বিপুলসংখ্যায় আগত ভাই ও বোনেরা,
কেমন আছেন, ভালো?
মনে হচ্ছে আজ এই মাঠটা এই জমায়েতের পক্ষে ছোট। এর বাইরেও কোনও জায়গা খালিনেই। আপনারা কি মনে করতে পারেন, এখানে এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছেন?না, আসেননি। ঠিক আছে আসেননি, এটা আমার ভাগ্যেই লেখা ছিল।
আমি সবার আগে আম্রেলি জেলার সহকারী জগৎ’কে প্রশংসা জানাই। এখন তো নতুনপ্রজন্ম মাঠে নেমে পড়েছেন। একটা সময় ছিল, সহকারী জগৎ-এ রতুভাই ও তাঁর অনুগামীরাসক্রিয় ছিলেন। সহকারী এবং রাজকীয় উভয় ক্ষেত্রেই এই মহান ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ ছিল।কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে আম্রেলি জেলার উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হাতলাগিয়েছেন নতুন প্রজন্মের মানুষেরা। আমি এর আগে আম্রেলির এপিএমসি বাজারেওগিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমাদের পিপি যে সাফল্য অর্জন করেছে, যে মডেল গড়ে তুলেছে, তাপ্রশংসার যোগ্য। আমি পিপি ও তাঁর টিমকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
দিলীপ ভাই একজন কর্মযোগী মানুষ, সর্বদাই তাঁর মাথায় নতুন কিছু করার চিন্তাঘুরতে থাকে। আমার মনে পড়ে যে, আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে গুজরাটের পূর্বতনসরকারগুলি মনে করত যে, সৌরাষ্ট্রে কখনও ডেয়ারি উদ্যোগের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই,তারা কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আমরা নীতিগত পরিবর্তন এনেছিলাম। আর এক্ষেত্রে দিলীপ ভাই-ইপ্রথম প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, আমরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনবই। আজ আমি অত্যন্তআনন্দিত যে তিনি এই কাজ করে দেখিয়েছেন। আজ গোটা আম্রেলির পশুপালক ও কৃষকরা এবংদুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রত্যেকেই লাভবান হয়েছেন। এইসাফল্যের পেছনে রয়েছে এপিএমসি’র আধুনিক প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ। মৃত্তিকাপরীক্ষাগার নির্মাণ, বাজারে আসা পণ্যের গুণমান নির্ধারণের জন্য পরীক্ষাগারনির্মাণ। পাশাপাশি, ভারত সরকার যে ই-নাম যোজনা শুরু করেছে, তার মাধ্যমে এখানকারকৃষকরা যে বাজারে সর্বাধিক দাম পাবেন, সেখানে গিয়ে নিজের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতেপারছেন। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য গুণমান নির্ধারণের উপযোগী পরীক্ষাগারস্থাপন অনিবার্য ছিল। পিপিভাই এইভাবে গুজরাটের অন্যান্য এপিএমসি’কে নতুন পথদেখিয়েছেন। এপিএমসি হিসাবে আম্রেলি-ই গুজরাটে প্রথম কাজ শুরু করেছিল আর আজ ছয় দশকপর আরেকবার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বকে প্রথম পথ দেখানোর ক্ষেত্রকে এইআম্রেলিই আলোকবর্তিকা প্রদর্শন করছে, সেজন্য তাঁদের অভিনন্দন জানাই।
আজ আমি আপনাদের সামনে দুটি জিনিস তুলে ধরেত চাই।
প্রথমত, আজ এখানে ভারতের মিষ্টি বিপ্লব বা মধু বিপ্লবের সূত্রপাত হচ্ছে।দ্বিতীয়ত, গুজরাটের ১১৬ কিলোমিটার সমুদ্রতট দেশের নীল বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যপ্রস্তুত হচ্ছে। আমাদের মৎস্যজীবী ভাই ও বোনেরা, আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ একটিবিপ্লবের মাধ্যমে গুজরাটে গ্রামীণ তটবর্তী অঞ্চলগুলির উন্নয়নে এক নতুন মাত্রাপ্রদান করবে। কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ বিপ্লব এবং শ্বেত বিপ্লবের মতোই মধু বিপ্লব এবংনীল বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছে। আজ থেকে বছরখানেক আগে দিলীপ ভাই প্রথম আপনাদের সামনেপ্রস্তাব রেখেছিলেন যে, আমরা যখন দুগ্ধ সংগ্রহের জন্য গ্রামে গ্রামে কৃষকদেরবাড়িতে যাই, তখনই তাঁদের কাছ থেকে মধুও সংগ্রহ করতে পারি। আর কেউ যদি নিজের বাড়িতে৫০টি মৌ-উপনিবেশ স্থাপন করে, তা হলে বছরে ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকার মধু বিক্রি করতেপারবে। এই অতিরিক্ত আয়ের পাশাপাশি ক্ষেতের আলে মৌ-উপনিবেশ স্থাপনের ফলে ফলনওবৃদ্ধি পাবে।
