আমরাদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রজোট, আসিয়ান এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ২০১৮-র ২৫ জানুয়ারি নতুন দিল্লিতে ‘অভিন্ন মূল্যবোধ ও ভবিতব্য’ শীর্ষকমূল ভাবনার সুরে আসিয়ান-ভারত আলোচনা সম্পর্কের ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একস্মারক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলাম।

আসিয়ান-ভারতআলোচনা সম্পর্ককে নীতি, উদ্দেশ্য, অভিন্ন মূল্যবোধ এবং নিয়মকানুনের ভিত্তিতে এগিয়েনিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্পে আমরা পুনরায় আস্থা ব্যক্ত করেছি। এইসব নীতিগুলিরাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতা এবং মৈত্রী চুক্তি,পারস্পরিকসম্পর্কের নীতিতে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণাপত্র এবং ২০১২-র ২০ডিসেম্বর আসিয়ান-ভারত আলোচনা সম্পর্কে বিংশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত স্মারকশীর্ষ বৈঠকে গৃহীত দৃষ্টিভঙ্গি সংক্রান্ত বিবৃতি এবং আসিয়ান সনদের মধ্যেই নিহিতরয়েছে।

কয়েকসহস্রাব্দব্যাপী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতের মধ্যে সভ্যতা-ভিত্তিক সম্পর্ক এবংপারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রেক্ষিতকে আসিয়ান এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতার দৃঢ়ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করার কথা আমরা বিশেষভাবে আলোচনা করেছি।

রাজনৈতিক-নিরাপত্তা,অর্থনৈতিক এবং সমাজ-সাংস্কৃতিক – এই তিনটি স্তম্ভের ওপর আসিয়ান-ভারত আলোচনাসম্পর্কে বিগত ২৫ বছরে যে সব কাজের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, আমরা তার সপ্রশংসস্বীকৃতি দিচ্ছি।

শান্তি,প্রগতি এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির (২০১৬-২০) জন্য আসিয়ান-ভারত অংশীদারিত্বেরকর্মপরিকল্পনাটি রূপায়ণের ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে আমরা সন্তোষ ব্যক্ত করতে চাই। এছাড়া,আসিয়ান-ভারত কর্মপরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য ২০১৬-১৮-র মধ্যে যে অগ্রাধিকার নির্ধারিতহয়েছে, সে বিষয়েও আমরা সন্তোষ ব্যক্ত করতে চাই।

আঞ্চলিকসম্পর্ক ও কাঠামোর ক্ষেত্রে আসিয়ানকে কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে ভারতেরসমর্থন এবং আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং আসিয়ান অখণ্ডতা ও গোষ্ঠীনির্মাণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের আমরা প্রশংসা করি। বিশেষ করে, ‘আসিয়ান,২০২৫ : সকলে মিলে এগিয়ে যাওয়া’, ‘আসিয়ান সংযোগেরমাস্টারপ্ল্যান, ২০২৫’ এবং ‘আসিয়ান অখণ্ডতার তৃতীয় কর্মপরিকল্পনা’ রূপায়ণেরক্ষেত্রে ভারতের সদর্থক ভূমিকার কথা প্রশংসনীয় বলে আমরা মনে করি।

আসিয়ানসদস্যভুক্ত দেশগুলিতে এবং ভারতে ২০১৭ জুড়ে এবং ২০১৮-র প্রথম দিকে যে সব স্মারকঅনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের গোষ্ঠীর মধ্যে আসিয়ান-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবংআসিয়ান-ভারত যুব শীর্ষ বৈঠক, আসিয়ান-ভারত যুব পুরস্কার – যুব নেতৃত্ব কর্মসূচি ও আসিয়ান-ভারতসঙ্গীত উৎসব আয়োজনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আমরানিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে একমত হয়েছি :

1. রাজনৈতিক-নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক,সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নমূলক সহযোগিতার সমগ্র ক্ষেত্রে আসিয়ান-ভারত কৌশলগতঅংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী এবং গভীর করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। এর জন্যপ্রাসঙ্গিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে এবং সরকারি সংস্থাগুলিরমধ্যে নেটওয়ার্ককে আরও প্রসারিত করা হবে। সংসদীয়, বাণিজ্যিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাগত,চিন্তাগত, মিডিয়া, যুব ও অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ মৈত্রী এবং আমাদের অঞ্চলেরগোষ্ঠী সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।

2. শান্তি, প্রগতি এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির (২০১৬-২০) জন্য আসিয়ান-ভারতঅংশীদারিত্বের কর্মপরিকল্পনা যথাযথ সময়ে এবং সুদক্ষভাবে রূপায়ণের জন্য আমরা উদ্যোগগ্রহণ করব এবং সহযোগিতাকে প্রসারিত করব।

3. আসিয়ান-ভারত আলোচনা অংশীদারিত্ব এবং আসিয়ানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যবস্থাপ্রচলিত কাঠামোর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা এবং সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করারলক্ষ্যে কাজ করার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি। আসিয়ান-কেন্দ্রিক প্রাতিষ্ঠানিকব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে – আসিয়ান-ভারত শীর্ষ বৈঠক, পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠক,ভারতের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন-পরবর্তী আলাপ-আলোচনা, আসিয়ান আঞ্চলিকফোরাম, আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক এবং অন্যান্য আসিয়ান-ভারত মন্ত্রীপর্যায়ের এবং ক্ষেত্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা।

4. আসিয়ান গোষ্ঠী কর্মসূচি, ২০২৫-কে কার্যকরভাবে রূপায়ণের জন্য আমরাআসিয়ান-এর মধ্যে অখণ্ডতা এবং আসিয়ান গোষ্ঠী নির্মাণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাব এবংঅবদান রাখার চেষ্টা করব।

রাজনৈতিকএবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা

5. আমরা অভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে সবইস্যুগুলির সঙ্গে আমাদের স্বার্থ জড়িয়ে আছে, সেক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়েযাওয়ার সঙ্কল্প গ্রহণ করেছি। আসিয়ান-কেন্দ্রিক প্রচলিত কাঠামো এবং ব্যবস্থা যেমন,ভারতের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন-পরবর্তী আলাপ-আলোচনা, আসিয়ান আঞ্চলিকফোরাম, পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠক, আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক এবং অন্যান্যআসিয়ান-ভারত মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ক্ষেত্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও সীমান্তপারের অপরাধ মোকাবিলা বিষয়ে আসিয়ান দেশভুক্ত আধিকারিক ও ভারতেরআলাপ-আলোচনার মাধ্যমেএকটি স্বচ্ছ, খোলামেলা, অন্তর্ভুক্ত এবং নিয়ম-ভিত্তিক আঞ্চলিক কাঠামো গড়ে তোলারলক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাব।

6. ১৯৮২ সালের সামুদ্রিক আইন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘ কনভেনশন, আন্তর্জাতিকবেসামরিক উড়ান সংগঠন, আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত সংগঠন কর্তৃক স্বীকৃতআন্তর্জাতিক আইনকানুন অনুসারে আমরা এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমুদ্রনিরাপত্তা, জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা, বিমান চলাচলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা এবং সমুদ্রেরঅন্যান্য ব্যবহারিক কাজকর্ম এবং সামুদ্রিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে এবং শান্তিপূর্ণউপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যাব।

7. সমুদ্র নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায়‘বর্ধিত আসিয়ান মেরিটাইম ফোরাম’ সহ প্রচলিত প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমেসামুদ্রিক ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।

