তাঁর কাজের ফর্দ ওঘোরাঘুরির বহরের দরুন, এটাই স্বাভাবিক যে সিনেমা দেখার সময় নরেন্দ্র মোদীর সত্যিইকখনও ছিল না । শ্রী মোদী তাই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “ ছায়াছবি দেখার দিকে আমার তেমন কোন ঝোঁক নেই । কম বয়সে কৌতুহলের বশে,সিনেমা দেখতাম । তবে নিছক বিনোদনের তাগিদে ছবি দেখতে যাওয়াটা আমার ধাতে ছিল না কখনই । বরং সেসব সিনেমার কাহিনিতেজীবনের জন্য শিক্ষার খোঁজ করাটাই ছিল আমার স্বভাব । মনে পড়ে যে একসময় আর কেনারায়নের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি জনপ্রিয় হিন্দি ছবি গাইড দেখতে যাই আমার জনাকয়েকশিক্ষক ও বন্ধুর সঙ্গে । সিনেমা দেখার শেষে বন্ধুদের সঙ্গে আমার বাধে জোর তর্ক । আমার বক্তব্য ছিল চূড়ান্তপর্যায়ে প্রত্যেককে গাইড বা পরিচালনা করে তাঁর অন্তরাত্মা । কিন্তু আমার বয়স খুব কমথাকায় তারা তেমন একটা পাত্তা দেয়নি আমার কথাকে । ” গাইড সিনেমাটি আর একটি কারণে দাগ কেটেছিল তাঁর মনে- খরার কঠোর বাস্তবতা এবংজলের অভাবে চাষিদের অসহায়তার ছবি । পরে, তাঁর সামনে সুযোগ এলে, তিনি গুজরাটে তাঁর আমলে একটা বড় সময় ব্যয় করেন জলসংরক্ষণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্হা গড়ে তুলতে । তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বকালেওতিনি এই কর্মসূচিকে নিয়ে এসেছেন জাতীয় স্তরে ।
কাজে ডুবে থাকা ও নির্বাচিত হওয়ার পর সেই পদের দায়িত্বভার তাঁর কাছে প্রথমঅগ্রাধিকার পাওয়ায়, শ্রী মোদীর পক্ষে সিনেমা দেখার ফুরসত আর ছিল না । তিনি অবশ্য কৃষ্টি ও কলাজগতের খোঁজখর রাখতেন সব সময় । আমাদের সার্বিক কৃষ্টি চেতনায় শিল্পীদের অবদানকে যথেষ্ট স্বীকৃতি দিয়ে শ্রীমোদী গুজরাটে ঘুড়ি উ ৎসবের মত উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ শুরু করেন । ইন্ডিয়া গেটের লাগোয়া রাজপথ লনে অধুনা অনুষ্ঠিত ভারত পর্বও তাঁরই চিন্তাভাবনারফসল ।
আর শ্রী মোদীর কিকোন প্রিয় গান আছে ? সংগে সংগেই মনে পড়ে যাবে ১৯৬১ সালের ছবি ‘ জয় চিত্তোর ’ -এর কথা যেখানে লতামঙ্গেশকর গেয়েছিলেন,-
“ হো পবন বেগ সে উড়নে ওয়ালে ঘোড়ে ”
ভারত ব্যাসের প্রেরণাময় গীতি যেভাবে এস এন ত্রপাঠীর সুরসৃষ্টির জাদুতে বাঁধাপড়েছে তা দীর্ঘদিন ধরে শ্রী মোদীর প্রিয়-
“ তেরে কন্ধো পে আজ ভার হ্যায় মেবার কা, করনা পড়েগাতুঝে সামনা পাহাড় কা... হন্দীঘাটি নহি হ্যায় কাম কোই খিলওয়াড় কা, দেনা জবাব বঁহাশোরোকে দহাড় কা... ”
দিব্যাঙ্গ শিল্পী দিয়া গোসাইয়ের জন্য, সৃজনশীলতার একটি মুহূর্ত লাইফ-চেঞ্জিং অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভদোদরা রোডশো চলাকালীন, দিয়া গোসাই প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্পেন সরকারের রাষ্ট্রপতি মিঃ পেড্রো স্যাঞ্চেজের স্কেচ উপহার দিয়েছেন। উভয় নেতা ব্যক্তিগতভাবে তাঁর আন্তরিক উপহার গ্রহণ করেছিলেন, যা তাঁকে অত্যন্ত আনন্দিত করেছিল।
সপ্তাহ পরে, ৬ নভেম্বর, দিয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পেয়েছেন, যাতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর শিল্পকর্মের প্রশংসা করেছেন এবং মাননীয় স্যাঞ্চেজও কীভাবে তার প্রশংসা করেছেন তা শেয়ার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে উৎসর্গের সঙ্গে চারুকলায় মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করেছেন এবং "বিকশিত ভারত" গঠনে যুবসমাজের ভূমিকার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত স্পর্শ প্রদর্শন করে তাঁর পরিবারকে দীপাবলি এবং নববর্ষের উষ্ণ শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
আনন্দে অভিভূত হয়ে দিয়া তার বাবা-মা-কে চিঠিটি পড়ে শোনান, তাঁরা আনন্দিত হয়েছিলেন যে সে পরিবারের জন্য এত বিশাল সম্মান এনেছেন। দিয়া বলেন, "আমি আমাদের দেশের একটি ছোট অংশ হতে পেরে গর্বিত। মোদীজি, আমাকে আপনার ভালবাসা ও আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ"। দিয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি পেয়ে সে তাঁর জীবনে সাহসী পদক্ষেপ নিতে এবং অন্যদেরও একই কাজ করতে উৎসাহিত করতে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পদক্ষেপটি দিব্যাঙ্গদের ক্ষমতায়ন এবং তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতি তাঁর অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। সুগম্য ভারত অভিযানের মতো অসংখ্য উদ্যোগ থেকে শুরু করে দিয়ার মতো ব্যক্তিগত সংযোগ পর্যন্ত, তিনি অনুপ্রেরণা ও উন্নতি অব্যাহত রেখেছেন, যা প্রমাণ করে যে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনে প্রতিটি প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ।
Letters from PM | Diya Gosai
— Modi Archive (@modiarchive) December 3, 2024
Diya’s eyes widened as she saw an emblem on the envelope - it was a letter from the Prime Minister’s Office!
As she read the letter, she was overwhelmed with emotions.
“It was an indescribable joy to receive the beautiful picture gift from you… pic.twitter.com/PhARnN9ecC