India signs historic Nuclear Agreement that opens up market for cooperation in the field of nuclear energy between India & Japan
Nuclear agreement opens up new avenues of civil nuclear energy cooperation with international partners
Key MoU inked to promote skill development. Japan to set up skill development institutes in Gujarat, Rajasthan, Karnataka
Japan to establish skill development centres in 3 states. 30000 people to be trained in 10 years
Skill development programmes to begin with Suzuki in Gujarat, with Toyota in Karnataka and with Daikin in Rajasthan
Task force to be set up to develop a concrete roadmap for phased transfer of technology and #MakeInIndia
Mumbai-Ahmedabad High Speed Rail on fast track with PM Modi’s Japan visit
Tokyo 2020 Olympics and Paralympics –Japan to promote sharing of experiences, skills, techniques, information and knowledge
Strongest ever language on terrorism in a Joint Statement with Japan
  • 1. জাপানের মাননীয়প্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে-রআমন্ত্রণক্রমে ভারত সাধারণতন্ত্রের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীবর্তমানে সরকারিভাবে জাপান সফর করছেন। ১১ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে টোকিও-য় দুইপ্রধানমন্ত্রী এক বৈঠকে মিলিত হয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।গত ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে ‘ভারত ও জাপানের লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৫’-এর যে রূপরেখাটিতৈরি করা হয়, তাতে উল্লেখিত বিশেষ প্রকৌশল এবং বিশ্ব অংশীদারিত্ব সম্পর্কিতবিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে দুই নেতা পর্যালোচনা করেন বৈঠককালে। এর আগে ২০১৪-রআগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জাপান সফরের পরবর্তী দু’বছরেদ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে যথেষ্ট প্রসার ও অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে সেসম্পর্কেও তাঁরা সহমত প্রকাশ করেন।

    অংশীদারিত্বেরসম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া

    2. সভ্যতার এক নিবিড়সম্পর্ক রয়েছে ভারত ও জাপানের মধ্যে। এছাড়াও এই দুটি দেশের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধেরদর্শন ও চিন্তাভাবনার প্রভাব। এই প্রসঙ্গে আলোচনাকালে দুই প্রধানমন্ত্রীই বলেন যেগণতন্ত্র, উদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আইনের শাসনের প্রতি ভারত ও জাপান বরাবরইঅঙ্গীকারবদ্ধ। কারণ, তারা মনে করে যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে এ সমস্তকিছুই হল বিশেষ মূল্যবোধের সূচক। দু’দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগতস্বার্থের মিলন ও সমন্বয়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি দ্বিপাক্ষিকসম্পর্ক গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেন শ্রী মোদী এবং মিঃ আবে।

    3. বিশ্ব সমৃদ্ধির এক চালিকাশক্তি হিসেবে ভারত-প্রশান্তমহাসাগর অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কথা আলোচনাকালে তুলে ধরেন দুইপ্রধানমন্ত্রী। গণতন্ত্র, শান্তি, সহনশীলতা, আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্য এবংপরিবেশের প্রতি সম্ভ্রম – এই মূল্যবোধগুলি বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেনতাঁরা। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তা একটিপূর্বশর্ত বলেই মনে করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ‘পূবে তাকাও নীতি’ অনুসরণে সংশ্লিষ্টঅঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সক্রিয় উদ্যোগ ও ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেন মিঃ শিনজোআবে। ‘উদার ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল প্রকৌশল’ সম্পর্কে তিনিবিস্তারিতভাবে অবহিত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। এই কৌশল অবলম্বনে জাপান যেভাবেতার কাজকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার বিশেষ প্রশংসা করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এইনীতি ও প্রকৌশলের ক্ষেত্রে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও নিবিড়করে তোলার সম্ভাবনা সম্পর্কেও মতবিনিময় করেন তাঁরা।

    4. দুই নেতাই মনে করেন যে সমগ্র অঞ্চলের সমৃদ্ধিরলক্ষ্যে ভারত ও আফ্রিকার মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলাপ্রয়োজন। ভারতের ‘পূবে তাকাও নীতি’ এবং জাপানের ‘পরিকাঠামোর উৎকর্ষের লক্ষ্যেঅংশীদারিত্বের প্রসার’ দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার কথাও বলেন তাঁরা।এজন্য আঞ্চলিক স্তরে উন্নততর সংহতিসাধন এবং উন্নত যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর তাঁরাবিশেষ জোর দেন।

