প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবং বিশ্ব বস্ত্র মানচিত্রে ভারতকে আদর্শ জায়গা করে দিতে সরকার ৭টি পিএম মিত্র পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২১-২২ এর কেন্দ্রীয় বাজেটে এ ধরনের পার্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর ফাইভ-এফ দূরদৃষ্টি দ্বারা পিএম মিত্র অনুপ্রাণিত। এই ৫টি এফ হ’ল – ফার্ম থেকে ফাইবার; ফাইবার থেকে ফ্যাক্টরি; ফ্যাক্টরি থেকে ফ্যাশন এবং ফ্যাশন থেকে ফরেন। সুপরিকল্পিত এই দৃষ্টিভঙ্গী অর্থ-ব্যবস্থায় বস্ত্র ক্ষেত্রের বিকাশে সহায়ক হবে। ভারতের মতো এরকম সম্পূর্ণ বস্ত্র ইকো সিস্টেম আর অন্য কোথাও নেই।
এই ৭টি সুসংহত বস্ত্র অঞ্চল ও পোশাক পার্ক (পিএম মিত্র) আগ্রহী রাজ্যগুলিতে গ্রিনফিল্ড/ব্রাউনফিল্ড এলাকায় গড়ে তোলা হবে। যে সমস্ত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ১ হাজার একরের বেশি জায়গা সহ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত প্রস্তাব আসবে, সেখানে এই পার্কগুলি গড়ে তোলা হবে। গ্রিনফিল্ড এলাকাগুলিতে পিএম মিত্র পার্কগুলি গড়ে তুলতে পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা এবং ব্রাউনফিল্ড এলাকাগুলির জন্য ২০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এমনকি, পিএম মিত্র পার্কে বস্ত্র উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের জন্য ৩০০ কোটি টাকার প্রতিযোগিতামূলক উৎসাহভাতা দেওয়া হবে। বিশ্ব মানের শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে ১ হাজার একর জমির সংস্থান সহ রাজ্য সরকারগুলির সহায়তা নেওয়া হবে।
গ্রিনফিল্ড পিএম মিত্র পার্কে কেন্দ্রীয় সরকার মোট প্রকল্প খাতে খরচের সর্বাধিক ৫০০ কোটি টাকা বা ৩০ শতাংশ উন্নয়নমূলক মূলধনী সহায়তা দেবে। অন্যদিকে, সবদিক খতিয়ে দেখার পর ব্রাউনফিল্ড এলাকাগুলিতে মোট প্রকল্প খাতে খরচের ৩০ শতাংশ বা সর্বাধিক ২০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণের জন্য পার্কগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং বা তহবিল ঘাটতিতে অর্থের সংস্থান হিসাবে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রতিটি পিএম মিত্র পার্কে ৫০ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণ উৎপাদনমূলক কাজকর্ম, ২০ শতাংশ এলাকা অন্যান্য কাজকর্মে এবং ১০ শতাংশ এলাকা বাণিজ্যিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হবে।
প্রতিটি পিএম মিত্র পার্ক স্পেশাল পার্পাস ভেহিকেল হিসাবে গড়ে তোলা হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে গড়ে তোলা পার্কে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানা থাকবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যৌথভাবে পার্ক গড়ে তোলার শর্তাবলী স্থির করবে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি পিএম মিত্র পার্কে উৎপাদন ইউনিট গড়ে তুলতে উৎসাহিত করার জন্য ৩০০ কোটি টাকার তহবিল যোগাবে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে বস্ত্র শিল্প ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে। সেই সঙ্গে, আর্থিক বিকাশে গতি সঞ্চারের পাশাপাশি, লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। কেবল তাই নয়, পিএম মিত্র পার্ক কর্মসূচি ভারতীয় সংস্থাগুলিকে বিশ্বের অগ্রণী সংস্থা হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।