“Our tribal brothers and sisters took charge of the change and the government extended all possible help”
“Govind Guru University in Godhra and Birsa Munda University in Narmada make for the finest institutions of higher education”
“For the first time, the tribal society has a feeling of increased participation in development and policy-making”
“The development of places of pride for tribals and places of faith will give a lot of impetus to tourism”

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

আজকের দিনটি গুজরাট এবং সমগ্র দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু আগে আমি মানগড় ধাম দর্শন করেছি। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের এই সময়কালে মানগড় ধামে গোবিন্দগুরু সহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজার হাজার ভাই-বোনেদের আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেয়েছি। আর এখন আমি জাম্বুঘোড়ায় আমাদের আদিবাসী সমাজের এক মহান আত্মত্যাগকে দর্শন করছি। আজ শহীদ জরিয়া পরমেশ্বর, রূপসিন নায়ক, গালালিয়া নায়ক, রাবজিদা নায়ক এবং বাবারিয়া গালমা নায়কের মতো অমর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর এক সুযোগ আমরা পেয়েছি। আজ স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের প্রসার ঘটাতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। এর জন্য যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করা হবে আদিবাসী সমাজ সেগুলির বিষয়ে গর্ববোধ করে। গোবিন্দ গুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনটি আরো সুন্দর হয়েছে। এই অঞ্চলের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আমার পরবর্তী প্রজন্মের ভাই-বোনেরা দেশের পতাকাকে গর্বের সঙ্গে আরো উঁচুতে তুলে ধরবেন। আজ এই প্রকল্পগুলির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যায় আমার ভাই ও বোনেরা এসেছেন। তাঁদের অভিনন্দন জানাই!

ভাই ও বোনেরা,

জাম্বুঘোড়া আমার কাছে নতুন জায়গা নয়। বহুবার এসেছি। যখনই আমি এই জায়গায় আসি তখনই আমার মনে হয় আমি এক পবিত্র ভূমিতে পদচারণা করছি। ১৮৫৭ সালের বিপ্লবকে জাম্বুঘোড়া সহ সমস্ত অঞ্চল নায়েকদা আন্দোলনের মাধ্যে উজ্জীবিত করেছিল। পরমেশ্বর জরিয়াজি এই আন্দোলনকে প্রসারিত করেন। রূপসিন নায়ক তাতে সামিল হয়েছিলেন। ১৮৫৭ সালের বিপ্লবে তাঁতিয়া টোপি ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাঁতিয়া টোপির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বীর বাঁকার লড়াইয়ের কথা ক’জন জানেন? মাতৃভূমির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা এবং মাতৃভূমির জন্য লড়াই করার সাহস তাঁদের ছিল। সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও তাঁরা বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং প্রাণ বিসর্জনে পিছপা হননি। সেদিনের নায়কদের এই গাছের তলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এই পবিত্র ভূমিতে মাথা নত করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি ২০১২ সালে একটি পুস্তক এখানে প্রকাশ করেছি। 

বন্ধুগণ,

গুজরাট জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেছি। শহীদের নামে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে। এইসব স্কুলে যেসব ছেলেমেয়ারা লেখাপড়া করছে তাদের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম শহীদদের বীরত্বের সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা সন্ত জরিয়া পরমেশ্বর এবং রূপ সিং নায়েকের নামে বাদেক এবং ডান্ডিয়া পুরান স্কুলগুলির নামকরণ করেছি। আজ এইসব স্কুলগুলি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত। এই দুই আদিবাসী নেতার অবয়ব উন্মোচনের সুযোগ আমার হয়েছে। শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধে আদিবাসী সমাজের অবদানের স্বীকৃতিও এই বিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে নিশ্চিত হবে। 

