QuoteOur efforts are aimed at transforming India and ensuring everything in our nation matches global standards: PM 
QuoteIndia has always contributed to world peace; our contingent in the UN Peacekeeping Forces is among the biggest, says Prime Minister Modi 
QuoteIndia is the land of Mahatma Gandhi; peace is integral to our culture: PM 
QuoteWe must make efforts to ensure 21st century becomes India’s century: PM Narendra Modi

আপনাদের সঙ্গে দেখা না করে যদি চলে যেতাম, তা হলে আমার সফর অসম্পূর্ণ থাকত।কত দূরদূরান্ত থেকে নিজেদের সময় বের করে আপনারা এখানে এসেছেন। আজ কাজের দিন হওয়াসত্ত্বেও এসেছেন। এটা ভারতের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা ও অন্তরের টান থেকে আজ সবাইএক ছাদের নীচে একত্রিত হয়েছেন। আমি সবার আগে আপনাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতেচাই। আমি ভারতের বাইরে যেখানেই যাই, সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করারচেষ্টা অবশ্যই করি। কিন্তু আজ আপনারা যে নিয়মানুবর্তিতা দেখিয়েছেন, সেজন্য আপনাদেরঅনেক অনেক ধন্যবাদ। এই একটি গুণের মধ্যে এত বড় শক্তি অন্তর্নিহিত যে, দেশ থেকে এতদূরে এসে এই বিপুল সংখ্যক ভারতীয়দের এক জায়গায় দেখতে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত,সেজন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। 
  

এদেশে আমি প্রথমবার এলাম। এই আসা ভারত ও ফিলিপিন্সের সম্পর্কের ক্ষেত্রেঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যেদিন আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন,সেদিন থেকেই আমি ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ গ্রহণ করেছি। কারণ, ভারতের পূর্ব প্রান্তেরএই দেশগুলির সঙ্গে আমরা অনেক বেশি আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা অনুভব করি। কোনও না কোনওকারণে আমাদের মধ্যে একটি ঐতিহ্যগত আবেগের সম্পর্ক আছে। পূর্ব এশিয়ার এমন কোনও দেশনেই, যারা রামায়ণ সম্পর্কে জানেন না, যেখানে রাম অপরিচিত। এমন কোনও দেশ নেই, যারাবুদ্ধকে শ্রদ্ধা করে না। ভারতের সঙ্গে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এই ঐতিহ্যগত মিল যুগযুগ ধরে আমাদের আত্মিক সম্পর্ককে মজবুত করে রেখেছে। এই ঐতিহ্যকে যথাযথভাবে সংরক্ষণকরা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সঞ্চারিত করার দায়িত্ব বহন করছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।এক্ষেত্রে ভারতীয় দূতাবাস যতটা কাজ করতে পারে, তারচেয়ে অনেক গুণ দায়িত্ব নির্বাহেরসামর্থ্য রয়েছে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে। আমি এখন অনুভব করি যে, সারা পৃথিবীতে আজপ্রত্যেক ভারতীয় গর্বের সঙ্গে অন্যদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছেন। এটা যে কোনওদেশের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূরণ বিষয়। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকাভারতীয়রা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর ভারতীয়দেরএকটি বৈশিষ্ট্য হ’ল – আমরা যেখানেই যাই, সেই অঞ্চলকে আপন করে নিই। এটা কম কথা নয়।সবাই অন্যকে আপন করে নিতে পারে না। নিজের মধ্যে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকলেই অপরকে আপনকরে নেওয়া যায়। যাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরে অন্য দেশে আছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণেনতুন প্রজন্ম মাতৃভাষায় কথা বলা ভুলে গেছেন, তবুও ভারতে খারাপ কিছু হলে আপনারাওবিনিদ্র রজনী কাটান। আর ভারতের কিছু ভালো হলে আপনারাও গর্বিত হন। সেজন্য ভারতেরবর্তমান সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে এমন উচ্চতায় পৌঁছে দিতেচাইছে, যাতে আমরা সকল ক্ষেত্রে বিশ্ব মানের হয়ে উঠি। এই সমকক্ষ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াঅত্যন্ত সমস্যাসঙ্কুল। কিন্তু একবার সেইসব বাধা অতিক্রম করে সেই উচ্চতায় পৌঁছতেপারলে সমানে সমানে খেলার ময়দান পাওয়া যায়। আর ভারতীয়দের হৃদয়, মস্তিষ্ক ও বাহুতেসেই সামর্থ্য রয়েছে যে, একবার সমানে সমানে খেলতে পারলে তাঁদের অগ্রগতিকে আর কেউআটকাতে পারবে না। আর সেজন্য বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে বর্তমান সরকার দেশের ১২৫ কোটিজনগণের শক্তি, সামর্থ্য প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নিরন্তরউজ্জীবনের মাধ্যমে নতুন ভারতে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। যে কোনও যুগেইভারতীয়রা কারও থেকে পিছিয়ে ছিল না। ১০০ বছর আগে, ৫০০ বছর আগে, ১,০০০ বছর আগে,৫,০০০ বছর আগে ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনা সাক্ষী যে, আমাদের দেশবাসী কখনো কারও অনিষ্টকরেননি। 

|

আমি যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেসব দেশের নেতৃবৃন্দকে বলি যে,ভারতীয়রা কখনও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব নিয়ে কোনও দেশ আক্রমণ করেনি। অথচ, প্রথমবিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেড় লক্ষেরও বেশি ভারতীয় সৈনিক বিশ্বে শান্তিস্থাপনের লক্ষ্যে শহীদ হয়েছেন। তাঁরা অন্য কোনও দেশে নিজেদের জাতীয় পতাকা পুঁততেযাননি।  
  

আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তি সেনায় সর্বাধিক শৌর্যের সঙ্গে যে দেশেরসৈনিকরা সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছে, সেদেশের নাম ভারত। সেজন্য বিশ্বের যে কোনওস্থানে বসবাসকারী ভারতীয় গর্ব করতে পারেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে চরম অশান্তি ওরাষ্ট্র বিপ্লবে শান্তি সেনার ভূমিকায় সর্বাধিক বিশ্বস্ততার সঙ্গে সাফল্যেরঅধিকারি ভারতীয় সেনাদল আজও পৃথিবীর অনেক দেশে মোতায়েন রয়েছেন। বুদ্ধ ও গান্ধীরদেশের সৈনিকদের কাছে শান্তি নিছকই একটি শব্দ নয়, আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি, কি করেশান্তিতে বাঁচতে হয়, শান্তি আমাদের শিরা ও ধমনীতে প্রবাহিত। কারণ, আমাদের পূর্বজরাবলে গেছেন, বসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটি পরিবার – এই মন্ত্র তাঁরাআমাদের দিয়ে গেছেন। কিন্তু তত্ত্বজ্ঞানে যত গভীরতাই থাকুক না কেন, যত উচ্চ মানেরইহোক না কেন, ঐতিহ্য যত মহানই হোক না কেন, বর্তমান ততটাই উজ্জ্বল, তেজস্বী ওপরাক্রমী হলে তবেই বিশ্ববাসী সেই সামর্থ্যকে স্বীকার করে নেয়। আজ দীর্ঘকাল পরবিশ্ববাসী ভারতের এই সামর্থ্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। আর সেজন্য আমরা আমাদেরগৌরবময় অতীত থেকে প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। একবিংশ শতাব্দীকে যেহেতু এশিয়ারশতাব্দী বলে মানা হচ্ছে, আমাদের কর্তব্য হ’ল – নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য দিয়েএকবিংশ শতাব্দীকে ভারতের শতাব্দী করে গড়ে তোলা। এটা আমার কাছে খুব কঠিন বলে মনে হয়না। তিন-সাড়ে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটা সম্ভব। এই সময়কালে প্রতিদিন কোনওনা কোনও ইতিবাচক সংবাদে সরকার ও জনগণের সম্পর্ক পুনর্নবীকৃত হয়েছে। এখন আর একথাভেবে ভয় হয় না, কোনও নেতিবাচক ঘটনা ঘটলে অফিসে গিয়ে কিভাবে মুখ দেখাবো। এখনপ্রতিদিন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘর থেকে বাইরে পা রাখি। ভারত থেকে এখন শুধুসুখবরই আসবে। এখন দেশে প্রতিটি সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে, উন্নয়নের কথাভেবে নেওয়া হচ্ছে।  
  

