Inputs received for each #MannKiBaat is an indication about what month or time of the year it is: PM Modi 
The world’s opinion about India has been transformed. Today, the entire world sees India with great respect: PM during #MannKiBaat 
Mahatma Gandhi, Shastri Ji, Lohia Ji, Chaudhary Charan Singh Ji or Chaudhary Devi Lal Ji considered agriculture and farmers as backbone of the country’s economy: PM during #MannKiBaat 
Farmers will now receive MSP 1.5 times their cost of production, says Prime Minister Modi during #MannKiBaat 
Agriculture Marketing Reform in the country is being worked out broadly for the farmers to get fair price for their produce: PM during #MannKiBaat 
#MannKiBaat: A clean India and healthy India are complementary to each other, says the PM
Preventive healthcare is easiest and economical. The more we aware people about preventive healthcare, the more it benefits the society: PM during #MannKiBaat
#MannKiBaat: To lead a healthy life, it is vital to maintain hygiene; country’s sanitation coverage almost doubled to 80%, says PM Modi 
Over 3,000 Jan Aushadhi Kendras are operational across the country today, which are providing more than 800 medicines at affordable prices: PM during #MannKiBaat 
To provide relief to patients, prices of heart stents have been brought down by up to 85%, cost of knee implants have been reduced 50-70%: PM Modi during #MannKiBaat 
Ayushman Bharat Yojana will cover around 10 crore poor and vulnerable families or nearly 50 crore people, providing coverage up to 5 lakh rupees per family per year: PM says in #MannKiBaat 
We in India have set the target of completely eliminating TB by 2025, says Prime Minister Modi during #MannKiBaat 
Yoga guarantees fitness as well as wellness; it has become a global mass movement today: PM during #MannKiBaat 
This year marks the beginning of 150th birth anniversary of Mahatma Gandhi: PM Modi during #MannKiBaat 
Years ago Dr. Babasaheb Ambedkar envisioned industrialization of India. He considered industry to be an effective medium for ensuring employment to the poor: PM during #MannKiBaat
Today India has emerged as a bright spot in the global economy, world is looking towards India as a hub for investment, innovation and development: PM during #MannKiBaat
Initiatives like Mudra Yojana, Start Up India, Stand Up India are fulfilling the aspirations of our young innovators and entrepreneurs: PM Modi during #MannKiBaat 
Dr. Babasaheb Ambedkar saw ‘Jal Shakti’ as ‘Rashtra Shakti’, says Prime Minister Modi during #MannKiBaat 
#MannKiBaat: Dr. Babasaheb Ambedkar is an inspiration for millions of people like me, belonging to humble backgrounds, says Prime Minister Modi

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আজ ‘রামনবমী’ পার্বণ। রামনবমী-র এই পবিত্র দিনে দেশবাসীকে জানাই আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা! পূজনীয় বাপুজীর জীবনে রামনামের মাহাত্ম্য কতটা ছিল, তা আমরা ওঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই দেখেছি। গত ২৬-শে জানুয়ারি, ‘আসিয়ান গোষ্ঠী’ভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিরা এখানে এসেছিলেন এবং সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল। অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, তাদের মধ্যে অধিকাংশ দেশ আমাদের সামনে ‘রামায়ণ’ উপস্থাপিত করেছিল। অর্থাৎ, শুধু ভারতেই নয়, পৃথিবীর এই ভূখণ্ডে ‘আসিয়ান গোষ্ঠী’ভুক্ত দেশগুলিতেও রাম ও রামায়ণের প্রেরণা ও প্রভাব আজও ততটাই। আমি আরও একবার আপনাদের সবাইকে ‘রামনবমী’র শুভকামনা জানাচ্ছি!

আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রতিবারের মত এবারেও আমি আপনাদের কাছ থেকে প্রচুর চিঠি, ই-মেইল, ফোন কল ও মতামত পেয়েছি। কোমল ঠাক্কর সংস্কৃতের ‘অনলাইন কোর্স’ শুরু করার বিষয়ে mygov–এ যা লিখেছেন, সেটা আমি পড়েছি। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী হওয়ার পাশাপাশি সংস্কৃতের প্রতি আপনার এই অনুরাগ দেখে আমার খুব ভাল লাগল। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই বিষয়ে আপনাকে যাবতীয় তথ্য জানানোর জন্য বলেছি। ‘মন কি বাত’-এর যে সমস্ত শ্রোতা সংস্কৃত নিয়ে কাজ করছেন, আমি তাঁদেরকেও অনুরোধ করছি, কোমল ঠাক্কর-এর এই প্রস্তাবকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে।

‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ বিহারের নালন্দা জেলার বরাকর গ্রামের শ্রী ঘণশ্যাম কুমার-এর মতামত পড়েছি। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়া প্রসঙ্গে আপনি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

কর্ণাটকের শ্রী শকল শাস্ত্রী খুব সুন্দর ভাষায় লিখেছেন, ‘আয়ুষ্মাণ ভারত’ তখনই সম্ভব, যখন ‘আয়ুষ্মাণ ভূমি’ হবে। আর ‘আয়ুষ্মাণ ভূমি’ তখনই হতে পারে, যখন আমরা এই ভূমিতে বসবাসকারী প্রতিটি প্রাণির খেয়াল রাখব। আপনি গ্রীষ্মকালে পশু-পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। শকল-জী, আপনার ভাবনা আমি সব শ্রোতা বন্ধুর কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

শ্রী যোগেশ ভদ্রেশা-র বক্তব্য, আমি যেন এবার যুবাদের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে কিছু বলি। ওঁর মতে, অন্যান্য এশিয় দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের যুবারা শারীরিকভাবে দুর্বল। যোগেশ-জী, আমি ভেবেছি, এবার স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার সঙ্গে বিশদে কথা বলব, ‘Fit India’-র কথা বলব, আর আপনাদের মত নব্যযুবকরাই ‘Fit India’ কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

কিছুদিন আগে ফ্রান্সের মাননীয় রাষ্ট্রপতি কাশী গিয়েছিলেন। বারাণসীর শ্রী প্রশান্ত কুমার লিখেছেন, সেই যাত্রার সব দৃশ্য তাঁর মন ছুঁয়ে গেছে, তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সেই সব ছবি, ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা উচিৎ। প্রশান্ত-জী, ভারত সরকার ঐদিনই সব ছবি সোস্যাল মিডিয়া এবং ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ শেয়ার করেছে। আপনারা সেগুলি ‘লাইক’ করে, ‘রি-ট্যুইট’ করে আপনাদের পরিচিত মহলে ছড়িয়ে দিন।

চেন্নাই থেকে অঙ্ঘা ও জায়েশ আর অনেক শিশুই ‘একজাম ওয়ারিয়ার’ বইয়ের শেষে যে Gratitude Cards দেওয়া আছে, সেখানে ওরা নিজেদের মনে যে যে ভাবনা এসেছে, সেগুলিই লিখে আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। অঙ্ঘা, জায়েশের মত সব শিশুকেই বলতে চাই যে, তাদের পাঠানো এই সব চিঠি পড়লে আমার সারা দিনের ধকল, পরিশ্রম একদম ছু-মন্তর হয়ে উড়ে যায়। এত সব চিঠি, এত এত ফোন কল, মতামত, তার মধ্যে যেগুলো আমি পড়ে উঠতে পেরেছি, যেগুলি শুনতে পেরেছি এবং এই সবের মধ্যে অনেক বিষয়ই রয়েছে যা আমার মন-হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। আমি যদি শুধু তাদের বিষয়েই কথা বলতে থাকি, মনে হয়, সারা মাস ব্যপী টানা কথা বললেও বোধহয় আমাকে এই সব কথাই চালিয়ে যেতে হবে। এবারের বেশিরভাগ চিঠিই পেয়েছি শিশুদের কাছ থেকে। তারা তাদের পরীক্ষার কথা লিখেছে, ছুটির পরিকল্পনা ভাগ করেছে, এই গরমে পশু-পাখিদের জলকষ্টের কথাও চিন্তা করেছে।

‘কিষাণ মেলা’ ও চাষবাস নিয়ে সারা দেশে যে কর্মকাণ্ড চলছে, সেই বিষয়েও কৃষক ভাই-বোনেরা আমায় চিঠি পাঠিয়েছেন। জলসংরক্ষণ বিষয়ে কিছু সচেতন নাগরিক আমাকে পরামর্শ পাঠিয়েছেন। যখন থেকে আকাশবাণীর মাধ্যমে আমরা এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ প্রচার করছি, তখন থেকেই আমি লক্ষ্য করছি, এই গ্রীষ্মকাল ও গরমের সংকট নিয়ে বেশি বেশি চিঠি আসছে। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থী বন্ধুদের কাছ থেকেও তাদের পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তার চিঠিও আমি পাচ্ছি। উৎসবের মরশুমে আমাদের নানান উৎসব, আমাদের সংস্কৃতি ও পরম্পরা নিয়েও অনেক চিঠি আসছে। অর্থাৎ, এই ‘মন কি বাত’ মরশুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে, যা কিনা এই ‘মন কি বাত’ কারও কারও জীবনের মরশুমও বদলে দিচ্ছে। তাছাড়া, বদলাবে নাই বা কেন, আপনাদের পাঠানো এই সব চিঠির ছত্রে ছত্রে আপনাদের অনুভবের কথা, আপনাদের প্রেরণা, আপনজনের ভাষা এবং সেই সঙ্গে নিজের মাতৃভূমির প্রতি দায়বদ্ধতার কথাও বারে বারে উঠে এসেছে। আর এই সব ভাবনাই দেশের আমূল পরিবর্তনের শক্তি ধরে। যখন আপনাদের পাঠানো চিঠি পড়ে আমি জানতে পারি যে, আসামের করিমগঞ্জের এক রিক্সাচালক আহমদ আলি, নিজের ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে গরীব শিশুদের জন্য নয়টি স্কুল বানিয়ে দিয়েছেন, তখনই এই দেশের অদম্য ইচ্ছাশক্তির পরিচয় পাই। যখন আমি কানপুরের ডাক্তার অজিত মোহন চৌধুরীর কাহিনি শুনতে পাই, যিনি, ফুটপাথে ফুটপাথে ঘুরে এই ডাক্তার ফুটপাথবাসী ভাই-বোনেদের চিকিৎসা করেন এবং বিনামূল্য ওষুধও দেন—তখনই এদেশের সহমর্মিতা এবং মনুষ্যত্বের জন্য গর্ব হয়। তের বছর আগে সময় মত চিকিৎসার অভাবে কলকাতার ট্যাক্সিচালক সইদুল লস্করের বোনের মৃত্যু হয়। সইদুল তখনই হাসপাতাল তৈরি শপথ নেন, যাতে চিকিৎসার অভাবে কোনও গরীব মানুষ মারা না যান। এই প্রতিজ্ঞার জন্য সইদুল নিজের ঘরের গয়না বেচেন, মানুষের কাছ থেকে জনে জনে দান সংগ্রহ করেন, এবং ট্যাক্সি আরোহীরাও তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেন। এক ইঞ্জিনিয়ার তরুণী তো তাঁর প্রথম মাইনে সইদুলকে দিয়ে দেন। এইভাবে তিল তিল করে অর্থ সংগ্রহ করে বারো বছর বাদে অসম্ভবকে সম্ভব করে সইদুল কলকাতার উপকণ্ঠে পুনরি গ্রামে তিরিশ শয্যাবিশিষ্ট এক হাসপাতাল নির্মাণ করেন। এটাই হল ‘New India’-র সক্তি। যখন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা নিজের লড়াই লড়েও একশো পঁচিশটি শৌচালয় নির্মাণ করেন নিজের অদম্য চেষ্টায়, তখন আশপাশের অন্যান্য মহিলারাও দারুণ উৎসাহিত হন। এটাই নতুন মাতৃশক্তির প্রকাশ। এরকমই অনেক অনেক প্রেরণা যোগানো ঘটনা আমার দেশের পরিচয় বহন করে। আজ সারা বিশ্বই ভারতবর্ষকে অন্য চোখে দেখে। আজ যখন ভারতবর্ষের নাম অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তখন এর পেছনে এই দেশের সন্তান-সন্ততিদের উদ্যম লুকিয়ে থাকে। আজ, সারা দেশের যুব সম্প্রদায়, মহিলা, পিছিয়ে পড়া মানুষ, গরীব, মধ্যবিত্ত — সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই এই বিশ্বাসটা জন্মেছে যে, হ্যাঁ, আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারি। আমার দেশও প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। আজ, আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভরা আত্মবিশ্বাসের এক ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস, এই ইতিবাচক মানসিকতা ‘New India’-র সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করবে, স্বপ্ন সার্থক হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী কয়েক মাস কৃষক ভাই-বোনেদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ চাষবাস সম্পর্কিত প্রচুর চিঠি এসেছে। এই বার আমি দূরদর্শনের ‘ডি ডি কিষাণ’ চ্যানেলে কৃষক বন্ধুদের সঙ্গে যে আলোচনা করেছি, সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও আমি দেখেছি, এবং আমার মনে হয়েছে দূরদর্শনের এই ‘ডি ডি কিষাণ’ চ্যানেল সমস্ত কৃষকবন্ধুদেরই দেখা উচিৎ। সেই সঙ্গে কৃষি পরামর্শগুলি নিজের নিজের ক্ষেতে প্রয়োগ করা উচিৎ।

