগ দিতে বলেছেন, যাতে ওপিসিডব্লিউ-তে ঐকমত্যের মনোভাব গড়ে ওঠে এবং কনভেনশনের পবিত্রতা ও সঙ্গতি রক্ষা হয়।

 

69.রাসায়নিক ও জৈব সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় দুই দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বহুমুখী আলোচনার সূচনায় প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে রাসায়নিক ও জৈব সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা যায়।

 

70.আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার রোধেও দুই দেশ তাদের দায়বদ্ধতার কথা প্রকাশ করেছে। নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপে ভারতের সদস্য পদকে জোড়ালো সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।

 

71.  ভারত ও রাশিয়া আফগানিস্তানে শান্তি এবং আফগান নেতৃত্বের মীমাংসার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে। আফগানিস্তানে দ্রুত শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পক্ষে দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছে দুই দেশ। এই সূত্রে এসসিও – আফগানিস্তান কনট্যাক্ট গ্রুপের সঙ্গে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৯ – এর ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কোয় যে আলোচনার সূচনা হয়েছিল, তাকেও সমর্থন জানানো হয়েছে। দুটি দেশই চায় যে, আফগানিস্তান নিয়ে সার্বিক আলোচনা চলুক। যে সমস্ত দেশ আগ্রহী তাদেরও এই প্রক্রিয়ায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে সাংবিধানিক রীতি মানা হয়, দীর্ঘকালীন শান্তি ফেরে এবং আফগানিস্তান একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। তাঁরা অবিলম্বে সেখানে হিংসার অবসান চান।

 

72.সিরিয়ায় স্থিরতা ফেরায় দুই দেশই খুশি। সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্ত সংহতিকে শ্রদ্ধা করেন তাঁরা। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়া সঙ্কট অবসানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।

 

73.রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যেমন বলেছে, সিরিয়ায় সেইভাবে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। পুনর্গঠনের জন্য সিরিয়াকে সাহায্য করা হয়েছে। উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন এর অন্যতম। আন্তর্জাতিক মানবতাবাদ সহায়তার নীতি অনুযায়ী দুর্গত দেশটির জাতীয় সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করে সব কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

 

74.আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি নিরাপত্তা স্থায়িত্বের জন্য ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জন্য জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন কার্যকরি রূপায়ণের ওপর জোর দিয়েছে দুই দেশ। এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি আলাপ-আলোচনা ও শান্তিপূর্ণভাবে মেটাতে বলা হয়েছে। দুই দেশই ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা চালিয়ে যেতে চায়।

 

75.কোরিয়া উপদ্বীপে দীর্ঘকালীন শান্তি ফেরাতে সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দুই পক্ষ। এই সূত্রে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।

 

76.মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ –পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকা-সহ তৃতীয় দেশগুলিতে সহযোগিতার গ্রহণযোগ্য ক্ষেত্রগুলি আবিষ্কার করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

 

77.স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন বহুমুখী বাণিজ্য ব্যবস্থা তুলে ধরতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ভূমিকাকে জোরদার করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। তাঁরা মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে রূপ দেওয়ার পক্ষে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।

 

78.আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে দুই দেশ। ২০৩০ – এর গৃহীত কর্মসূচি রূপায়ণের লক্ষ্যে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ, বিদ্যুৎ ব্যবসার মতো প্রধান ক্ষেত্রে ইউনাইটেড নেশনস্‌ ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক – এর কাঠামোর মধ্য থেকে সহযোগিতা প্রসারে জোর দিতে চায় দুই দেশ।

 

79.এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলতে দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছে দুই দেশ। ইস্ট এশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের কাঠামোর মধ্যে বহুপাক্ষিক আলোচনাকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। খোলামেলা বহুপক্ষীয় পারস্পরিক সম্মান এই নীতির ওপর ভিত্তি করে উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষে তাঁরা। ভারত ও রাশিয়া দু’জনেরই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আছে এক্ষেত্রে। তাঁরা চান, বিস্তারিত আলোচনা। উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান বৃহত্তর ইউরেশিয়ান স্পেস এবং ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।

 

80.বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে দু’দেশের মিল উল্লেখযোগ্য। ভারত ও রাশিয়া বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত অংশীদারিত্বের আরও উন্নয়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুই দেশই ভারত ও রাশিয়ার মানুষের উপকারের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী ও প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

 

81.  প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভ্লাদিভস্টকে তাঁকে এবং তাঁর প্রতিনিধিদের আন্তরিক আতিথেয়তা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একবিংশতিতম ভারত – রাশিয়া বার্ষিক শিখর সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী বছর ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Over 28 lakh companies registered in India: Govt data

Media Coverage

Over 28 lakh companies registered in India: Govt data
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister pays homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti
February 19, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has paid homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti.

Shri Modi wrote on X;

“I pay homage to Chhatrapati Shivaji Maharaj on his Jayanti.

His valour and visionary leadership laid the foundation for Swarajya, inspiring generations to uphold the values of courage and justice. He inspires us in building a strong, self-reliant and prosperous India.”

“छत्रपती शिवाजी महाराज यांच्या जयंतीनिमित्त मी त्यांना अभिवादन करतो.

त्यांच्या पराक्रमाने आणि दूरदर्शी नेतृत्वाने स्वराज्याची पायाभरणी केली, ज्यामुळे अनेक पिढ्यांना धैर्य आणि न्यायाची मूल्ये जपण्याची प्रेरणा मिळाली. ते आपल्याला एक बलशाली, आत्मनिर्भर आणि समृद्ध भारत घडवण्यासाठी प्रेरणा देत आहेत.”