    5. আন্তর্জাতিক কার্যসূচি ও কর্মপরিকল্পনা ক্ষেত্রে পরস্পরনির্ভরশীলতার প্রসঙ্গটিও উঠে আসে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনাকালে। জলবায়ু পরিবর্তন,সন্ত্রাসের মোকাবিলা, উগ্রপন্থা দমন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার কর্মসূচি এবংরাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সহ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায়ঘনিষ্ঠতর সহযোগ ও সমন্বয়ের প্রশ্নেও সহমত পোষণ করেন দুই বিশ্ব নেতা।

    6. জাপানের মূলধন,উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার সঙ্গে ভারতের সমৃদ্ধ মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিকসুযোগ-সুবিধার সম্ভাবনাগুলিকে কাজে লাগিয়ে উচ্চ প্রযুক্তি, মহাকাশ, বিশুদ্ধজ্বালানি, পরিকাঠামো, স্মার্ট নগরী, জৈব প্রযুক্তি, ওষুধ উৎপাদন, আইসিটি এবংশিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশ সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতার মানকে এক নতুন উচ্চতায়নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তাঁরা।

    স্থায়ী ও নিরাপদবিশ্ব পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিবিড় অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব

    7. ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে সমৃদ্ধি ওস্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ভারত ও জাপানের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে দ্বিপাক্ষিকনিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার অঙ্গীকার করেন দুইপ্রধানমন্ত্রী। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি সম্পাদনকে স্বাগত জানিয়েতাঁরা বলেন যে এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সাজসরঞ্জাম বিনিময়ের সুযোগ আরওসম্প্রসারিত হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে দু’দেশের প্রযুক্তি এবংসংশ্লিষ্ট বিষয়ের কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। প্রতিরক্ষার সাজসরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি সহযোগিতা ক্ষেত্রে এক যৌথকর্মীগোষ্ঠীর পরামর্শ ও কাজকর্মের মধ্য দিয়ে এই বিষয়টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারকথা বলেন তাঁরা।

    8. নয়াদিল্লিতেদু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে সফল বার্ষিক বৈঠক, মালাবারে জাপানের নিয়মিতঅংশগ্রহণ এবং বিশাখাপত্তনমে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ জাহাজ প্রদর্শনীতে জাপানের ভূমিকারবিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তাঁরা। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত আলাপ-আলোচনাকেসুদূরপ্রসারী করে তোলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সম্মত হন দুই প্রধানমন্ত্রীই।বিপর্যয় মোকাবিলা সহ বিভিন্ন আপৎকালীন অবস্থায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে এবংপ্রতিরক্ষা কর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময়সূচি রূপায়ণে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক পর্যবেক্ষক বিনিময়ের ওপরও গুরুত্ব দেন তাঁরা।

    9. ইউএস-২-এর মতো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা মঞ্চ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিকপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থা বিনিময়ে জাপান সম্মত হওয়ায় ঐ দেশের বিশেষ প্রশংসা করেনভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাসই প্রতিফলিতহয় জাপানের এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে।

    সমৃদ্ধির লক্ষ্যেসহযোগিতা

    10. ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘স্কিলইন্ডিয়া’, ‘স্মার্ট সিটি’, ‘স্বচ্ছ ভারত’ এবং ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’র মতো বিভিন্নউদ্ভাবনমূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেভারত সরকার গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেনশ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সমস্ত উদ্যোগ ও কর্মসূচিতে সর্বতোভাবে সমর্থন ও সহযোগিতারজন্য জাপান প্রস্তুত বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান মিঃ শিনজো আবে। এজন্য বিশেষদক্ষতা ও প্রযুক্তি এবং জাপানের সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির বিনিয়োগ সহযোগিতারপ্রসার ঘটানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই সমস্ত উদ্যোগ ও কর্মসূচি ভারত ওজাপানের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়ের অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধা এনেদেবে বলে মনে করেন দুই নেতাই।

    11. মুম্বাই-আমেদাবাদ উচ্চ গতির রেল প্রকল্পটির কাজস্বাভাবিকভাবে এগিয়ে চলার ঘটনায় সন্তুষ্ট দুই প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশের পারস্পরিকসহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি হল এক অন্যতম প্রধান কর্মসূচি। এ সম্পর্কিত তিনটি পৃথকপৃথক বৈঠকও এ বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারত ও জাপানের মধ্যে।

