প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বলেছেন, দেশের প্রতিটি শহর, তা সে বড়ই হোক বা ছোট, ভারতীয় অর্থ-ব্যবস্থার অগ্রণী কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। জাতীয় রাজধানী হওয়ার কারণে দিল্লি শহরে একবিংশ শতাব্দীর মহিমা প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে এই শহরের নিজস্ব পরিচিতি ও স্বতন্ত্রতা স্থাপনের জন্যই এটা আবশ্যক হয়ে উঠেছে। শ্রী মোদী বলেন, প্রাচীন এই শহরটিকে আধুনিক করে তোলার যাবতীয় প্রয়াস চলছে। দিল্লি মেট্রোতে চালক বিহীন পরিষেবার সূচনা করে এবং দিল্লি মেট্রোর এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইন পর্যন্ত ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ডের সুবিধা সম্প্রসারণের সূচনা করে শ্রী মোদী ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
শ্রী মোদী আরও বলেন, সরকার কর ছাড়ের সুবিধা দিয়ে বৈদ্যুতিন যানবাহনের ব্যবহার ও গতিময়তার প্রসারে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন দিল্লি শহরের পরিকাঠামোর সংস্কার করে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সেগুলির নতুন রূপদান করা হচ্ছে। এমনকি, বস্তিবাসীদের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে শতাধিক কলোনীর আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, পুরনো সরকারি ভবনগুলিকে আধুনিক পরিবেশ-বান্ধব কাঠামো হিসাবে রূপ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় রাজধানী দিল্লি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি এই শহরটিকে একবিংশ শতাব্দীর আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। দিল্লি শহর যেহেতু ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক সভা-সম্মেলন, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-পর্যটনের আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠছে তাই দেশের সর্ববৃহৎ কেন্দ্রটি দ্বারকার কাছেই গড়ে তোলা হচ্ছে। একই সঙ্গে, নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। ভারত বন্দনা উদ্যান গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই কর্মসূচিগুলি কেবল দিল্লির কয়েক হাজার মানুষের কাছে কর্মসংস্থানের সুবিধাই নিয়ে আসবে না, বরং পুরনো এই শহরটির রূপ ও আদল সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলবে।
প্রথম চালক বিহীন মেট্রো পরিষেবার সূচনার জন্য রাজধানীর বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়ে শ্রী মোদী মেট্রো পরিষেবা ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইন পর্যন্ত ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ডের সুবিধার সম্প্রসারণেরও সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩০ কোটিরও বেশি মানুষের বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত ক্ষমতার রাজধানী হ’ল দিল্লি। তাই, এই শহরের মহিমা অবশ্যই প্রতীয়মান হওয়া প্রয়োজন।