এখানে এতবিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক নমস্কার।
এটা আমাদেরদেশে কত বড় শক্তি যে আমি যদি শুধু ‘নমস্কার’ শব্দটি আমাদের দেশের ভিন্ন ভিন্ন ভাষাও কথ্যভাষায় বলতে শুরু করি তাহলে ঘন্টাখানেক সময় পেরিয়ে যাবে। এই বৈচিত্র্য গোটাবিশ্বে আর কোন দেশে পাওয়া যাবে না।
আজ আমারসামনে ভারতের বাইরে ওমানের মাটিতে একটি খুদে ভারত দেখতে পাচ্ছি।দেশের ভিন্ন ভিন্নপ্রান্ত থেকে আগত বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত ভারতীয়দের একটি সমৃদ্ধ চিত্র আমারচোখের সামনে নির্মিত হতে দেখছি।
আমার সঙ্গেসমস্ত শক্তি দিয়ে জোরে বলুন, ভারত মাতা কী … জয়, বন্দে মাতরম্।
ভাই ওবোনেরা, এটি আমার প্রথম ওমান সফর। দু’ঘন্টা আগে আমি দুবাই থেকে আপনাদের মাঝেএসেছি। আপনারা হয়তো টিভিতে দেখেছেন, বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলনে সংযুক্ত আরবআমিরশাহীর রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে প্রধান অতিথিরূপে প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন নিয়েউদ্বোধনী ভাষণ প্রদানের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এটা নিছকই কোনও নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানেভাষণ প্রদানের মতো সীমিত বিষয় নয়। এই ঘটনা ভারতের উন্নয়নের সম্মান। আজ বিশ্বেরবিভিন্ন দেশ আমাদের এই সম্মান প্রদর্শন করছে। এটি আমার প্রথম সরকারি সফর হলেও দশবছর আগে আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আফ্রিকা সফরেরপথে আমি সালালাহ্ হয়ে গিয়েছি। কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়েছি, সেদিন যে ভারতীয়দেরসঙ্গে দেখা হয়েছিল, তাঁদের সকলের সঙ্গে আজ আবার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। দীর্ঘদিনধরে আমার মনে ওমানে এসে আপনাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল, আজ সেই সুযোগ এসেছে।
এই উদ্যোগেরজন্য ওমান সরকার, ওমান প্রশাসনকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুগণ, ভারত এবংওমানের মধ্যে সম্পর্ক শতাব্দী সহস্রাব্দী প্রাচীন। পাঁচ হাজার বছর আগেও গুজরাটেরলোথাল বন্দর থেকে ওমানে কাঠের জাহাজ আসত … আর ফেরার সময় জাহাজগুলি লোথাল পেরিয়েদক্ষিণ ভারতের সমুদ্রতট, নানা স্থান ছুঁয়ে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত পৌঁছে যেত। এত কয়েকহাজার বছরে ব্যবস্থাগুলি বদলে গেছে। মাঝে ভারতে একটি দীর্ঘ দাসত্বের কালখণ্ড গেছে।কিছু আমাদের সহস্রাব্দী প্রাচীন ব্যবসায়িক এবং আত্মিক সম্পর্কগুলি প্রায়অপরিবর্তিত রয়েছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক, আর্থিক এবংসামাজিক সম্পর্কগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
ভারতেরমধ্যপ্রদেশে বীনা তৈল শোধনাগার ওমানের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। দেড় হাজারেরওবেশি ভারতীয় কোম্পানি ওমানে যৌথ বাণিজ্য করছে। ওমানের উন্নয়নে এখানে প্রত্যেকভারতীয় কর্মচারিই ভারতের রাজদূত। দেশের সরকারের পক্ষে তো কেবলমাত্র একজন রাজদূতথাকে। কিন্তু ওমানের অগ্রগতিতে আপনাদের অংশগ্রহণ আপনাদের প্রত্যেককেই এ দেশে একএকজন রাজদূত করে তুলেছে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, বিগত তিন বছরে আমরা কিভাবেএকটি নীতি প্রণয়ন করে উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের পুরনো এবং বন্ধুত্বপূর্ণসম্পর্কগুলিকে বর্তমান সময়ের অনুকূল নতুন জামা পরাচ্ছি। একটি নতুন উচ্চতায় নিয়েযাচ্ছি। নতুন নতুন মাত্রার সংযুক্তি ঘটাচ্ছি। আপনারা হয়তো এটাও লক্ষ্য করেছেন যেভারতের ক্রমবর্ধমান প্রগতির ফলে ভারতের প্রতি উপসাগরীয় দেশগুলির আগ্রহও প্রতিনিয়তবৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা আপনারা অনুভব করেন কি করেন না? আপনারা অনুভব করেন তো? চারিদিকেএই সদ্ভাবের প্রতিধ্বনি গুঞ্জরিত হচ্ছে। শক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ – প্রতিটিক্ষেত্রে উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।ফলতঃ ওমানের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কও আজ একটি নতুন মোড়ে। আমাদের পারস্পরিকসম্পর্কে একটি নতুন গতি, নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। ভৌগোলিক দিক থেকেউপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে ওমান ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী। আর আমাদের সৌভাগ্য যেওমানের রাজ পরিবারের সঙ্গে ভারতের পুরনো আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। হিজ ম্যাজেস্টিসুলতানের সঙ্গেও ভারতের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।
আজ হিজম্যাজেস্টি সুলতানের নামে বিপুল সংখ্যায় আপনাদের উপস্থিতিতে আমার হাজির হওয়া একটিবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। হিজ ম্যাজেস্টি সুলতান তথা ওমান সরকার, ভারত ও ভারতীয়দেরপ্রতি কতটা আত্মীয়ভাবাপন্ন এটা তার প্রতীক। এই বিশেষ অভিব্যক্তির জন্য আমি তাঁরপ্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
আপনাদেরসঙ্গে কথা বলার পর আমি হিজ ম্যাজেস্টির সঙ্গে দেখা করতে যাব। আর আমি তাঁকে আপনাদেরপক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে সুস্বাস্থ্য,দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভেচ্ছা জানাবো। আমি তাঁকে বলব যে, আমার এখানে আসার উদ্দেশ্যহল দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করা। আজ আপনারা সবাই ওমানে নিজেরবাড়ির মতো পরিবেশ পান। এটা এখানকার নেতৃত্বের সেই মূল্যবোধের পরিচায়ক যা আমরাভারতে বিবিধতা এবং সহ-অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
ওমানেবসবাসকারী আমার প্রায় ৮ লক্ষ ভাই ও বোনেরা প্রত্যেকেই এদেশে ভারতের শুভেচ্ছারাজদূত। আপনারা ওমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, নিজেদের ঘামঝরিয়েছেন, নিজেদের যৌবন এদেশের উন্নয়নে নিয়োগ করেছেন। আমি খুশি যে ওমান সরকারওআপনাদের একই অক্লান্ত পরিশ্রমকে যথাযথ সম্মান জানায়।
ভাই ওবোনেরা, আমাদের সামাজিক সংস্কারের কারণে আমরা ভারতীয়রা যে কোনও সমাজে গিয়ে সহজেইস্থান তৈরি করে নিয়ে পারি। ঠিক বলছি কি না? দুধে চিনি মেশালে যেমন সম্পূর্ণ মিশেযায়, দুধকে মিষ্টি করে দেয়। এটা আমাদের সংস্কার, আমাদের স্বভাব। আর, এটা আমরানিজেদের ঐতিহ্য থেকে পেয়েছি। কারণ, আমরা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’, অর্থাৎ গোটা বিশ্বকেএকটি পরিবার বলে মনে করি। সময় এবং সমাজের অনুকূলে নিজেদের বদলে নেওয়া আমাদের আচরণ,আমাদের পরম্পরা, আমাদের রীতি-রেওয়াজকে সযত্নে সামলে প্রত্যেককে সমাদর করা,প্রত্যেক পরম্পরাকে সমাদর করা – এটাই তো ভারতের বৈশিষ্ট্য। আপনারাও এখানে দেশ থেকেএত দূরে সেই সংস্কারগুলি নিয়ে জীবনধারণ করেও এখানকার সাধারণ মানুষের মন জয় করারঅভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, আর সেজন্য আপনারা শুভেচ্ছার পাত্র।
সেজন্যইবিশ্বের নকশা যতই বদলে যাক, বড় বড় দেশ বিলীন হয়ে গেছে, কিন্তু ভারত আজও সম্পূর্ণপ্রাণশক্তি নিয়ে তীব্র গতিতে এগিয়ে চলেছে। পথ যতই কঠিন হোক, পরিস্থিতি যতইপ্রতিকূল হোক, আমরা তেমন মানুষ যাঁরা সঙ্কট থেকে বেরোতে জানি। পরিবর্তনের জন্যআমাদের ভেতরে যে অস্থিরতা রয়েছে, তা আমাদের প্রত্যেক নিরাশা থেকে আশার পথে উৎসাহনিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই উৎসাহ আমাদের শিরা-ধমনীতে প্রবাহিত হয়।
ভাই ওবোনেরা, আজ প্রত্যেক ভারতীয় নতুন ভারতের সঙ্কল্প সফল করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাকরছে। দিন-রাত কাজ করছে। আর, আপনারা ওমানে বসে থেকে ভারতে যে কোন ভালো ঘটনার কথাশুনলে খুশিতে উদ্বেল হন। দু-একটি খারাপ ঘটনা সম্পর্কে জানলে আপনারা অস্থির হয়েওঠেন। এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য – আপনত্ব।
আমরা এমনএকটি ভারত নির্মাণের পথে এগিয়ে চলেছি যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও এগিয়েযাওয়ার সমান সুযোগ পাবেন। যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও স্বপ্ন দেখতেপারবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য আশা সঞ্চারিত হবে। প্রয়োজন হলে, আঙুল ধরেএগিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যাবে। আর, ১২৫ কোটি ভারতবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেইভূমিকা পালন করতে আমরা দেশকে প্রগতির পথে আগের থেকে অনেক বেশি প্রাণশক্তি নিয়েনতুন ভারতের স্বপ্নকে সফল করার পথে এগিয়ে চলেছি।
‘ন্যূনতমসরকারি হস্তক্ষেপ, অধিকতম পরিষেবা’ – এই মন্ত্র নিয়ে আমরা দেশের সাধারণ মানুষেরজীবনকে সহজতর করে তোলার জন্য অনেক কাজ করছি। প্রক্রিয়াসমূহকে সরল করে তোলা,অনাবশ্যক আইনগুলিকে বাতিল করা, সরকারি দপ্তরগুলিতে ৪০-৫০ পৃষ্ঠার ফর্মগুলিকেসংক্ষেপিত করে ৪-৫ পৃষ্ঠার করে তোলা। আর, সেগুলিও অনলাইনে ভরার ব্যবস্থা করা,মানুষের অভিযোগগুলিকে আন্তরিকভাবে শোনা, আর, সেগুলি সমাধানের জন্য কাজ করা আমাদেরসরকারের সংস্কৃতি করে তুলতে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
সেই আগেরপ্রশাসন, সরকারি কাঠামো, আমলাতন্ত্র, সেই ফাইল, সেই বাবু – সবকিছু আগের মতো থাকলেওফল ভিন্ন পাচ্ছি। পরিবর্তন অনুভূত হচ্ছে। পরিবর্তিত ভারতে আজ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতমব্যক্তিকেও ব্যাঙ্কগুলি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় না। পরিবর্তিত ভারতে প্রশাসন বাড়িবাড়ি গিয়ে, গরিব বিধবার বাড়িতে গিয়ে গ্যাস সংযোগ দিয়া আসছে। যাঁদের বাড়িতে আজওঅন্ধকার, তাঁদের খুঁজে নিয়ে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযান সরকার চালুকরেছে।
আজ দেশে …আপনারা ওমানে বসে বিশ্বাস করবেন না … ‘বিমা’ শব্দটি শুনলে মনে হয় এর সঙ্গে শুধুবড়লোকেদের সম্পর্ক রয়েছে। আজ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের জন্য এমন সববিমা প্রকল্প এনেছে যাতে প্রতিদিন ৯০ পয়সা, আর একটি প্রকল্পে মাসে ১ টাকা কিস্তি জমাদিলে তাঁদের জীবন এবং সুরক্ষা বিমা প্রদান করা হচ্ছে। ৯০ পয়সা! আমি চা বিক্রেতাছিলাম। আমি জানি ৯০ পয়সায় এক কাপ চা-ও আসে না। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যেইতিমধ্যেই এই বিমা প্রকল্পগুলির মাধ্যমেযাঁরা এই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তহয়েছেনএরকম ২ হাজার কোটি বিমার টাকা সেই সমস্ত গরিব পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমাহয়েছে। অনেক হতদরিদ্র পরিবার সঙ্কটের সময় এই বিমার টাকায় আবার উঠে দাঁড়ানোর সুযোগপেয়েছেন। বড় জোড় এক বছর আগে এই প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে। এর মধ্যেই ২ হাজার কোটিটাকা … কম কথা নয়! আপনাদের অনেকের আত্মীয় পরিবার থেকেও হয়তো এ ধরনের খবর আপনারাপেয়েছেন।
বন্ধুগণ,এখন আপনাদের নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে কিংবা পুনর্নবীকরণের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতেহয় না। আমরা দেশের ডাকঘরগুলিতেও পাসপোর্ট পরিষেবা বিস্তৃত করেছি যাতে সাধারণ মানুষদ্রুত পাসপোর্ট পেতে পারেন। আগে, কয়েক সপ্তাহ পরও আশঙ্কা হত যে কবে পাসপোর্ট পাব।আজ দক্ষতা এবং ব্যবস্থার বিকেন্দ্রিকরণের ফলে ডাকঘরগুলির মাধ্যমে দু’দিনের মধ্যেপাসপোর্ট এসে যায়।
একটা সময়ছিল যখন আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে হলে কিংবা কোন নতুন কোম্পানি খুলতে হলেনথিভুক্তিকরণের আগেই অনেকদিন লেগে যেত। আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি যে এখন মাত্র ২৪ঘন্টায় এটা সম্ভব। আগে হয়তো শুনেছেন অনেকে বড়াই করে বলতেন যে আমরা অমুক অমুক আইনপ্রণয়ন করেছি। আমি আপনাদের উলটো খবর শোনাব। আমরা সরকারে এসে প্রায় দেড় হাজারঅপ্রয়োজনীয় আইন বাতিল করেছি। সাধারণ মানুষকে ঐ পরস্পর বিরোধী আইনগুলির বোঝা থেকেমুক্তি দিয়েছি।
আপনারাএবারের বাজেটের দিকে যদি ভালো করে তাকান তাহলে দেখবেন আমরা এমন সব প্রকল্প শুরুকরেছি যা গোটা পৃথিবীকে আকর্ষিত করছে। যেমন, ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’। এই প্রকল্পেরমাধ্যমে দেশের ১০ কোটি দরিদ্র পরিবার, অর্থাৎ প্রায় ৪০-৫০ কোটি নাগরিকের স্বাস্থ্যবিমা ঘোষিত হল। এটি এমন প্রকল্প যে পরিবারের যে কোন সদস্যের বছরে ৫ লক্ষ টাকাখরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এই অর্থ সরকার এই বিমা ব্যবস্থারমাধ্যমে প্রদান করবে। ভারতের খবর কাগজগুলিতে ব্যাঙ্গ করে এই প্রকল্পের নাম দেওয়াহয়েছে ‘মোদী কেয়ার’। আর, আমাদের বিরোধীরাও এই প্রকল্পের বিরোধিতা না করে বলছেন যেপ্রকল্পটি খুবই ভালো কিন্তু করবেন কিভাবে?
ভাই ওবোনেরা, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে মানুষ যদি ভাবে কিছু করবে, তাহলে তা অবশ্যইবাস্তবায়িত হয়। এরকম অনেক প্রকল্প ভারতের ১২৫ কোটি মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলছে।সরকার আসে যায়। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ হল সরকার কেমন উৎকৃষ্টপ্রশাসন প্রদান করছে। আগেও ভারতে সরকার অনেক প্রকল্প এনেছে। কিন্তু সেগুলি বাস্তবায়নেরঢং এমন ছিল যে ৩০-৪০ বছরেও পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীছিলাম। সেখানে সর্দার সরোবর বাঁধ, নর্মদা যোজনা, পণ্ডিত নেহরু শিলান্যাস করেছিলেন।সেই বাঁধ প্রকল্প গত বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। কখনও এরকম দেখা গেছে যে বাঁধ তৈরি হয়েছেকিন্তু সেই বাঁধের জল যেখান দিয়ে যাবে সেই নালাগুলি তৈরি হয়নি। সেতু তৈরি হয়ে যায়,কিন্তু সংযোগ রক্ষাকারী পথ তৈরি হয় না। বিদ্যুতের স্তম্ভ সারিবদ্ধভাবে নির্মিত হয়,কিন্তু সেগুলির মধ্যে তার সংযোগ হয় না। কোথাও তার সংযোগ হলেও সেই তারে বছরের পরবছর জামা-কাপড় শুকানো হয়। কারণ, বিদ্যুৎ আসে না। নতুন নতুন রেলগাড়ি ঘোষণা হতকিন্তু সেই গাড়ি কোথা দিয়ে যাবে তার লাইন পাতার কথা ভাবা হত না। এই ঢং-এর অপশাসননিয়ে একবিংশ শতাব্দীতে কোন দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাকে বদলাতেই হয়। তার ওপরদুর্নীতি এবং নানা কেলেঙ্কারির তালিকা দেশ ও সারা পৃথিবীতে ভারতের ছবি খারাপ করেরেখেছিল। আমরা অনেক কষ্টে দেশকে ঐ পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছি।
আজ চার বছরহয়ে গেল কেউ একথা বলেনি যে মোদী কত টাকা লুঠ করেছে। আমি মাথা নত করে নম্রতার সঙ্গেবলতে চাই, যে আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশবাসীকে আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তাতেএকটি আঁচড়ও লাগতে দেব না। আগে সবাই জিজ্ঞাসা করতেন, কত গেছে? এখন সবাই জিজ্ঞাসাকরেন, কত এসেছে?দেশে একটি আস্থার পরিবেশতৈরি হয়েছে। সেই আস্থা নতুন আশার জন্ম দিয়েছে। সেই আশা ভারতবাসীর নতুন ভারতনির্মাণের সঙ্কল্পকে সামর্থ্য যোগাচ্ছে।
আজ নাগরিকবান্ধব, উন্নয়ন বান্ধব, জবাবদিহি প্রশাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়েযাওয়ার চেষ্টা করছি। দেশে সড়ক নির্মান, রেললাইন সম্প্রসারণ, রেললাইনবৈদ্যুতিকিকরণ, নতুন নতুন বিমানবন্দর গড়ে তোলা, দরিদ্র গৃহহীনদের জন্য সরকারদ্বারা ঘর বানিয়ে দেওয়ার গতি, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা কিম্বা বাড়ি বাড়ি গিয়েগ্যাস সংযোগ প্রদানের গতি কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনারাশুনলে অবাক হবেন যে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক শেষের পথে, আমাদের দেশে এত সরকারএসেছে গেছে, কিন্তু এতদিন দেশের কোনও বিমান পরিবহণ নীতি ছিল না। আমরা এসে সেই নীতিপ্রণয়ন করেছি। এখন দেশের ছোট ছোট শহরগুলিতে, জেলা সদরের মতো টিয়ার-২, টিয়ার-৩শহরগুলিতে যেখানে যেখানে পুরনো বিমানপত্তন ছিল, সেগুলিকে আমরা সঞ্জীবিত করেছি,সক্রিয় করেছি। তাছাড়াও অনেক নতুন নতুন স্থানে বিমানবন্দর স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।এখন দেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশোটি অসামরিক বিমান সক্রিয় রয়েছে।আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে সরকারের নতুন ব্যবস্থাপনায় উৎসাহিত হয়ে গত এক বছরেপ্রায় ৯০০টি নতুন বিমান কেনার অর্ডার নথিভুক্ত হয়েছে। কেন? আমাদের সরকারের নীতিতেআমরা ঘোষণা করেছি যে, আমরা চাই হাওয়াই চপ্পল পরিহিত মানুষেরা বিমানে সফর করুন।
বন্ধুগণ,তৃণমূল স্তরে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক না করলে আজ যে উন্নতি দেখা যাচ্ছে, তা কখনই সম্ভবহত না। বড় এবং স্থায়ী পরিবর্তন এমনি আসে না। তার জন্য গোটা ব্যবস্থা বদলাতে হয়।আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি বলেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের র্যাঙ্কিং-এ ‘ইজ অফ ডুয়িংবিজনেস’-এর ক্ষেত্রে ৪২ ধাপ অতিক্রম করে ১০০ নম্বর স্থানে পৌঁছে আমরা গোটা বিশ্বকেচমকে দিয়েছি।
ভাই ওবোনেরা, একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগীপরিকাঠামো নির্মাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। বিশেষ করে, পরিবহণ ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরপরিপূরক হাইওয়ে, রেলওয়ে, এয়ারওয়ে, ওয়াটারওয়ে-র সংহত উন্নয়ন শুরু করেছি।
সরকার,‘ভারতমালা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরুকরেছে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেল করিডরগুলির কাজ চলছে। ১১টি বড় শহরে মেট্রো রেল নির্মাণেরকাজ শুরু হয়েছে। গত বছরই আমি কোচিতে মেট্রো রেল উদ্বোধনের সুযোগ পেয়েছি। চেন্নাইমেট্রো বিস্তারের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান বাজেটে বেঙ্গালুরুর জন্যআমরা অধিক অর্থ বরাদ্দ করেছি। এভাবে দেশের সমুদ্র তটবর্তী অর্থনীতি আর তার সঙ্গেযুক্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এই ‘সাগরমালা’ যোজনাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি।
আমাদেরমৎস্যজীবী ভাই-বোনদের জন্য ‘নীল বিপ্লব’ প্রকল্প শুরু করেছি। তাঁদের আধুনিক ট্রলারকেনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয়সরকার দেশে ১১০টিরও বেশি ওয়াটারওয়ে বিকশিত করছে। নদীগুলির অধিক ব্যবহারের জন্য এইঅভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ১১০টি নতুন জলপথ পরিবেশসংরক্ষণের অনুকূলে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠবে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ পরিবহণেরখরচও অনেক হ্রাস করবে। ফলে, সাধারণ মানুষ সস্তায় অনেক জিনিস কিনতে পারবেন।
ভাই ওবোনেরা, আপনাদের মধ্যে যাঁরা ২০২২-২৩-এ ভারতে আসবেন, তাঁরা একটি অসাধারণ উন্নতিদেখতে পাবেন। সেটা হল বুলেট ট্রেন। মুম্বাই এবং আমেদাবাদের মধ্যে গত বছরই এই বুলেটট্রেন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। দুই থেকে সোয়া দু’ঘন্টার মধ্যে এই বুলেট মুম্বাইথেকে আমেদাবাদে পৌঁছে দেবে। এর মাধ্যমে ভারতের বর্তমান ব্যবস্থা শুধু উন্নতই হবেনা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নতুন পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
বন্ধুগণ,এখন ভারতে কোন সিদ্ধান্তকে আর থামিয়ে রাখা যাবে না। ভারতে এখন নতুন স্বভাব গড়েউঠেছে। ঢিমেতেতালের যুগ চলে গেছে। এখন শুধু সিদ্ধান্ত আর প্রতিস্পর্ধা। প্রতিটিপ্রতিস্পর্ধাকে আমরা মোকাবিলা করার জন্য এগিয়ে আসছি। লক্ষ্য স্থির করে আমরাপ্রতিটি প্রকল্পকে নির্ধারিত সময়ের আগে সম্পূর্ণ করছি। এটা ভারতের পরিবর্তিতকর্মসংস্কৃতির উদাহরণ। এটাই নতুন ভারতের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। সেজন্যই আগেযেমন প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারির খবর শিরোনামে আসত, আজ তেমনই স্পষ্টনীতি ও সিদ্ধান্তের কারণে কোটি কোটি টাকার সাশ্রয় হচ্ছে। দক্ষভাবে কাজ করলেবর্তমান পরিকাঠামো ব্যবহার করেই দেশের জনগণের অর্থ সাশ্রয় করা যায়।
প্রযুক্তিরসাহায্যে আমাদের সরকার ইতিমধ্যে সরাসরি সুফল হস্তান্তর কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৫৭হাজার কোটি টাকা থেকে বেশি বিনিয়োগের অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছে। গরিব মানুষেরপ্রতিটি পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তর কর্মসূচিরমাধ্যমে ভর্তুকি, পেনশন, ছাত্র বৃত্তি, মজুরির টাকা ব্যাঙ্কের খাতায় সরাসরি জমাকরা হচ্ছে। আগে দালালরা এই টাকা ভুতুরে নাম দেখিয়ে নিজেরা লুঠ করত। ফলে, দেশেরমধ্যবিত্তরা সব চাইতে বেশি উপকৃত হচ্ছেন। আমাদের ‘উজালা’ যোজনার মাধ্যমে ২০১৪-রআগে একটি এলইডি বাল্বের দাম যেখানে ৩৫০ টাকা ছিল, তা এখন কমে ৪০-৫০ টাকা হয়েছে।সেই বাল্বগুলি বাড়িতে ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর দেশবাসীর বিদ্যুতের বিলে আনুমানিক১৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
বন্ধুগণ,আপনারা শুনলে আশ্চর্য হবেন যে এলইডি বাল্বের মাধ্যমে যত টাকা বিদ্যুতের খরচ সাশ্রয়হচ্ছে, তা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খাতে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।আরেকটি উদাহরণ হল, সার ক্ষেত্রে নতুন নীতির কারণে দক্ষতা বেড়েছে। ফলস্বরূপ, প্রতিবছর ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টন ইউরিয়া উৎপাদন বেড়েছে। তার মানে এই ২০ লক্ষ টন ইউরিয়াউৎপাদনে সরকারের যে ৭-৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হত সেটা সাশ্রয় হয়েছে। পাশাপাশি, দেশেইউরিয়ার আর কোন সমস্যা নেই। ৩৫০০-৪০০০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে যাইউরিয়া আমদানি করতে খরচ হত। পাশাপাশি, প্রতি বছর ৮০০-৯০০ কোটি টাকা ইউরিয়া বাবদভর্তুকির অর্থও সাশ্রয় হয়েছে। তার মানে আমরা শুধু সারের ক্ষেত্রেই নীতি পরিবর্তন ওতদারকির মাধ্যমে দক্ষতা বাড়িয়ে দেশের প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি।
ভাই ওবোনেরা, আমরা পূর্ববর্তী সরকারগুলির করা পেট্রোলিয়াম চুক্তি, গ্যাস চুক্তিগুলিকেখুঁটিয়ে দেখে সেই দেশগুলির সঙ্গে নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে, কাতার এবংঅস্ট্রেলিয়াকে বুঝিয়ে আমরা যে নতুন চুক্তি করেছি, তার মাধ্যমে পূর্ববর্তী সরকারেরপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থের তুলনায় এখন আমাদের ১২ হাজার কোটি টাকা কম অর্থ দিতে হবে। তারমানে এক্ষেত্রেও আমরা দেশের ১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছি।
ভাই ওবোনেরা, আমি এভাবে আপনাদের শুধু চারটি প্রকল্পের কথা বললাম যার মাধ্যমে আমরা দেশেরপ্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। দেশবাসীর এই টাকা দিয়ে দরিদ্রমানুষের উন্নয়ন সম্ভব হত কিনা? বর্তমান সরকার সততার সঙ্গে দেশকে দুর্নীতি এবং কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে। অনেক ধনী নাগরিককোটি কোটি টাকা রোজগার করেও সরকারকে কর না দিয়ে বেনামি সম্পত্তি কিনতেন, ভুতুরেকোম্পানি গড়ে তুলে লেনদেনের হিসেবে ভেজাল দেখিয়ে দেশকে লুঠতেন। এরকম অনেক বড় বড়মাছ এখন সরকারের বিচারের জালে ধরা পড়েছে।