    12. এমএএইচএসআর প্রকল্পটির সময়সূচি ও লক্ষ্যমাত্রারবিষয়টি সম্পর্কেও আলোচনা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এর রূপায়ণে সাধারণ শলা-পরামর্শসম্পর্কিত কাজকর্ম শুরু হবে এ বছর ডিসেম্বরে এবং নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে২০১৮-র শেষের দিকে। প্রকল্পটি চালু হবে ২০২৩ সালে।

    13. ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি এবং পর্যায়ক্রমেপ্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা গড়ে তুলতে দু’দেশেরপ্রতিনিধি পর্যায়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান দুই নেতা। উচ্চগতির রেল প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করেতোলার সুযোগ ও সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতেও সম্মত হন তাঁরা। উচ্চ গতির রেল প্রযুক্তিরজন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ এবং পর্যায়ক্রমে তার রক্ষণাবেক্ষণ ও কাজকর্ম সম্পর্কেদুই প্রধানমন্ত্রীই পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ভারতের বর্তমান রেল ব্যবস্থারআধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভারত ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়ের কাজযেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রী মোদী এবং মিঃ আবে।

    14. মানবসম্পদ বিকাশের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিনিময়েরপ্রশ্নে সম্মত হন দুই প্রধানমন্ত্রী। নির্মাণ ও উৎপাদনের কাজে দক্ষতা প্রসার ওবিনিময় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই সহযোগিতা ঘটানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এরআওতায় আগামী ১০ বছরে জাপানের সহযোগিতায় ৩০ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষিত করে তোলাসম্ভব হবে। এজন্য গড়ে তোলা হবে জাপান-ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট ফর ম্যানুফ্যাকচারিং (জেআইএম)এবংতৈরি করা হবে জাপানিজ এনডাওড কোর্সেস (জেইসি) । প্রথম তিনটি জেআইএম শুরু হবে ২০১৭ সালে গুজরাট,কর্ণাটক ও রাজস্থানে।

    15. পাঁচ বছর মেয়াদি ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করারক্ষেত্রে প্রস্তুতিপর্বের কাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুইপ্রধানমন্ত্রী। ‘জাপান-ভারত বিনিয়োগ প্রসার সহযোগিতা’র আওতায় সরকারি ও বেসরকারিসংস্থাগুলির পক্ষ থেকে ভারতে এই অর্থ লগ্নি করা হবে। দিল্লি-মুম্বাই শিল্প করিডরএবং চেন্নাই-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডর প্রকল্পগুলির অগ্রগতির বিষয়গুলিকেও স্বাগতজানান দুই প্রধানমন্ত্রী।

    16. ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও তার আধুনিকীকরণেজাপানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও সহযোগিতার বিষয়গুলির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীমোদী। এক্ষেত্রে জাপানের বিশেষ ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে চেন্নাই ওআমেদাবাদ মেট্রো, মুম্বাইয়ের বন্দর এলাকার সংযোগ প্রকল্প এবং দিল্লির মহাসড়ক বরাবরপরিবহণ ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা বিনিময়ের বিষয়টিকে স্বাগত জানান দুই নেতাই।গুজরাটের ভাবনগর জেলার আলং-এ জাহাজের পুনর্নিমাণ সংক্রান্ত কাজকর্মকে আরও উন্নতকরে তুলতে জাপান আগ্রহী বলে শ্রী মোদীকে জানান মিঃ শিনজো আবে।

    17. উত্তর-পূর্ব ভারতে সড়ক যোগাযোগের প্রসার ও উন্নয়নেদু’দেশের নিবিড় সহযোগিতার প্রশ্নেও সঙ্কল্পবদ্ধ হন দুই নেতাই। স্মার্ট নগরীপ্রকল্পের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে ‘স্মার্ট দ্বীপ’ গড়ে তোলারক্ষেত্রেও সহযোগিতা বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি,পরিকাঠামো, উন্নয়ন প্রকৌশল এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রক্রিয়াকে চিহ্নিত করতেআলোচনা ও পরামর্শ শুরু করার প্রস্তাব দেন দুই নেতাই।

    18. ঝাড়খণ্ডের জল সেচ প্রকল্পে জাপানের ঋণ সহায়তাকর্মসূচির জন্য ঐ দেশের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসাও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।এছাড়াও, ওড়িশায় অরণ্য সম্পদ পরিচালনার লক্ষ্যে এক প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু করাহবে বলে জানান দুই নেতাই। এছাড়াও, রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশে জল সেচের প্রসারে পরস্পরেরসঙ্গে সহযোগিতা করে যাবে ভারত ও জাপান।

    19. বারাণসীতে একটি কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের জন্যজাপানের সহযোগিতা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যেদ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারের ক্ষেত্রে এর এক প্রতীকী গুরুত্ব রয়েছে।

    20. ভারতে বাণিজ্যিক কাজকর্মের উপযোগী পরিবেশ গড়েতোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃঢ় ভূমিকা ও অঙ্গীকারের সপ্রশংস উল্লেখ করেনমিঃ শিনজো আবে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিগুলিকে আরও উদার করে তোলা এবং কর ব্যবস্থাকেসরল ও বাস্তবসম্মত করে তোলার জন্য মোদীর নিরলস প্রচেষ্টারও বিশেষ প্রশংসা করেনতিনি ।

    21. ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজকর্মকে সহজতর করে তোলারলক্ষ্যে এবং জাপানি বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কাজে প্রধানমন্ত্রীমোদীর সক্রিয় ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেন মিঃ শিনজো আবে। অন্যদিকে, ‘জাপান শিল্পনগরী’ স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার সপ্রশংস উল্লেখ করতেভোলেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের কাজে অগ্রগতির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেবিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। শিল্প নগরী গড়ে তোলার কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতাপ্রসারের কাজ চালিয়ে যেতেও সম্মত হন তাঁরা।

    22. জাপান-ভারত বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রসার কর্মসূচিরবিভিন্ন দিকগুলি নিয়েও মতবিনিময় করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ভারতে জাপানের বিভিন্নসংস্থার বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাজকর্মে অংশগ্রহণের জন্য ‘জাপান প্লাস’-এর আওতায় যেসমস্ত সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো হচ্ছে সেজন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন মিঃ শিনজো আবে।এই লক্ষ্যে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ গোষ্ঠীও গঠন করা হয়েছে। অক্টোবর,২০১৬-তে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি রূপায়িত হচ্ছে। এই বিষয়টিকে তাঁরাবিশেষভাবে স্বাগত জানান।

    23. ‘মেক ইন ইন্ডিয়া সম্পর্কিত জাপান-ভারত বিশেষবিনিয়োগ সংক্রান্ত সুবিধা’ রূপায়ণের গুরুত্বটি ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেন শ্রী মোদীএবং মিঃ আবে। নিপ্পন রপ্তানি ও বিনিয়োগ বিমা কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাসম্পর্কিত জাপান ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে ১.৫ ট্রিলিয়নইয়েন। জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো তহবিল এবং জাপানের বৈদেশিক পরিকাঠামো বিনিয়োগনিগমের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের বিষয়টিকেও স্বাগত জানান দুই নেতা। এর আওতায়ভারতে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে অর্থ লগ্নির সংস্থান রাখা হবে।

    দূষণমুক্তএক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার

    24. দুই প্রধানমন্ত্রীই একবাক্যে স্বীকার করেন যেদূষণমুক্ত, সুলভ ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি শক্তি উৎপাদন দুটি দেশেরই অর্থনৈতিকঅগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পক্ষে একান্ত জরুরি। এই বিষয়টিতে জাপান-ভারত জ্বালানিসহযোগিতার উদ্যোগকে বিশেষভাবে স্বাগত জানান তাঁরা। দ্বিপাক্ষিক জ্বালানিসহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবংপ্রধানমন্ত্রী আবে। তাঁরা মনে করেন যে এই সহযোগিতার ফলে শুধুমাত্র দুটি দেশেরজ্বালানি শক্তি উৎপাদনের বিষয়টিরই উন্নতি হবে না, একইসঙ্গে বিশ্বের জ্বালানিনিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। তরলপ্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)-এর ব্যবহারকে স্বচ্ছতার সঙ্গে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেনতাঁরা।

    25. জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তিটি গৃহীতহওয়ায় দুই প্রধানমন্ত্রীই বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই চুক্তির সফল রূপায়ণেপ্রয়োজনীয় নিয়মকানুন গড়ে তোলার জন্য একত্রে কাজ করারও অঙ্গীকার করেন তাঁরা।

    26. পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রের প্রসার ওউন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেনমিঃ শিনজো আবে। আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শ্রী মোদীর অবদানেরওসপ্রশংস উল্লেখ করেন তিনি।

    27. পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারতও জাপানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান দুইপ্রধানমন্ত্রী। তাঁরা মনে করেন যে এই চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে দু’দেশেরপারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও কৌশলগত সহযোগিতা এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। বিশুদ্ধজ্বালানি, অর্থনৈতিক বিকাশ এবং এক শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রেতা এক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস দুই প্রধানমন্ত্রীর।

    28. পরিবেশ-বান্ধব, ব্যয়সাশ্রয়ী এবং দক্ষ প্রযুক্তিরবিকাশ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে দু’দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যে সহযোগিতারবাতাবরণের সৃষ্টি হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবংপ্রধানমন্ত্রী আবে। এই ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার ওপর জোর দেনতাঁরা। কারণ তাঁরা মনে করেন যে বিশুদ্ধ কয়লা প্রযুক্তি এবং পরিবেশ-বান্ধব যানউৎপাদনের বিষয়টি সম্পর্কে জনসাধারণকে উৎসাহিত করে তোলার ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা একসহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

    29. হংকং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবগুলিরদ্রুত বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশ-বান্ধব উপায়েজাহাজের পুনর্নিমাণ ও পুনর্ব্যবহার সম্পর্কিত পন্থা-পদ্ধতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এইসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯-এ।

    ভবিষ্যতেরলক্ষ্যে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার উদ্যোগ

    30. সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারের এক বিশাল সম্ভাবনারয়েছে বলে মনে করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। মহাকাশ সহযোগিতার বিষয়টিকে আরও উন্নীত করেতোলার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি জাক্সা ও ইসরো-র মধ্যে মউ স্বাক্ষরের ঘটনাকে স্বাগতজানান তাঁরা । সমুদ্র, পরিবেশএবং ভূ-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়টির তাঁরা ভূয়সী প্রশংসাকরেন। ভারতের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক এবং জ্যামস্টেক-এর মধ্যে সম্পাদিত মউটিরব্যাপারেও তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্বিপাক্ষিক তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতাক্ষেত্রের প্রসার ও অগ্রগতির বিষয়টিও তাঁরা পর্যালোচনা করেন বৈঠককালে।

    31. নয়াদিল্লিতে বিপর্যয়ের ঝঁকি কমানোর লক্ষ্যে আয়োজিতএশীয় মন্ত্রীদের সম্মেলনের সাফল্যকে স্বাগত জানিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী বলেন যেবিপর্যয় মোকাবিলা এবং বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের দ্বিপাক্ষিকসহযোগিতার এক বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে। বিশ্বকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে সচেতনকরে তুলতে বিশ্বব্যাপী সুনামি সচেতনতা দিবস উদযাপনের গুরুত্বকেও তাঁরা তুলে ধরেনবৈঠককালে।

    32. স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্ষেত্রে ভারত-জাপান সহযোগিতারঅগ্রগতির বিষয়টিও পর্যালোচনা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকেরবিরুদ্ধে রোগ-জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মোকাবিলা, স্টেম সেল গবেষণা, ওষুধউৎপাদন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সহযোগিতার অগ্রগতিকেও স্বাগত জানান তাঁরা। জেনেরিকওষুদ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা প্রসারের সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলিওছিল তাঁদের আলোচ্যসূচির মধ্যে।

    স্থায়ীঅংশীদারিত্বের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের কল্যাণে বিনিয়োগ

    33. পর্যটন, যুব বিনিময় কর্মসূচি এবং শিক্ষা সংক্রান্তসহযোগিতার সুযোগ-সুবিধাগুলি আরও জোরদার করে তোলার ওপর জোর দেন শ্রী মোদী ও মিঃআবে। ২০১৭ বছরটিকে সংস্কৃতি ও পর্যটনের ক্ষেত্রে ‘ভারত-জাপান মৈত্রী বিনিময় বর্ষ’রূপে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দু’দেশের মধ্যে পর্যটনের প্রসারে আগ্রহপ্রকাশ করার পাশাপাশি ভারত-জাপান পর্যটন পর্ষদের সূচনা পর্বের বৈঠক সম্পর্কে তাঁরাসন্তোষ প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে জাপানে পর্ষদের দ্বিতীয় বৈঠকটির সাফল্য সম্পর্কেওআশাবাদী দুই প্রধানমন্ত্রী । ২০১৬-১৭ অর্থ বছরেদিল্লিতে জাপানের জাতীয় পর্যটন সংস্থার (জেএনটিও) দপ্তরটি পরিকল্পিতভাবে চালু করারবিষয়টিকেও স্বাগত জানান তাঁরা। ।

    34. ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভিসার নিয়মকানুন শিথিলকরার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী আবে। ভারতীয় নাগরিকদের ভিসার আবেদন জমাদেওয়ার অফিসের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ করা হবে বলে তিনি জানান। জাপানি পর্যটক ওবিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ বছর মেয়াদি ভিসা সহ অন্যান্য যে সমস্ত উদ্যোগ ভারত গ্রহণকরেছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    35. ‘উদ্ভাবনী এশিয়া’ সম্পর্কে জাপান যে এক নতুনউদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে শ্রী মোদীকে অবহিত করেন মিঃ শিনজো আবে। এশিয়ারদক্ষ মানবসম্পদ বিনিময়কে আরও প্রসারিত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।জাপানের এই উদ্যোগ বৃত্তিদান কর্মসূচির সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয়ছাত্রছাত্রীদের সামনে কাজকর্মের নতুন নতুন সুযোগ এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টায় সহযোগিতাযোগাবে বলে আশা প্রকাশ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

    36. শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিগতভাবে প্রথম উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি সফল হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দু’দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতাসম্প্রসারণের বিষয়টিকে আরও জোরদার করে তোলার কথা বলেন তাঁরা। শিক্ষার আদর্শ এবংসাকুরা বিজ্ঞান প্রকল্প (বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে জাপান-এশিয়া যুব বিনিময় কর্মসূচি)-এরআওতায় যে ব্যবস্থা ও পদ্ধতি চালু হয়েছে তা দুটি দেশের মধ্যে বিনিময়ের ওপরও বিশেষগুরুত্ব আরোপ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। সাকুরা বিজ্ঞান প্রকল্পের আওতায় ভারতীয়ছাত্রছাত্রী ও গবেষকরা জাপান সফরের সুযোগ লাভ করেন।

    37. ভারতের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রক এবং জাপানেরশিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের মধ্যে এমওসি স্বাক্ষরেরবিষয়টিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী আবে। দক্ষতা বিকাশ,কারিগরি পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া এবং জ্ঞান ও তথ্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়েরসুযোগ রয়েছে এই কর্মসূচির আওতায়। টোকিও, ২০২০ অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিক্স-এর বিষয়েওকথাবার্তা হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ২০২০-র অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিক্স-এরসফল উদ্যোগ-আয়োজনে সহযোগিতার যে আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেজন্য তাঁকেস্বাগত জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    38. দু’দেশের সরকার, সাংসদ ও রাজ্যগুলির মধ্যে আলোচনাও মতবিনিময়ের ওপরে গুরুত্ব আরোপ করেন দুই বিশ্ব নেতা। গুজরাট এবং হাইয়োগোপ্রিফেকচার-এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে মউ স্বাক্ষরকে স্বাগতজানান তাঁরা। কিয়োটো ও বারাণসী – এই দুটি প্রাচীন শহরের মধ্যে সম্পর্কের এক ঘনিষ্ঠবাতাবরণ আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতা। তাঁরা মনে করেন যে ঐশহর দুটি নিজ নিজ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    39. আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের জন্য জাপানেরজনসাধারণের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানান ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী। যোগ প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের জন্য ভারতীয় বৃত্তিদান কর্মসূচিরমাধ্যমে জাপানের তরুণ ও যুবকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

    40. নারী-ক্ষমতায়নের বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গেস্থান পায় দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচ্যসূচিতে। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে দ্বিপাক্ষিকসহযোগিতা আরও জোরদার করে তোলার কথা বলেন তাঁরা। ‘বিশ্ব নারী সম্মেলন’ আয়োজনেরলক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

    41. এশিয়ার ভবিষ্যৎ যে এই মহাদেশের অহিংসা, সহিষ্ণুতাএবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে, সে বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেনদুই প্রধানমন্ত্রীই। এই লক্ষ্যে এ বছর জানুয়ারি মাসে টোকিওয় অনুষ্ঠিত ‘এশিয়ারমিলিত মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র’ – এই বিষয়ের ওপর আয়োজিত সম্মেলন তথা আলোচনাচক্রেরসাফল্যকে স্বাগত জানান তাঁরা। একইসঙ্গে, আগামী বছর এই সম্মেলন আয়োজনের জন্যও তাঁরাঅধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী আবে।

    প্রশান্তমহাসাগর অঞ্চল এবং বিশ্বের অন্যত্র আন্তর্জাতিক নিয়মশৃঙ্খলাকে আরও জোরদার করেতোলার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার

    42. একুশ শতকে সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলেভারত-জাপান সহযোগিতা সম্প্রসারণের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন দুইপ্রধানমন্ত্রী। এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক বিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি, সংযোগ ও যোগাযোগএবং পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে দু’দেশের মিলিত স্বার্থ ও মূল্যবোধ, দক্ষতা ওসহায়সম্পদ এবং সদিচ্ছা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে এ বিষয়টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারসিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন দুই নেতা। দু’দেশের অর্থ, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদের সমন্বয়েএই প্রচেষ্টাকে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেনপ্রধানমন্ত্রী আবে। এই প্রসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্ব ও যৌক্তিকতাস্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

    43. আফ্রিকার বিকাশ ও অগ্রগতিতে সহযোগিতা প্রসারেরলক্ষ্যে ভারত-জাপান আলোচনা ও মতবিনিময়ের ওপর বিশেষ জোর দেন দুই প্রধানমন্ত্রী।আফ্রিকার উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিপূরক শক্তি হিসেবে দক্ষতা বিকাশ, স্বাস্থ্য,পরিকাঠামো এবং সংযোগ তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ও উন্নয়নে যৌথ প্রকল্প গ্রহণেরসম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখতেও সম্মত হন দুই প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনে, আন্তর্জাতিকসংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁরা।

    44. দক্ষিণ এশিয়া ও সন্নিহিত অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধিরপ্রসারে ভারত-জাপান সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলিকে স্বাগত জানান দুই বিশ্ব নেতা।দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারের মাধ্যমে আফ্রিকা, ইরান ওআফগানিস্তানের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যৌথভাবে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশকরেন শ্রী মোদী এবং মিঃ আবে। এর ফলে, চাবাহার বন্দরের পরিকাঠামো ও সংযোগ ব্যবস্থাআরও উন্নত হয়ে উঠবে বলে তাঁরা মনে করেন। এই লক্ষ্যে সহযোগিতার সুনির্দিষ্টক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করার জন্য দুই নেতাই নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।

    45. আঞ্চলিক সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নৌ-সুরক্ষাও নিরাপত্তাকে জোরদার করে তুলতে জাপান, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেত্রিপাক্ষিক আলোচনা-বৈঠককে স্বাগত জানান তাঁরা। এছাড়াও, জাপান, ভারত এবংঅস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা-বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার বিষয়সূচিকে আরওগভীরে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কেও তাঁরা কথাবার্তা বলেন।

    46. আঞ্চলিক স্তরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তথা নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার একটি শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠককেতুলে ধরার প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করে তোলার প্রস্তাব দেন দুই প্রধানমন্ত্রী।পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠকের নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিকসংযোগ ও যোগাযোগের প্রসারে সহমত প্রকাশ করেন দুই নেতাই।

    47. আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চ, আসিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠক, সম্প্রসারিত আসিয়ান নৌ-কর্মসূচির মঞ্চ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেপারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তোলারকথা বলেন তাঁরা। এর ফলে, নৌ-নিরাপত্তা, সন্ত্রাস, উগ্রপন্থী কার্যকলাপ এবং জলবায়ুপরিবর্তনের কার্যকর মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

    48. দুই নেতাই এই মর্মে আশা ব্যক্ত করেন যে ভারত-প্রশান্তমহাসাগর অঞ্চলে এক উদার, সুষম, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থায়ী, স্বচ্ছ এবংনিয়মশৃঙ্খলা-ভিত্তিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক তথা নিরাপত্তা কাঠামোকে শক্তিশালী করেতোলার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্তরে মতবিনিময় ও আলোচনা এবং ত্রিপাক্ষিক আলোচনা-বৈঠকগুলিবিশেষভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তাঁরা।

    49. দুই নেতাই কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন অসহিষ্ণুতা ওসন্ত্রাসবাদের। বিশ্বব্যাপী হিংসা ও সন্ত্রাসের তাণ্ডবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেনতাঁরা। ঢাকা এবং উরি সহ দুটি দেশেই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে যে পরিবারগুলি তাদেরউদ্দেশে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী আবে।

    50. সমুদ্র, মহাকাশ এবং সাইবার ক্ষেত্রে বিশ্বেরসাধারণ স্বার্থগুলির সুরক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার অঙ্গীকারকরেন দুই প্রধানমন্ত্রীই।

    51. সমুদ্র ও আকাশপথে চলাচলের স্বাধীনতার প্রতি তাঁদেরঅঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শ্রী মোদী এবং মিঃ আবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেএই বিষয়টিতে সহযোগিতা জোরদার করে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সকলপক্ষকে এজন্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে এগিয়ে আসতে আবেদন জানানো হয় দুই নেতার পক্ষ থেকে।সমুদ্র আইন সম্পর্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবকে মেনে চলার আর্জি জানান তাঁরাসংশ্লিষ্ট সবক’টি দেশের কাছে। দক্ষিণ চিন সাগর প্রসঙ্গে দুই প্রধানমন্ত্রীই বলেনযে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এই অঞ্চলে যাবতীয় বিবাদ-বিসংবাদেরনিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।

    52. উত্তর কোরিয়া যেভাবে তার পরমাণু অস্ত্রের বিকাশঘটিয়ে চলেছে, কঠোর ভাষায় তার নিন্দা করেন দুই প্রধানমন্ত্রীই। এই ধরনের তৎপরতাথেকে বিরত থাকার জন্য তাঁরা বিশেষ জোরের সঙ্গে আর্জি জানান ঐ দেশের কাছে। এসম্পর্কিত কোন কাজই যাতে এই অঞ্চলের পক্ষে বিপজ্জনক না হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করার ওপরওগুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই বিষয়টিতে ইতিবাচকদৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন দুইবিশ্ব নেতাই।

    53. এই অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতারলক্ষ্যে জাপানের নিরন্তর প্রচেষ্টা সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেনমিঃ শিনজো আবে। শান্তির লক্ষ্যে জাপানের অবদানমূলক প্রচেষ্টাগুলির কথাও তিনিসবিস্তারে বিশ্লেষণ করেন শ্রী মোদীর কাছে। আঞ্চলিক তথা বিশ্ব সমৃদ্ধি ওস্থিতিশীলতার বিকাশে জাপানের এই অবদানের কথা স্বীকার করে নেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

    54. রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ সহ সার্বিকভাবেরাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান দুইপ্রধানমন্ত্রীই। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দিক থেকে আরও তৎপর ওপ্রতিনিধিত্বমূলক হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সংস্কারের প্রয়োজন বলে মনেকরেন তাঁরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্প্রসারিত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদে ভারত ওজাপানের আবেদনের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে মত ব্যক্ত করেন দুইনেতা।

    55. এক বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবেএশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ভারত যে বিকাশশীল এক প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসেবেনিজেকে গড়ে তুলছে সেকথা স্বীকার করে অ্যাপেক-এ ভারতের সদস্যপদকে বলিষ্ঠভাবে সমর্থনজানানোর অঙ্গীকার করেছে জাপান। এই বিষয়টি সম্পর্কে জাপানের সদিচ্ছা ও আগ্রহের কথাপ্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে ব্যক্ত করেন মিঃ শিনজো আবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরঅঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা প্রসারে একযোগে কাজ করে যাওয়ার সিদ্ধান্তনেন দুই নেতাই। আঞ্চলিক পর্যায়ে সুসংবদ্ধ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়েতোলার লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টিতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেনতাঁরা। ইস্পাত শিল্পের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজে যোগাযোগ সহযোগিতারপ্রসারে সম্মত হন দুই নেতাই।

    56. পরমাণু অস্ত্র সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে দুইনেতাই তাঁদের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পরমাণু পরীক্ষানিরীক্ষার ওপরনিষেধাজ্ঞা আরোপ সম্পর্কিত চুক্তি যাতে দ্রুত কার্যকর হয় তার ওপর গুরুত্ব আরোপকরেন প্রধানমন্ত্রী আবে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করে তোলারওসঙ্কল্প গ্রহণ করেন তাঁরা।

    57. একটি কার্যকর জাতীয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। পরমাণুসরবরাহকারী গোষ্ঠী সহ তিনটি আন্তর্জাতিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পূর্ণাঙ্গসদস্যপদে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন জানাতে জাপানের আগ্রহের সঙ্গে ভারতেরউদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সমন্বয়সাধনের ওপর জোর দেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

    উপসংহার

    58. জাপানের সরকার ও জনগণের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য মিঃশিনজো আবেকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তী শীর্ষ বৈঠকেউপস্থিত থাকার জন্যও তিনি আমন্ত্রণ জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে। মিঃ আবেসানন্দেই গ্রহণ করেন শ্রী মোদীর এই আমন্ত্রণ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।