প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে আজ দশম ভাইব্র্যান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিট, ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন। এ বছরের এই শীর্ষ বৈঠকের মূল ভাবনা হল – ‘গেটওয়ে টু দ্য ফিউচার’ বা ‘ভবিষ্যতের প্রবেশদ্বার’। এবারের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিয়েছে ৩৪ টি দেশ এবং ১৬টি সহযোগী সংগঠন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে লগ্নির সুযোগ সুবিধা বাড়াতে এই বৈঠককে বিশেষ মঞ্চ হিসেবেও ব্যবহার করছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক।

 এই উপলক্ষে প্রথম সারির শিল্পপতিরা বক্তব্য রাখেন। 

 

আর্সেলর মিত্তালের চেয়ারম্যান শ্রী লক্ষ্মী মিত্তাল গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভাইব্র্যান্ট গুজরাটেন তাঁর হাজির থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সামিটকে একটি বড় আন্তর্জাতিক শীর্ষ বৈঠকের রূপ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর এক বিশ্ব এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ-এর বার্তার কথা তুলে ধরেন এবং প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের শক্তিশালী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। দেশের স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে ইস্পাত উৎপাদনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শ্রী মিত্তাল ২০২১-এ আর্সেলর মিত্তাল নিপন স্টিল ইন্ডিয়া হাজিরা সম্প্রসারণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান যে, ২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের প্রথম পর্বের কাজ সম্পন্ন হবে। সেই সঙ্গে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। 

 

জাপানের সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট শ্রী তোশিহিরো সুজুকি প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং দেশে উৎপাদন শিল্পে সহায়তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। ভারতকে গাড়ি শিল্পে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হিসেবে চিহ্নিত করে শ্রী সুজুকি বলেন, দেশের আর্থিক অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাব পড়েছে। সেই সঙ্গে ভারতে প্রথম ইলেকট্রিক যান তৈরির ব্যাপারে তাঁর সংস্থার পরিকল্পনার কথা জানান। ইউরোপীয় দেশগুলি এবং জাপানে রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। 

 

রিলায়েন্স গোষ্ঠীর প্রধান শ্রী মুকেশ আম্বানি ভাইব্র্যান্ট গুজরাট বা প্রাণবন্ত গুজরাটকে আজকের বিশ্বে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিনিয়োগের শীর্ষ বৈঠক হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে এ ধরনের বৈঠকের ধারাবাহিকতার নজির কোথাও নেই। দিন দিন এটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শ্রী আম্বানি বলেন, এটি হল আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা ও ধারাবাহিকতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। প্রাণবন্ত গুজরাটের প্রতিটি শীর্ষ বৈঠকে তাঁর হাজির থাকার কথা জানান শ্রী আম্বানি। গুজরাটের পরিবর্তনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছেন আমাদের নেতা, যিনি আধুনিক কালের শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। ভারতের ইতিহাসে শ্রী নরেন্দ্র মোদীই সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী। যখন তিনি বলেন, তখন গোটা বিশ্ব শুধু বলে না, তাঁর প্রশংসাও করে।’’ প্রধানমন্ত্রী কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেন, তার উল্লেখ করেন শ্রী আম্বানি। তাঁর বাবা ধীরুভাই আম্বানির প্রসঙ্গ টেনে শ্রী মুকেশ আম্বানি বলেন, রিলায়েন্স সবসময় গুজরাটের সংস্থা হয়েই থাকবে। তাঁর কথায়, “রিলায়েন্সের প্রতিটি ব্যবসার লক্ষ্য হল, ৭ কোটি গুজরাটীর স্বপ্নপূরণ।” তিনি জানান, আগামী ১০ বছরে গুজরাটের অগ্রগতিতে রিলায়েন্স লগ্নির মাধ্যমে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বজায় রাখবে। সেই সঙ্গে উন্নতমানের পণ্য তৈরি এবং লক্ষ লক্ষ কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন শ্রী আম্বানি। ‘ভারতের উন্নয়নের জন্যই গুজরাটের উন্নয়ন’ – প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বের উন্নয়নের জন্যই ভারতের উন্নয়ন। বিশ্বের কল্যাণের মন্ত্র নিয়ে আপনি কাজ করে চলেছেন এবং ভারতকে বিশ্বের অগ্রগতির ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করেছেন। গুজরাট থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আপনার দু-দশকের যাত্রা আধুনিক মহাকাব্যের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’ তিনি বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে ভারতকে কোনো শক্তিই আটকাতে পারবে না। প্রত্যেক গুজরাটী এবং প্রতিটি ভারতীয় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, মোদী যুগ ভারতকে সমৃদ্ধি, প্রগতি এবং গৌরবের নতুন শিখরে পৌঁছে দেবে।”

