নমো বুদ্ধায়!

নেপালের প্রধানমন্ত্রী মহামান্য শ্রী শের বাহাদুর দেউবাজি,

মাননীয়া শ্রীমতী আরজু দেউবাজি,

সভায় উপস্থিত নেপাল সরকারের মাননীয় মন্ত্রীগণ,

বিপুল সংখ্যায় আগত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষজন এবং উপস্থিত মাননীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ,

বিভিন্ন দেশ থেকে আগত গণ্যমান্য অতিথিগণ,

ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

“বুদ্ধ জয়ন্তী কো পাবন অবসর-মা, ইয়শ সভা-মা উপস্থিত, এহাঁ-হরু সবৈ-লাই, সম্পূর্ণ নেপালবাসী-হরুলাই, র বিশ্বকা সবৈ শ্রদ্ধালু-জন-লাই, লুম্বিনী কো পবিত্র ভূমিবাট, বুদ্ধ পূর্ণিমা কো ঘেরোই ঘেরোই শুভকামনা!”

অর্থাৎ, বুদ্ধ জয়ন্তীর পবিত্র উৎসব উপলক্ষে এই সভায় উপস্থিত সকলকে, সম্পূর্ণ নেপালবাসীকে, সমস্ত নেপালিদের, সমগ্র বিশ্বের সমস্ত ভক্তজনদের এই লুম্বিনীর পবিত্র ভূমি থেকে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

আগেও আমার বৈশাখ পূর্ণিমার দিন ভগবান বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত দিব্যস্থলগুলিতে, ভগবান বুদ্ধের আরাধনায় আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে, আর আজ ভারতের মিত্র দেশ নেপালে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র জন্মস্থান লুম্বিনীতে এসে এই সুন্দর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হল।

কিছুক্ষণ আগে আমার মায়াদেবী মন্দির দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য অত্যন্ত অবিস্মরণীয়। সেই স্থান, যেখানে স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছেন, সেখানকার প্রাণশক্তি, সেখানকার চেতনা – এটা একটা ভিন্ন ধরনের অনুভব। এখানে এসে আরেকটি দৃশ্য দেখে আমার খুব আনন্দ হয়েছে;২০১৪ সালে আমি এই পবিত্র স্থানের জন্য মহাবোধি বৃক্ষের যে শিশু চারাগাছটি পাঠিয়েছিলাম, সেটি এখন বড় হয়ে একটি বৃক্ষে পরিণত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

নেপালে পশুপতিনাথজির মন্দির হোক, মুক্তিনাথজির মন্দির হোক, জনকপুরধাম হোক কিংবা এই লুম্বিনী – আমি যখনই নেপালে আসি, নেপাল তার আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ বর্ষণের মাধ্যমে আমাকে কৃতার্থ করে তোলে।

বন্ধুগণ,

জনকপুরে আমি বলেছিলাম যে, “নেপাল ছাড়া আমাদের রামও অসম্পূর্ণ!” আমি জানি যে আজ যখন ভারতে ভগবান শ্রীরামের অনিন্দ্যসুন্দর মন্দির গড়ে উঠছে, তখন নেপালের মানুষও ততটাই আনন্দ অনুভব করছেন।

বন্ধুগণ,

নেপাল অর্থাৎ, বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ – সাগরমাথা বা মাউন্ট এভারেস্টের দেশ! নেপাল অর্থাৎ, বিশ্বের অনেক পবিত্র তীর্থ, অসংখ্য মন্দির এবং মঠের দেশ!

নেপাল অর্থাৎ, বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ করে রাখা অতুলনীয় এক দেশ!

“নেপাল আউন্দা, মলাই কুনোই রাজনীতিক ভ্রমণ ভন্দা, অলগ এওটা ছুট্টৈ আধ্যাত্মিক অনুভূতি হুঞ্ছ।” অর্থাৎ, নেপালে এলে তা যতই রাজনৈতিক সফর হোক, আমার মনে একটি ভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রভাব বিস্তার করে।

ভারত এবং ভারতের জনগণ হাজার হাজার বছর ধরে নেপালকে এই সম্ভ্রম মেশানো দৃষ্টি এবং আস্থার সঙ্গে দেখেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই কিছুদিন আগেই নেপালের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাজি এবং শ্রীমতী আরজু দেউবাজি যখন ভারতে গিয়েছিলেন, আর একটু যেভাবে দেউবাজি তাঁর বেনারস যাত্রার বর্ণনা করছিলেন, তাঁদের কাশী বিশ্বনাথধাম যাত্রার বর্ণনা করছিলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তখন তাঁদের মনেও ভারতের জন্য এই ধরনেরই অনুভূতি থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক।

