কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় যে বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি হয়েছে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেরও ওপরও তা প্রভাব পড়েছে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিকাঠামো সম্পর্কিত গ্রিনফিল্ড প্রকল্পগুলির সুবিধার্থে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিশ্চয়তা তহবিল গঠনে অনুমতি দিয়েছে।
মন্ত্রিসভা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রগুলি সহ অন্যান্য ক্ষেত্র ও ঋণ সহায়তা দাতাদের সুবিধার্থে একটি কর্মসূচি শুরু করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সঠিক সময়ে এই কর্মসূচির পন্থা-পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিল গঠনের প্রস্তাবও মঞ্জুর করেছে।
উদ্দেশ্য :
কোভিড প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির জন্য ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচি (এলজিএসসিএএস) – এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে সমস্ত ঋণ সহায়তা মঞ্জুর করা হবে অথবা ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের অর্থ ঋণ হিসাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচি (ইসিএলজিএস) : এটি একটি চালু প্রকল্প। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সমস্ত ঋণ সহায়তা মঞ্জুর করা হবে, সেক্ষেত্রে এই কর্মসূচির সুবিধা মিলবে। অথবা, কর্মসূচির আওতায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার যে তহবিল গঠন করা হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রভাব :
কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে ঘাটতি দেখা গেছে, তা পূরণের লক্ষ্যেই কোভিড প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির জন্য ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হ’ল – ঋণ সুবিধা গ্রহণে আংশিক ঝুঁকি দূর করা এবং স্বল্প সুদের হারে ব্যাঙ্ক ঋণ সহায়তা।
কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় যে বাধা-বিপত্তি দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় স্বল্প সুদের হারে ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দানে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি ঋণ সংগ্রহ করে তাদের কাজকর্ম অব্যাহত রাখতে পারবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি এই কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়ে পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারবে। ফলস্বরূপ, অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।