নয়াদিল্লি, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫।। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় ইসরোর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রে তৃতীয় উৎক্ষেপণ প্যাড (টিএলপি) স্থাপন করার অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরোর পরবর্তী প্রজন্মের উৎক্ষেপনের জন্য অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় তৃতীয় লঞ্চ প্যাড প্রকল্পটি স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এটি শ্রীহরিকোটার দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাডের একটি বিকল্প হিসাবে স্থাপনা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ভারতীয় মানব মহাকাশ উড়ান মিশনের উৎক্ষেপণ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে।
এই প্রকল্পটির জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে।
বাস্তবায়ন কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রাঃ
এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যাতে শুধু এনজিএলভি নয়, সেমিক্রায়োজেনিক স্তরে এনজিএলভি-র এলভিএমথ্রি যানের উৎক্ষেপণও সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী লঞ্চ প্যাডগুলির নির্মাণে ইসরোর অভিজ্ঞতার সঙ্গে শিল্প মহলের অংশগ্রহণকে কাজে লাগানো হবে। ৪৮ মাস বা ৪ বছরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
ব্যয়: প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় হবে ৩৯৮৪.৮৬ কোটি টাকা যার মধ্যে লঞ্চ প্যাড স্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধাগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সুবিধাভোগীর সংখ্যাঃ এর ফলে এখান থেকে আরও বেশি সংখ্যায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। মহাকাশ অনুসন্ধান মিশন এবং মানব মহাকাশযান মিশনে ভারতের সক্ষমতা বাড়বে।
প্রেক্ষাপট:
এখন পর্যন্ত ভারতীয় মহাকাশ পরিবহন ব্যবস্থা দুটি লঞ্চ প্যাডের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। প্রথম লঞ্চ প্যাডটি হল এফএলপি এবং দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাডটি হল এসএলপি। এফএলপি পিএসএলভির জন্য ৩০ বছর আগে উপলব্ধ করা হয়েছিল এবং পিএসএলভি এবং এসএসএলভির জন্য এখনো এটি উৎক্ষেপনে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। এসএলপি প্রাথমিকভাবে জিএসএলভি এবং এলভিএম ৩ এর জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল এবং পিএসএলভির জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসাবেও এটি কাজ করে থাকে। এসএলপিটি প্রায় ২০ বছর ধরে চালু রয়েছে এবং চন্দ্রায়ণ -৩ মিশন সহ জাতীয় মিশনের পাশাপাশি পিএসএলভি / এলভিএম ৩ এর কয়েকটি বাণিজ্যিক মিশন সক্ষম করার জন্য উৎক্ষেপন ক্ষমতাকে বাড়িয়েছে। এসএলপি গগনযান মিশনের জন্য মানব রেটেড এলভিএম ৩ চালু করার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে।