প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ১৩,৯৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষকদের জীবন ও স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে সাতটি প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছে। এই সাতটি প্রকল্প নিয়ে ডিজিটাল কৃষি মিশন। ডিজিটাল জন-পরিকাঠামোর গঠনের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কৃষি মিশন কৃষকদের জীবনধারণের স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে প্রযুক্তির ব্যবহার করবে। এই মিশনে ২,৮১৭ টাকা টাকা ব্যয় করা হবে। এর মূল দুটি স্তম্ভ হল কৃষি স্ট্যাক এবং কৃষি সিদ্ধান্ত সহায়ক ব্যবস্থা। কৃষি স্ট্যাকে কৃষকদের নিবন্ধীকরণ, গ্রামীণ জমি ম্যাপের নথিভুক্তিকরণ এবং ফসল উৎপাদন নিবন্ধীকৃত করা।
কৃষি সিদ্ধান্ত সহায়ক ব্যবস্থার অধীনে রয়েছে ভূ-স্থানিক তথ্য, খরা / বন্যার নজরদারি, আবহাওয়া / উপগ্রহগত তথ্য, ভূগর্ভস্থ জল / জলের প্রাপ্যতা সংক্রান্ত তথ্য, উৎপাদিত ফসলের মডেলিং এবং বিমা।
এই মিশনে যে সমস্ত সংস্থান রয়েছে তা হল – মাটির চরিত্র, ডিজিটাল উপায়ে ফসলের মূল্যায়ন এবং ডিজিটাল উৎপাদন ক্ষমতার মডেলিং। শস্য ঋণের সঙ্গে যোগ স্থাপন, কৃত্রিম মেধা এবং বিগ ডেটার মতো আধুনিক প্রযুক্তিকে যুক্ত করা, ক্রেতাদেরকে যুক্ত করা, মোবাইল ফোনে নতুন কৃষি সংক্রান্ত জ্ঞানভাণ্ডার গড়ে তোলা।
৩,৯৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষার স্বার্থে ফসল বিজ্ঞান ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে খাদ্য সুরক্ষা গড়ে তুলতে খাদ্য এবং জলবায়ু নিরোধক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কৃষকদেরকে এই উদ্যোগ উপযুক্ত করে তুলবে। এর অন্যতম দিকগুলি হল – গবেষণা ও শিক্ষা, পরিকল্পিত জেনেটিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ডালশস্য এবং গবাদি পশুখাদ্য উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা, ডালশস্য এবং শস্যবীজ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক ফসলের উন্নতিসাধন প্রভৃতি। এছাড়াও, ২,৯৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি-শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বিজ্ঞানের পরিমণ্ডলকে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে কৃষি-বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রী তৈরি করা যাতে তাঁরা বর্তমান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে উন্নত গবেষণার দিক নির্ণয় করতে পারেন। ২০২০ সালের নতুন শিক্ষানীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কৃষি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণাকে আরও আধুনিক করে তোলা, ডিজিটাল ডিপিআই, কৃত্রিম মেধা, বিগ ডেটা, দূরনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা প্রভৃতি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে ওঠা, জলবায়ু নিরোধক এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চাষবাসের সঙ্গে সমন্বয়সাধন করা।
এছাড়াও, ১,৭০২ কোটি টাকা সুস্থায়ী প্রাণীসম্পদ উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে। এতে প্রাণীসম্পদ উৎপাদন এবং দুগ্ধ ক্ষেত্রে আরও বেশি কৃষকদেরকে যুক্ত করাই মূল উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি, প্রাণীশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পশুদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, তাদের পুষ্টি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। উদ্যানপালনের ক্ষেত্রে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এতে করে কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি সহ উদ্যানপালন থেকে তাঁরা যাতে উপার্জন করতে পারেন তার সংস্থান বৃদ্ধি করাই মূল লক্ষ্য। এর পাশাপাশি, ১,২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে শক্তিশালী করে তোলা হবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ১,১১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।