জাতীয় ইস্পাত নীতি, ২০১৭ বুধবার অনুমোদন লাভ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার।প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নীতিঅনুমোদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইস্পাত ক্ষেত্রে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ারকথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিটিতে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশে ইস্পাতের ব্যবহার আরওবেশি করে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে তেমনই উন্নতমানের ইস্পাতউৎপাদনের বিষয়টিকেও নিশ্চিত করা যাবে। ফলে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশের ইস্পাতশিল্পকে বিশ্ব প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন ইস্পাত নীতি, ২০১৭-তে ২০৩০ সালের মধ্যে ইস্পাতউৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজনপড়বে বলে জানা গেছে। পরিকাঠামো, আবাসন ও যান শিল্পক্ষেত্রে ইস্পাতের ব্যবহারউল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরা হয়েছে নতুন নীতিটিতে।আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহারের পরিমাণ ১৬০ কিলোগ্রামে নিয়েযাওয়ার লক্ষ্যমাত্রারও উল্লেখ রয়েছে নতুন নীতিতে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু ইস্পাতব্যবহারের মাত্রা হল ৬০ কিলোগ্রাম।
সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র এবং মাঝারি ধরনের ইস্পাত ক্ষেত্রের ওপরআরও বেশি করে জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিটিতে। এই ধরনেরশিল্পক্ষেত্রে জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদনশীলতারওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, জ্বালানি খাতে ব্যয়ের মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করাহবে।
ইস্পাত গবেষণা ও প্রযুক্তি মিশন (এসআরটিএমআই) গড়ে তোলার মাধ্যমে ইস্পাতক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও বেশি করে উৎসাহদান করা হবে। বিশেষত,লোহা ও ইস্পাত ক্ষেত্রে জাতীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলিতে গবেষণা ওউন্নয়নের বিষয়টি বিশেষ অগ্রাধিকার লাভ করবে।
জাতীয় ইস্পাত নীতি, ২০১৭ কার্যকর হলেদেশের ইস্পাত ক্ষেত্রে উৎপাদন ওবিপণনের উপযোগী এক বিশেষ পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্যমন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমগ্র বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বকেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রকের।