ভাই ও বোনেরা,

আজ থেকে ২০-২২ বছর আগে এই আদিবাসী জনপদগুলির অবস্থা কেমন ছিল তা আপানাদের মনে আছে। আজ যাদের বয়স ২০-২২ তাদের কোনো ধারনা নেই সেই সময় কত রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। ২০-২২ বছর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা আদিবাসী এবং আদিবাসী নয় এ ধরনের অঞ্চলের মধ্যে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলেন। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে এখানকার কোনো শিশু যদি স্কুলে যেতে চাইতো তাহলে সেটিও সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়াতো। থাক্কর বাপা আশ্রম থেকে কয়েকটি গাড়ি স্কুল পর্যন্ত যেত। এর পাশাপাশি অপুষ্টি এবং খাদ্যাভাবের সমস্যা তো ছিলই। ১৩-১৪ বছরের মেয়েদের শারীরিক বিকাশ যথাযথভাবে হতো না। কিন্তু ২০-২২ বছর আগে আপনারা যখন আমাকে গুজরাটের সেবা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখন থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন শুরু হয়। আজ সবকা প্রয়াসের ভাবনায় আমরা সেদিনের পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরেছি। আমার আদিবাসী ভাই ও বোনেদের উদ্যোগে তাঁরা আমার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন করেছেন। আজ হাজার হাজার আদিবাসী ভাই-বোন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পরিবর্তনের সুযোগ গ্রহণ করতে পেরেছেন। কিন্তু একটা জিনিস ভুলে গেলে চলবে না, এই পরিবর্তন কিন্তু রাতারাতি হয়নি। এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য আদিবাসী পরিবারগুলি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছেন এবং আমাকে সহায়তা করেছেন। আর এর মাধ্যমে পরিবর্তন এসেছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ১০ হাজার নতুন স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে যা অবিশ্বাস্য। একলব্য মডেল স্কুল, মেয়েদের জন্য বিশেষ আবাসিক স্কুল এবং আশ্রমগুলির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। স্কুল যাওয়ার সময় আমাদের মেয়েরা যাতে বিনামূল্য বাস পরিষেবা পান, তাদের খাবারে যাতে পুষ্টিকর উপাদান থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। 

ভাই ও বোনেরা,

আপনাদের হয়তো মনে আছে জুন মাসে প্রখর গরমে আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কন্যা কেলাবনি রথে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছি। মেয়েরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে তার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনেরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন। একটু ভাবুন, উমরগাঁও থেকে অম্বাজি পর্যন্ত এই আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে কেউ যদি চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, তাঁরা তা পূরণ করতে পারতেন না। এখানে তো কোনো স্কুলে বিজ্ঞানই পড়ানো হতো না। তাহলে কীভাবে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে? আমরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে বিজ্ঞান পড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। আর আজ দু-দশকের মধ্যেই ১১টি বিজ্ঞান কলেজ, ১১টি বাণিজ্য শাখার কলেজ, কলা বিভাগে পঠন-পাঠনের জন্য ২৩টি কলেজ এবং শত শত ছাত্রাবাস তৈরি করা হয়েছে। আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেদের উন্নতির জন্যই এই উদ্যোগ। ২০-২৫ বছর আগে গুজরাটের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে খুব কম স্কুল ছিল। আজ এই অঞ্চলে আদিবাসীদের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গোধরার গোবিন্দগুরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্মদায় বীরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয় যথেষ্ট প্রশংসিত। আদিবাসী সমাজের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে উচ্চশিক্ষা পায় তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গোবিন্দ গুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমেদাবাদের দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচমহল সহ অন্যান্য আদিবাসী অধ্যুষিত জায়গার ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রোন পাইলটের লাইসেন্স দেওয়া হবে। দেশের মধ্যে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে এ ধরনের লাইসেন্স দেওয়া হতো না। এর উদ্যোগের ফলে আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনেরা ড্রোন ওড়াতে পারবেন। বনবন্ধু কল্যান যোজনার মাধ্যমে গত কয়েক দশক ধরে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সমাজের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের বিশেষত্ব হল কোন কোন অঞ্চলে প্রকল্পের প্রয়োজন সেটি গান্ধীনগরে বসে নয়, এখান থেকেই আমার আদিবাসী ভাই-বোনেরা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন। 

গত ১৪-১৫ বছর ধরে আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেদের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। আদিবাসী কল্যাণে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা আসলে বহু রাজ্যের আদিবাসী কল্যাণে বরাদ্দের থেকে অনেক কম। এর মধ্য দিয়ে আদিবাসী সমাজের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, একাত্মতা প্রকাশিত। গুজরাট সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামীদিনে আরো ১ লক্ষ কোটি টাকা এই খাতে বিনিয়োগ করবে। আদিবাসী অধুষ্যিত অঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতে যাতে নলবাহিত জল পৌঁছায় এবং সমগ্র অঞ্চলে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন বিধায়কদের একটিই দাবি ছিল। তাদের অঞ্চলে একটি হ্যান্ড পাম্পের ব্যবস্থা করা হোক। হ্যান্ড পাম্পের প্রস্তাব অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই সেই অঞ্চলে উৎসব শুরু হয়ে যেত। কিন্তু এখন মোদী সাহেব এবং ভূপেন্দ্রভাই প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন। পাঁচমহলের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে দুগ্ধশিল্প পিছিয়ে ছিল। আজ আমাদের সঙ্গে এখানে জেঠাভাই রয়েছেন। এখন পাঁচমহল ডেয়ারী আমুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। উন্নয়নের মাত্রাটা একবার বোঝার চেষ্টা করুন। আমাদের আদিবাসী বোনেদের আয় বাড়াতে, তাদের ক্ষমতায়ণের জন্য আমরা সখি মন্ডল গড়ে তুলেছি। এইসব সখি মন্ডল যাতে আরো বেশি করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পায় আমরা তা নিশ্চিত করেছি। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আজ গুজরাট জুড়ে দ্রুত গতিতে শিল্পায়ন হচ্ছে। আমার আদিবাসী যুবক ভাই-বোনেরা তার সুফল পাচ্ছেন। আজ আপনি যদি হালোল বা কালোলে যান তাহলে দেখতে পাবেন প্রত্যেক কারখানায় ৫০ শতাংশ কর্মী আমার পাঁচমহলের আদিবাসী ভাইয়েরা। আমাদের এই কাজ করতে হয়েছে। নয়তো আগের মতোই আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেরা কচ্ছ-কাথিয়াবাড় অঞ্চলে সড়ক নির্মাণের কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আমরা অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র, আইটিআই ও কিষাণ বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। এখান থেকে ১৮ লক্ষ আদিবাসী যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং চাকরিও পেয়েছেন। আমার প্রিয় আদিবাসী ভাই-বোনেরা ২০-২৫ বছর আগে যে সরকারগুলি ছিল তারা এ বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতো না। আপনারা হয়তো জানেন আবার নাও জানতে পারেন উমারগাঁও থেকে অম্বাজি এবং ডাং অঞ্চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ সিকল সেল অসুখে ভুগতেন। কিন্তু আমরা এই অসুখ থেকে তাদের মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশ জুড়ে এই বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করি এবং এর জন্য প্রচুর বিনিয়োগও করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনাদের আশীর্বাদে আমরা এই সমস্যার নিরসন করতে পারবো। আমরা আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে ছোট ছোট ডিসপেনসারি এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলেছি। মেডিকেল কলেজও খোলা হয়েছে। আমাদের মেয়েরা এখন নার্সিং-এর কোর্সে যোগদান করেছেন। সম্প্রতি আমি দাহোদে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কয়েকটি মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাঁরা জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষার পর তাঁরা বিদেশে চাকরি পেয়েছেন। এখন তাঁরা নার্সিং-এর কাজ করতে বিদেশেও যাচ্ছেন। 

