দেশের ১০ কোটি পরিবারকে পাইপ বাহিত পরিশ্রুত জলের সুবিধার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে
গোয়া হর ঘর জল’এ প্রথম প্রত্যায়িত রাজ্যের শিরোপা অর্জন করেছে
দাদরা নগর হাভেলী এবং দমন ও দিউ প্রথম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে এই সাফল্যের অংশীদার হয়েছে
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ১ লক্ষেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের যোগ্যতা অর্জন করেছে
“অমৃতকালে এর থেকে ভালো সূচনা আর কিছু হতে পারে না”
“দেশের ভালো-মন্দের তোয়াক্কা করেন না যারা তারা দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে বিনষ্ট করতেও দ্বিধান্বিত নন”
“এই জাতীয় মানুষরা মুখে বড় বড় কথা বলেন কিন্তু জলের ব্যাপারে বৃহৎ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে তারা কখনই কাজ করেন না”
“সাত দশক ধরে যেখানে দেশের ৩ কোটি গৃহ পাইপ বাহিত পরিশ্রুত জলের সুবিধা পেয়েছে সেখানে গত ৩ বছরে ৭ কোটি গ্রামীণ গৃহ পাইপ বাহিত পরিশ্রুত জলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে”
“মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের এই উজ্জ্বল নমুনাকে আমি এবার লালকেল্লার ভাষণে তুলে ধরেছি”
“জল জীবন অভিযান কেবলমাত্র একটি সরকারি প্রকল্প নয়, এটা এমন এক প্রকল্প যা সম্প্রদায়ের উন্নতিকল্পে সম্প্রদায় করছে”

নমস্কার, গোয়ার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী প্রমোদ সাওয়ান্তজী, কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতজী, গোয়া সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী, উপস্থিত অন্যান্য সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ। আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র দিবস। সারা দেশে ধুমধাম করে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে। সকল দেশবাসীকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। জয় শ্রীকৃষ্ণ!

আজকের এই কর্মসূচি গোয়াতে আয়োজিত হয়েছে। কিন্তু, আজ আমি সমগ্র দেশবাসীকে দেশের তিনটি বড় সাফল্য সম্পর্কে বলতে চাই। সারা দেশের জন্য আমার এই বার্তা। যখন আমার দেশবাসী ভারতের এই সাফল্য সম্পর্কে জানবেন, তখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তাঁরা খুব গর্ব অনুভব করবেন আর বিশেষ করে আমার মা ও বোনেরা অত্যন্ত গর্বিত হবেন। অমৃতকালে ভারত যে বিশাল লক্ষ্যগুলি নিয়ে কাজ করছে, সেগুলির সঙ্গে জড়িত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় আজ আমরা অতিক্রম করেছি। প্রথম পর্যায় – আজ দেশের ১০ কোটি গ্রামীণ পরিবার নল বাহিত পরিশ্রুত জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটি ‘হর ঘর জল’ শীর্ষক সরকারি অভিযানের একটি বড় সাফল্য। এটি ‘সবকা প্রয়াস’ – এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণও। আমি এই সাফল্যের জন্য প্রত্যেক দেশবাসীকে, বিশেষ করে আমার মা ও বোনেদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

দেশ, বিশেষ করে আমাদের গোয়া রাজ্য আজ একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। আজ গোয়া দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে এই সাফল্য পেয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জল পৌঁছে গেছে। গোয়া রাজ্যের পাশাপাশি, আজ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা-নগর হাভেলী দমন ও দিউ-ও ১০০ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত জল পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে পেরেছে। ‘হর ঘর জল’ শংসায়িত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশের প্রত্যেক বড় উন্নয়ন অভিযানে গোয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমি গোয়ার জনগণকে প্রমোদজী ও তাঁর উজ্জীবিত টিমকে, গোয়া সরকারকে, ‘স্থানীয় স্বরাজ’ সংস্থাগুলির প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা যেভাবে এই ‘হর ঘর জল’ মিশনকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তা গোটা দেশকে প্রেরণা যোগাচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আগামী কয়েক মাসে দেশের আরও বেশ কিছু রাজ্য এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

দেশের তৃতীয় সাফল্যটি স্বচ্ছ ভারত অভিযান সম্পর্কিত। কয়েক বছর আগে সকল দেশবাসীর প্রচেষ্টায় আমাদের দেশ উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত ঘোষিত হয়েছিল। এর পর আমরা সংকল্প নিয়েছিলাম যে, আমাদের গ্রামগুলিকে ‘ওডিএফ প্লাস’ করে গড়ে তুলবো। অর্থাৎ প্রত্যেক গ্রামে কম্যুনিটি টয়লেট, প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, গোবরধন প্রকল্প ইত্যাদি পরিষেবা বিকশিত করা হবে। এইসব ক্ষেত্রেও দেশ গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এখন দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের ১ লক্ষেরও বেশি গ্রাম ইতিমধ্যেই ‘ওডিএফ প্লাস’ সুবিধাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করার জন্য আমি দেশের সকল রাজ্যকে ও সংশ্লিষ্ট সকল গ্রামকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

আজ বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলি বলছে, একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির অন্যতম একটি সমস্যা হ’ল – জল সুরক্ষা। জলের অভাব, উন্নত ভারতের সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। জল ছাড়া সাধারণ মানুষ, গরীব, মধ্যবিত্ত, কৃষক ও সার্বিকভাবে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বড় সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সকলকে সেবার মনোভাব নিয়ে, কর্তব্যের মনোভাব নিয়ে ২৪ ঘন্টা কাজ করে যেতে হবে। আমাদের সরকার বিগত ৮ বছরে এই মনোভাব নিয়ে জল সুরক্ষার সপক্ষে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে, সরকার গঠনে ততটা পরিশ্রম করতে হয় না, কিন্তু দেশ গঠনে প্রকৃতই কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। দেশ গঠন – দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ‘সবকা প্রয়াস’ – এর মাধ্যমেই সম্ভব হয়। আমাদের সকলকে দেশ গঠনের পথ বেছে নিতে হবে। সেজন্য আমরা ক্রমাগত দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সমস্যাগুলি সমাধান করে চলেছি। যাদের দেশ নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই, দেশের বর্তমান কিংবা ভবিষ্যৎ নষ্ট হলে যাদের কিছু আসে-যায় না – এরকম মানুষরা জল নিয়ে যা খুশি বড় বড় কথা বলতে পারে। কিন্তু, কখনও জলের জন্য একটি বড় দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করতে পারে না।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার অমৃতকালে এই জল সুরক্ষা যাতে ভারতের প্রগতির ক্ষেত্রে কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য বিগত ৮ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার জল সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ জোর দিয়ে কাজ করে চলেছে। ‘ক্যাচ দ্য রেন’ প্রকল্প থেকে শুরু করে ‘অটল ভূজল যোজনা’, দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি করে ‘অমৃত সরোবর’ নির্মাণ, নদীগুলিকে যুক্ত করা অথবা জল জীবন মিশন – এই সবকিছুরই লক্ষ্য হ’ল দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জল সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। কিছুদিন আগে একটি খবর এসেছে যে, এখন ভারতে রামসর কেন্দ্র অর্থাৎ জলাভূমির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫টি হয়ে গেছে। এগুলির মধ্যেও ৫০টি জলাশয় বিগত ৮ বছরে রামসর তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, জল সুরক্ষার জন্য ভারত চতুর্মুখী উদ্যোগ নিচ্ছে আর চারদিক থেকে সাফল্যের খবর আসছে।

