প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কোনও লাইসেন্স ফি বা মাশুল আরোপ ছাড়াই পাবলিক ডেটা অফিসের মাধ্যমে পাবলিক ওয়াইফাই পরিষেবা প্রদানে পাবলিক ডেটা অফিস এগ্রিগেটর – এর পক্ষ থেকে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। টেলিযোগাযোগ দপ্তরের এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার ফলে দেশে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবার পরিধি আরও ত্বরান্বিত হবে। পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানে কোনও মাশুল দিতে হবে না।
মন্ত্রিসভার এই প্রস্তাবের ফলে দেশে পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের অগ্রগতি হবে। এর ফলে, ব্রডব্যান্ড পরিষেবার আরও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সার্বিকভাবে মানুষের ক্ষমতায়ন করবে।
এই পাবলিক ওয়াইফাই এক্সেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস পরিচিত হবে পিএম-ওয়ানি নামে। পিএম-ওয়ানি ইকোসিস্টেম বিভিন্ন পরিষেবাদাতাদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
পাবলিক ডেটা অফিস গড়ে তোলা হবে, যেগুলি পিএম-ওয়ানি মান্যতাসম্পন্ন ওয়াইফাই অ্যাক্সেস পয়েন্টগুলির পরিচালনা ও রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে। সেই সঙ্গে, গ্রাহকদের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দেবে।
পাবলিক ডেটা অফিস এগ্রিগেটর ব্যবস্থার মাধ্যমে পাবলিক ডেটা অফিসগুলির কাজকর্ম পরিচালিত হবে। সেই সঙ্গে, স্বীকৃতিদান তথা হিসাব-নিকেশ সংক্রান্ত কাজকর্ম পরিচালনা করবে।
অ্যাপ প্রোভাইডার ব্যবস্থার মাধ্যমে নথিভুক্ত ইউজারদের জন্য একটি অ্যাপ গড়ে তোলা হবে এবং পিএম-ওয়ানি মান্যতাসম্পন্ন ওয়াইফাই হটস্পটগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ করবে। এছাড়াও, এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহারকারীর নিকটবর্তী অঞ্চলে ওয়াইফাই হটস্পটগুলির বিষয়ে তথ্য প্রদান করবে, যাতে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যবহারকারী অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
অ্যাপ প্রোভাইডারগুলির বিস্তারিত তথ্য পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে একটি রেজিস্ট্রি থাকবে, যার সাহায্যে অ্যাপ প্রোভাইডারদের পাশাপাশি, পাবলিক ডেটা অফিস এগ্রিগেটর এবং পাবলিক ডেটা অফিসগুলির বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকবে। অবশ্য, কেন্দ্রীয় স্তরের এই রেজিস্ট্রি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে সি-ডট।