ভাই ও বোনেরা,

নরেন্দ্র-ভূপেন্দ্র ডাবল ইঞ্জিন সরকার আদিবাসী অঞ্চলে ১৪০০র বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আগে ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসার জন্যও শহরে যেতে হতো। এরজন্য সারা রাত ফুটপাতে কাটাতে হত। কেউ যদি তার ওষুধ পেতেন তাহলে তো ভালোই নয়তো তিনি খালি হাতেই ফিরে আসতেন। আমরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করেছি। এখন গোধরা পাঁচমহলে মেডিকেল কলেজ হয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখান থেকে চিকিৎসক হবে। তারা তাদের মাতৃভাষায় লেখাপড়া করার সুযোগও পাবে। অর্থাৎ গরিব ঘরের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের ভাষায় লেখাপড়া করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন। ইংরাজি না জানলেও তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হবে না। এখন গোধরা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দাহোদ, সবরকান্থা, বোনসকান্থা, ভালসাদ, কুমারগাঁও থেকে অম্বাজি পর্যন্ত অঞ্চলে একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি হচ্ছে। 

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের এই উদ্যোগগুলির জন্য আজ আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। অরণ্য বিধি মেনেই এই কাজ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পান তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর সুফল আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। 

ভাই ও বোনেরা,

আপনারা হয়তো জানেন গুজরাটের মধ্যে ডাং হল প্রথম জেলা যেখানে ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত হয়েছে। আমি যদি ভোট রাজনীতিতে বিশ্বাসী হতাম তাহলে আমেদাবাদ, সুরাট, রাজকোট বা ভাদোদরার মতো বড় শহরগুলিতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু আমি আদিবাসী অধ্যুষিত একটি জেলাকে বেছে নিয়েছি কারণ, আমার হৃদয় জুড়ে আমার আদিবাসী ভাই-বোনেরা রয়েছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমরা এই কাজগুলি সম্পন্ন করবো। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের শিল্পায়ন হচ্ছে। এখানে ছেলেমেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। সুবর্ণ করিডরের মাধ্যমে টুইন সিটি উন্নয়ন শুরু হয়েছে। এখন পাঁচমহল ও দাহোদ আর পিছিয়ে নেই। ভাদোদরা, হালোল বা কালোলের মতোই একই সারিতে এই অঞ্চলের উন্নতি হচ্ছে। এখন পাঁচমহলের নগরায়ন হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে আদিবাসী সমাজ বসবাস করেন। এমনটা নয় যে ভূপেন্দ্রভাই এবং নরেন্দ্রভাইয়ের সরকার যখন গঠিত হয়েছে তখন আদিবাসী সমাজের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আচ্ছা বলুন তো ভগবান রামের সময় থেকে কী আদিবাসী সমাজ ছিল না? আমরা শবরী মাতাকে ভুলতে পারি না। সৃষ্টির শুরু থেকেই আদিবাসী সমাজ এখানে রয়েছে। অথচ আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটলজি দিল্লিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগে আদিবাসী সমাজের জন্য কোনো মন্ত্রকই ছিল না। যেহেতু কোনো মন্ত্রক ছিল না তাই আদিবাসীদের জন্য কোনো বাজেট বরাদ্দও ছিল না। আদিবাসী সমাজের প্রতি বিজেপি-র ভালোবাসার জন্য আদিবাসী মন্ত্রক গঠিত হয়েছে। ফলে আদিবাসী কল্যাণে অর্থাৎ বরাদ্দ হয়েছে। বিজেপি সরকার বন্ধনের মতো প্রকল্পের সূচনা করেছে। আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেদের সম্পত্তি এবং ভারতের বিভিন্ন বনাঞ্চলে উপাদিত পণ্য বাজারজাত করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। বৃটিশ আমলে একটি কালা কানুন ছিল যা আদিবাসীদের ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেই আইন অনুযায়ী কেউ বাঁশ অবধি কাটতে পারতো না। গাছ কাটলে জেল হয়ে যেতো। আমি সেই আইনের পরিবর্তন করেছি। বাঁশ তো হল ঘাস জাতীয়। তা তো গাছ নয়। ফলে আজ আদিবাসী ভাই-বোনেরা বাঁশ উৎপাদন করছেন, তা কেটে বিক্রি করছেন। বাঁশ থেকে সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে আমরা ৮০ টির বেশি বনজ সম্পদ সরাসরি কিনে নিচ্ছি। বিজেপি সরকার আদিবাসীদের গর্ব বৃদ্ধি করছে। তাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

ভাই ও বোনেরা,

প্রথমবারের মতো আদিবাসী সমাজ তাঁদের উন্নয়নের জন্য নীতি নির্ধারণের কাজে অংশীদার হয়ে উঠেছেন। আজ আদিবাসী সমাজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সমগ্র শক্তিতে গুজরাটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহান আদিবাসী নেতা ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মদিনটি জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপন করবে। ১৫ নভেম্বর তাঁর জন্মদিনটি দেশজুড়ে জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এইভাবে আমাদের আদিবাসী সমাজের আত্মমর্যাদা, গৌরব ও সাহসের কথা সারা দেশ জানতে পারবে। তাঁরা নিঃস্বার্থ মনের মানুষ এবং পরিবেশ রক্ষক। ডাবল ইঞ্জিন সরকার দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষ এবং আমার আদিবাসী ভাই ও বোনেদের আয় বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা যুব সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা ও অর্থ উপার্জনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি। একইসঙ্গে কৃষকদের সেচের সুবিধা এবং প্রবীণ নাগরিকদের ওষুধের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনো কাজে যাতে ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। গত ১০০ বছরের মধ্যে করোনা ছিল সব থেকে ভয়াবহ মহামারী। সংকটের সেই সময়ে কুসংস্কার নিয়ে বেঁচে থাকাটা খুব কষ্টকর ছিল। আমরা আদিবাসী ভাই-বোনেদের নানা ভাবে সহায়তা করেছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বিনামূল্যে টিকাকরণ নিশ্চিত করেছি। এইভাবে আদিবাসী ভাই-বোনেদের জীবন রক্ষা করা হয়েছে। তাদের ঘরের কোনো শিশু যাতে অভুক্ত না থাকে, কেউ যেন অনাহারে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত আড়াই বছর ধরে ৮০ কোটি ভাই-বোনকে আমরা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করছি। অসুস্থ হলে দরিদ্র পরিবারগুলি যাতে সেরা চিকিৎসা পায় আমরা সেটি নিশ্চিত করেছি। প্রত্যেক পরিবার বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। অর্থাৎ আপনি যদি আরো ৪০ বছর বাঁচেন তাহলে আরো ৪০ গুণ টাকা পাবেন। তবে আমি কখনই চাইবো না আপনারা অসুস্থ হয়ে পড়ুন। যদি অসুস্থ হন তাহলে আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। আমার গর্ভবতী মা-বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ পাঠানো হয় যাতে গর্ভাবস্থায় থাকা তাঁদের শিশু সহ তাঁরা পুষ্টিকর খাবার পান। এর মাধ্যমে গর্ভে থাকা শিশুটির বিকাশ যথাযথ হবে। সে কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হবে না যা পরিবার এবং সমাজ উভয়ের পক্ষেই শুভ হবে। 