মহাত্মা গান্ধীর কথাই যদি ধরি, বা শাস্ত্রীজী কি লোহিয়াজী বা চৌধুরী চরণ সিং বা চৌধুরী দেবীলাল জী — এঁরা প্রত্যেকেই কৃষি ও কৃষকভাইদের এই দেশের অর্থব্যবস্থা ও জনজীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করতেন। মাটি, ক্ষেত-খামার এবং কৃষক ভাইদের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর কতটা অনুরাগ ছিল, তা তাঁর বক্তব্যে ভীষণ উজ্জ্বল ভাবে ধরা দেয়। তিনি বলেছিলেন, “To forget how to dig the Earth and to tend the soil, is to forget ourselves” তার মানে, পৃথিবীকে কর্ষণ করা আর মৃত্তিকার যত্ন রাখা যদি আমরা ভুলে যাই, তাহলে, এটা স্বয়ং নিজেকে ভুলে যাওয়ার মত হবে। শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী বৃক্ষ, উদ্ভিদ, অরণ্য ইত্যাদির সংরক্ষণ এবং উন্নততর কৃষি-প্রক্রিয়ার আবশ্যকতার উপর সর্বদা গুরুত্ব দিতেন। ডঃ রামমনোহর লোহিয়া আমাদের কৃষকদের জন্য উন্নততর উপার্জন, উন্নততর সেচ-ব্যবস্থা আর এই সব বিষয়কে সুনিশ্চিত করার জন্য এবং খাদ্য ও দুগ্ধ উৎপাদনকে বাড়ানোর জন্য সার্বিক জনজাগরণের কথা বলেছিলেন। ১৯৭৯ সালে চৌধুরী চরণ সিং তাঁর ভাষণে কৃষকদের নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ও নতুন আবিষ্কার করার জন্য আবেদন করেছিলেন, এর আবশ্যকতার উপর জোর দিয়েছিলেন। আমি কিছুদিন আগে দিল্লিতে আয়োজিত কৃষি-উন্নতি মেলায় গিয়েছিলাম। ওখানে কৃষক ভাই-বোন এবং বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে আমার আলোচনা। কৃষি সংক্রান্ত অনেক অভিজ্ঞতাকে জানা, বোঝা, কৃষি সংক্রান্ত নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে জানা — এ সবই আমার জন্য এক আনন্দদায়ক অনুভূতি তো ছিলই, কিন্তু যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল তা হল মেঘালয়ের কৃষকদের পরিশ্রমের কাহিনি। স্বল্প ভূমির এই রাজ্য এক বিশাল কাজ করে দেখিয়েছে। আমাদের মেঘালয়ের কৃষকরা ২০১৫-১৬ বর্ষে বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করেছে। ওঁরা দেখিয়েছেন, যদি লক্ষ্য স্থির থাকে, পূর্ণ আত্মবিশ্বাস থাকে, মনে প্রতিজ্ঞা থাকে তাহলে সব সম্ভব করে তোলা যায়। আজ, কৃষকদের পরিশ্রমের সঙ্গে প্রযুক্তির মিলন হয়েছে। যার ফলে কৃষি-উৎপাদকদের যথেষ্ট শক্তি লাভ হচ্ছে। আমার কাছে যে চিঠি এসেছে, তাতে আমি দেখলাম, অনেক কৃষক বন্ধুরা MSP-র বিষয়ে লিখেছিলেন এবং ওঁরা চাইছেন আমি এই বিষয়ে ওঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করি।

ভাই ও বোনেরা, এই বছরের বাজেটে কৃষকদের ফসলের উচিৎ মূল্য দেওয়ার জন্য এক বিরাট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক করা হয়েছে যে, নির্দিষ্ট ফসলের জন্যে MSP, কম করে লগ্নির দেড় গুণ করা হবে। যদি আমি বিস্তারিত ভাবে বলি, তাহলে MSP-র জন্য যে লগ্নি করা হবে, তাতে অন্য শ্রমিক যাঁরা মেহনত আর পরিশ্রম করেন, তাঁদের পরিশ্রম, গৃহপালিত পশুর খরচ, মেশিনের খরচ অথবা ভাড়ায় নেওয়া মেশিন, পশুর খরচ, বীজের মূল্য, ব্যবহার করা হয়েছে এমন সব ধরনের সারের দাম, সেচের খরচ, রাজ্য সরকারের দেওয়া রাজস্ব, কার্যকরী মূলধন-এর উপর দেওয়া সুদ, যদি জমি লিজ-এ নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তার ভাড়া। আর শুধু এই নয়, কৃষক নিজে যে পরিশ্রম করে, যদি তার পরিবারের কেউ কৃষিকাজে শ্রম দেয়, তার মূল্যও উৎপাদন লগ্নিতে জোড়া হবে। এছাড়া, কৃষকদের ফসলের উচিৎ দাম যাতে দেওয়া যায়, তার জন্য দেশে ‘Agriculture Marketing Reform’-এর উপর ও বিস্তারিত কাজ চলছে। গ্রামের স্থানীয় বাজার, পাইকারী বাজার যাতে বিশ্ববাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়, তার চেষ্টা চলছে। কৃষকদের নিজের উৎপাদন বিক্রি করার জন্য যাতে অনেক দূর যেতে না হয় — তার জন্য দেশের বাইশ হাজার গ্রামীণ হাটের জরুরি পরিকাঠামোর সঙ্গে upgrade করে APMC আর e-NAM Platform–এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তার মানে, একপ্রকার ক্ষেতের থেকে দেশের যে কোনও বাজারের সঙ্গে connect করা যায়, এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এ-বছর মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ উৎসবের শুভারম্ভ হচ্ছে। এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশ কীভাবে এই উৎসব উদ্‌যাপন করবে? ‘স্বচ্ছ ভারত’ তো আমাদের সঙ্কল্প হিসেবে আছেই, ১২৫ কোটি দেশবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কীভাবে গান্ধীজীকে এর থেকে শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করতে পারে? কি কি নতুন কার্যক্রম তৈরি করা যেতে পারে? কি কি নতুন উপায়ে ভাবা যেতে পারে? আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা mygov-এর মাধ্যমে আপনাদের চিন্তাভাবনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিন। ‘গান্ধী ১৫০’–এর লোগো কী হতে পারে? স্লোগান কী হতে পারে, এই সব বিষয়ে আপনাদের কি পরামর্শ তা জানান। আমরা সবাই মিলে বাপুজীর এক স্মরণীয় শ্রদ্ধাঞ্জলীর আয়োজন করব, আর বাপুজীর থেকে প্রেরণা নিয়ে আমাদের দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাব।

(ফোন)

নমস্কার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজী! আমি গুড়গাঁও থেকে প্রীতি চতুর্বেদী বলছি। আপনি ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানকে এক সফল অভিযানে পরিণত করেছেন। এখন সময় এসেছে, যে আমরা ‘সুস্থ ভারত’ অভিযান’কেও একই ভাবে সফল করে তুলব। এই অভিযানের জন্য আপনি মানুষ, সরকার, প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে উজ্জীবিত করেছেন, এই বিষয়ে আপনি আমাদের কিছু বলুন, ধন্যবাদ!

