ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ডঃ মোহামেদ মুইজ্জু ৭ অক্টোবর সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছেন। দুটি দেশের বিশেষ ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 
২. ভারতের প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ এবং ‘ভিশন সাগর’ নীতি অনুযায়ী সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। মালদ্বীপের উন্নয়ন যাত্রায় অংশীদার হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। জরুরি পরিস্থিতিতে যথাযথ আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মে ও সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের টি-বিল অনুমোদন দেওয়ায় এবং আরও এক বছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মালদ্বীপকে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালদ্বীপের প্রয়োজনে ভারতই প্রথম সাড়া দিয়েছে বলে ডঃ মুইজ্জু জানান। ২০১৪ সালে মালে শহরে জলকষ্ট দূরীকরণ এবং কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় ভারতের সহায়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
৩. মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি দ্বিপাক্ষিক মুদ্রা বিনিময় চুক্তির আওতায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩০ বিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রায় সহায়তা দানের যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে, তার প্রশংসা করেন। এরফলে, মালদ্বীপ বর্তমানে যে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন, তার সমাধান হবে। উভয় নেতা এই আর্থিক সঙ্কটে মালদ্বীপকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কার্যকর করায় সহমত পোষণ করেছেন।
৪. একটি অর্থনৈতিক ও সমুদ্র যাত্রায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বাঙ্গীন অংশীদারিত্বের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে এক নতুন সুযোগ এসেছে বলে উভয় নেতাই মনে করেন। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনা করে জনমুখী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। উভয় নেতা যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছেন, সেগুলি হ’ল – 
ক) রাজনৈতিক স্তরে বিনিময়
শীর্ষ নেতৃত্বে এবং মন্ত্রী পর্যায়ে বিনিময়ের জন্য দুটি দেশের সাংসদ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা যাতায়াত করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে দুটি দেশ অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে স্বীকৃতি দিয়ে দুই সংসদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে একটি সমঝোতাপত্র তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
খ) উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা
মালদ্বীপের জনসাধারণের ইতোমধ্যেই সুবিধা হয়েছে, এ ধরনের যৌথ অংশীদারিত্বের প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে – বন্দর, বিমানবন্দর, হাসপাতাল, সড়ক, ক্রীড়াঙ্গণ, বিদ্যালয়, জল সরবরাহ ও নিকাশী ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে দুটি দেশ একযোগে কাজ করবে। বৃহত্তর মালে যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে থিলাফুসি এবং গিরাভারু দ্বীপপুঞ্জকে যুক্ত করা হবে। মালে বন্দরকে যানজট মুক্ত করতে থিলাফুসি-তে পণ্য পরিবহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। মালদ্বীপ অর্থনৈতিক গেটওয়ে প্রকল্পে ইহাভানধিপলহু এবং গাধো দ্বীপপুঞ্জে জাহাজ চলাচলের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। ভারতের সহায়তায় হানিমাধো এবং গান বিমানবন্দরের উন্নয়নে ভারতের সহায়তা নেওয়া হবে। এছাড়াও, কৃষি-ভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে হা ঢালু অ্যাটঅলে এবং মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হা আলিফু অ্যাটঅলে ভারতীয় সহায়তায় বিগভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। 
গ) ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা
দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয়পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনে দুই দেশের মুদ্রার ব্যবহার কার্যকর করার মাধ্যমে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে। উভয় দেশের বণিক সংগঠনগুলির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। মালদ্বীপ তার অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কৃষি, মৎস্য চাষ, সমুদ্র-ভিত্তিক অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়াতে গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা করবে। পর্যটন শিল্পের প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার চালানো হবে। 
ঘ) ডিজিটাল ও আর্থিক ক্ষেত্রে সহায়তা
উভয়পক্ষ ডিজিটাল ও আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে সংস্কার ঘটাতে সহমত পোষণ করে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত ভাগ করে নেওয়া হবে। ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্টস্‌ ইন্টারফেস (ইউপিআই), ইউনিক ডিজিটাল আইডেন্টিটি, গতি শক্তি প্রকল্প এবং অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। এর সুফল মালদ্বীপের জনসাধারণের কাছে পৌঁছবে। মালদ্বীপে রু-পে কার্ড চালু করার সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। এর ফলে, সেদেশে ভ্রমণরত ভারতীয় পর্যটকদের সুবিধা হবে।
ঙ) শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা
সুস্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শক্তি ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য উভয়পক্ষই সহযোগিতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক অনুসন্ধানে সহমত পোষণ করে। সৌরশক্তি সহ অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মালদ্বীপের এনডিসি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভারত সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, যৌথ গবেষণা, বিনিয়োগে উৎসাহদান এবং বিভিন্ন কারিগরি প্রকল্প বাস্তবায়নে দু’দেশের প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হবে।
চ) স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য মালদ্বীপের জনসাধারণ যাতে উন্নতমানের ব্যয় সাশ্রয়ী পরিষেবা ভারতে পান, তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে দুই পক্ষই সহমত পোষণ করে। ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মালদ্বীপে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটানো হবে। ভারত – মালদ্বীপ জন ঔষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এরফলে, ভারত থেকে উন্নত মানের ব্যয় সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধ মালদ্বীপবাসী পাবেন। সেদেশে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক স্তরে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান, ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুটি দেশ একযোগে কাজ করবে। এছাড়াও, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নেশা মুক্তির জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলতে মালদ্বীপকে সহায়তা করা হবে। জরুরি অবস্থায় রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভারত একযোগে কাজ করবে।
ছ) প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত ও মালদ্বীপ যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হয়, সেগুলি একই ধরনের। দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য বহুমুখী ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে হবে। তাই, সমুদ্র যাত্রা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে দুটি দেশ একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সুফল ভারত ও মালদ্বীপের নাগরিকরা ছাড়াও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিটি দেশের মানুষের কাছে পৌঁছবে। জলদস্যু, অবৈধভাবে মালদ্বীপের জল সীমানায় ঢুকে মাছ ধরা, মাদক দ্রব্যের চোরাচালান এবং সন্ত্রাসবাদ সহ সমুদ্রপথে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলায় দুটি দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপ একযোগে কাজ করবে। মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যে সমস্ত প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ভারতের সহায়তায় উথুরু থিলা ফালু’তে ‘একতা’ বন্দর প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। উভয়পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মালদ্বীপকে সহায়তার জন্য উন্নতমানের র‍্যাডার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলায় মালদ্বীপের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি ছাড়াও প্রশিক্ষণ এবং তথ্যের আদান-প্রদান করা হবে। মালদ্বীপে ভারতের সহযোগিতায় নির্মিত অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবনটি উদ্বোধন করা হবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ সহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলির সদস্যরা ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। 
জ) দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ
মালদ্বীপের চাহিদা অনুযায়ী, মানবসম্পদ উন্নয়নে যে কর্মসূচিগুলি রয়েছে, সেগুলির পর্যালোচনা করা হয়েছে। মালদ্বীপের চাহিদা অনুযায়ী, এই কর্মসূচিগুলিকে আরও প্রসারিত করতে উভয়পক্ষই সহমত পোষণ করেছে। সিভিল সার্ভেন্ট এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিদের জন্য যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলি রয়েছে, সেগুলি ছাড়াও মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে নতুন নতুন কর্মসূচি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে মালদ্বীপের মহিলা শিল্পোদ্যোগীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন এবং এর মধ্য দিয়ে মালদ্বীপের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। মালদ্বীপের যুবসম্প্রদায়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে স্টার্টআপ ক্ষেত্রে উৎসাহদানের জন্য যৌথ উদ্যোগে একটি ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। 
ঝ) উভয় দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ
দুটি দেশের বিশেষ অনন্য সম্পর্কের মূল ভিত্তিই হ’ল, জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ। উভয় পক্ষই এই যোগাযোগকে আরও প্রসারিত করতে একমত হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে মালদ্বীপের একটি দূতাবাস এবং আড্ডুতে ভারতের একটি দূতাবাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। পর্যটন শিল্পের প্রসারে যাতায়াতকে আরও সহজ করে তুলতে বিমান ও জাহাজ চলাচল ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটানো হবে। চাহিদা অনুসারে, মালদ্বীপে নতুন নতুন উচ্চ শিক্ষা প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি মালদ্বীপ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইসিসিআর চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। 
ঞ) আঞ্চলিক এবং বহুস্তরীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতা
ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতার সুফল উভয় দেশের নাগরিক ছাড়াও আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছেছে। কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সনদে দুটি দেশ স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে, সমুদ্র যাত্রা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত স্বার্থ বজায় রাখতে উভয় দেশ একযোগে কাজ করবে। ফলস্বরূপ একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলা যাবে। বহুস্তরীয় বিভিন্ন সংগঠনে দুটি দেশ একযোগে কাজ করার প্রসঙ্গে একমত হয়েছে। 
৫) ভারত ও মালদ্বীপ সহ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির জনগণের জন্য একটি অর্থনৈতিক ও সমুদ্রযাত্রার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বাঙ্গীন অংশীদারিত্বের সুফল নিশ্চিত করতে উভয় নেতা, আধিকারিকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক প্রকল্পগুলিকে নির্ধারিত সময়ে দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির পর্যালোচনা করতে উচ্চস্তরীয় একটি কোর গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই গ্রুপের নেতৃত্বে কারা থাকবেন, তা উভয়পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে। 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।