ক্ষুদ্র চাষীরা যাতে সার ও বিদ্যুৎ পান সেটি নিশ্চিত করতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। আমাদের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের কৃষক ভাই-বোনেদের অ্যাকাউন্টে বছরে ৩ বার কিষাণ সম্মান নিধির ২ হাজার টাকা ঢোকে। পাথুরে জমিতে দরিদ্র কৃষকরা ভুট্টা বা বাজরার চাষ করেন। তার কৃষিকাজ যাতে আরো ভালোভাবে হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। আজ আন্তর্জাতিক স্তরে সারের দাম বেড়েছে। বিশ্বের বাজারে যে সারের দাম ২ হাজার টাকা তা আমাদের সরকার কৃষকের কাছে ২৬০ টাকায় পৌঁছে দিচ্ছে। এর ফলে তাঁরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। আজ আমরা দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি ও শৌচাগার নির্মাণ করছি। সমাজের বঞ্চিত অংশের মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য গ্যাস ও জলের সংযোগ নিশ্চিত করছি। এরফলে সমাজের সার্বিক বিকাশ হবে। চম্পানর, পাভাগড়, সোমনাথ, হলদিঘাটি সহ বিভিন্ন অঞ্চলে আজ উন্নয়নের জোয়াড় দেখা দিয়েছে। আদিবাসী নায়কদের সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি আমরা তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসকেও শ্রদ্ধা জানাই। পাভাগড়ের মা কালীর কাছে বহু মানুষ আশীর্বাদ চাইতে যান। কিন্তু তাদের অভিযোগ ছিল মন্দিরের চুড়ায় কোনো পতাকা নেই। গত ৫০০ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবনা-চিন্তাও করেন নি। কিন্তু আপনাদের আশীর্বাদে আজ মহাকালের মন্দিরে আমরা পতাকা উত্তোলন করেছি। আপনারা যদি শামলাজিতে যান তাহলে দেখবেন কালিয়াদেবের মন্দিরটি অযত্নে ছিল। কিন্তু আজ সেই মন্দিরেরও সংস্কার করা হয়েছে। আদিবাসী অধ্যুষিত উন্নাই মাতা মন্দির এবং শ্রী অম্বেধামের সংস্কার করা হয়েছে। আমার এই উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলির ফলে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ এই জায়গাগুলি দর্শন করছেন। একইভাবে সাপুতারার উন্নয়ন এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কারনেও আদিবাসী সমাজের আয় বেড়েছে। 

ভাই ও বোনেরা,

মানুষের আয়ের সুযোগ বাড়ানোর জন্য, তাদের ক্ষমতায়নের জন্য আমি কাজ করছি। পাঁচমহল একটি পর্যটন কেন্দ্র। চম্পানড় ও পাভাগড় তাদের প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তির জন্য বিখ্যাত। সরকার এইসব ঐতিহাসিক ক্ষেত্রগুলি দর্শনের জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। একইসঙ্গে জাম্বুঘোড়ার অরণ্য জীবন, হাথনিমাতা জলপ্রপাত ও কারা জলাধার পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। ধনপুরিতে ইকোট্যুরিজম গড়ে তোলা যায়। ধনেশ্বরী মাতা, জন্দ হনুমানজি- কী নেই আমাদের। আমি জানি এ বিষয়ে আপনারা আমাদের থেকে আরো ভালো জানেন। তাই এই অঞ্চলগুলির আমি উন্নতি ঘটাতে চাই।

ভাই ও বোনেরা, 

কীভাবে পর্যটনের বিকাশ ঘটানো যায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো যায়, আমাদের আদিবাসীদের গর্বের জায়গাগুলির উন্নয়ন ঘটানো যায় তা নিয়ে আমাদের ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। নরেন্দ্র-ভূপেন্দ্র ডাবল ইঞ্জিন সরকার একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ অত্যন্ত স্পষ্ট। আর তাই উন্নয়নের গতিকে আমরা কখনই শ্লথ হতে দিতে পারিনা। আমাদের সতর্ক হয়ে এগোতে হবে। এই বিপুল সংখ্যক মা ও বোনেদের আর্শীবাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তাই চিন্তার কোনো কারন নেই। কুমারগাঁও থেকে অম্বাজি পর্যন্ত আমাদের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল, ভালসাদ থেকে মুন্দ্রা পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের অঞ্চল অথবা শহরাঞ্চলে উন্নয়নের গতিতে আরো বাড়াতে হবে। ভারতের উন্নয়নের জন্য গুজরাটের উন্নয়ন প্রয়োজন। আমাদের সাহসী শহীদদের আরো একবার প্রণাম জানাই। তাঁরাই আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।