২০১৮-র ১৫ থেকে ১৭ফেব্রুয়ারী ইসলামী ইরান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি মাননীয় ডঃ হাসান রৌহানি ভারতীয়প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরেএসেছিলেন।

· এই সফরকালে ইসলামী ইরানপ্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ডঃ হাসান রৌহানির সঙ্গে ক্যাবিনেট মন্ত্রী, শীর্ষআধিকারিক এবং বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলও এসেছিল। ১৭ইফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবণে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্বর্ধনা জানানো হয়। সফরকারিঅতিথির সম্মানে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ একটি আনুষ্ঠানিক নৈশ ভোজেরআহ্বান করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি ডঃ হাসান রৌহানিরমধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সম্মানে একমধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি এবং বিদেশমন্ত্রী সফরকারীএই বিশিষ্ট অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ডঃ রৌহানি ২০১৮-র ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারিহায়দরাবাদ সফর করেন।

· দু দেশের মধ্যেদ্বি-পাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক বিষয়ে ব্যাপক ভিত্তির এবং গঠনমূলক আলোচনাহয়। ২০০৩-এর ২৩ জানুয়ারী ‘ নতুনদিল্লী ঘোষণাপত্র ’ -এবর্ণিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের নীতিগুলির কথা মনে রেখে উভয় পক্ষ ২০১৬-র মেমাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইরান সফরের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরউন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া উভয় পক্ষই বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিকসম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে একমত হয়। উভয় দেশের নেতৃবৃন্দ স্মরণ করেন দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধার এই সম্পর্ক দুই সহস্রাব্দ ব্যাপি সাংস্কৃতিক সভ্যতাকেন্দ্রিক যোগাযোগের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। উভয় পক্ষই একমত হয়, যে দু দেশের মধ্যেসম্পর্ক জোরদার হলে আঞ্চলিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্হিতিশীলতাজোরদার হবে।

· প্রধানমন্ত্রীমোদী এবং রাষ্ট্রপতি রৌহানি নিম্নলিখিত নথি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন এবং গণমাধ্যমের সামনে যৌথভাবেবিবৃতি দেন :

১.দ্বৈত কর পরিহার এবং আয়কর ফাঁকি প্রতিরোধ সংক্রান্ত চুক্তি

২. উভয় দেশের কূটনৈতিকপাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে ছাড় সংক্রান্ত সমঝোতা

৩. প্রত্যর্পণ সংক্রান্তচুক্তির অনুমোদন

৪. চিরাচরিত চিকিৎসা পদ্ধতিরক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা

৫. উভয় দেশের পারস্পরিরস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রেঅসুবিধাগুলি দুর করার জন্য বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী স্হাপন বিষয়ে সমঝোতা

৬. কৃষি এবং সংশ্লিষ্টক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা

৭. স্বাস্হ্য এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা

৮. ডাক যোগাযোগের ক্ষেত্রেসহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা

৯. ইরানের বন্দর ও সামুদ্রিকসংগঠন এবং ভারতের পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড এর মধ্যে, অন্তর্বতী সময়ের জন্য চাবাহারবন্দরের প্রথম পর্যায়ে শাহিদ বেহেস্তি বন্দরের লিজ চুক্তি

দ্বিপাক্ষিক বিনিময়

রাষ্ট্রপতি রৌহানি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী সমস্তস্তরে প্রচলিত উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ ঘনঘন সফর বিনিময়ের মাধ্যমে আরও জোরদার করারবিষয়ে একমত হন। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের মধ্যেই ভারত-ইরান যৌথ কমিশনের এবং সমস্তকর্মীগোষ্ঠী, বৈদেশিক দপ্তরের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তাপরিষদের মধ্যে আলোচনা, নীতি-পরিকল্পনা সংক্রান্ত আলোচনা এবং সংসদীয় ক্ষেত্রে সফরবিনিময়ের কাজ শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যোগাযোগ

· উভয়পক্ষই ভারত ও ইরানেরমধ্যে এবং এই অঞ্চলের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দেশেরভূমিকার কথা স্বীকার করে নেয়। ২০১৭-র ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে চাবাহার বন্দরেরপ্রথম পর্যায়ে সফল উদ্বোধন ; ইরান,ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিবহন ও যান চলাচল করিডর বিষয়েত্রিপাক্ষিক চুক্তির অনুমোদন এবং চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানেজাহাজ যোগে সহায়তা হিসেবে গম প্রেরণ, আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া ও তার বাইরেও যোগাযোগেরএক নতুন তোরণদ্বার খুলে দিয়েছে। উভয় পক্ষই চাবাহারে শাহিদ বেহেস্তি বন্দরের দ্রুতএবং সম্পূর্ণ কার্যকর করার প্রতি তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। ইরানের পক্ষ থেকেচাবাহার মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে, সার, পেট্রোরসায়ন এবং ধাতব পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রেউভয় দেশের পক্ষে সুবিধা সম্পন্ন ভারতীয় বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হয়।

· এইপরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশের নেতৃবৃন্দই শাহিদ বেহেস্তি বন্দরের লিজ চুক্তি অন্তর্বতীসময়ের জন্য স্বাক্ষরের বিষয়টিকে স্বাগত জানান। ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে যেসব কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে তা নিশ্চিত করা জন্য সমন্বয় পরিষদেরবৈঠক ডাকার কথাও বলা হয়।

· চাবাহারবন্দরের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে সদ্ব্যবহারের জন্য এবং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ারসঙ্গে এই বন্দরের যোগাযোগের সুবিধার কথা মনে রেখে ভারত চাবাহার থেকে জাহেদানপর্যন্ত রেলপথের উন্নয়নের কাজে সহায়তা করতে রাজি হয়। সময় নির্দীষ্টভাবে এই প্রকল্পরূপায়ণের জন্য প্রযুক্তিগত কাজকর্ম এবং আর্থিক বিনিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করতেভারত ও ইরানের সংশ্লিষ্ট সংস্হাগুলি আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। উভয় দেশের নেতৃবৃন্দইরেল ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বিশেষ করে ইস্পাত নির্মিত রেল, টার্নআউট এবং ইঞ্জিন সরবরাহআরও বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন।

· উভয়পক্ষই আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর নির্মাণের প্রতি তাদের অঙ্গিকারব্যক্ত করে এবং চাবাহার বন্দরকে এই করিডর ব্যবস্হার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করারপ্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। ইরানের পক্ষ থেকে তেহরানে এই করিডর বিষয়ে একটি সমন্বয়বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়। আঞ্চলিক সংযোগ এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আঞ্চলিককেন্দ্রগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ হিসাবে টিআইআর কনভেনশন এবংআশগাবাত চুক্তিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়।

· উভয়দেশের নেতৃবৃন্দ কান্দলার দীনদয়াল বন্দর এবং চাবাহারের শাহিদ বেহেস্তি টার্মিনালেরছবি সহ একটি যৌথ ডাকটিকিট প্রকাশ করে।

· চাবাহারেরমুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে ভারতের সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্যউপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইরানের পক্ষ থেকে ব্যবস্হা নেওয়ার আশ্বাসদেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে ঠিক হয়েছে যে, ইরান এই অঞ্চলের দেশগুলি এবং অন্যান্যদেরনিয়ে চাবাহার বন্দরের অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একটি বাণিজ্যিকমেলার আয়োজন করবে।

শক্তিক্ষেত্রেঅংশিদারিত্ব

· শক্তিক্ষেত্রেপারস্পরিক স্বার্থ এবং অংশিদারিত্বের কথা মনে রেখে ঠিক হয় যে দু দেশের মধ্যেসম্পর্ককে কেবলমাত্র ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের পরিধিতে বেঁধে না রেখে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশিদারিত্বে উন্নীত করা হবে। শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা বিশেষ করেফারজাদ গ্যাস ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য আলাপ-আলোচনা আরও বাড়ানো হবে বলে উভয়পক্ষেএকমত হয়। বৈদেশিক পরিষেবা সংস্হায় ভারততত্ত্ব বিষয়ে কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত,ভারতে ফার্সি ভাষার পাঠ্যক্রম চালু করায় সহায়তা এবং পুরাতত্ত্ব, সংগ্রহালয়,অভিলেখ্যাগার এবং গ্রন্হাগারের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে উভয়পক্ষ একমতহয়েছে।

নিরাপত্তাএবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগীতা

· উভয় নেতৃবৃন্দই তাদের জাতীয়নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দুদেশেরনিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে নিয়মিত এবং প্রতিষ্ঠানিক আলোচনা আরো বাড়াবার বিষয়ে একমতহয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ নিরাপত্তা, সংগঠিত অপরাধ, অর্থপাচার, মাদক চালান এবংসাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়ানোকেস্বাগত জানানো হয়েছে।

· উভয়পক্ষেই সামুদ্রিক যোগাযোগেরক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে দুদেশের নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজগুলিকে নিজেদের বন্দরগুলিতে নোঙরকরার অনুমতি দেওয়া, প্রতিরক্ষাকারীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্তপ্রতিনিধি দলের নিয়মিত সফর বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ রাজি হয়েছে।

· উভয়পক্ষই দুদেশের মধ্যেশাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রূপায়নের কাজেরঅগ্রগতিতে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে, দুদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি এবং দেওয়ানি এবংবাণিজ্যিক বিষয়ে পারস্পরিক আইনি সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে উভয় পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছেছে।

অন্যান্যক্ষেত্রে সহযোগীতা

· অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেপারস্পরিক স্বার্থ এবং চুক্তি অনুসারে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানানোহয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলি হল উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, শ্রম এবংশিল্পোদ্যোগ ও পর্যটন এইসব ক্ষেত্রে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা এবং প্রাতিষ্ঠানিকব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টকে কাজ চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আঞ্চলিকও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলি

· দুই দেশের নেতৃবৃন্দ আঞ্চলিকও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। বহুপাক্ষিকতার ধারনা জোরদার হওয়াররাষ্ট্রপতি রৌহানি আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহনের জন্য ভারতেওআশা-আকাঙ্খার স্বীকৃতি দিয়েছেন। দুই নেতাই এক শক্তিশালী রাষ্ট্রসংঘ ও বর্তমানভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিরাপত্তা পরিষদের দ্রুত সংস্কারেরপ্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। উভয় নেতাই, বহুপাক্ষিক আর্থিক সংস্হাগুলিকেশক্তিশালী করা ও তাদের সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রক্রিয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলির অংশগ্রহণ ও বক্তব্য হাজির করারক্ষমতাবৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

· সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ এবংহিংস্র জঙ্গিবাদের তত্ত্বকে মোকাবিলা করার জন্য উভয় নেতাই, সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদমোকাবিলায় তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে কোন কারনেই কোনো ধরনের সন্ত্রাসকে মেনেনা নেওয়ার কথা বলেছেন। তারা মনে করেন যে সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সংগঠন এবংনেটওয়ার্কগুলি নির্মূল করলেই চলবে না, কোন পরিস্হিতিতে সন্ত্রাস ও তার আদর্শেরঅনুকূল পরিষেবা গড়ে ওঠে, তারও মোকাবিলা করা দরকার। কোনো ধর্ম, জাতিয়তাবাদ বাজনগোষ্ঠির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করা প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তারা অভিমত প্রকাশকরেছেন। তাঁরা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সাহায্য না করার আহ্বান জানিয়ে যেসব রাষ্ট্র এইসব গোষ্ঠীগুলিকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে বাসন্ত্রাসবাদকে মদত দেয় তাদের নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলারক্ষেত্রে আংশিক পদক্ষেপ বা নির্বাচিত পদক্ষেপ এর প্রথা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিকগোষ্ঠীর কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে সন্ত্রাসবাদমোকাবিলায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন নিয়ে চুক্তিটি চুড়ান্ত করে তা কার্যকর করাপ্রয়োজন।

· ‘ ২০১৩ সালে হিংসা এবংজঙ্গীপনার বিরুদ্ধে বিশ্ব ’ শীর্ষক ইরানের রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদেগৃহীত প্রস্তাবটিকে অনুমোদন করেছেন এবং সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সমর্থনেআন্দোলন, বিশেষ করে জঙ্গী গোষ্ঠীগুলির আর্থিক সহায়তা সম্পূর্ণ বন্ধ করার আহ্বানজানিয়েছেন।

· ভারতের পক্ষ থেকে পরমানুশক্তির প্রসাররোধ ব্যবস্হা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তারক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিতযৌথ সার্বিক পরিকল্পনা যথাযথভাবে রূপায়নে জোর দেওয়া হয়েছে।

· উভয়পক্ষই এই অঞ্চলে শান্তিএবং স্হিতিশীলতার স্বার্থে আফগানিস্হানে একটি শক্তিশালী সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিকব্যবস্হার উপর জোর দিয়ে সে দেশের জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে।ভারত ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা ও সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করাএবং চাবাহার বন্দর নিয়ে সহযোগীরা জোরদার করার উপর জোর দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেতাঁরা এই অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য জমি সংক্রান্ত বাধাদুর করতে পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

· রাষ্ট্রপতি রৌহানি, ভারতসফরকালে, তাঁর ও তাঁর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আতিথেয়তা ও সৌজন্য প্রদর্শনের জন্যকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইরান সফরের জন্যআমন্ত্রন জানান। ভারতের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রন গ্রহন করে, কূটনৈতিক চ্যানেলে তারদিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.