প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে খনি ও খনিজ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৯৫৭, (এমএমডিআর আইন), সংশোধনের পর ৩টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ – লিথিয়াম, নিওবিয়াম এবং রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস(আরইই)-এ রয়্যালটির হার চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি খনি ও খনিজ পদার্থ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী আইন, ২০২৩, লোকসভায় পাশ করানো হয়েছে। ১৭ অগাস্ট থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে লিথিয়াম ও নিওবিয়াম সহ ৬টি খনিজ পদার্থকে পারমাণবিক খনিজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, বেসরকারি ক্ষেত্রে এই খনিজগুলির নিলামে কোনও বাধা রইল না। এছাড়া, লিথিয়াম, নিওবিয়াম এবং আরইই (ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম বাদে) সহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিলামের মাধ্যমে লিজ দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার।
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের ফলে এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার লিথিয়াম, নিওবিয়াম এবং আরইই ব্লক নিলাম করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। সেজন্য, রয়্যালটি-র (স্বত্ব থেকে আয়) হারও চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। খনিজের ব্লক নিলামের ক্ষেত্রে রয়্যালটির হার নির্ধারণ করা আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি লিথিয়াম, নিওবিয়াম এবং আরইই-র রয়্যালটির হার চূড়ান্ত করা না হত, তখন সেগুলির রয়্যালটির হার দাঁড়াতো গড় বিক্রয় মূল্যের ১২ শতাংশ, যা অন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির তুলনায় অনেক বেশি। লিথিয়াম, নিওবিয়াম এবং আরইই-র ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত হারে রয়্যালটি ধার্য করা হয়েছে:
১) লিথিয়াম – লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জের মূল্যের ৩ শতাংশ
২) নিওবিয়াম – গড় বিক্রয় মূল্যের ৩ শতাংশ
৩) আরইই – রেয়ার আর্থ অক্সাইডের গড় বিক্রয় মূল্যের ১ শতাংশ
দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির ভূমিকা রয়েছে। ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে ভারত। সেক্ষেত্রে লিথিয়াম এবং আরইই-র মতো খনিজগুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশীয়ভাবে খনিজ উত্তোলনে উৎসাহদানের ফলে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পস্থাপন ও পরিকাঠামো প্রকল্পে তা সহায়ক হবে।
আরইই এবং লিথিয়াম ব্লক খনন সংক্রান্ত রিপোর্ট সম্প্রতি কেন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় ভূ-সর্বেক্ষণ (জিএসআই)। পাশাপাশি জিএসআই এবং অন্যান্য সংস্থাও দেশে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির উত্তোলনের কাজ চালাচ্ছে।