সুধীবৃন্দ,
এই সম্মেলনে যে মূল্যবান পরামর্শ এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আপনারা প্রত্যেকে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ভারতের প্রস্তাবগুলির নিরিখে আমি বলতে পারি, আমার দলের সদস্যরা সবগুলি বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন।
সুধীবৃন্দ,
আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা, বর্তমান সময়ের চাহিদা এবং ভবিষ্যতের জন্য অভিন্ন উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে ভারত ও ক্যারিকম গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এই সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের সব ধরনের উদ্যোগেই আমরা বৈশ্বিক দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথ)-এর বিভিন্ন চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিই।
ভারতের সভাপতিত্বে গত বছর জি-২০ গোষ্ঠী বৈশ্বিক দক্ষিণের কন্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। ব্রাজিলে গতকালও আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৈশ্বিক দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারত এবং ক্যারিকম গোষ্ঠীভুক্ত আমাদের সকল বন্ধু রাষ্ট্র মনে করে, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।
এই প্রতিষ্ঠানগুলির আজকের বিশ্বের এবং সমাজের চাহিদা অনুযায়ী সংস্কারের প্রয়োজন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত জরুরি। একে কার্যকর করে তোলার জন্য ক্যারিকম-এর সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতার প্রয়োজন এবং ক্যারিকম-এর সমর্থন খুবই জরুরি।
সুধীবৃন্দ,
আজকের বৈঠকে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছি তা প্রতিটি ক্ষেত্রের সহযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভারত-ক্যারিকম যৌথ কমিশন এবং যৌথ কর্মীগোষ্ঠী এগুলির বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমাদের ইতিবাচক সহযোগিতাকে প্রসারিত করতে আমি তৃতীয় ক্যারিকম শীর্ষ সম্মেলন ভারতে আয়োজন করার প্রস্তাব রাখছি।
আরও একবার রাষ্ট্রপতি ইরফান আলি, প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিশেল, ক্যারিকম সচিবালয় এবং আপনাদের সকলকে আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।