আজ এই প্রকল্পের শিলান্যাসের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ভারতের অন্য যে কোনওপ্রান্তে শুভকাজে মিষ্টি খাওয়ানো হয়। কিন্তু গুজরাটবাসী শুভকাজে আইসক্রিম খাওয়ায়।আজ আম্রেলিতে ডেয়ারি আইসক্রিমের প্ল্যান্টও উদ্বোধন হ’ল। এই দুটি নতুন প্রকল্পেরজন্য আমার শুভেচ্ছা জানাই। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই দুটি প্রকল্পে প্রায় ৪কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
আমি কৃষক ভাইদের বলব যে, মৌ পালনের জন্য আপনাদের কোনও অতিরিক্ত পরিশ্রমকরতে হবে না। কিন্তু আয় বেড়ে যাবে। আর যতটা উৎপাদিত হয়েছে, পুরো মধু যদি বিক্রিনাও হয়, তা হলে বাড়িতে রাখলে নষ্ট হবে না, ছেলেমেয়েরা খেলে তাদের স্বাস্থ্য ভালোথাকবে। পাশাপাশি আপনারা গুজরাটের ডেয়ারি নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে দেশে মধু বিপ্লবআনতে পথিকৃত ভূমিকা পালন করবেন।
ভারতের সমুদ্রতট বিশাল। গুজরাটের সমুদ্রতট নীল বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করতে পারে। আমরা জলপথের ব্যবহার বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। ঘোঘা-দহেজ ফেরিসার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। বন্দর উন্নয়নের কাজও আমরা শুরু করেছি। বন্দরনির্ভরউন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলেছে। এখান থেকে সমুদ্র উপকূলবর্তী সড়কপথে অন্ধ্রেরবিশাখাপত্তনম বন্দরে পণ্য পাঠাতে যতটা খরচ হবে, আমাদের মোর্বির টাইল সমুদ্রপথেতারচেয়ে অনেক কম খরচে পূর্ব ভারতের কলকাতা বন্দরে পণ্য পৌঁছে দিতে পারব। এই নীলবিপ্লবের দ্বারা সরকার সামুদ্রিক শক্তিকে অধিক ব্যবহারের মাধ্যমে উপকূলবর্তীমানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। গুজরাটের সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চলেরযুবকেরা ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে যোগদান করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনকরছে। আগামীদিনে এই অঞ্চলের আরও বেশি যুবক-যুবতী যেন নৌ-বাহিনীতে যোগদান করেভারতমাতার সেবা করেন, সেজন্য আমরা এই ক্ষেত্রটিতে উন্নয়নের জোয়ার এনে তাঁদের উৎসাহবৃদ্ধি করছি।
আমাদের রুপালাজি বলছিলেন যে, যুবরাজ মেহতার মৃত্যুর পর এখানে আরেকটিও নতুনকলেজ হয়নি। যুবরাজ ভাই মেহতার প্রয়াণের পর আমরাই প্রথম এই অঞ্চলে শিক্ষা ক্ষেত্রেবিপ্লব এনেছি। আম্রেলির মানুষ ব্রডগেজ রেলপথ এবং জাতীয় সড়কপথের আশা ছেড়েইদিয়েছিলেন। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে দিল্লিতে পাঠিয়েছেন, এবার আপনাদের এই দুটিস্বপ্ন পূর্ণ হওয়ার পথে।
ভাই ও বোনেরা, আগামী ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। স্বাধীনতাআন্দোলনে আম্রেলি জেলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নেরভারত গড়ে তুলতে আম্রেলির ভূমিকা কী থাকবে? আপনারা কিভাবে স্বাধীনিতার ৭৫ বছর পালনকরবেন? এটাই উপযুক্ত সময়। আমাদের আম্রেলির জেলা, এখানকার নগরপালিকা, তহশিলপঞ্চায়েতগুলি, জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি, সহকারি সংস্থাগুলি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি এবং সামাজিক সংস্থাগুলি সংকল্প গ্রহণ করুক যে আগামী ৫ বছরে আমরাএমন সব কাজ করবো, যা দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। আমাদের স্বপ্ন হল, ২০২২ এরমধ্যে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা।
ভাই ও বোনেরা, পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে ভারতের কৃষকেরা এমন শক্তি রাখেন যে,সরকার, সমাজ ও কৃষকদের মিলিত প্রয়াসে আমরা সাফল্য অর্জন করবোই। কিন্তু তার জন্যেআমাদের পরম্পরাগত পদ্ধতিগুলি ছেড়ে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। আজ নর্মদাপ্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ গুজরাটের কত বড় গৌরবের দিন। আমরা যদি নর্মদার জলবিন্দুসেচ পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবহার করি, তা হলে আগামী ১০০ বছর ধরে আমাদের ভবিষ্যৎপ্রজন্ম উপকৃত হবে। সেজন্য আমরা এই পদ্ধতিতে নর্মদার জল ব্যবহার করার সিদ্ধান্তনিয়েছি। গুজরাট একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশে বিন্দুসেচের মাধ্যমে যে ফলনহচ্ছে, তার ২৫ শতাংশই গুজরাটের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল। সেজন্য গুজরাটের কৃষকদেরঅভিনন্দন জানাতেই হয়। কিন্তু এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে। কৃষি সংশ্লিষ্ট আরও দুটিজিনিস নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেমন – সৌরপাম্পের ব্যবহার। এরফলে, এক টাকাওবিদ্যুৎ বাবদ খরচ করতে হবে না। আরও অনেক কৃষক আজ সৌরপাম্প ব্যবহার করা শুরুকরেছেন। এভাবে বিন্দুসেচ ও সৌরপাম্পের মাধ্যমে যে সাশ্রয় হচ্ছে, তাতেও জমিসদ্ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকের আয় বৃদ্ধি হবে। সহকারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুরাএক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তাঁরা সমবেতভাবে ক্ষেতে সৌরপাম্প লাগিয়েঅধিক সাফল্য পাচ্ছেন। আগে প্রত্যেক কৃষক তার লাগিয়ে ২-৩ মিটার করে জমি অপচয় করতেন।এখন যৌথভাবে কাজ করায় প্রত্যেকেরই অনেক বেশি জমি উৎপাদনযোগ্য হয়ে উঠেছে। আবার ঐমাটিতে আপনারা যদি দামি বড় গাছ লাগান, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন আনার কথাভাবছে, যাতে কৃষকরা তাঁদের ক্ষেতের আলে দামি গাছ লাগিয়ে সেগুলি বড় হলে আসবাবপত্রএবং নির্মাণকার্যে ব্যবহারের জন্য সেই গাছ বিক্রি করার অধিকার পান। সরকারের বনদপ্তর যাতে তাঁদের কোনও রকম বাঁধা না দেয়, সেই লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের ব্যবস্থাহচ্ছে। আজ দেশকে বিদেশ থেকে নির্মাণকার্যে ব্যবহৃত কাঠ আমদানি করতে হয়। আমাদেরদেশের কৃষকরা যদি সেই কাঠ সরবরাহে সক্ষম হন, তা হলে সরকারের যেমন সাশ্রয় হবে,তেমনই কৃষকদেরও আয় বৃদ্ধি হবে।
পশুপালনের ক্ষেত্রে বিশ্বে পশু প্রতি যে পরিমাণ দুধ উৎপাদিত হয়, সেই তুলনায়ভারতে অনেক কম দুধ উৎপাদিত হয়। কিভাবে গবাদি পশু প্রতিপালন করলে, কোন্ ওষুধখাওয়ালে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কোন্ ধরনের ঘাস খাওয়ালে তাদেরদুধের পরিমাণ বাড়বে। পুরনো কোনও কিছুই আমি ত্যাগ করতে বলছি না, শুধু তার সঙ্গেমূল্য সংযোজন করতে হবে। আজ দুধের প্রয়োজন বেশি হলে কৃষককে দুটোর জায়গায় চারটে বাচারটের জায়গায় আটটা পশু পালন করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন করতে পারলেপশুর সংখ্যা বৃদ্ধি না করেই দুগ্ধ উৎপাদন বাড়ানো যাবে। আমাদের দেশে পশুপালনেরক্ষেত্রে মহিলারাই অধিক সক্রিয়। সেজন্য আধুনিক পশুপালনের স্বার্থে তাঁদের উত্তমপ্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
