নয়াদিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দেওয়া ‘মহিলাদের নিরাপত্তা’ বিষয়ক পৃষ্ঠপোষণ প্রকল্প রূপায়ণের কাজ অব্যহত রাখতে অনুমোদন দিল। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত। এবং এ জন্য মোট ব্যয় বরাদ্দের পরিমান ১১৭৯.৭২ কোটি টাকা।
এই মোট ১১৭৯.৭২ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তার নিজের বাজেট থেকে প্রকল্প রূপায়ণ করতে খরচ করবে ৮৮৯.৪৯ কোটি টাকা এবং বাদবাকি অর্থ দেওয়া হবে নির্ভয়া তহবিল থেকে।একটি দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে নানাবিধ সমস্যা ও প্রসঙ্গের সঙ্গে। এগুলি হল যেমন কঠোর আইনের মাধ্যমে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা, ন্যায়বিচারকে কার্যকরভাবে প্রদান করা, একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহজেই প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পৌঁছে দিতে কাঠামো গঠন ইত্যাদি। প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে ভারতীয় দন্ডবিধি (আইপিসি), ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (সিপিসি) এবং ইন্ডয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট (আইইএ)----এই তিন আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে শক্তহাতে প্রতিরোধ বিধানের সংস্থান করা হয়েছে।
মহিলাদের নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে গৃহীত প্রয়াস হিসেবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারত সরকার ইতিপূর্বেই নানা ধরণের প্রকল্পের সূচনা করেছে। এই সব প্রকল্পের লক্ষ্য হল মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ সংক্রান্ত মামলা বা ঘটনাগুলির প্রতি যথা সময়ে নজর দেওয়া, হস্তক্ষেপ করা এবং তদন্তের কাজে উচ্চমানের দক্ষতা ও সক্ষমতাকে সুনিশ্চিত করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রায়োগিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা। সেই সঙ্গে এই ধরণের অপরাধমূলক ঘটনাগুলিকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করার বিষয়গুলিও প্রকল্পগুলিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারত সরকার ‘মহিলাদের নিরাপত্তা’-র জন্য পৃষ্ঠপোষণ প্রকল্পের আওতায় যে সব প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তাব করেছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে:
(১)১১২ ইমারজেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম (ইআরএসএস) ২.০; অর্থাৎ জরুরি ভিত্তিতে সাড়া দিয়ে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা;
(২)ন্যাশনাল ফরেনসিক ডাটা সেন্টার স্থাপন করা সহ সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিগুলির মানোন্নয়ন করা;
(৩)স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি-গুলিতে ডিএনএ বিশ্লেষণ; সাইবার ফরেনসিক সক্ষমতাকে শক্তিশালি করা;
(৪)মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ;
(৫)নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের মতো অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলি সামলানোর জন্য তদন্তকারী ও জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মী ও আধিকারিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ; এবং
(৬) ওমেন হেল্প ডেক্স এবং অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট।