দক্ষিণ-এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সমিতি, সার্ক ভারতের বিদেশ নীতির একগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ভারত সার্ক অঞ্চলের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ছাড়াও অর্থনৈতিক দিক থেকেঅত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেইপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখিয়েছেন কিভাবে তাঁর বিদেশ নীতির মূল বস্তু হিসাবেসার্ক দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়।

শ্রী মোদী ২০১৪-র ২৬ মে তাঁর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে সার্ক দেশগুলির নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। কাজেই, শ্রী মোদী যখন প্রধানমন্ত্রীহিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই, বাংলাদেশেরজাতীয় সংসদের অধ্যক্ষ শার্মিন চৌধুরি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুটানেরপ্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিন, নেপালেরপ্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং শ্রীলঙ্কাররাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপকসে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরেরদিন, তিনি এইসবনেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকগুলির প্রত্যেকটি থেকেসার্ক দেশগুলির মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন যুগের, নতুন আশার এবং অগ্রগতির সূচনা হয়।



প্রধানমন্ত্রী তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্যভুটানকে বেছে নেন। ২০১৪-র ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত উষ্ণ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়েসে দেশে পদার্পণ করেন এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি তাঁর সফরকালে স্বাক্ষরিতহয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সেই সফরকালে ভুটানের আইনসভাতেও ভাষণ দেন।

২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন কাঠমান্ডু সফরে যান, তা ছিল ১৭ বছরের মধ্যে প্রথম কোন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সে দেশ সফর। নেপালেও তাঁর সফরকালেবেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী এবং নেপালেরনেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনায় ভারত-নেপাল সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। শ্রী মোদী পুনরায় ২০১৪-র নভেম্বর মাসে সার্কের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে নেপাল যান। এই সময় তিনি আবার সার্ক-এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।



২০১৫-র ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কার নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা ভারত সফরে আসেন। ২০১৫-র জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পরতিনি প্রথম ভারতকেই তাঁর বৈদেশিক সফরের স্থান হিসেবে বেছে নেন। ২০১৫-র মার্চে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীলঙ্কা সফর করেন। এটিও ছিল বেশ কয়েক বছরেরমধ্যে প্রথম কোন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফর। এই সফরের সময় দু’দেশেরমধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার আইনসভায় ভাষণ দেন এবং জাফনা সফরে যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই জাফনা সফর ছিল দ্বিতীয় কোনবিশ্ব নেতার এবং প্রথম কোন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জাফনা সফর। জাফনায় তিনি ভারত সরকারের সহযোগিতায় নির্মিত আবাসন প্রকল্পের বেশ কিছু বাড়ি প্রাপকদের হস্তান্তর করেন। সেখানে তিনি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেরও শিলান্যাস করেন।



২০১৫-র মে মাসে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরফ গণিভারত সফর করেন। দুই দেশ তাদের সম্পর্ক উন্নয়নে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়।

২০১৫-র মে মাসে যখন ভারতের সংসদে সর্বসম্মতভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তচুক্তি অনুমোদিত হয়, তখন এক ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল। এই চুক্তিকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ বলে চিহ্নিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীএই চুক্তি অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিরমুখ্যমন্ত্রীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এইউপলক্ষে ভারতকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী খুব শীঘ্রই দু’দেশের সম্পর্ককে আরওসুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ সফরে যাবেন।  

অতএব, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসমূহ, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এবং আরও অনেককিছু,শ্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক দেশগুলির মধ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে সম্ভাব্য সবরকমউদ্যোগ নিয়েছেন।  

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

৫ মে ২০১৭ তারিখ দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতার একটি দৃঢ় অনুপ্রেরণা লাভ করার দিন হিসেবে ইতিহাসে খোদাই করা - ওই দিন দক্ষিণ এশিয়ায় স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যেটা ভারত প্রতিশ্রুতি পূরণের দুই বছর আগে করেছে।

দক্ষিণ এশিয়া উপগ্রহের সাথে, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিও স্পেসে তাদের সহযোগিতায় প্রসারিত করেছে!

ইতিহাস সৃষ্টির সাক্ষীতে, ভারত, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকার নেতারা ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ এশিয়ায় স্যাটেলাইটটি অর্জন করতে পারে এমন সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নততর শাসন, কার্যকর যোগাযোগ, উন্নততর ব্যাঙ্কিং এবং শিক্ষা নিশ্চিত করবে, যথাযথ আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং টেল-মেডিসিনের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এটিকে ভাল চিকিত্সা নিশ্চিত করবে।

শ্রী মোদী উল্লেখ করেছেন, "যখন আমরা হা মেলাবো এবং পারস্পরিক জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রবৃদ্ধি শেয়ার করবো, তখন আমরা আমাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলতে পারবো"।