স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও যদি দেশের ৩০ কোটি পরিবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকেদূরে থাকে, তা হলে দেশের অর্থনীতি কিভাবে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমরাসরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেই প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা শুরু করেছি। এর মাধ্যমেগরিব মানুষ জিরো ব্যালেন্সে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছেন। এই অসংখ্যঅ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের খুব কষ্ট হয়েছে। ম্যানিলায় ব্যাঙ্কগুলিকেমনভাবে চলে সে সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। সরকারের সিদ্ধান্ত জেনে ভারতীয়ব্যাঙ্কগুলি আমার কাছে আবেদন রেখেছিল, যাতে স্টেশনারি বাবদ ন্যূনতম অর্থ সংগ্রহকরতে দেওয়া হয়। কিন্তু আমি বলেছি যে, এই প্রক্রিয়া দেশের গরিবদের অধিকার প্রদানেরপ্রক্রিয়া। তাঁরা যেন সসম্মানে এক টাকাও জমা না রেখে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতেপারেন, সে ব্যবস্থা আপনাদের করতেই হবে। এতদিন গরিব মানুষ ব্যাঙ্কের সামনে দু’জনবন্দুকধারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভয়েই সেদিকে পা রাখতেন না। তাঁরা ভাবতেন যে, ঐশীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্কগুলি আমাদের জন্য নয়। তাঁরা সুদখোর মহাজনদের কাছে গিয়ে হাতপাততেন। আর ঐ সুদখোর মহাজনেরা তাঁদের সঙ্গে কি ব্যবহার করত, তা আপনারা ভালোভাবেইজানেন! আমরা ৩০ কোটি দরিদ্র দেশবাসীকে জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলার অধিকারদিলাম। কিন্তু শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, আপনারা অনেক বড়লোকি চাল দেখেছেন, বড়লোকদেরঅন্তরের দারিদ্র্য দেখেছেন, কিন্তু আমি এই প্রকল্পের অভিজ্ঞতায় গরিব মানুষের মনেরঐশ্বর্য দেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমার দেশের গরিবরা মনেরঐশ্বর্যে অনেক ধনী। বাড়ির মেয়েরা, মায়েরা আগে গমের ভাঁড়ারে সামান্য সাশ্রয় করাটাকা লুকিয়ে রাখতেন, বিছানার তোষকের নিচে লুকিয়ে রাখতেন, যাতে অতিরিক্ত টাকা হাতেপেয়ে বাড়ির ছেলেরা কোনও বাজে খরচ না করে, তাঁদের স্বভাব খারাপ না হয় সেই ভেবে মাবোনেরা টাকা লুকিয়ে রাখতেন। এখন সুযোগ পেয়ে তাঁরা নতুন খোলা ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সেইসাশ্রয় করা টাকা রাখলেন, মোট ৬৭হাজার কোটি টাকা জন ধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে।এভাবে স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশের অর্থব্যবস্থার মূলধারায় দেশের গরিবরাও সক্রিয়অংশগ্রহণ করলেন। এখন আর এই ঘটনাকে কেউ ছোট পরিবর্তন বলতে পারবেন না। যে শক্তি ওসামর্থ্য এযাবৎ ব্যবস্থার বাইরে ছিল তা আজ ব্যবস্থার কেন্দ্রে চলে এসেছে। 