দেশে প্রথমবার কৃষকের সুরক্ষার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালুকরা হয়েছে। এই কৃষি বিমা যোজনার মাধ্যমে প্রকৃতি রুষ্ঠ হলে, সঠিক উৎপাদন না হলেবিমার পয়সা পাওয়া যাবে। ফসল কাটার পর ক্ষেত থেকে গুদামজাত করা হয়নি, সেরকম সময়ে ১৫দিনের মধ্যে বর্ষা এসে ফসল বিনষ্ট করলে কৃষক তাঁর বিমার টাকা পাবেন। ভারতেপ্রথমবার এরকম ফসল বিমা যোজনা চালু হয়েছে। এতে ১ টাকায় কৃষককে দিতে হবে মাত্র দুইপয়সা, বাকি ৯৮ পয়সার দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। এতে কৃষকরালাভবান হচ্ছেন।
ফলে, আরও অনেক কৃষক ফসল বিমা করাচ্ছেন। যাঁরা সহজেই বিভ্রান্ত হন, তাঁরাএখনও ভুল করে যাচ্ছেন, আর যাঁরা বুদ্ধিমান, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনারসুফল পাচ্ছেন।
আমাদের দেশে প্রতি বছর লক্ষ কোটি টাকার ফল নষ্ট হয়ে যায়। এই অপচয়ের কথামাথায় রেখে আমরা প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্পদা যোজনা চালু করেছি। এর মাধ্যমে উৎপাদিতফলের মূল্য সংযোজন সম্পর্কে কৃষকদের প্রোৎসাহিত ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যেমন –কাঁচা আম বিক্রি করলে যে টাকা পাবেন, পাকা আম বিক্রি করলে তার চেয়ে বেশি পাবেন। আরকাঁচা আমের আচার বানিয়ে বিক্রি করলে আরও বেশি লাভবান হবেন। সেই আচারকে ভালোভাবেমোড়কায়িত করে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করলে আরও বেশি লাভ হবে। তেমনই কাঁচা লঙ্কা লালহলে বিক্রি করলে সবুজ লঙ্কার তুলনায় বেশি লাভ হবে আর লঙ্কার গুঁড়ো বিক্রি করলে আরওবেশি লাভ হবে। দুধ বিক্রি করলে যা লাভ হবে, খোয়াক্ষীর বিক্রি করলে তারচেয়ে বেশিলাভ হবে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্পদা যোজনার মাধ্যমে এই মূল্য সংযোজিত খাদ্যপণ্যেরবিক্রির জন্য নানা জায়গায় ফুড পার্ক গড়ে তোলার প্রকল্প শুরু করেছে। আগামী নভেম্বরমাসে গোটা বিশ্বের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলিকে ডেকে এনে, তাদের কৃষকরাকিভাবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করেন, সে সম্পর্কে আমরা জানব। কৃষকরা যাতে অধিক লাভবান হন, সেজন্য বিশ্বের নামীখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলিরযোগাযোগ গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দকরার কথা ভেবেছে।
ভাই ও বোনেরা, গুজরাটের গ্রামগুলিকে সমৃদ্ধ করতে, কৃষকদের সমৃদ্ধ করতে,দেশের কৃষকরা যাতে এই যোজনার দ্বারা লাভবান হন এবং দেশের গ্রামীণ জীবনে এক নতুনআর্থিক বিপ্লবের বাতাবরণ সৃষ্টি হয় – তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার নানাবহুমুখী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আম্রেলি জেলা যখন সহকারী ক্ষেত্রের মাধ্যমেশ্বেত বিপ্লব, মধু বিপ্লব, নীল বিপ্লব, এপিএমসি, ডেয়ারি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতোঅসংখ্য প্রকল্প চালু করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারাযত এগিয়ে যাবেন, সর্বদাই কেন্দ্রীয় সরকারকে পাশে পাবেন। ভারত সরকারের এই নীতিদ্বারা দেশের যে কোনও জেলা লাভবান হতে পারে। যে কোনও জেলা এগিয়ে আসতে পারে।আম্রেলি ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে, লাভবান হচ্ছে। গুজরাটের প্রতিটি জেলা এর দ্বারালাভবান হোক। আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধুগণ।