• ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট মাননীয় জোকো উইডোডোভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দেশ সফর করেন১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট উইডোডো এই প্রথম এক দ্বিপাক্ষিকসফরে ভারতে এলেন।
• ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে এক বৈঠকে মিলিত হন প্রেসিডেন্ট উইডোডো। ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক বিষয়েবিস্তারিতভাবে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন তিনি। ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম হামিদআনসারিও সাক্ষাৎ করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,উপ-রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়া সফর করেন গত বছর নভেম্বর মাসে।
• পরস্পরের নৌ-প্রতিবেশী হিসেবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ারমধ্যে যে এক নিবিড় সভ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সে কথা বারংবার প্রতিফলিত হয় শ্রীমোদী এবং মিঃ উইডোডো-র আলোচনার মধ্য দিয়ে। দু’দেশের জনসাধারণই হিন্দু, বৌদ্ধ এবংইসলাম ধর্মের এক সাধারণ ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন। বহুত্ববাদ, গণতন্ত্র, আইনের শাসনইত্যাদিকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যবান বলে মনে করেন দুইরাষ্ট্র নেতাই। দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় একদীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তাঁরা।
• ২০০৫-এর নভেম্বরে কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্পর্কেসিদ্ধান্ত গ্রহণের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে এক বিশেষ জোয়ার এসেছে, সেকথা স্বীকার করেন দুই নেতাই। ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্টের ২০১১-রজানুয়ারিতে ভারত সফরকালে ভবিষ্যতের দশকগুলির জন্য যে কৌশলগত নতুন অংশীদারিত্বেরসম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়, তাতে দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কআরও নিবিড় ও জোরদার হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন শ্রী মোদী এবং মিঃ উইডোডো। ২০১৪ সালের১৩ নভেম্বর আসিয়ান শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি, তাঁদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথমআলোচনা-বৈঠকের কথা প্রসঙ্গত স্মরণ করেন দুই নেতাই।
কৌশলগতসহযোগিতার সম্পর্ক
• পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি ছাড়াওঅন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচনা ও মতবিনিময়ের লক্ষ্যে প্রতি বছর শীর্ষ বৈঠকেআয়োজনের প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন শ্রী মোদী এবং মিঃ উইডোডো।
• কয়লা, কৃষি, সন্ত্রাস দমন, স্বাস্থ্য, মাদক পাচাররোধ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ কার্যনির্বাহী গোষ্ঠীর কাজকর্মের অগ্রগতির বিষয়টিকেস্বাগত জানান দুই নেতাই। এ সম্পর্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলির সিদ্ধান্ত যাতে কার্যকর হয়তার ওপর বিশেষ জোর দেন তাঁরা।
• এই দুটি গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সংসদীয় বিনিময়কর্মসূচির গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্দোনেশিয়ারপ্রেসিডেন্ট। দু’দেশের সাংসদদের মধ্যে নিয়মিতভাবে যে সফরসুচি পরিচালিত হয়ে আসছেতাতেও বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বছর এপ্রিল মাসেভারতের এক সংসদীয় প্রতিনিধিদল শুভেচ্ছা সফর করেন ইন্দোনেশিয়ায়। অন্যদিকে,ইন্দোনেশিয়ার হাউজ অফ পিপল্স এবং কাউন্সিল অফ রিজিওন্স অফ দ্য রিপাবলিক অফইন্দোনেশিয়া-র প্রতিনিধিরা ভারত সফরে আসেন যথাক্রমে গত বছর অক্টোবর ও ডিসেম্বরমাসে। দুটি ঘটনাকেই স্বাগত জানান দুই রাষ্ট্র নেতা।
• ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গড়েওঠা গোষ্ঠী আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত যে লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কিত দলিল পেশ করেছেন,তাকেও স্বাগত জানান শ্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট উইডোডো। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্তদু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে ঐবিশেষ দলিলটিতে।
• ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে লাপান-এ২ এবং ২০১৬-র জুনেলাপান-এ৩ উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণেও সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতা। ভারতীয় মহাকাশগবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র বিজ্ঞানীরা ঐ দুটি উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করেন মহাকাশে।বহির্মহাকাশ সম্পর্কে যৌথ কমিটির চতুর্থ বৈঠক আহ্বানের নির্দেশ দেন তাঁরা লাপান ওইসরো-কে। বিপর্যয় মোকাবিলা, শস্য ফলনের উপযোগী আবহাওয়া সম্পর্কে পূর্বাভাস এবংজল-হাওয়ার খবর সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মহাকাশ গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দেন তাঁরা।
প্রতিরক্ষাও নিরাপত্তা সহযোগিতা
• ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন শ্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্টউইডোডো। এজন্য দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের তাঁরা পরামর্শ দেন, যত তাড়াতাড়িসম্ভব আলোচনা-বৈঠকে আহ্বানের জন্য। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে যেসহযোগিতা চুক্তি ইতিমধ্যেই কার্যকর রয়েছে তার আওতায় এই বৈঠক আয়োজনের কথা বলেনতাঁরা।
• দু’দেশের সেনাবাহিনী (আগস্ট, ২০১৬) এবং নৌ-বাহিনীর(জুন, ২০১৫) মধ্যে সেনাকর্মী পর্যায়ের আলোচনা সফল হওয়ার জন্য দুই নেতাই সন্তোষপ্রকাশ করেন। দু’দেশের বিমানবাহিনীর মধ্যে এই ধরনের আলোচনা-বৈঠকের দ্রুত আয়োজনকরার কথাও বলেন তাঁরা। প্রতিরক্ষা বিনিময়, যৌথ সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ ও মহড়া ইত্যাদিযাতে আরও বেশি করে আয়োজিত হয়, সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান দুই নেতাই।প্রযুক্তি হস্তান্তর, কারিগরি সহায়তা, দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেপ্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার কথাও উঠে আসে দুই নেতার আলোচনাকালে।
• আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের হুমকির মোকাবিলায়দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করে তোলার কথা বলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। সন্ত্রাসদমন, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য, আর্থিক বিশৃঙ্খলা, অস্ত্রশস্ত্রের চোরাচালান,মানব পাচার এবং সাইবার অপরাধ মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে মতবিনিময়করেন তাঁরা। সন্ত্রাস দমনে যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর কাজকর্মের বিশেষ প্রশংসা করেন শ্রী মোদীএবং মিঃ উইডোডো। এ বছর আগস্ট মাসে অবৈধ মাদক পাচার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যঅপরাধগুলির মোকাবিলায় যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর কাজের অগ্রগতিতে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেনতাঁরা। এই ক্ষেত্রগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প করেনভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
• নয়াদিল্লিতে বিপর্যয় মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলিরমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন সফল হওয়ায় বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করে দুই নেতাই নিজের নিজেরদেশের কর্তৃপক্ষদের এই বিষয়টিতে সহযোগিতার নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবনের আহ্বান জানান।যৌথ উদ্যোগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় পারস্পরিক দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধিসম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা।
• গভীর সমুদ্রে বেআইনিভাবে মাছ ধরার ঘটনার মোকাবিলায়ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে যে যৌথ ইস্তাহার স্বাক্ষরিত হয়েছে তাকে স্বাগত জানানদুই রাষ্ট্রনেতা। তাঁরা দু’জনেই স্বীকার করেন যে মাছ ধরার ক্ষেত্রে দু’দেশেই যেসংগঠিত অপরাধের সন্ধান পাওয়া গেছে তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা একান্ত জরুরি।
সুসংবদ্ধঅর্থনৈতিক সহযোগিতা
• ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতাই। দু’দেশের মধ্যে শিল্প-বাণিজ্যেরপরিবেশ আরও অনুকূল ও স্থিতিশীল করে তোলার ওপর জোর দেন তাঁরা। এর ফলে, বেসরকারিক্ষেত্রগুলির মধ্যে বিনিয়োগ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দেখাদেবে বলে তাঁরা মনে করেন।
• দু’দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত ফোরামেরবৈঠক দ্রুত আহ্বানের সপক্ষে মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রসিডেন্টউইডোডো। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রতিকূল পরিস্থিতি দূর করে অর্থনৈতিক নীতিগুলির সঠিকরূপায়ণ সম্ভব করে তুলতে ফোরাম এক কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করেনতাঁরা।
• ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘স্কিলইন্ডিয়া’, ‘স্মার্ট সিটি’, ‘স্বচ্ছ ভারত’ এবং ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’র মতো উদ্ভাবনীকর্মসূচিগুলির মাধ্যমে ভারতের রূপান্তর প্রচেষ্টার একটি সার্বিক চিত্রপ্রধানমন্ত্রী মোদী তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট উইডোডো-র কাছে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার সাম্প্রতিকসংস্কারমুখী কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে শ্রী মোদীকে অবহিত করেন ইন্দোনেশিয়ারপ্রেসিডেন্ট। তাঁর দেশে বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার উদ্দেশে যে সমস্তউদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার কথা বর্ণনা করে তিনি ভারতীয় সংস্থাগুলিকে ইন্দোনেশিয়ায়ওষুধ উৎপাদন, পরিকাঠামো প্রসার, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি শক্তি এবং উৎপাদন শিল্পেবিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
