নমস্কারম!
ত্রিশূর পুরম উৎসব উপলক্ষে কেরলের ভাই ও বোনেদের অভিনন্দন। ত্রিশূর কেরলের সাংস্কৃতিক রাজধানী। সংস্কৃতির অর্থ হ’ল ঐতিহ্য, শিল্প, আধ্যাত্মিকতা এবং দর্শন। শ্রী সীতারাম স্বামী মন্দির এই সাংস্কৃতিক ভাবধারাকে বহন করে চলেছে বছরের পর বছর। মন্দিরটি এখন নতুনভাবে সেজে উঠেছে বলে আমি শুনেছি। এই উৎসব উপলক্ষে মন্দিরটির স্বর্ণমন্ডিত গর্ভগৃহ উৎসর্গ করা হচ্ছে শ্রী সীতারাম আয়াপ্পা এবং শিবের উদ্দেশে।
বন্ধুগণ,
হনুমান ভিন্ন শ্রী সীতারামের আখ্যান সম্পূর্ণ নয়। তাই, হনুমানজীর ৫৫ ফুট উঁচু মূর্তি পুণ্যার্থীদের আশীর্বাদ করছেন। আমি কুম্ভাভিষেকম – এর শুভেচ্ছা জানাই পুণ্যার্থীদের। আমি অভিনন্দন জানাতে চাই শ্রী টি এস কল্যাণরমনজী এবং কল্যাণ পরিবারের সদস্যদের। বহু বছর আগে আপনারা যখন গুজরাটে আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন এই মন্দিরের কথা। এই উৎসবে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।
বন্ধুগণ,
ত্রিশূর এবং শ্রী সীতারাম স্বামী মন্দির শুধুমাত্র বিশ্বাস নয় - ভারতাত্মার চেতনার প্রতীক। মধ্যযুগে বিদেশি হানাদাররা ভেবেছিল যে, তারা ভারতের পরিচয়টুকুও মুছে দিতে সক্ষম হবে। কিন্তু তারা জানতো না যে, ভারতের প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে তার জ্ঞানধারার মধ্যে। এই কারণেই যাবতীয় আঘাত ও বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে বারবার জেগে উঠেছে ভারত। ঐ সময়ের মন্দিরগুলি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর বিমূর্ত ঘোষণা। আমরা এই দর্শনেরই প্রতিফলন ঘটাতে চাই স্বাধীনতার অমৃতকালে।
বন্ধুগণ,
যুগ যুগ ধরে আমাদের মন্দির ও তীর্থস্থান মূল্যবোধ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হয়ে থেকেছে। একই কথা প্রযোজ্য শ্রী সীতারাম স্বামী মন্দিরের ক্ষেত্রেও। সমাজ থেকে প্রাপ্ত সেবার যথার্থ প্রতিদান দেওয়ার সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ আমাদের মন্দিরগুলি। আমি শুনেছি যে, এই মন্দিরের মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হয়ে চলেছে। এই উদ্যোগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানাই। শ্রী অন্ন অভিযান, স্বচ্ছতা অভিযান, প্রাকৃতিক চাষের প্রশ্নে জনসচেতনতা কর্মসূচি – এইসব উদ্যোগকে আপনারা আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন। আবারও অভিনন্দন জানাই আপনাদের সকলকে।
অনেক ধন্যবাদ।