আজ মধ্যরাত্রে পণ্য ওপরিষেবা কর জিএসটি বলবৎ হল সংসদের বিশেষ অধিবেশনের মধ্য দিয়ে। রাষ্ট্রপতি শ্রীপ্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুনজেটলী এই উপলক্ষে ভাষণ দেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বোতাম টিপে জিএসটিচালু করেন।
এই উপলক্ষে ভাষণকালেপ্রধানমন্ত্রী বলেন এই দিনটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবেপরিগণিত হবে।
সংসদের সেন্ট্রাল হল অতীতেরবহু ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষর হয়েছে বলে তিনি জানান। এর মধ্যে রয়েছে সংবিধানগণ-পরিষদের প্রথম অধিবেশন, ভারতের স্বাধীনতা লাভ এবং সংবিধান গ্রহণের সেই বিশেষমুহূর্তটি। তিনি জিএসটি-কে কো-অপারেটিভ যুক্তরাষ্ট্রীয়বাদের উদাহরণ হিসেবে অভিহিতকরেন।
চাণক্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনিবলেন, কঠোর পরিশ্রম সব বাধা অতিক্রম করতে পারে, আর সবথেকে দুরূহ উদ্দেশ্য সাধনেআমাদের সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, সর্দার প্যাটেল যেমন দেশের রাজনৈতিক ঐক্যসুনিশ্চিত করেছিলনে, জিএসটি তেমন-ই আর্থিক সংহতি নিশ্চিত করবে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানীঅ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে আইনস্টাইন বলতেন আয়কর হলবোঝার পক্ষে বিশ্বের সবথেকে কঠিন সমস্যা। তিনি আরও বলেন জিএসটি এক জাতি এক করব্যবস্হা সুনিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার ফলে প্রচুর সময় ও খরচবাঁচবে। রাজ্যের সীমানা চৌকিগুলিতে দেরির প্রথা উঠে গেলে তার দরুন যে জ্বালানীবাঁচবে তার ফলে পরিবেশও সুরক্ষিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএসটি এমন এক আধুনিককর প্রশাসনের ব্যবস্হা করছে যেটা আরও সহজ, আরও স্বচ্ছ এবং দুর্নীতি রোধে সহায়তাকরে।
জিএসটিকে উত্তম ও সহজ করব্যবস্হা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন এর ফলে মানুষের নানা উপকার হবে।
প্রধানমন্ত্রীঋক বেদ থেকে একটি শ্লোকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য, অভিন্ন সংকল্পইত্যাদির ঐক্য সমাজের পক্ষে পারস্পরিক এবং অংশভাকমূলক সুফল বৃদ্ধি করবে।