তাঁরা ভারতের সীমানা ছেড়েছেন কিন্তু মিলায়নি ভারতের প্রতি তাঁদের টান। বিশ্বে প্রাণোচ্ছ্বল ও সফল গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রবাসী ভারতীয়রা অন্যতম। ঠিকানা খুঁজে নেওয়া দেশের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চমৎকার মিলেমিশে আছেন, এমনকি তাঁদের উন্নয়নেও রাখছেন অবদান। সেই সঙ্গে, ভারত আছে তাঁদের মন-প্রাণ জুড়ে এবং দরকার পড়লেই তাঁরা ভারতকে সাহায্য করতে এসেছেন এগিয়ে।
প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে নরেন্দ্র মোদী চিরকাল জনপ্রিয়। তাঁরা মনে করেন, মোদী পরিবর্তনের প্রতিভূ, তিনি বদলে দেবেন ভারতকে। প্রতিটি বিদেশ সফরকালে, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সংযোগ রাখার কথাটা প্রধানমন্ত্রী কখনও ভুলে যান না। নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন থেকে সিডনির আলফোনস আরিনা, ভারত মহাসাগর লাগোয়া সেশেলস ও মরিশাস থেকে সাংহাই, ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নরেন্দ্র মোদী পেয়েছেন এক রকস্টারের মতো সংবর্ধনা।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দারুণ উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক, তিনি কথা বলেন ভারতে পরিবর্তনের হাওয়া, মানুষের জীবনে ইতিবাচক বদল নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা এবং ভারতের বিকাশে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকার গুরুত্ব নিয়ে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও ভারতীয়দের বিদেশি নাগরিকতার সংযুক্তি বিষয়ে বহু প্রতীক্ষিত সংস্কার যে দু’হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছেন গোটা বিশ্বের প্রবাসী ভারতীয়রা। ভিসা বিধিনিয়ম শিথিল ও ভিসা মেলার প্রক্রিয়া সহজ-সরল করার দিকটি বহু জায়গায় তারিফ কুড়িয়েছে।
নিজেদের সমাজে সংবর্ধনা জানানো ছাড়াও, বিমানবন্দর ও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোদীকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয়রা। বিদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হামেশাই শোনা যায় “মোদী মোদী মোদী” হর্ষধ্বনি। ফ্রান্সে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের স্মৃতিসৌধের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের এই উল্লাসধ্বনি না করে, “শহীদোঁ অমর রহো” এই প্রার্থনা জানাতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বোঝেন ভারতের উন্নয়নে প্রবাসী ভারতীয়দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে এবং তাঁদের সঙ্গে তিনি লাগাতার যোগযোগ রেখে চলেন।