ভারত ছাড়োআন্দোলনের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ লোকসভায় এক বিশেষ বক্তব্য পেশ করেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি তাঁরবক্তব্যে বলেন যে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মতো ঘটনাগুলির স্মৃতিচারণ আমাদের মধ্যেপ্রেরণার সঞ্চার করে। এই ধরনের আন্দোলনের উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বহনকরে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেশের বর্তমান প্রজন্মের।
মহাত্মাগান্ধীর মতো প্রবীণ নেতাদের স্মৃতিচারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারত ছাড়োআন্দোলনের সূচনায় তাঁরা কারারুদ্ধ হলেও ঐ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যশূণ্যতা পূর্ণ করে এক নতুন প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ।
দেশেরস্বাধীনতা আন্দোলন অনেকগুলি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের পরথেকে যে সমস্ত নেতাদের দেশ অনুসরণ করেছিল, তাঁদের স্মৃতিচারণার পাশাপাশি সেইসময়কার বিভিন্ন আন্দোলনের কথাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন তাঁর এদিনের বক্তব্যে।তিনি বলেন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা ১৯৪২ সালে। নিঃসন্দেহে এটি ছিল এক সফলআন্দোলন। ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ মহাত্মা গান্ধীর এই বলিষ্ঠ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমাজেরসর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই আন্দোলনে। রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ মানুষ –প্রত্যেকের মধ্যেই সঞ্চারিত হয়েছিল এক নতুন শক্তি। আর এইভাবেই স্বাধীনতার লক্ষ্যপূরণে অতিক্রম করতে হয়েছে পাঁচ পাঁচটি বছর। সমগ্র জাতি একটি সাধারণ সঙ্কল্প নিয়েঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশিষ্টলেখক রামবৃক্ষ বেণীপুরী এবং কবি সোহনলাল দ্বিবেদীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী সেইসময়কার সাধারণ আবেগকে ভাষায় মূর্ত করেন তাঁর আজকের ভাষণে।
তিনি বলেন,ভারতের এখন প্রয়োজন দুর্নীতি, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং অপুষ্টির মতোচ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করা। এজন্য জরুরি এক ইতিবাচক রূপান্তর প্রচেষ্টা এবং অভিন্নএক সঙ্কল্পের। স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীদের ভূমিকার কথাও এদিন তাঁর বক্তব্যে তুলেধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমান যুগেও আমাদের সাধারণ লক্ষ্য ওউদ্দেশ্যগুলির পূরণে অফুরন্ত শক্তির যোগান দিতে পারেন দেশের নারীরা।
প্রসঙ্গত,সকলের অধিকার ও কর্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শ্রী মোদী বলেন, আমাদেরঅধিকারগুলি সম্পর্কে যেমন আমরা সচেতন, সেরকমভাবেই আমাদের কর্তব্যগুলিও বিস্মৃত হলেচলবে না। এই দুটি বিষয়কে করে তুলতে হবে আমাদের জীবনযাপনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, ঔপনিবেশিকতার সূত্রপাত যেমন এদেশে হয়েছে, স্বাধীনতা লাভের সঙ্গে সঙ্গে তার অবসানওঘটেছে। এই ঘটনাকে অনুসরণ করে ঔপনিবেশিকতার পতন ঘটে এশিয়া এবং আফ্রিকাতেও।
১৯৪২ সালের বিশ্ব পরিস্থিতি যে ভারতের স্বাধীনতা লাভের এক অনুকূল পটভূমিগড়ে তুলেছিল, একথার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিওকিন্তু রয়েছে ভারতেরই অনুকূলে। ১৮৫৭ থেকে ১৯৪২ – এই সময়কালের আন্দোলন ছিল ক্রমপর্যায়ের।কিন্তু ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭-এর আন্দোলনের প্রকৃতি ছিল রূপান্তরমুখী, যার ফলে আমাদেরনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ সম্ভব হয়ে ওঠে। ২০১৭-২০২২ – এই পাঁচ বছরেস্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নের ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে কোন ধরনের মতপার্থক্যেরঊর্ধ্বে উঠে সাংসদদের ঐকান্তিকভাবে সচেষ্টহওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী । দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্তির কাল হল ২০২২ সাল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪২ সালের বলিষ্ঠ আহ্বান ছিল ‘করেঙ্গে ইয়ামরেঙ্গে’। কিন্তু আজকের দিনে এই ডাক হওয়া উচিৎ ‘করেঙ্গে অউর করকে রহেঙ্গে’।সেইসঙ্গে, আগামী পাঁচ বছরে ‘সঙ্কল্প থেকে সিদ্ধি’তে উত্তরণের জন্য আমাদের শপথগ্রহণ করতে হবে। আর এইভাবেই আমরা উপনীত হতে পারব আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে।
দুর্নীতি দমনে, দরিদ্র মানুষদের কাছে তাঁদের অধিকার পৌঁছে দিতে, দেশেরযুব সমাজের জন্য স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারে, অপুষ্টির অবসানে, নারীরক্ষমতায়নের পথে যাবতীয় বাধা দূর করতে এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যেপ্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সঙ্কল্প গ্রহণের জন্য :
· আমরা সকলে মিলে একসাথে ভ্রষ্টাচার দূর করবএবং এই কাজে আমরা নিরন্তরভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
· আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যায্য অধিকারপৌঁছে দেব দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে এবং এই কাজেও আমরা অবিচল থাকব।
· দেশের তরুণ ও যুবকদের কাছে স্বনির্ভরকর্মসংস্থানের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবএবং এই কাজও আমরা করে যাব নিরলসভাবে।
· অপুষ্টির সমস্যা থেকে দেশকে মুক্ত করতেআমরা কাজ করে যাব ঐক্যবদ্ধভাবে এবং এই কাজেও আমরা অটুটভাবে সঙ্কল্পবদ্ধ থাকব ।
· নারীর বিকাশে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূরকরার কাজেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অটুট থাকবে; এবং
· দেশ থেকে অশিক্ষা দূর করার কাজেও আমরা সকলেএকযোগে সঙ্কল্পবদ্ধ থাকব।
This is a special occasion - we remember the Quit India movement. Remembering such movements gives us strength as a nation: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
It is important for the younger generation to know about historical events like the Quit India movement: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
The Quit India movement marked the rise of a new leadership. They supported Mahatma Gandhi during the movement: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
The Indian freedom struggle witnessed participation from a wide range of individuals over several years: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
People followed the clarion call of Mahatma Gandhi of 'Do or Die' : PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
Our freedom was not only about our country. It was a defining moment in bringing an end to colonialism in other parts of the world too: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
The menace of corruption has adversely impacted our development journey: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
Poverty, lack of education & malnutrition - these are big challenges our nation faces. We need to bring a positive change in this regard: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
In the freedom struggle of India, the role of women was important: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
From 2017 to 2022, when India turns 75, we need to create the same spirit that existed from 1942 to 1947: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017
In 1942 the clarion call was 'Karenge Ya Marenge' - today it is 'Karenge Aur Kar Ke Rahenge.' These 5 years are about #SankalpSeSiddhi: PM
— PMO India (@PMOIndia) August 9, 2017