বন্ধুগণ,

এই যৌথ ঐতিহ্য, এই যৌথ সংস্কৃতি, এই যৌথ আস্থা এবং এই যৌথ প্রেম – এটাই তো আমাদের সবচাইতে বড় পুঁজি, আর এই পুঁজি যত সমৃদ্ধ হবে আমরা ততটাই কার্যকরিভাবে একসঙ্গে মিলেমিশে গোটা বিশ্বে ভগবান বুদ্ধের বার্তা পৌঁছে দিতে পারব, বিশ্বকে নতুন বাঁচার পথ দেখাতে পারব। আজ যেভাবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেখানে ভারত এবং নেপালের ক্রমাগত শক্তিশালী হতে থাকা মৈত্রী, বন্ধুত্ব, আমাদের ঘনিষ্ঠতা সম্পূর্ণ মানবতার হিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এক্ষেত্রে ভগবান বুদ্ধের প্রতি আমাদের উভয় দেশের আস্থা, তাঁর প্রতি অসীম শ্রদ্ধা আমাদের একসূত্রে জুড়ে একটি অভিন্ন পরিবারের সদস্য করে তোলে।

ভাই ও বোনেরা,

গৌতম বুদ্ধ বিশ্বে মানবতার সামুহিক বোধের এক আশ্চর্য অবতরণ। বুদ্ধ যেমন বোধ, বুদ্ধ তেমন শোধ। এখানে ‘শোধ’ বলতে আমি নিরন্তর গবেষণা ও সংস্কারকে বোঝাচ্ছি। বুদ্ধ ভাবনাও, আর বুদ্ধ শিষ্টাচারও। বুদ্ধ এজন্যই বিশেষ, কারণ তিনি কেবল উপদেশ দিয়ে যাননি, বরং তিনি মানবতাকে, মানব সভ্যতাকে জ্ঞানের অনুভূতি এনে দিয়েছেন। তিনি মহান বৈভবশালী রাজপাট এবং চরম সুখ-স্বাচ্ছন্দ ত্যাগ করে পথে বেরিয়ে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই তাঁর জন্ম কোনও সাধারণ বালক রূপে হয়নি, কিন্তু তিনি আমাদের মনে এই অনুভব এনে দিয়েছেন যে কোনও কিছু পাওয়ার থেকেও কোনও কিছু ত্যাগ করার গুরুত্ব ও মহত্ব অনেক অনেক বেশি। ত্যাগের মাধ্যমেই যে কোনও প্রাপ্তি পূর্ণতা পায়। সেজন্য তিনি অরণ্যে অরণ্যে ঘুরে বেরিয়েছেন, তিনি বছরের পর বছর তপস্যা করেছেন, তিনি জ্ঞান ও বোধ নিয়ে ‘শোধ’ বা গবেষণা করেছেন, প্রয়োজনে তার সংস্কার করেছেন। সেই আত্মশোধের পরই যখন তিনি জ্ঞানের শিখরে পৌঁছেছেন তখনও তিনি কোনও ভোজবাজি বা যাদু প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণের দাবি কখনও করেননি বরং ভগবান বুদ্ধ আমাদের সেই রাস্তা দেখিয়ে গেছেন যে পথে তিনি নিজে বিচরণ করেছেন, যে জীবন তিনি নিজে বেছে নিয়েছেন। তিনি আমাদের মন্ত্র দিয়ে গেছেন –

“অপ্প দীপো ভব ভিক্ষওয়ে

পরীক্ষ ভিক্ষওয়, গ্রাহ্যম মদ্বচো, ন তু গৌরবাৎ”

অর্থাৎ, নিজের দীপক বা প্রদীপ নিজেই হয়ে ওঠ। আমার বক্তব্যকে আমার প্রতি ভালোবাসার কারণে গ্রহণ করো না, বরং আগে সেগুলিকে পরীক্ষা কর তারপর আত্মস্থ কর।

বন্ধুগণ,

ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত আরও একটি বিষয় রয়েছে যেটির সম্পর্কে আমি আজ উল্লেখ করতে চাই। এক বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে লুম্বিনীতে সিদ্ধার্থ রূপে বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। আরও এক বৈশাখী পূর্ণিমার দিনই বুদ্ধ গয়াতে তিনি বুদ্ধত্ব অর্জন করে ভগবান বুদ্ধ হন। আবার এই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনই কুশীনগরে তাঁর মহানির্বাণ হয়। একটাই তিথি! সেই একই বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান বুদ্ধের জীবনযাত্রার এই বিশেষ পর্যায়গুলি নিছকই সংযোগ মাত্র নয়, এতে বুদ্ধত্বের সেই দার্শনিক বার্তাও রয়েছে যেখানে জীবন, জ্ঞান এবং নির্বাণ – এই তিনটি একসূত্রে গাঁথা। তিনটি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। এটাই মানুষের জীবনের পূর্ণতা আর সম্ভবত সেজন্যই ভগবান বুদ্ধ বৈশাখী পূর্ণিমার এই পবিত্র তিথিকে বেছে নিয়েছিলেন। যখন আমরা মানবিক জীবনকে এহেন পূর্ণতায় দেখতে শুরু করি, তখন বিভাজন আর বৈষম্যের জন্য কোনও স্থান অবশিষ্ট থাকে না। তখন আমরা নিজেরাই পুরাণে বর্ণিত ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর সেই ভাবনাকে নিজেদের জীবনে অনুভব করি যা “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” থেকে শুরু করে ‘ভবতু সব্ব মঙ্গলম’ – এই বুদ্ধের উপদেশ পর্যন্ত প্রতিফলিত হয়। সেজন্য ভৌগোলিক সীমারেখার ওপরে উঠে বুদ্ধ প্রত্যেক মানুষের, তাঁর জ্ঞান প্রত্যেক মানুষের কল্যাণের জন্য।

বন্ধুগণ,

ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে আমার আরও একটি সম্পর্ক রয়েছে, যাতে একটি অদ্ভূত সংযোগও রয়েছে আর যা অত্যন্ত সুখকরও। যে স্থানে আমার জন্ম হয়েছে, গুজরাটের ওয়াডনগর; সেখানে অনেক শতাব্দী আগে বৌদ্ধ শিক্ষার একটি অনেক বড় কেন্দ্র ছিল। আজও সেখানে অনেক প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করে পুরাতাত্ত্বিকরা সংরক্ষণের কাজ করছেন, আর আমরা তো জানি যে ভারতে এমন অনেক নগর রয়েছে, অনেক শহর রয়েছে, অনেক স্থান এমন রয়েছে যেগুলিকে মানুষ বড় গর্বের সঙ্গে সেই রাজ্যের কাশী রূপে মান্য করেন। ভারতের এটাই বৈশিষ্ট্য, আর সেজন্য কাশীর উপকন্ঠে সারনাথের সঙ্গে আমার আত্মীয়তা কতটা নিবিড় সেটা আপনারাও জানেন। ভারতে সারনাথ, বুদ্ধ গয়া এবং কুশীনগর থেকে শুরু করে নেপালের লুম্বিনী পর্যন্ত – এই পবিত্র স্থানমালা আমাদের মিলিত ঐতিহ্য এবং মিলিত মূল্যবোধের প্রতীক। আমাদের এই ঐতিহ্যকে একসঙ্গে মিলেমিশে বিকশিত করতে হবে, ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে। এখন আমরা উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে এখানে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ’-এর শিলান্যাস করেছি। ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। আপনাদের সহযোগিতায় আমার অনেক দশক পুরনো স্বপ্নকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী দেউবাজির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। লুম্বিনী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের অধ্যক্ষ রূপে তিনি ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন অর ইন্ডিয়াকে এর জন্য জমি দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর এখন এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রেও তাঁর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন। সেজন্য আমরা সবাই অন্তর থেকে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে নেপাল সরকার ভারতে বুদ্ধ সার্কিট এবং লুম্বিনীর উন্নয়নের সকল প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করছে। উন্নয়নের সকল সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করছে। নেপালে লুম্বিনী মিউজিয়াম বা প্রদর্শনশালা নির্মাণও উভয় দেশের মিলিত সহযোগিতার উদাহরণ। আর আজ আমরা লুম্বিনী বুদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটিতে ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর চেয়ার ফর বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ স্থাপন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বন্ধুগণ,

ভারত এবং নেপালের অনেক তীর্থ অনেক শতাব্দীর সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং জ্ঞানের বিশাল পরম্পরাকে গতি প্রদান করেছে। আজও এই তীর্থগুলিতে গোটা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ ভক্ত প্রত্যেক বছর ঘুরতে আসেন। ভবিষ্যতেও আমাদের নিজেদের এই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও গতি প্রদান করতে হবে। আমাদের উভয় সরকারের প্রচেষ্টায় ‘ভৈরহওয়া’ এবং ‘সনৌলি’তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট নির্মাণের সিদ্ধান্তও ফলপ্রসূ হচ্ছে। এর কাজও শুরু হয়ে গেছে। এই সীমান্ত পোস্টটি তৈরি হওয়ার পর সীমান্তে উভয় দেশের জনগণের আসা-যাওয়ার সুবিধা বাড়বে। ভারতে যত বিদেশি পর্যটক আসেন, তাঁরা আরও সহজে নেপালে ঘুরতে আসতে পারবেন। পাশাপাশি, এই ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের মাধ্যমে উভয় দেশের বাণিজ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিবহণে গতি সঞ্চার হবে। ভারত এবং নেপাল উভয় দেশের মধ্যে মিলেমিশে কাজ করার এরকম অনেক অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের এই প্রচেষ্টাগুলির মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিকরা লাভবান হবেন।

বন্ধুগণ,

“ভারত র নেপাল বিচ কো সম্বন্ধ, হিমাল জাস্তৈ অটল ছ, র হিমাল জতিকৈ পুরানো ছ” অর্থাৎ, ভারত এবং নেপালের মধ্যে সম্পর্ক পাহাড়ের মতো অটল আর পাহাড়ের মতোই আদি ও অকৃত্রিম। ভারত ও নেপালের সম্পর্ক হিমালয়ের মতো স্থিতিশীল, হিমালয়ের মতো পুরনো।

আমাদের নিজেদের এই স্বাভাবিক এবং নৈসর্গিক সম্পর্ককে হিমালয়ের মতোই নতুন উচ্চতা প্রদান করতে হবে। খাওয়াদাওয়া, গীত-সঙ্গীত, উৎসব-অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন রীতি-রেওয়াজ থেকে শুরু করে পারিবারিক সম্পর্ক পর্যন্ত – যে সম্পর্কগুলিকে আমরা হাজার হাজার বছর ধরে উপভোগ করেছি, এখন সেগুলিকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রের মাধ্যমে জুড়তে হবে, আরও পোক্ত করতে হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই লক্ষ্যে ভারত নেপালের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। লুম্বিনী বুদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটি, কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটি এবং ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটিতে ভারতের সহযোগিতা এবং প্রচেষ্টা এর বড় উদাহরণ। আমি এই ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও বিস্তারিত করার আরও অনেক বড় বড় সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের এই সম্ভাবনাগুলিকে এবং ভারত ও নেপালের স্বপ্নগুলিকে একসঙ্গে মিলেমিশে বাস্তবায়িত করতে হবে। আমাদের সক্ষম যুবক-যুবতীরা যাতে সাফল্যের শিখরের দিকে এগোতে থাকেন, আর গোটা বিশ্বে বুদ্ধের শিক্ষার প্রকৃত বার্তাবাহক হয়ে ওঠেন।

বন্ধুগণ,

ভগবান বুদ্ধ বলে গেছেন –

“সুপ্প বুদ্ধং পবুজ্ঝন্তি, সদা গৌতম – সাওকা।

ইয়েসং দিওয়া চ রত্তো চ, ভাবনায়ে রতো মনো।।”

অর্থাৎ, যাঁরা সর্বদাই মৈত্রী ভাবনা নিয়ে বাঁচেন, সদ্ভাবনা বিস্তারে সচেষ্ট থাকেন, গৌতমের সেই অনুগামীরা সর্বদাই জাগ্রত থাকেন। অর্থাৎ, তাঁরাই বুদ্ধের প্রকৃত বাস্তব অনুগামী। এই ভাবনাকে মাথায় রেখে আজ আমাদের সম্পূর্ণ মানবতার জন্য কাজ করে যেতে হবে। এই ভাবনাকে মাথায় নিয়ে আমাদের মনে বিশ্বে মৈত্রীর ভাবনাকে মজবুত করতে হবে।

“ভারত র নেপাল বিচ কো মিত্রতালে, ইয়স মানবীয় সঙ্কল্প-লাই পুরা গর্ন, ইয়সৈ গরী মিলের তাম, গরী র হনে কুরামা, বলাই পূর্ণ বিশ্বাস ছ।” অর্থাৎ, ভারত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বকে এই মানবিক সম্পর্কই সম্পূর্ণ করতে পারে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে ভারত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্ব এই মানবিক সংকল্প পূরণে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।

এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে আরও একবার বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

নমো বুদ্ধায়!

নমো বুদ্ধায়!

নমো বুদ্ধায়!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।