প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি(সিসিইএ) আজ ২০২১-২৬ সালের জন্য ৯৩,০৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনা (পিএমকেএসওয়াই) বাস্তবায়নে অনুমোদন দিয়েছে।
সিসিইএ রাজ্যগুলিকে ৩৭,৪৫৪ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা এবং পিএমকেএসওয়াই-এর আওতায় ২০২১-২৬ সালের মধ্যে সেচ উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে ২০,৪৩৪.৫৬ কোটি টাকা ঋণ দানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
দ্রুত সেচ সুবিধা কর্মসূচি (এআইবিপি), হার খেত কো পানি (এইচকেকেপি) এবং জলাশয় উন্নয়নে ২০২১-২৬ সাল পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয় অনুমোদিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প হল এআইবিপি।এর লক্ষ্য হল সেচ প্রকল্পগুলিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া। এআইবিপি-এর অধীনে ২০২১-২৬ সালের মধ্যে মোট অতিরিক্ত ১৩.৮৮ লক্ষ হেক্টর সেচ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। উপজাতি অধ্যুষিত এবং খরা প্রবণ এলাকা এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।
রেনুকাজি বাঁধ প্রকল্প (হিমাচল প্রদেশ) এবং লাখওয়ার বহুমুখী প্রকল্প (উত্তরাখণ্ড) - দুটি জাতীয় প্রকল্পের জন্য ৯০% কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ যমুনা অববাহিকায় অবস্থিত ছটি রাজ্য উপকৃত হবে,দিল্লির পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে জল সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং যমুনা নদীর পুনরুজ্জীবন ঘটবে।
হর খেত কো পানি - এর লক্ষ্য হল আরও কৃষি জমিকে সেচের আওতায় নিয়ে আসা। এইচকেকেপি-এর আওতায় পিএমকেএসওয়াই-এর অন্তর্ভুক্ত জলাশয়গুলির সংস্কার সাধন ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৪.৫ লক্ষ জমিতে সেচের সাহায্যে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জলাশয়গুলির পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বের কথা চিন্তা করে, মন্ত্রিসভা শহর ও গ্রামীণ উভয় এলাকায় সহায়তা রাশির ক্ষেত্রে এক দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ,ভূগর্ভস্থ জল সঞ্চয়,জল অপচয় রোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রেক্ষাপট-
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনা (পিএমকেএসওয়াই)এর সূচনা করা হয়।মূলত কেন্দ্রীয় সরকার সেচ প্রকল্প ক্ষেত্রে রাজ্য সরকাগুলিকে যে আর্থিক সহায়তা করে থাকে সেগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।জলসম্পদ বিভাগ, নদী উন্নয়ন এবং গঙ্গা পুনরুজ্জীবন দফতর দ্রুত সেচ সুবিধা কর্মসূচি (এআইবিপি), হার খেত কো পানি (এইচকেকেপি) এবং জলাশয় উন্নয়ন-এর মতো প্রকল্প কার্যকর করতে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।পাশাপাশি কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতর 'প্রতি জল বিন্দুতে আরো শস্য' এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে ।