আমি বিশ্বাস করি, মহাত্মা গান্ধী বর্তমান বিশ্বে যতটা প্রাসঙ্গিক, তাঁর জীবৎকালেও তিনি ঠিক ততটা প্রাসঙ্গিক ছিলেন : শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় থেকেই শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে ও বিদেশে যেখানেই ভাষণ দিয়েছেন, সেখানেই মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ, নৈতিকতা ও শিক্ষাদর্শগুলিকে তুলে ধরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ৩০ জানুয়ারি জাতীয় লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। লবণ সত্যাগ্রহ অভিযান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক স্বতন্ত্র আন্দোলন হিসাবে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের সূচনা করেছিলেন। মহাত্মা ও তাঁর অনুগামী ৮০ জন সত্যাগ্রহীর ডান্ডি অভিযান এমন এক ঘটনা, যা ঔপনিবেশিক শাসনের ভীত নড়িয়ে দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী যে সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক তার অন্যতম একটি। এই স্মারক মহাত্মার পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শ্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত প্রিয় স্বচ্ছ ভারত অভিযান মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। নতুন দিল্লিতে ২০১৪-র দোসরা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে এই অভিযানের সূচনা হয়। অভিযানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক পরিচ্ছন্ন ভারত গড়ে তোলাই হবে ২০১৯-এ মহাত্মা গান্ধীকে তাঁর জন্ম সার্ধ শতবার্ষিকীতে যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন।

শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। স্বচ্ছতা এখন এক গণআন্দোলনের রূপ নিয়েছে। এই আন্দোলন মহাত্মা গান্ধীর ভারতের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী দিনগুলিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বিগত সাড়ে চার বছরে এই অভিযান ভারতে ব্যাপক এবং সর্বব্যাপী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এমনকি, সাধারণ মানুষের মনেও স্বচ্ছ ভারত সম্পর্কে সচেতনতা কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম বর্জনের লক্ষ্য পূরণে রাজ্যগুলি সর্বশক্তি দিয়ে পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। সমগ্র ভারত গ্রামাঞ্চলে ১০০ শতাংশ অনাময়ের লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি এসে গেছে।

https://twitter.com/narendramodi/status/973583560308293632

 

মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে খাদি শিল্পকে সমগ্র ভারতবাসীর হৃদয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের যন্ত্রণার দিনগুলিতে খাদি শিল্প মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিভিন্ন ভাষণ ও বক্তৃতার মাধ্যমে খাদি শিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদী বেতারে তাঁর মাসিক ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষকে খাদির পণ্যসামগ্রী কেনার ব্যাপারে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে খাদি শিল্পের পুনরুজ্জীবনের পাশাপাশি, কুটির শিল্পের প্রসার ঘটছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে খাদি পণ্যসামগ্রীর কেনাবেচায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে।

 

 

মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধ শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান দু’বছর ধরে উদযাপন করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে মহাত্মা গান্ধীর দূরদৃষ্টি ও পরিকল্পনাগুলির বাস্তবায়নে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দোসরা অক্টোবর পর্যন্ত নতুন দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক অনাময় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চার দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও স্বাস্থ্যবিধান ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন এবং তাঁদের অমূল্য মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

 

মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম প্রিয় ভজন ‘বৈষ্ণব জন তো’ সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ১২৪টিরও বেশি দেশের সঙ্গীত শিল্পীরা এই ভজনে সঙ্গত করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ভজন সমগ্র বিশ্বে এক আবেগের সঞ্চার করেছে।

শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমেদাবাদে মহাত্মা গান্ধীর তৈরি সবরমতী আশ্রমকে ভারতীয় কূটনীতির অগ্রভাগে নিয়ে এসেছেন। শ্রী মোদীর উপস্থিতিতে চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং থেকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এমনকি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে সবরমতী আশ্রমে এসে মহাত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন। সবরমতী আশ্রম সফরকালে চিনা রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, এটি তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ও তৃপ্তিদায়ক এক মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী সহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের চরকা চালানোর ছবি, গান্ধীজীর চরকা চালানোর দিনগুলিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আসলে চরকা হ’ল আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

 

|
|
|
|

 

 

বিসব্রেন থেকে হ্যানোভার এবং আশগাবাদ শহরে প্রধানমন্ত্রী বাপুর মূর্তি বা আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন। বিদেশে বাপুর এই মূর্তিগুলি এক চিরস্থায়ী সচেতনতা তৈরি করছে।https://twitter.com/narendramodi/status/533948745717526528

রাজকোটে ২০১৮’য় আলফ্রেড হাইস্কুলে মহাত্মা গান্ধী সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন করা হয়। মহাত্মা গান্ধী এই বিদ্যালয় থেকে ১৮৮৭-তে মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

মহাত্মা গান্ধীর আদর্শগুলিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিভিন্ন প্রয়াস ও প্রচেষ্টায় সামিল করেছেন। সেই সঙ্গে, তিনি তুলে ধরেছেন একবিংশ শতাব্দীতেও মহাত্মার আদর্শগুলি কতটা প্রাসঙ্গিক। শ্রী মোদী সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েছেন, নতুন ভরত গঠন অভিযানেও এগুলি সর্বাত্মক প্রয়োগ ঘটাচ্ছেন। মহাত্মা গান্ধীর নীতি ও মূল্যবোধগুলি প্রধানমন্ত্রী তাঁর কর্মতৎপরতার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেছেন।

২০১৮’র দোসরা অক্টোবর নিজের ব্লগে শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাপুর পরম্পরাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর পরিকল্পনার কথাগুলি উল্লেখ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ভারত বিবিধতার এক দেশ। এই দেশে যদি কোনও একজন ব্যক্তি থেকে থাকেন, যিনি সমস্ত মতভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ মানুষকে একত্রিত করেছিলেন, ঔপনিবেশিকতাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলেনে এবং বিশ্ব আঙিনায় ভারতের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়েছিলেন, তা হলে সেই মহান ব্যক্তি হলেন মহাত্মা গান্ধী। বাপু যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তার জন্য জীবন দিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে আজ আমরা ১৩০ কোটি ভারতীয় একযোগে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

|
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
26th global award: PM Modi conferred Brazil's highest honour — ‘Grand Collar of National Order of Southern Cross’

Media Coverage

26th global award: PM Modi conferred Brazil's highest honour — ‘Grand Collar of National Order of Southern Cross’
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা হয়েছে
July 09, 2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে একাধিক দেশ। এই স্বীকৃতিগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন যা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উত্থানকে মজবুত করেছে। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।

 আসুন, গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা পুরস্কারগুলি দেখে নেওয়া যাক।

দেশের প্রদান করা পুরস্কারগুলি:

১. ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি আরব সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - কিং আব্দুল আজিজ সাশ-এ ভূষিত করা হয়েছে। প্রিন্স সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

|

২. একই বছর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - আমির আমানউল্লাহ খান পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

|

৩. ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ফিলিস্তিনে ঐতিহাসিক সফর করেন, তখন তাঁকে গ্র্যান্ড কলার অব দ্য স্টেট অব প্যালেস্তাইন পুরস্কার প্রদান করা দেওয়া হয়। এটি বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সম্মান।

|

৪. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ডার অব জায়েদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।

|

৫. ২০১৯ সালে রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাদের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে - অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু। 

৬. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ডিসটিনগুইশড রুল অফ নিশান ইজ্জুদ্দিন প্রদান করা হয়েছে।

|

৭. ২০১৯ সালে বাহরিন সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনিয়াস্য়ান্স সম্মানে ভূষিত করা হয়।

|

৮. ২০২০ সালে মার্কিন সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মানে ভূষিত করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া পুরস্কার যা ব্যতিক্রমী মেধাবী আচরণের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

৯. ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভুটান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপোতে ভূষিত করেছে।

সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ছাড়াও, বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করেছে।

১. সিওল শান্তি পুরস্কার: মানবজাতির সম্প্রীতি, জাতি এবং বিশ্বের মধ্যে পুনর্মিলন বিষয়ে সিউল পিস প্রাইজ কালচারাল ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে হয়েছিল।

|

২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড: এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ পরিবেশগত সম্মান। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সাহসী ভূমিকার জন্য ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

|

৩. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রথম ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেনশিয়াল পুরস্কার প্রদান করেছে। প্রতি বছর রাষ্ট্রের একজন নেতাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের শংসাপত্রে বলা হয়েছে, দেশকে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হল।

|

৪. ২০১৯ সালে বিল ও মিলিন্ডা গেটস্‌ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের স্বীকৃতি-স্বরূপ ‘গ্লোবাল গোলকিপার’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পুরস্কার সেইসব ভারতীয়কে উৎসর্গ করেন, যাঁরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছেন এবং এই অভিযানকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ করে তুলেছেন।

|

৫. ২০২১ সালে কেমব্রিজ এনার্জি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস বা সিইআরএ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরিবেশ নেতৃত্ব পুরস্কার প্রদান করেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তি ও পরিবেশের বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়ণে নেতৃত্বের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।.