বিগত একবছরে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার সন্দেহভাজন কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সরকার বাজেয়াপ্তকরেছে। অনেক কোম্পানিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। বন্ধুগণ, আপনারা এত পরিশ্রম করে যেটাকা রোজগার করেন, তার থেকে দেশে টাকা পাঠান, সেই টাকাও দেশের অর্থ ব্যবস্থায় বড়অবদান রাখে। কাজেই, দেশের অর্থ সাশ্রয় হলে আপনারাও আনন্দ পাবেন, এটাই স্বাভাবিক।সততার পথে যে রোজগার আমরা করি তার ব্যবহার যদি সৎ পথে হয়, তাহলে আপনারাও এই সততাকেএগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিতে রাজি হবেন।
বন্ধুগণ,আপনাদের এখানে কখন কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সে সম্পর্কে আমরা সদাসজাগ। আপনাদের সমস্যাগুলি নিয়ে আমরা লাগাতার ওমান সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালুরাখি আর চেষ্টা করি যাতে যথা শীঘ্র সম্ভব আপনাদের সমস্যামুক্ত করা যায়। ই-মাইগ্রেটসিস্টেম আর ‘মদত’ পোর্টালের মাধ্যমে আপনাদের অনেক সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে।
সরকারেরএমনই অনেক প্রচেষ্টার পরিণাম হল আজ বিদেশে বসবাসকারী প্রত্যেক ভারতীয়র মনে আস্থাজেগেছে। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, কখনও সঙ্কট ঘনীভূত হলে তাঁদের দেশের সরকার তাঁদেরদ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপস্থিত হবে। বিদেশে তাঁদের পরিবারের একজনসম্মানিত সদস্য হয়ে উঠেছে বর্তমান ভারত সরকার।
বন্ধুগণ,‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’ – এই ভাবনা নিয়ে আমরা ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীরদৃষ্টিকোণে পরিবর্তন আনতে পেরেছি। সংযুক্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের উদ্যোগেআন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক সৌর সংগঠন গড়ে তোলা আমাদের সাফল্যেরপ্রমাণ। ভারত ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব এবং সামর্থ্যকে পরিভাষিত করছে।
আপনাদেরসমর্থন, আপনাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেশ লাভবান হচ্ছে। গোটা দেশ সেজন্য আপনাদের কাছেঋণী। আমি আপনাদের রাষ্ট্র নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আহ্বান রাখছিদেশের উন্নয়নের জন্য নতুন ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনাদের সঙ্কল্পের প্রভাবভারতেও দেখা যাবে। এটা আমার বিশ্বাস। এখানে এসে আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হওয়ারসৌভাগ্য হয়েছে। আমি আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং কুশল কামনা করে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণকরছি।
আপনাদেরসকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমার সঙ্গে জোর দিয়ে বলুন – ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘ভারতমাতা কি জয়’, ‘ভারত মাতা কি জয়’!
‘বন্দেমাতরম্’, ‘বন্দে মাতরম্’, ‘বন্দে মাতরম্’, ‘বন্দে মাতরম্’, ‘বন্দে মাতরম্’,‘বন্দে মাতরম্’!