 

আমোরিকার মাইক্রন টেকনোলজিসের সিইও শ্রী সঞ্জয় মেহরোত্রা, সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে মোদীর দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশংসা করেন এবং ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে আনার ক্ষেত্রে একে আর্থিক চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। গুজরাটে বিশ্বমানের সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহায়তার প্রশংসা করে শ্রী মেহেরোত্রা বলেন, ৫ লক্ষ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে কাজ শুরু করবে। 

 

আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান শ্রী গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রীর অনন্যসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশংসা করেন এবং দেশ জুড়ে সমৃদ্ধির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দেন। ভারতের শিল্প মানচিত্রের পুনর্গঠনে রাজ্যগুলির অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন শ্রী আদানি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের জিডিপি বেড়েছে ১৮৫ শতাংশ এবং মাথা পিছু আয় বেড়েছে ১৬৫ শতাংশ, যা অতিমারির চ্যালেঞ্জ এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক সৌর জোট, ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। শ্রী আদানি বলেন, আগামী দিনের বিশ্বের ভবিষ্যৎ গড়ার পথে ভারত। আগামী ৫ বছরের মধ্যে গুজরাটে আদানি গোষ্ঠীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লগ্নির কথা ঘোষণা করেন তিনি। এর ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এক লক্ষের বেশি কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি। 

 

টাটা সন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান শ্রী এন চন্দ্রশেখরন গুজরাটে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক ও নজরকাড়া অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা ও দূরদৃষ্টিমূলক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আর্থিক উন্নয়নের ফলে সামাজিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে এবং ভবিষ্যতের প্রবেশদ্বার হিসেবে গুজরাট নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গুজরাটে টাটা গোষ্ঠীর ২১ টি সংস্থার উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। 

 

ডিপি ওয়ার্ল্ড-এর চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে ভারতের প্রধান ব্যবসায়িক ক্ষেত্র হিসেবে উঠে এসেছে গুজরাট। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। ভারত এবং  সংযুক্ত আরব আমির শাহির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আর্থিক চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে গুজরাটে তাঁর দেশ ২.৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি লগ্নি করেছে। গত বছর গুজরাট থেকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানির কথা উল্লেখ করেন তিনি। 

 

জেরোদ্ধা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সিইও নিখিল কামাথ একজন শিল্পোদ্যোগী হিসেবে গত দু-দশকে নিজের যাত্রার কথা উল্লেখ করেন এবং দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে স্টার্ট আপ এবং ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি ঘটেছে। এর জন্য তিনি যাবতীয় কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। 

 

Shri Shankar Trivedi, Sr VP Nvidia noting the growing importance of generative AI recalled that PM Modi invited Mr. Jensen Huang, the CEO of Nvidia to deliver a lecture to the leaders to senior members of the Indian government and said that “it was the first time that a global leader actually talked about AI. Thanks to the leadership of Prime Minister Modiji, it has been a catalyst of adoption of generative AI in India and also here in Gujarat. Explaining Nvidia’s forays into skill development regarding generative AI, he said that ‘India has talent, scale and amazing data and unique culture”. He also underlined Nvidia’s support for Make in India.

 

Nikhil Kamat, Founder and CEO of Zerodha, threw light on the overall development of the country over the past two decades as he drew an analogy to his journey as an entrepreneur. He remarked that the last 10 years have been incredible as he hailed the country’s startup ecosystem and the rise of small entrepreneurs and ecommerce which was not the case 10 years ago. He credited the Prime Minister for facilitating a stable ecosystem allowing startups to thrive.

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.