|

এমনি অনেক উদ্যোগ আমরা নিয়েছি; যা নিয়ে আগে কখনও আলোচনা হয়নি, যা হতে পারেএমনটি কেউ কল্পনাও করেননি। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে দেশ যেমন চলছে তেমনি চলবে। কেনভাই, সিঙ্গাপুর পরিচ্ছন্ন শহর হতে পারে, ফিলিপিন্স পরিচ্ছন্ন দেশ হতে পারে,ম্যানিলা পরিচ্ছন্ন শহর হতে পারে, তা হলে ভারত পরিচ্ছন্ন দেশ হতে পারবে না কেন?দেশে এমন নাগরিক কি কেউ আছেন, যিনি পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করেন না! অপরিচ্ছন্নতাকেউ পছন্দ করেন না। কিন্তু উদ্যোগ নিতে হ’ত, দায়িত্ব নিতে হ’ত, সাফল্য-অসাফল্যেরকথা না ভেবে শুরু করতে হ’ত – এটাই কেউ করেন না। মহাত্মা গান্ধী যে অবস্থায় ছেড়েগিয়েছিলেন, আমরা সরকারে দায়িত্ব নিয়ে সেখান থেকেই কাজ শুরু করেছি। অত্যন্ত গর্বেরসঙ্গে বলছি, ইতিমধ্যেই ভারতে ২ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম খোলা মাঠে প্রাকৃতিককর্মমুক্ত ঘোষিত হয়েছে। তার মানে এতগুলি গ্রামে সাধারণ মানুষের জীবনমানে সুনিশ্চিতপরিবর্তন এসেছে।  

  

আপনাদের মধ্যে যাঁরা ২০-২৫-৩০ বছর আগে ভারত থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁদেরসঙ্গে যদি আজও ভারতের সম্পর্ক থেকে থাকে, তা হলে পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন।আপনারা দেশ ছাড়ার আগে দেখেছেন, দেশে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগপেতে কত কাঠখড় পোড়াতে হ’ত। কারও বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ এলে প্রতিবেশীরা এভাবেভীড় জমাতেন যেন মার্সিডিজ গাড়ি এসেছে। আমাদের দেশের প্রত্যেক সাংসদ ২৫টি করে কুপনপেতেন, তার মাধ্যমে তাঁরা নিজের নির্বাচনী এলাকায় ২৫টি পরিবারকে সন্তুষ্ট করতেপারতেন। কিন্তু তাঁরা অনেকেই এই রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে কিরকমদুর্নীতির আশ্রয় নিতেন, তা আপনারা খবরের কাগজে পড়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভানির্বাচনের আগে একদিকে বিজেপি আর অন্যদিকে শাসক দল কংগ্রেস ছিল ঐ নির্বাচনীপ্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তখনশাসকদলের পক্ষ থেকে একটি সভা হয়েছিল, যে সভায় দেশবাসী প্রতীক্ষা করছিলেন, কারনেতৃত্বে শাসকদল ঐ নির্বাচন লড়বে, সেটা জানার জন্য। সেই সভায় শাসকদলের বড় বড়নেতারা বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান যে, আমরা যদি নির্বাচনেজয়ী হই, তা হলে এখন যেমন বছরে পরিবার পিছু ৯টি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়, তার বদলে১২টি সিলিন্ডার দেব। এই ঘোষণা শুনে দেশবাসী খুশিতে হাততালি দিয়েছিলেন। 

  

নির্বাচনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করে আমরা ঠিক করি যে, দেশের গরিব পরিবারগুলিকেবিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। তখন দেশের মোট ২৫ কোটি পরিবারের মধ্যে৫ কোটি পরিবার দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করতেন। আমরা সেই অভিযান শুরু করি আরইতিমধ্যেই ৩ কোটি পরিবারের রান্নাঘরে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের পৌঁছে দিতেপেরেছি। আগে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি নিয়ে অনেক গালভরা কথা বলা হ’ত। আমরা এইভর্তুকিকে প্রাপকের আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করে দিলাম। বায়ো-মেট্রিকপরিচিতির ছাঁকনিতে এক্ষেত্রেও অনেক ভুতুড়ে প্রাপকের হদিশ পাওয়া গেল না, অনেকদুর্নীতি ধরা পড়ল। ফলস্বরূপ, দেশের রাজকোষে ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হ’ল।তারমানে প্রতি বছর এই ৫৭ হাজার কোটি টাকা কাদের পকেটে যেত, সেটা আপনারা অনুমানকরতে পারেন! তারা কি মোদীকে পছন্দ করবে? আপনারাই বলুন, আমরা কি তাদের ভয় পেয়ে চলব?বর্তমান সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তে আমরা এভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছি। 

  

আপনারা এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাকে যেভাবে আশীর্বাদ প্রদানকরেছেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, যে উদ্দেশ্যে দেশ আমার মতো একজন সামান্যমানুষকে নেতৃত্বের সুযোগ দিয়েছে, আমি সেই উদ্দেশ্য পূর্তিতে কোনও খামতি রাখব না।২০১৪ সালের আগে খবরের কাগজে কী পড়তেন? কয়লাখনির দুর্নীতিতে কত হাজার কোটি টাকা,২জি দুর্নীতিতে কত হাজার কোটি টাকা, দেশের রাজকোষ থেকে খরচ হয়েছে! ২০১৪’র পরমোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, কত টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছেন? রাজকোষেকত টাকা আমদানি হয়েছে? পরিবর্তনটা লক্ষ্য করুন, তখন দেশের চিন্তা ছিল যে, কত টাকানষ্ট হয়েছে, আর আজ আমাকে জবাবদিহি করতে হয় যে, কত টাকা আমদানি করতে পেরেছি!    

  

বন্ধুগণ, আমাদের দেশে কোনও কিছুরই অভাব নেই, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকলসম্ভাবনা ও সামর্থ্য রয়েছে। আর সেসব সম্ভাবনা ও সামর্থ্যকেই গুরুত্বপূর্ণ নীতিতেপরিবর্তিত করে আমরা এগিয়ে চলেছি। ফলে, দেশের উন্নয়ন আজ নতুন উচ্চতা অতিক্রম করছে।সকল ক্ষেত্রে দেশের সাধারণ মানুষের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে দেশের সাধারণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার ফলে পরিণাম এত ভালো হচ্ছে, আর আরও এত ভালো হওয়ার সম্ভবনারয়েছে যে, আপনারা দীর্ঘদিন এখানে থাকতে চাইবেন না, বরং দেশে ফিরতেই চাইবেন। আমারখুব ভালো লেগেছে যে, আজকের এই সভায় আপনারা এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাকেআশীর্বাদ করেছেন। 
  
অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves Kedarnath ropeway project, slashing travel time from 8-9 hours to 36 minutes

Media Coverage

Cabinet approves Kedarnath ropeway project, slashing travel time from 8-9 hours to 36 minutes
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Japan-India Business Cooperation Committee delegation calls on Prime Minister Modi
March 05, 2025
QuoteJapanese delegation includes leaders from Corporate Houses from key sectors like manufacturing, banking, airlines, pharma sector, engineering and logistics
QuotePrime Minister Modi appreciates Japan’s strong commitment to ‘Make in India, Make for the World

A delegation from the Japan-India Business Cooperation Committee (JIBCC) comprising 17 members and led by its Chairman, Mr. Tatsuo Yasunaga called on Prime Minister Narendra Modi today. The delegation included senior leaders from leading Japanese corporate houses across key sectors such as manufacturing, banking, airlines, pharma sector, plant engineering and logistics.

Mr Yasunaga briefed the Prime Minister on the upcoming 48th Joint meeting of Japan-India Business Cooperation Committee with its Indian counterpart, the India-Japan Business Cooperation Committee which is scheduled to be held on 06 March 2025 in New Delhi. The discussions covered key areas, including high-quality, low-cost manufacturing in India, expanding manufacturing for global markets with a special focus on Africa, and enhancing human resource development and exchanges.

Prime Minister expressed his appreciation for Japanese businesses’ expansion plans in India and their steadfast commitment to ‘Make in India, Make for the World’. Prime Minister also highlighted the importance of enhanced cooperation in skill development, which remains a key pillar of India-Japan bilateral ties.