8. আন্তর্জাতিক অসামরিক উড়ান সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংগঠন দ্বারাস্বীকৃত প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি অনুসারে সমুদ্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আসিয়ান এবংভারতের মধ্যে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে অনুসন্ধান এবং উদ্ধারমূলক তৎপরতার জন্য একযোগেকাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি। এছাড়া, সামুদ্রিক গবেষণার সঙ্গে যুক্তসংস্থাগুলির মধ্যে বর্ধিত যোগাযোগ গড়ে তোলা, সামুদ্রিক গবেষণা শিক্ষা, উন্নয়ন এবংউদ্ভাবন বিষয়েও পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা কাজ চালিয়ে যেতে একমত হয়েছি।

9. আসিয়ান-কেন্দ্রিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার আওতায় আমরা যে কোন ধরনেরসন্ত্রাসবাদ এবং হিংস্র জঙ্গিপন্থা ও জঙ্গিকরণের সমস্যা মোকাবিলায় তথ্য বিনিময়,আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সংগঠন নির্মাণের ক্ষেত্রেও আমরা সহযোগিতা আরওগভীর করার বিষয়ে একমত হয়েছি। আসিয়ান-ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাগুলির মধ্যেরয়েছে – সীমান্ত পারের অপরাধ মোকাবিলায় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির আধিকারিক ও ভারতেরমধ্যে বৈঠক, আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও বিশেষজ্ঞদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধীকর্মীগোষ্ঠী এবং ২০০৩-এর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সংক্রান্ত আসিয়ান-ভারত যৌথঘোষণাপত্র, ২০১৫-র হিংস্র জঙ্গিপন্থা বিরোধী পূর্ব এশীয় দেশগুলির বিবৃতি, অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসমূলক তৎপরতার জন্য অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে পূর্ব এশীয়দেশগুলির নেতৃবৃন্দের ২০১৭ সালের ঘোষণাপত্র এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামেরসন্ত্রাসবাদ ও সীমান্ত পারের অপরাধ বিরোধী কর্মপরিকল্পনা। এর অতিরিক্ত হিসাবেসীমান্ত পারের অপরাধ যথা – চোরাচালান, মানব পাচার, মাদক চালান, সাইবার অপরাধ,জলদস্যুতা এবং জাহাজে সশস্ত্র ডাকাতির মতো সমস্যা মোকাবিলায় সহযোগিতা আরওশক্তিশালী করার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।

10. বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষদের কাজেসহযোগিতা, নিরাপত্তা, আইনের শাসন মেনে চলা, সুষম এবং অন্তর্ভুক্ত বিকাশ,সমতা-ভিত্তিক আর্থিক বৃদ্ধি এবং সামাজিক সমন্বয়কে উৎসাহিত করতে ‘ল্যাঙ্কাউইঘোষণাপত্র’কে রূপায়ণের উদ্যোগ বিষয়েও আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।

11. আমরা নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদমোকাবিলার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার নতুনকরে ব্যক্ত করেছি। সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর কাজ বন্ধ করা, সীমান্ত পারেরসন্ত্রাসবাদী তৎপরতা, বিদেশি সন্ত্রাসবাদী এবং ইন্টারনেট সহ সোশ্যল মিডিয়া ব্যবহারকরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানোর বিরুদ্ধে উদ্যোগ গ্রহণে আমরা একমত হয়েছি। এছাড়া,সন্ত্রাসমূলক তৎপরতার জন্য আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করার ক্ষেত্রে এবং সন্ত্রাসবাদীগোষ্ঠীগুলি সংগঠনগুলি যাতে নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে এইসবগোষ্ঠী ও তাদের আশ্রয়স্থলগুলিকে লক্ষ্য করে অভিযানের প্রতি আমরা সমর্থন ব্যক্তকরছি। অন্যদিকে, কোনভাবেই যাতে সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসমূলক তৎপরতা বিস্তার লাভকরতে না পারে, সেই লক্ষ্যে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কোন যুক্তিতেই যাতেসন্ত্রাসমূলক তৎপরতাকে কেউ সমর্থন না করে, সে বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।

12. সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতার ক্ষেত্রেরাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবগুলিকে মান্যতা দেওয়ারক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে একযোগে কাজ করা এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের আন্তর্জাতিকসন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত কনভেনশনের ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও একযোগেকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা একমত হয়েছি।

13. আসিয়ান সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্তসহযোগিতা কৌশল, আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যপ্রযুক্তিব্যবস্থা এবং আসিয়ান-এর বিভিন্ন ক্ষেত্রীয় সংস্থাগুলি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপেরমাধ্যমে আঞ্চলিক সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার বিষয়েও আমরা একমতহয়েছি। ২০১৮ সালে প্রস্তাবিত প্রথম আসিয়ান-ভারত সাইবার আলোচনা বৈঠকে সাইবারনিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৫ সালের আসিয়ান-ভারত সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলনেরসিদ্ধান্তগুলিকে সক্রিয়ভাবে রূপায়ণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও আমাদেরঐকমত্য হয়েছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা

14. আমরা আসিয়ান-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরওশক্তিশালী করে তুলতে চাই। আসিয়ান-ভারত মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সংক্রান্ত চুক্তিটিরসম্পূর্ণ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু রূপায়ণ ও ২০১৮ সালে সংশ্লিষ্ট সবকটি দেশের পক্ষেসুবিধাজনক আঞ্চলিক, সার্বিক, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক আলোচনাকে দ্রুত চূড়ান্তকরতে ঐকমত্য হয়েছে।

15. রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামুদ্রিক আইন সংক্রান্তকনভেনশনের ভিত্তিতে এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারত মহাসাগর এবংপ্রশান্ত মহাসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সুষম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতাবৃদ্ধি করার বিষয়েও আমরা রাজি হয়েছি। সমুদ্রের এইসব সম্পদকে বেআইনিভাবে নষ্ট করা,অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা বন্ধ করা, উপকূলীয় অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষা, দূষণনিয়ন্ত্রণ, সমুদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ, সামুদ্রিক বর্জ্য পদার্থ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করাএবং সামুদ্রিক পরিবেশের পক্ষে প্রতিকূল বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বংশবিস্তার প্রতিরোধ করার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি। এই লক্ষ্যে নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেসহযোগিতার বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি এবং এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য একটিসম্ভাব্য রূপরেখা তৈরির জন্য ভারত সরকারের প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করাহয়েছে।

16. আসিয়ান-ভারত উড়ান সহযোগিতা ব্যবস্থা সংক্রান্তযে সমঝোতা ২০০৮-এর ৬ নভেম্বর ম্যানিলায় আসিয়ান দেশগুলির পরিবহণ মন্ত্রীদের চতুর্দশবৈঠকে গৃহীত হয়েছে তার আওতায় এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও কথাবার্তা হয়েছে।আঞ্চলিক বিমান পরিষেবা ব্যবস্থা এবং টেকনিক্যাল, অর্থনৈতিক ও নিয়ন্ত্রণমূলকব্যবস্থা সংক্রান্ত বিমান পরিবহণ সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য আঞ্চলিক বিমান পরিষেবাসংক্রান্ত আসিয়ান-ভারত কর্মীগোষ্ঠীতে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করার বিষয়েও কথাএগিয়েছে। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলি ও ভারতের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্যকে উৎসাহ দিতেসংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে আরও বেশি করে বিমান যোগাযোগ গড়ে তোলার বিষয়ে এবারেরশীর্ষ বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে।

17. ভারত ও আসিয়ানের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহণক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও এর জন্য সমুদ্র বন্দর, সামুদ্রিক পরিবহণ নেটওয়ার্ক ওপরিষেবা ক্ষেত্রে আরও বেশি করে বেসরকারি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা নিয়েও কথাহয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলিতে ভারত ও আসিয়ানআলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে স্থির হয়েছে।

18. বিমান উড়ান এবং সামুদ্রিক পরিবহণ ক্ষেত্রেসহযোগিতা শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে আসিয়ান-ভারত বিমান পরিবহণ চুক্তি এবংআসিয়ান-ভারত সামুদ্রিক পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনারঅগ্রগতি হয়েছে।

19. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রেসহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণ, পরিকাঠামো নির্মাণ, ডিজিটালযোগাযোগ গড়ে তোলা এবং পরিষেবা উন্নয়নের মাধ্যমে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে।সফট্‌ওয়্যার উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মানবসম্পদ গড়ে তোলার কথাও হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রেস্টার্ট আপ সংস্থাকে উৎসাহিত করা, নতুন নতুন প্রযুক্তিকে এই কাজে ব্যবহার করারমধ্য দিয়ে ‘আসিয়ান যোগাযোগ ২০২৫’-এর মাস্টারপ্ল্যান এবং ‘আসিয়ান তথ্য ও যোগাযোগসংক্রান্ত মাস্টার প্ল্যান ২০২০’কে দ্রুত রূপায়ণের উদ্যোগের বিষয়েরও ঐকমত্য হয়েছে।

20. অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পোদ্যোগগুলির স্থিতিশীল ও সুষম বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসিয়ান দেশগুলির মধ্যেপ্রযুক্তি হস্তান্তর সহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়ন, টেকনিক্যাল সহায়তা,পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা, আর্থিক সহায়তা কেন্দ্র প্রভৃতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশেরএই ধরণের শিল্পোদ্যোগগুলিকে আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী মূল্য শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্তকরার বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, প্রকল্প উন্নয়ন তহবিল ও দ্রুত উন্নয়নেরপ্রকল্প তহবিল যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়েও কথা হয়েছে।

21. কৃষি ও শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিরমাধ্যমে আমাদের অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রযুক্তির উন্নয়নে আন্তর্জাতিকসৌরজোটের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে।

22. আসিয়ান-ভারত উদ্ভাবন মঞ্চ, আসিয়ান-ভারতগবেষণা ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ফেলোশিপ প্রকল্প এবং আসিয়ান-ভারত সহযোগিতামূলকগবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচির ভিত্তিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্ষেত্রীয়সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ২০১৬-২০২৫ সালের জন্য বিজ্ঞান,প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিষয়ে আসিয়ান পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ন্যানোপ্রযুক্তি, বস্তু বিজ্ঞান এবং জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাহয়েছে।

23. আসিয়ান-ভারত মহাকাশ সহযোগিতা কর্মসূচিরূপায়ণের মধ্য দিয়ে বহির্মহাকাশকে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে।এই সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলির মধ্যে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকরে তার ওপর নজরদারি এবং এইসব উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ছবি ব্যবহার করেভূ-গর্ভ, সমুদ্র, পরিবেশগত এবং ডিজিটাল সম্পদকে সুষম-ভিত্তিতে কাজে লাগানোর বিষয়েওকথা হয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট উপগ্রহ ব্যবহার করে আন্তঃউপগ্রহ যোগাযোগ সহ সংশ্লিষ্টঅন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্যআলোচনা হয়েছে।

24. আসিয়ান-ভারত বাণিজ্য পরিষদের মাধ্যমেব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা, বেসরকারি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণবৃদ্ধি, আসিয়ান ও ভারতীয় পণ্যের ব্র্যান্ড বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্যমেলার আয়োজন সহ অর্থনৈতিক যোগাযোগকে গভীরতর করার কথা হয়েছে। আমরা আসিয়ান-ভারতবাণিজ্য ও বিনিয়োগ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আশাবাদী।

সামাজিক-সাংস্কৃতিক সহযোগিতা

25. আসিয়ান ও ভারতের মধ্যে সভ্যতাগত এবংঐতিহাসিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতা বিষয়ক এবারের বৈঠকে সদর্থক আলোচনাহয়েছে। এই সহযোগিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল নীতি-নির্ধারক, পরিচালক এবং শিক্ষামহলের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের উদ্যোগ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ – এগুলিকে সুরক্ষিতরাখার লক্ষ্যে আসিয়ান-ভারত সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সংযোগের প্রতিফলন ঘটে এই ধরণেরপারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি। এছাড়া রয়েছে – মেকং নদীরখাদ বরাবর বিভিন্ন প্রত্নসৌধে খোদাই করা লিপিগুলির মানচিত্র তৈরি এবং আসিয়ান-ভারতসাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্কের বিষয়ে সম্মেলনের আয়োজন।

26. ভারত ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যেস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের পর আসিয়ানের স্বাস্থ্য উন্নয়নকর্মসূচির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা, সবার কাছে স্বাস্থ্যপরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, সুলভে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা এবং চিরাচরিতচিকিৎসা ব্যবস্থাগুলিকে উন্নত করা।

27. দিল্লি আলোচনা, আসিয়ান-ভারত ভাবনাচিন্তাসংক্রান্ত নেটওয়ার্ক, আসিয়ান-ভারত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তৃতামালা, সংশ্লিষ্টদেশগুলির কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ, ছাত্রছাত্রী, আইনসভার সদস্য, কৃষক, মিডিয়ারসদস্যদের জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং সাংস্কৃতিক পর্যটনকে উৎসাহিত করা ও মানুষেমানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও এবারের বৈঠকে সদর্থক আলোচনা হয়েছে।

28. শিক্ষা ও যুব ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে জোরদারকরার জন্য ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ, উদ্যোগপতি উন্নয়ন, বৃত্তিগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগড়ে তোলা, স্কলারশিপের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবা হয়েছে। বিশেষ করে, ইন্ডিয়ানটেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন স্কলারশিপ, আসিয়ান-ভারত গুডউইল স্কলারশিপ,নালন্দা স্কলারশিপ-এর সুবিধা সংশ্লিষ্ট দেশগুলির ছাত্র-যুবদের দেওয়ার জন্য কথাহয়েছে। এবারের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য একটি আসিয়ান-ভারত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাগড়ে তোলা এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্কবৃদ্ধি করার বিষয়েও কথা হয়েছে।

29. প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা ও মানবিকসহায়তার ক্ষেত্রে আসিয়ান-ভারত সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি প্রাকৃতিকবিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি সমন্বয়কারী কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কথাবার্তাঅনেক দূর পর্যন্ত এগিয়েছে। আসিয়ান দেশগুলির মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেএকযোগে তা মোকাবিলার জন্য যে ঘোষণাপত্র জারি হয়েছে, তাকে সফল করে তুলতে আঞ্চলিকপ্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রগুলির মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় ও সহযোগিতার কথাহয়েছে।

30. আসিয়ান ও ভারতের মধ্যে মহিলাদের ক্ষমতায়ন,মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের বিরুদ্ধে সব ধরণের হিংসাত্মক ঘটনার মোকাবিলা ওমহিলা উদ্যোগপতিদের উৎসাহিত করতে ২০১৬-২০২০’র জন্য আসিয়ান-ভারত কর্মপরিকল্পনাঅনুসারে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেপরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং অন্যান্য সহায়ক ব্যবস্থার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ বিষয়েওসদর্থক আলোচনা হয়েছে।

31. পরিবেশ পরিচালন ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আসিয়ানকর্মীগোষ্ঠীর ২০১৬-২০১৫ – এর কর্মপরিকল্পনা ও অন্যান্য এই ধরণের পরিকল্পনারভিত্তিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে।

32. যৌথ গবেষণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমেজৈববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিচালনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে নেতৃবৃন্দেরমাধ্যমে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে। জৈববৈচিত্র্য ধ্বংস প্রতিরোধ, বাস্তুতন্ত্রসংরক্ষণের ক্ষেত্রে জৈববৈচিত্র্য সংক্রান্ত আসিয়ান কেন্দ্রের কাজে সবরকমেরসহযোগিতা করার বিষয়েও আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।

33. ভারত ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সিভিলসার্ভিস সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে নেটওয়ার্কিং এবংঅংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে বলে এই বৈঠকে স্থির হয়েছে।আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সিভিল সার্ভিসে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মীদের উপযুক্তপ্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বিষয়েও কথা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্য দিয়েই ‘আসিয়ানলক্ষ্য ২০২৫’কে রূপায়ণের জন্য এগিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে।

যোগাযোগ

34. ভারত ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যেপ্রত্যক্ষ বস্তুগত যোগাযোগ এবং ডিজিটাল যোগাযোগকে আরও উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে এসংক্রান্ত দুটি কর্মপরিকল্পনা রূপায়ণের কথা হয়েছে। বস্তুগত পরিকাঠামো উন্নয়ন এবংডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকার যে ১০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,তা কাজে লাগিয়ে এই কর্মপরিকল্পনাগুলি রূপায়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে স্থিরহয়েছে।

35. ভারত-মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড, এই তিনটিদেশের মধ্যে একটি তৃদেশীয় মহাসড়ক প্রকল্প রূপায়ণের যে কাজ শুরু হয়েছে, তা দ্রুতসম্পূর্ণ করার বিষয়েও নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই মহাসড়ককে কম্বোডিয়া, লাওএবং ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত করার বিষয়েও সদর্থক আলোচনা হয়েছে।

উন্নয়নের পার্থক্য দূর করার ক্ষেত্রেসহযোগিতা

36. আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যে উন্নয়নেরক্ষেত্রে পার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে ভারত যেভাবে সহায়তা বৃদ্ধি করেছে এবং তাঅব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবারের শীর্ষ বৈঠকে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

২০১৮ সালে ২৫ জানুয়ারি ভারতের নতুন দিল্লিতে এইঘোষণাপত্র গৃহীত হ’ল।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Blood boiling but national unity will steer Pahalgam response: PM Modi

Media Coverage

Blood boiling but national unity will steer Pahalgam response: PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in YUGM Conclave on 29th April
April 28, 2025
QuoteIn line with Prime Minister’s vision of a self-reliant and innovation-led India, key projects related to Innovation will be initiated during the Conclave
QuoteConclave aims to catalyze large-scale private investment in India’s innovation ecosystem
QuoteDeep Tech Startup Showcase at the Conclave will feature cutting-edge innovations from across India

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in YUGM Conclave on 29th April, at around 11 AM, at Bharat Mandapam, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

YUGM (meaning “confluence” in Sanskrit) is a first-of-its-kind strategic conclave convening leaders from government, academia, industry, and the innovation ecosystem. It will contribute to India's innovation journey, driven by a collaborative project of around Rs 1,400 crore with joint investment from the Wadhwani Foundation and Government Institutions.

In line with Prime Minister’s vision of a self-reliant and innovation-led India, various key projects will be initiated during the conclave. They include Superhubs at IIT Kanpur (AI & Intelligent Systems) and IIT Bombay (Biosciences, Biotechnology, Health & Medicine); Wadhwani Innovation Network (WIN) Centers at top research institutions to drive research commercialization; and partnership with Anusandhan National Research Foundation (ANRF) for jointly funding late-stage translation projects and promoting research and innovation.

The conclave will also include High-level Roundtables and Panel Discussions involving government officials, top industry and academic leaders; action-oriented dialogue on enabling fast-track translation of research into impact; a Deep Tech Startup Showcase featuring cutting-edge innovations from across India; and exclusive networking opportunities across sectors to spark collaborations and partnerships.

The Conclave aims to catalyze large-scale private investment in India’s innovation ecosystem; accelerate research-to-commercialization pipelines in frontier tech; strengthen academia-industry-government partnerships; advance national initiatives like ANRF and AICTE Innovation; democratize innovation access across institutions; and foster a national innovation alignment toward Viksit Bharat@2047.