বন্ধুগণ,

জল ও পরিবেশের প্রতি এই দায়বদ্ধতা আমাদের জল জীবন মিশনকে ১০ কোটিরও বেশি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সাফল্যের মধ্যেও প্রতীয়মান হয়। অমৃত কালে এর থেকে অসাধারণ সূত্রপাত আর কিছু হতে পারে না। বিগত তিন বছরে জল জীবন মিশনের মাধ্যমে ৭ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে নল বাহিত পানীয় জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এটা কোনও সামান্য সাফল্য নয়। স্বাধীনতার পর বিগত সাত দশকে মাত্র ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে নল বাহিত জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। দেশের প্রায় ১৬ কোটি গ্রামীণ পরিবার এমন ছিল, যাঁদের পানীয় জলের জন্য দূরবর্তী কোনও উৎসের উপর নির্ভর করতে হ’ত। আমরা দেশের গ্রামগুলিতে এত বড় জনসংখ্যাকে এই মৌলিক প্রয়োজনের জন্য কষ্ট পেতে দেখে, তাঁদের জন্য কিছু না করে থাকতে পারিনি। সেজন্য আমি তিন বছর আগে লালকেল্লার প্রাকার থেকে ঘোষণা করেছিলাম যে, দেশের প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হবে। নতুন সরকার গঠনের পর আমরা ‘জল শক্তি’ নামক একটি ভিন্ন মন্ত্রক গঠন করেছি। ‘হর ঘর জল’ অভিযান উপলক্ষে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় মহামারীর কারণে আমাদের সকল উন্নয়ন অভিযানে যে প্রতিবন্ধকতা এসেছে, তা সত্ত্বেও এই ‘হর ঘর জল’ অভিযানের গতি হ্রাস পায়নি। এই নিরন্তর প্রচেষ্টার পরিণাম হ’ল – বিগত সাত দশকে যতটা কাজ হয়েছিল, তার দ্বিগুণেরও বেশি কাজ আমার দেশের মানুষ বিগত তিন বছরে কর্বে দেখিয়েছে। এটা সেই মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের উদাহরণ – যা নিয়ে আমি এ বছর লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছি। যখন প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে যায়, তখন সবচেয়ে বেশি লাভবান হন আমাদের মা ও বোনেরা। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। অপুষ্টির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জল সংক্রান্ত প্রতিটি সমস্যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী তো আমাদের মা ও বোনেরাই। সেজন্য এই মিশনের কেন্দ্রেও আমাদের মা, বোন ও কন্যারাই রয়েছেন। যে বাড়িগুলিতে নল বাহিত পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছেছে, সেই বাড়িগুলিতে বসবাসকারী বোনেদের এখন অনেক সময় সাশ্রয় হচ্ছে। পরিবারের ছেলেমেয়েদের দূষিত জল থেকে যত ধরনের রোগ হ’ত – সেগুলিও হ্রাস পেয়েছে।

বন্ধুগণ,

জল জীবন মিশন একটি প্রকৃত গণতন্ত্রের উদাহরণ। পূজনীয় বাপু যে গ্রাম স্বরাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের পক্ষেও একটি উদাহরণ-স্বরূপ। আমার মনে পড়ে, যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন কচ্ছ জেলায় মা ও বোনেদের জল সমস্যা সমাধানকল্পে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল। এই প্রয়োগ এতটাই সফল হয়েছিল যে, সেটি আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কারও পেয়েছিল। আজ সেই প্রয়োগই আমাদের জল জীবন মিশনেরও অন্যতম প্রেরণা। জল জীবন মিশন অভিযান নিছকই একটি সরকারি প্রকল্প নয়, বরং এটি সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মাধ্যমে, সেই গোষ্ঠীর জন্য সঞ্চালিত প্রকল্প।

বন্ধুগণ,

জল জীবন মিশনের সাফল্যের কারণ – এই অভিযানের ৪টি শক্তিশালী স্তম্ভ। প্রথমটি হ’ল – গণঅংশীদারিত্ব। দ্বিতীয়টি হ’ল – সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, তৃতীয়টি হ’ল – রাজনৈতিক ইচ্ছা শক্তি এবং চতুর্থটি হ’ল – সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার।

ভাই ও বোনেরা,

জল জীবন মিশনে যেভাবে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি, আমাদের গ্রামসভাগুলি, গ্রামের সাধারণ নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেছেন, যেভাবে তাঁদেরকেই অনেক দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল আর তাঁরা যেভাবে তা পালন করেছেন, সেটা অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছে। ‘হর ঘর জল’ বা নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যত ধরনের কাজ রয়েছে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট গ্রামের জনগণের সহযোগিতাতেই সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামের মানুষরাই তাঁদের গ্রামে জল সুরক্ষার জন্য ভিলেজ অ্যাকশন প্ল্যান রচনা করেছেন। গ্রামবাসীর কাছ থেকে জলের মূল্য কতটা নেওয়া হবে, তাও গ্রামের মানুষই ঠিক করছেন। জলের গুণমান পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়ার কাজের সঙ্গেও গ্রামের মানুষই জড়িত। ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে এই কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ‘পানী সমিতি’ গঠন করা হয়েছে, সেগুলিতে মহিলাদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ স্থান দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এই অভিযানের কাজ যাতে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়, সেদিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। জল জীবন মিশনের দ্বিতীয় স্তম্ভ হ’ল – সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এর ফলে, তৃণমূল স্তরে দ্রুত সাফল্য আসছে।

বন্ধুগণ,

জল জীবন মিশনের সাফল্যে তৃতীয় প্রধান স্তম্ভ হ’ল – রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বিগত ৭০ বছরে যতটা সাফল্য পাওয়া গেছে, ৭ বছরেরও কম সময়ে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি কাজ করতে হবে। কঠিন লক্ষ্য ঠিকই। কিন্তু, এটা এমন কঠিন লক্ষ্য নয়, যা ভারতের জনগণ দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিলে অর্জন করতে পারবেন না! কেন্দ্রীয় সরকার, বিভিন্ন রাজ্য সরকার, দেশের সমস্ত পঞ্চায়েত – সকলে এই অভিযানকে দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করার জন্য আপ্রাণ পরিশ্রম করছেন। জল জীবন মিশন সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপর ততটাই জোর দিয়েছে। মনরেগার মতো প্রকল্পের মাধ্যমে যে কাজ হয়, তাও যাতে জল জীবন মিশনকে আরও দ্রুতগামী করে তোলে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এই মিশনের মাধ্যমে যত কাজ হচ্ছে, সেগুলিতে একটি বৃহৎ সংখ্যক গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও হচ্ছে। এই মিশনের সাফল্যের সঙ্গে আরেকটি লাভ হবে, যখন প্রতিটি বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছতে শুরু করবে, স্যাচ্যুরেশনের পরিস্থিতি যখন আসবে, তখন কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব, স্বজন-পোষণ ও বৈষম্যের সুযোগ থাকবে না।

বন্ধুগণ,

এই অভিযানের মাধ্যমে যে নতুন নতুন জলের উৎস গড়ে উঠছে, ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে, পাম্প হাউস তৈরি হচ্ছে – এইসব কিছুর জিও ট্যাগিং-ও হচ্ছে। যথেষ্ট পরিমাণ জলের যোগান ও উৎকর্ষের তদারকির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন – ইন্টারনেট অফ থিনগ সলিউশনস্‌ – এর ব্যবহারও শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, জন শক্তি, নারী শক্তি এবং প্রযুক্তির শক্তি সম্মিলিতভাবে জল জীবন মিশনের শক্তি বাড়িয়ে তুলছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এক্ষেত্রে সমগ্র দেশবাসী যেভাবে পরিশ্রম করছেন, অতিদ্রুত আমরা দেশের প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো।

আরেকবার গোয়াকে, গোয়া সরকারকে এবং গোয়ার নাগরিকদের এই শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে, আর এই বড় বড় সাফল্যগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। আর দেশবাসীকেও আশ্বস্ত করতে চাই যে, তিন বছর আগে লালকেল্লার প্রাকার থেকে যে ঘোষণা করেছিলাম, যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সকল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলির সাহায্যে আমরা সাফল্যের মুখ্য দেখতে শুরু করেছি। আমি আরেকবার কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অনেক অনেক শুভ কামনা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.