ধন্যবাদ! আপনি সঠিক বলেছেন। আমি এটা মানি যে, ‘স্বচ্ছ ভারত’ আর ‘সুস্থ ভারত’ দুজনে একে অপরের পরিপূরক। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আজ দেশ ‘conventional approach’ অর্থাৎ প্রচলিত পদ্ধতিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কাজ আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিল। এখন সমস্ত বিভাগ ও মন্ত্রক — সে স্বচ্ছতা মন্ত্রক হোক বা আয়ুষ মন্ত্রক, রাসায়ণিক ও সার মন্ত্রক হোক বা উপভোক্তা মন্ত্রক, মহিলা ও শিশুবিকাশ মন্ত্রক হোক কিংবা বিভিন্ন রাজ্য সরকার—সবাই এক সঙ্গে ‘সুস্থ ভারত’-এর জন্য কাজ করে চলেছে। ‘Preventive Health’-এর পাশাপাশি ‘Affordable Health’-এর ওপরও যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে। Preventive Health Care খুব সস্তা এবং সহজও বটে। আমরা Preventive Health Care সম্পর্কে যতটা সচেতন হব, ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজ — সবাই এতে লাভবান হবে। জীবন সুস্থ রাখার প্রথম শর্তই হল পরিচ্ছন্নতা। আমরা সবাই এর জন্য বদ্ধপরিকর। এর পরিণাম এই যে গত চার বছরে ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ দ্বিগুণ হয়ে আশি শতাংশ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া, সারা দেশে ‘Health Wellness Centre’ তৈরি করার দিকে জোর কদমে কাজ চলছে। ‘Preventive Health Care’ হিসেবে যোগ নতুন ভাবে বিশ্বে নিজের একটা পরিচিতি তৈরি করেছে। যোগ সুস্থ ও সক্ষম দুই-ই হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটা আমাদের সবার দায়বদ্ধতার পরিণাম যে, যোগ আজ এক গণ আন্দোলন হিসেবে গড়ে উঠেছে এবং ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। এই বছর ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ২১-শে জুন — আর ১০০ দিনও বাকি নেই। গত তিনটি ‘আন্তর্জাতিক যোগা দিবস’-এ দেশ-বিদেশের প্রতিটি জায়গায় সমস্ত মানুষ খুব উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবারও আমাদের এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা নিজেরা যোগ করব এবং পরিবার-বন্ধু সবাইকে যোগ করার জন্য উৎসাহ দেব। নতুন ও অভিনব রূপে শিশু, তরুণ এবং বয়স্ক মানুষদের মধ্যে, পুরুষ হোক বা মহিলা — যোগকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। দেশের টিভি এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যোগ নিয়ে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান করে থাকে। কিন্তু এখন থেকে ‘যোগা দিবস’ পর্যন্ত এক অভিযান হিসেবে যোগের প্রতি সচেতনতা কি তৈরি করতে পারবেন?

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি যোগাসনের শিক্ষক নই, কিন্তু আমি ‘যোগাভ্যাসী’। কিছু মানুষ তাঁদের নিজ নিজ চিন্তাধারার মাধ্যমে আমাকে যোগাসনের শিক্ষক বানিয়ে তুলেছেন। আর আমার যোগাভ্যাসের থ্রি-ডি অ্যানিমেটেড ভিডিও বানিয়ে ফেলেছেন। আমি আপনাদের সঙ্গে এই ভিডিও শেয়ার করতে চাই, যাতে আমরা একসঙ্গে আসন ও প্রাণায়াম অভ্যাস করতে পারি। স্বাস্থ্য পরিষেবা অবাধ হোক, সবার সাধ্যের মধ্যে হোক, জনসাধারণের জন্য সস্তা আর সুলভ হোক – এর জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ সমগ্র দেশে তিন হাজারের বেশি জন-ঔষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে ৮০০-রও বেশি ওষুধ কম দামে বিক্রির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আরও নতুন কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের কাছে আমার অনুরোধ, অভাবী মানুষের কাছে জন-ঔষধি কেন্দ্রের কথা পৌঁছে দিন, ওঁদের ওষুধের খরচ অনেক কমে যাবে। ওঁদের অনেক উপকার হবে। হৃদরোগীদের  জন্য Heart Stent-এর দাম ৮৫% পর্যন্ত কম করা হয়েছে। কৃত্রিম হাঁটুর খরচও নিয়ন্ত্রণ করে ৫০ থেকে ৭০% পর্যন্ত কম করা গেছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ যোজনা-র অন্তর্গত প্রায় ১০ কোটি পরিবার অর্থাৎ ৫০ কোটির কাছাকাছি মানুষের চিকিৎসার জন্য এক বছরে ৫ লাখ টাকার খরচ ভারত সরকার এবং বীমা কোম্পানি মিলে বহন করবে। দেশের বর্তমান ৪৭৯-টি মেডিকেল কলেজের MBBS-এর আসন সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ৬৮ হাজার করা হয়েছে। সমগ্র দেশের জনসাধারণের জন্য উন্নত চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য–পরিষেবা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন রাজ্যে নতুন AIIMS-এর স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি তিনটি জেলার মধ্যে একটি করে নতুন মেডিক্যাল কলেজ খোলা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা-মুক্ত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এটা বড় কঠিন কাজ। প্রত্যেক মানুষের কাছে এই সচেতনতা পৌঁছানোর জন্য আপনার সাহায্য দরকার। যক্ষ্মা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ১৪-ই এপ্রিল ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্ম-জয়ন্তী। অনেক বছর আগে ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকর ভারতে শিল্পায়নের কথা বলেছিলেন। ওঁর ভাবনায় শিল্প এমনই এক শক্তিশালী মাধ্যম, যার প্রভাবে দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের আয়ের ব্যবস্থা সম্ভব হবে। আজ, যখন সারা দেশে ‘মেক ইন ইণ্ডিয়া’ প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে, তখন তাঁর সেই স্বপ্নদর্শীতাই আমাদের প্রেরণা। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অবস্থান এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ অর্থাৎ FDI ভারতবর্ষেই হচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্য এখন ভারতের দিকেই তাকিয়ে আছে। কারণ, আমরাই এখন বিনিয়োগ আর নতুন উদ্ভাবনার কেন্দ্র হয়ে উঠছি। শিল্পায়নের এই জোয়ার শহর থেকেই উঠবে বলে মনে করতেন ডক্টর আম্বেদকর। আর তাই দেশের নগরায়নের উপর বিশেষ করে ভরসা করতেন। তাঁর এই স্বপ্নকে পাথেয় করে আজ দেশে ‘স্মার্ট সিটি মিশন’ এবং ‘আরবান মিশন’ প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছে।

আমার প্রিয় নাগরিকগণ,

আগামী ১৪-ই এপ্রিল ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী। অনেক বছর আগে ডক্টর আম্বেডকর ভারতের শিল্পায়নের কথা বলেছিলেন। ওঁর ভাবনায় শিল্পএমন’ই এক শক্তিশালী মাধ্যম, যার প্রভাবে দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের আয়ের ব্যবস্থা হবে। ডক্টর আম্বেদকর স্বপ্ন দেখেছিলেন: ভারত এক সময়ে শ্রম-শিল্পের এক শক্তিশালী কেন্দ্রবিন্দু হবে। আজকে যখন সারা দেশে‘মেকইনইন্ডিয়া’প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে, তখন তাঁর সেই স্বপ্ন দর্শিতা’ই আমাদের প্রেরণা। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অবস্থান এখন এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো, আর সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ অর্থাৎ FDI ভারতবর্ষেই হচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্য এখন ভারতের দিকেই তাকিয়ে আছে কারণ আমরাই এখন বিনিয়োগ আর নতুন প্রথা উদ্ভাবনের কেন্দ্র হয়ে উঠছি।

শিল্পায়নের এই জোয়ার শহর থেকেই উঠবে বলে মনে করতেন ডক্টর আম্বেদকর আর তাই দেশের নগরায়ন এর ওপর বিশেষভাবে ভরসা করতেন। তাঁর এই স্বপ্নকে পাথেয় করে আজ দেশে ‘স্মার্টসিটিসমিশন’ এবং নগরায়ণ প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে। শুধু বড় শহর নয়, আজ দেশের ছোট ছোট জনপদকেও সবরকমের আধুনিক সুযোগ সুবিধার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে: মসৃণ রাস্তাঘাট- রাজপথ থেকে পরিষ্কার পানীয় জল, স্বাস্থ্য আর শিক্ষা থেকে ডিজিটাল সংযোগ, ইত্যাদি।

ডক্টর আম্বেদকর স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং আত্মনির্ভরতায় গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন।

দেশের একটি মানুষও যেন দারিদ্র্যের মধ্যে বেঁচে না থাকে, এইরকম চাইতেন ডক্টর আম্বেদকর।

দরিদ্রদের দান দিয়ে যে দারিদ্র্য ঘোচানো সম্ভব নয়, এই কথাটিও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন।
আজ ‘মুদ্রা যোজনা’, ‘স্টার্ট-up ইন্ডিয়া’, ‘স্ট্যান্ড-up ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্পগুলি আমাদের দেশে যুব-উদ্যোক্তা – যুব-উদ্ভাবক তৈরি করছে। ১৯৩০ আর ১৯৪০-এর দশকগুলিতে যখন শুধুসড়ক, রাজপথ আর রেল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, সেই সময়েও ডক্টর আম্বেদকর বন্দর আর জলপথ তৈরির কথা বলেছিলেন। বাবাসাহেব আম্বেদকর জলশক্তি-কেরাষ্ট্র-শক্তির সমার্থক মনে করতেন। দেশের উন্নতি তখনই হবে যখন জলের ব্যবহার সঠিকভাবে হবে। তাঁর মতন দূরদর্শী মানুষ সেইসময়েই বলেছিলেন, নদী আর উপত্যকা পরিচালন সংসদের কথা। কল্পনা করেছিলেন জলসংরক্ষণ আর ব্যবহারের জন্যে থাকবে নানান কার্যনির্বাহী সমিতি। আজ দেশে জলপথ আর বন্দরের সম্প্রসারণের ঐতিহাসিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সমুদ্রতটে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বন্দর আর পুরোনো বন্দরগুলির সংস্কারের কাজও হচ্ছে একইসঙ্গে।

১৯৪০ এর দশকে যখন সারা পৃথিবী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুই শক্তিশালী ক্ষমতার মধ্যে শীতল যুদ্ধ আর দেশভাগের দুশ্চিন্তায় উদ্বেল, ঠিক সেইসময়ে ডক্টর আম্বেদকর ‘টিম ইন্ডিয়া’ অথবা ভারতের আত্মার কল্পনা করেছিলেন। উনি Federalism বা মৈত্রীতন্ত্রের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন আর তাই মনে করতেন যে দেশের উন্নতির জন্যে কেন্দ্র আর রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আজ আমরা দেশ-শাসনের প্রত্যেকটি স্তরে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্র বা cooperative federalism এবং আরও একধাপ এগিয়ে প্রতিযোগিতামূলক সহযোগিতা সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হল, দেশের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত আমার মত অসংখ্য মানুষের  কাছে ডক্টর আম্বেডকর এক প্রেরণা। একটি গরিব পরিবারে জন্ম নিয়েও যে নিজের স্বপ্নকে বাস্তব করা যায়, তার নিদর্শন উনি নিজেই। একটা সময় ডক্টর আম্বেদকরকেও শুনতে হয়েছে বিদ্রুপ, ওঁকে নিয়ে হয়েছে অনেক ঠাট্টা। হতোদ্যম করার চেষ্টা হয়েছে বহুবার, যাতে গরিব পরিবারের একটি ছেলে জীবনে সফলনা হতে পারে।

কিন্তু ‘New India’র ছবিটি একেবারেই আলাদা : এ এমন এক ভারতবর্ষ যা আম্বেদকরের, যা গরিবের, যা সব পিছিয়ে পড়া মানুষের।

ডক্টর আম্বেডকরের জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে ১৪ই এপ্রিল থেকে ৫ই মে সারা দেশে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর আয়োজন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী এই অভিযানে থাকবে গ্রামোন্নয়ন, দরিদ্রকল্যাণ আর সামাজিক ন্যায়ের নানান কার্যক্রম। আপনাদের প্রতি আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ যে, এই জাতীয় অভিযানে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিনের মধ্যেই পরপর অনেকগুলি উৎসব, পার্বন আসছে : মহাবীর জয়ন্তী, হনুমান জয়ন্তী, ইস্টার আর বৈশাখী। মহাবীর জয়ন্তী ভগবান মহাবীরের ত্যাগ আর তপস্যাকে স্মরণ করার দিন। অহিংসার প্রচারক ভগবান মহাবীরের জীবন আর দর্শন আমাদের কাছে প্রেরণা। সকল দেশবাসীকে আমি জানাই মহাবীর জয়ন্তীর শুভেচ্ছা।

ইস্টার এলেই আমাদের মনে করি য়ে দেয় যীশু খ্রীষ্টের কথা, যিনি চেয়েছিলেন মানবতার শান্তি, শুনিয়েছিলেন সদ্ভাব, ন্যায়, দয়া আর করুণারবাণী। এপ্রিল মাসে পঞ্জাব আর পশ্চিম ভারতে বৈশাখীর উৎসব পালিত হবে, ওই সময় বিহারে জুড়শিতল এবং সতুবাইন, আসামে বিহু এবং পশ্চিমবঙ্গে পয়লা বৈশাখের আনন্দ-উল্লাসে ছেয়ে থাকবে। এই সমস্ত পার্বণ কোনও না কোনও ভাবে আমাদের কৃষিকাজ ও অন্নদাতাদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এই সব উৎসবের মাধ্যমে আমরা ফসল হিসেবে পাওয়া অমূল্য উপহারের জন্য প্রকৃতিকে ধন্যবাদ দিই। আবার একবার আপনাদের সবাইকে আসন্ন সকল উৎসবের অনেক শুভকামনা জানাই! অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024

Media Coverage

Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Chief Minister of Andhra Pradesh meets Prime Minister
December 25, 2024

Chief Minister of Andhra Pradesh, Shri N Chandrababu Naidu met Prime Minister, Shri Narendra Modi today in New Delhi.

The Prime Minister's Office posted on X:

"Chief Minister of Andhra Pradesh, Shri @ncbn, met Prime Minister @narendramodi

@AndhraPradeshCM"