• গত ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে নয়াদিল্লিতেভারত-ইন্দোনেশিয়া সি ই ও ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেনদুই নেতাই। ফোরামের বৈঠক যাতে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যেবিশেষ উৎসাহ দেন তাঁরা। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার প্রসারেগঠনমূলক পরামর্শদানের জন্য সি ই ও ফোরামের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
• বিশুদ্ধ, সুলভ ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি যে দুটিদেশেরই অর্থনৈতিক বিকাশ তথা অগ্রগতির পক্ষে একান্ত জরুরি সে কথা স্বীকার করেন দুইরাষ্ট্রনেতাই। এই প্রসঙ্গে ২০১৫-র নভেম্বরে নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানিশক্তি সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত মউটিকে স্বাগত জানান তাঁরা। এই চুক্তি অনুসারেদ্বিপাক্ষিক কার্যসূচি অনুসরণ করার জন্য যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর প্রথম বৈঠক আয়োজনেরও পরামর্শদেন তাঁরা।
• পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, বিশেষত আন্তর্জাতিকসৌর সমঝোতা গঠনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আন্তরিক উদ্যোগ ও উৎসাহকে সমর্থন জানানোরপাশাপাশি, স্বাগতও জানান প্রেসিডেন্ট উইডোডো।
• গত বছর নভেম্বরে কয়লা সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথকর্মীগোষ্ঠীর তৃতীয় বৈঠকের ফলাফল পর্যালোচনা করে দুই নেতাই জ্বালানি সাশ্রয়েরপ্রযুক্তি, নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যবিষয়গুলিতে সহযোগিতা প্রসারের প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে, জ্বালানিনিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উদ্যোগী হওয়ারওআহ্বান জানান তাঁরা।
• ভবিষ্যতে জ্বালানির চাহিদা পূরণে তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তিটির পুনর্নবীকরণের ওপরও জোর দেন দুই নেতা। সেইসঙ্গে, যৌথকর্মীগোষ্ঠীর সহযোগিতা প্রসারের ক্ষেত্রকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রসারিত করারওপ্রস্তাব করেন তাঁরা।
• দু’দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য সহযোগিতা চুক্তিটিরপুনর্নবীকরণ সম্পর্কেও যথেষ্ট আশাবাদী দুই নেতা। তাঁরা মনে করেন যে, এই সহযোগিতাচুক্তিটির পুনর্নবীকরণের ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাধারণ উদ্বেগ ও চ্যালেঞ্জগুলিরকার্যকর মোকাবিলায় দুটি দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বাতাবরণ গড়ে তোলা সম্ভব। দু’দেশেরস্বার্থে ওষুধ উৎপাদন শিল্পেও সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারের বিষয়টিকে উৎসাহ দেনতাঁরা।
• ভারত ও ইন্দোনেশিয়া – দু’দেশেরই খাদ্য নিরাপত্তারগুরুত্বের বিষয়টি স্থান পায় দুই নেতার আলোচনাকালে। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে একযোগেকাজ করার প্রস্তাবে সহমত হন তাঁরা। ইন্দোনেশিয়ার চাহিদা পূরণে চাল, চিনি ও সয়াবিনযোগান দেওয়ার জন্য ভারত প্রস্তুত বলে প্রেসিডেন্ট উইডোডো-কে জানান শ্রী নরেন্দ্রমোদী।
• তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জগুলির সুযোগগ্রহণ করার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেন দুই নেতাই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিরক্ষেত্রগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায়ব্যক্ত করেন তাঁরা। দুই নেতাই মনে করেন যে এর ফলে উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির যথেষ্টপ্রসার ঘটা সম্ভব।
• বাণিজ্য, পর্যটন এবং দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যেযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন দুই রাষ্ট্রনেতা। জাকার্তা ওমুম্বাইয়ের মধ্যে গড়ুর ইন্দোনেশিয়ার বিমান পরিবহণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তাঁরা।এই বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে ডিসেম্বর, ২০১৬ থেকেই। ভারতের বিমান পরিবহণসংস্থাগুলির উদ্যোগে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বিমান চলাচলের প্রস্তাবটিকেওসমর্থন জানান তাঁরা। একইসঙ্গে, দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল, নৌ-বন্দর ওবিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বেরমাধ্যমে বন্দরগুলির সার্বিক বিকাশ ইত্যাদি প্রসঙ্গও স্থান পায় দুই নেতার আলোচনা ওমতবিনিময়কালে।
• দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারে নির্দিষ্টগুনমান বজায় রাখা সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারের বিষয়টিকেও যথেষ্টগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শ্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট উইডোডো। এই প্রসঙ্গেইন্দোনেশিয়ার মান নির্ণায়ক সংস্থা বি এস এন এবং ভারতের মান নির্ণায়ক সংস্থা বি আইএস-এর মধ্যে মউ স্বাক্ষরের স্বাগত জানান তাঁরা।
সাংস্কৃতিকবন্ধন তথা জনসংযোগ
• দু’দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে পরস্পরেরশিল্পকলা, সাহিত্য, নৃত্য, সঙ্গীত ও পুরাতত্ত্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রসারেউৎসাহদানের লক্ষ্যে সঙ্কল্প গ্রহণ করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। সাংস্কৃতিক বিনিময়কর্মসূচি, ২০১৫-১৮-এর আওতায় এই সহযোগিতা প্রসারের সঙ্কল্প করেন তাঁরা। চলচ্চিত্রশিল্পেও দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রশ্নেও একমত হন তাঁরা।
• ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নেরলক্ষ্যে শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেনশ্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট উইডোডো। দু’দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যেপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা প্রসারের যে কর্মসূচিগুলি বর্তমানে রূপায়িত হচ্ছে,সেগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তাঁরা। উচ্চতর শিক্ষাক্ষেত্রে একটিচুক্তির দ্রুত সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে দুই নেতাই এই বিষয়টিতেপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলিকে।
• ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয়পঠনপাঠনের জন্য বিশেষ অধ্যাপকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাবটিকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানদুই রাষ্ট্রনেতাই। একইসঙ্গে, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কেপঠনপাঠনের জন্য বিশেষ অধ্যাপকের পদ সৃষ্টির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতেও সহমত হন তাঁরা।
• ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক ক্ষেত্রগুলিতে পারস্পরিকসহযোগিতা প্রসারের প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন শ্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্টউইডোডো। এক্ষেত্রে মউ স্বাক্ষরের বিষয়টিকেও বিশেষভাবে স্বাগত জানান তাঁরা।
সাধারণচ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা
• দুই বিশ্ব নেতাই যে কোন ধরনের সন্ত্রাসের কঠোরনিন্দা করেন। তাঁরা বলেন, সন্ত্রাসের ঘটনার মোকাবিলায় সহনশীলতার কোন প্রশ্ন নেই।সন্ত্রাস যেভাবে বিশ্ব জুড়ে তাণ্ডব শুরু করেছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেনতাঁরা। সন্ত্রাস দমনে ইউ এন এস সি প্রস্তাব ১২৬৭-এর বাস্তবায়নে তাঁরা আহ্বান জানানবিশ্বের সবক’টি রাষ্ট্রকে। সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ ঘাঁটি ও আশ্রয়গুলিকে নির্মূলকরে দেওয়ারও ডাক দেন তাঁরা। দুই নেতাই মনে করেন যে সন্ত্রাসবাদীদের নেটওয়ার্ক এবংঅর্থ যোগানের পথগুলি বন্ধ করে দিলে জঙ্গিরা যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তার ফলেসীমান্ত সন্ত্রাসও কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব হবে। সন্ত্রাস দমনে দুটি দেশের মধ্যেআরও বেশি মাত্রায় গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ওপরও জোর দেন তাঁরা।
• জল ও আকাশপথে পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উদার করেতোলার লক্ষ্যে তাঁদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায় স্মরণ করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। তাঁরাবলেন, আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলি অনুসরণ করে এবং আইনসঙ্গত পদক্ষেপ গ্রহণ করেপরিবহণ বাণিজ্যের প্রসারের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়টিতে সবক’টি পক্ষই যাতেযাবতীয় বিবাদ-বিসংবাদ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতে শান্তিপূর্ণ পথ অনুসরণ করে তা নিশ্চিতকরারও আহ্বান জানান তাঁরা। কারণ এর ফলে, যাবতীয় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার অবসান ঘটানোসম্ভব। দক্ষিণ চিন সাগর প্রসঙ্গে দুই নেতাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিরওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
• আঞ্চলিক পর্যায়ে সুসংবদ্ধ অর্থনৈতিক সহযোগিতাচুক্তির দ্রুত সম্পাদনের ওপরও বিশেষ জোর দেন দুই বিশ্ব নেতা।
• রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার কর্মসূচিতে দ্ব্যর্থহীনভাষায় সমর্থন জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট উইডোডো। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে আরওগণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও দক্ষ সংস্থায় রূপান্তরের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদেরসংস্কারের বিষয়টিতে বিশেষ জোর দেন তাঁরা। তাঁরা বলেন যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তাপরিষদের পুনর্গঠন আশু জরুরি। কারণ, বিশ্বের বর্তমান বাস্তবতার কথা স্বীকার করেনিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে আরও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন হয়ে উঠতে হবে। শুধু তাই নয়,পুনর্গঠিত পরিষদে প্রতিনিধিত্বমূলক স্থায়ী সদস্যপদেরও সৃষ্টি হবে এই সংস্কারেরফলে। তাই, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও ইন্দোনেশিয়াপরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা প্রসারের মধ্য দিয়ে কাজ করে যাবে বলে ঘোষণা করেন শ্রীমোদী এবং প্রেসিডেন্ট উইডোডো।
• জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা এবং বিশ্বব্যাপীঅর্থনৈতিক সঙ্কটাবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া বহুপাক্ষিকক্ষেত্রগুলিতে একযোগে কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হন দুই রাষ্ট্রনেতাই।
• বিগত ২৪ বছর যাবৎ আসিয়ান-ভারত আলোচনা ও মতবিনিময়েরক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতাই। এই প্রসঙ্গেআসিয়ান-ভারত সম্পর্কের ২৫ বছর এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব, ২০১৭-র পঞ্চম বার্ষিকীউপলক্ষে বিশেষ স্মৃতিচারণা করেন দুই নেতা। পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠক, আসিয়ান আঞ্চলিকফোরাম এবং আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মিটিং প্লাস ইত্যাদির মাধ্যমে এইসম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নেও সহমত হন শ্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্টউইডোডো।
• ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ভারত ও ইন্দোনেশিয়াহল দুটি বৃহৎ রাষ্ট্র। সুতরাং, ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকারিতারক্ষেত্রেও দু’দেশেরই যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। এই সংস্থাটির নেতৃত্বদানের জন্যপ্রেসিডেন্ট উইডোডো-কে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর ভারতমহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগকেও আন্তরিকভাবেস্বাগত জানান তিনি।
দুইনেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও মতবিনিময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭-র প্রথমার্ধে যেসমস্ত সংস্থা ও সংগঠনের বৈঠকের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন উপায়ে পারস্পরিক সহযোগিতাকেআরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেগুলি হল –
i. মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ কমিশন
ii. প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের আলোচনা এবং যৌথ প্রতিরক্ষাসহযোগিতা কমিটির বৈঠক
iii. বাণিজ্য মন্ত্রী ফোরামের বৈঠক
iv. জ্বালানি সহযোগিতার লক্ষ্যে পন্থাপদ্ধতি উদ্ভাবনেরজন্য জ্বালানি ফোরামের বৈঠক
v. নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে একটি সুসংবদ্ধকার্যসূচি গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা-বৈঠক ইত্যাদি।
প্রেসিডেন্টউইডোডো যত শীঘ্র সম্ভব ইন্দোনেশিয়া সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণজানালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সানন্দে তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,
गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।
साथियों,
भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,
साथियों,
आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,
साथियों,
बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।
साथियों,
डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।
साथियों,
हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।
साथियों,
हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,
साथियों,
"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।
साथियों,
भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।
साथियों,
आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।
साथियों,
भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।
साथियों,
यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।
साथियों,
भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।
साथियों,
गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।
साथियों,
गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।
साथियों,
डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।
साथियों,
आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।
साथियों,
गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।