হ্যানোভার বিশ্বের বড় ও নামডাকওয়ালা শিল্প মেলাগুলির অন্যতম। মেলায় বিশ্বের প্রথমসারির উৎপাদক সংস্থাগুলির প্রদর্শিত পণ্যসম্ভারের টানে জার্মানির এই শহরে জড়ো হয় সব দেশের লোক। ২০১৫-র হ্যানোভার মেলায় ভারত ছিল অংশীদারি দেশ।
এই মেলা যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল। হ্যানোভারে তুলে ধরা হয় ভারতের সফট পাওয়ার ও এদেশে লগ্নির বিপুল সম্ভাবনাময় খোঁজখবর/সুলুক সন্ধান। ‘ভারতে বানাও’ মণ্ডপটি ছিল তাক-লাগানো। এখানে মেলে ধরা হয় দেশের বিশিষ্ট ভাবসত্তা ও সংঘটিত পরিবর্তনগুলির সুবাদে লগ্নির এক আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে ভারতে উঠে আসার খুঁটিনাটি সবদিক। মেলায় ছিল ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেরও মণ্ডপ। মণ্ডপগুলি যথেষ্ট তারিফ কুড়োয়।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হ্যানোভারের মতো বিখ্যাত মেলায় বিজেপি নেতৃতাধীন এনডিএ সরকারের পয়লা বছরেই ভারত এক অংশীদার দেশ হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় তার গভীর আনন্দের কথা জানান। তিনি ব্যবসা সহজ, কর ব্যবস্থা সরল ও বিদেশি লগ্নি টানার পরিবেশ তৈরি করার জন্য এনডিএ সরকারের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
বহু দেশের নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেন যে ‘ভারতে বানাও’ কর্মসূচি নিয়ে তাঁরা খুব আশাবাদী। মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুঙ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবট, জাপানি প্রধানমন্ত্রী আবে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ওলাঁদ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী হার্পার এদের অন্যতম।
ভারত সম্পর্কে এক ইতিবাচক আবহ সৃষ্টি, ভারতে উৎপাদন ও লগ্নি করার জন্য গত এক বছরে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টা খুব সফল হয়েছে। ভারত ও তার অগাধ সুযোগ-সুবিধার দিকে বিশ্ব এখন যথেষ্ট সজাগ।