বুধবার এখানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীরনেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয় জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি, ২০১৭-তে। ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ ব্যবস্থাকে দেশের সকল নাগরিকের কাছেসুসংবদ্ধভাবে পৌঁছে দেওয়া এই নীতির বিশেষ লক্ষ্য। এর আওতায় সার্বজনীন স্বাস্থ্যকর্মসূচি এবং উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুলভে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নতুন স্বাস্থ্য নীতিতে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরার পাশাপাশি তার সার্বিক সমাধানের ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এজন্য কৌশলগতঅংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে। স্বাস্থ্যপরিচর্যার মানোন্নয়ন, বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যাক্ষেত্রে বিনিয়োগ হল এই নীতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এক কথায়, জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি,২০১৭ হল নাগরিক-কেন্দ্রিক উন্নতমানের এক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করারপ্রতিশ্রুতি। একদিকে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর এই নীতিতে বিশেষ জোর দেওয়াহয়েছে, অন্যদিকে তেমনই ওষুধ ও চিকিৎসার সাজসরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ‘মেক ইনইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সফল রূপায়ণের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি, ২০১৭-র মূল উদ্দেশ্য হলনাগরিকদের সুস্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ মাত্রায় উন্নীত করা।এজন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবস্থায় একদিকে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে রোগপ্রতিরোধের ওপর, অন্যদিকে তেমনই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রসারেরওপর। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দেশের কোন নাগরিকই যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগথেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করা এই নীতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
আর্থিক সুরক্ষার দিকটি চিন্তা করে বিনা খরচে রোগনির্ণয়, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগরয়েছে এই নীতির আওতায়।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারেরভূমিকার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি, ২০১৭-তে। এই বিশেষক্ষেত্রটিতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে এবংবিষয়টিকে সুপরিস্ফুট করে তুলতেসমস্তরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে এর আওতায়।
নতুন এই স্বাস্থ্য নীতিতে পেশাদারিত্ব, নীতি বোধ,সমতা, সহজলভ্যতা, সার্বজনীনতা, রোগী-কেন্দ্রিক পরিষেবা ও পরিচর্যা এবং দায়বদ্ধতারওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে অভূতপূর্বভাবে। এই স্বাস্থ্য নীতির আরেকটি বৈশিষ্ট্যহল, দেশের গ্রামীণ ও চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত এলাকাগুলিতে পেশাদারচিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থার প্রসার।‘সমাজেও কিছু করা দরকার’ – এই বোধ যাতে তাঁদের মধ্যে জেগে ওঠে তা সম্ভব করে তুলতেইসরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ।
স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রে যে সমস্তত্রুটি-বিচ্যুতি বা ঘাটতি রয়েছে তা মেটাতে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণের ওপরও বিশেষ জোরদেওয়া হয়েছে এই নতুন স্বাস্থ্য নীতিতে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সার্বিকভাবে চিকিৎসা ওসেবাকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও।