কৃষক কল্যাণ উদ্যোগগুলির আরও প্রসারে এবং অন্নদাতাদের জন্য সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের (১২ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে একটি নতুন প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান’ অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর পৌরহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৮-র কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী কৃষকদেরকে তাঁদের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক দাম প্রদানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
কৃষক সমাজের আয় সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ কৃষক কল্যাণে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যেই খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন খরচের দেড় গুণ বৃদ্ধি করেছে। রাজ্য সরকারগুলির সহযোগিতায় এক শক্তিশালী সংগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের এই বৃদ্ধি কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযানের মধ্যে রয়েছে – মূল্য সহায়তা প্রকল্প; দাম পড়ে গেলে তার ঘাটতির টাকা মেটানো এবং পরীক্ষামূলকভাবে বেসরকারি সংগ্রহ ও মজুতদার প্রকল্প।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ফসল সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত ১৬ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এরফলে, সংগ্রহ বাবদ মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকায়। এছাড়াও, সংগ্রহ প্রক্রিয়ার জন্য বাজেট সংস্থান বাড়ানো হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান রূপায়ণের জন্য ১৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। দেশের অন্নদাতাদের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতার দিকটিই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে।