প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ৭০ বছর ও তার বেশি বয়স্ক সব প্রবীণ নাগরিককে তাঁদের আয় নির্বিশেষে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় (এবি পিএম-জেএওয়াই) স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।
এর ফলে প্রায় ৪.৫ কোটি পরিবার উপকৃত হবে। প্রায় ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসা বিমার সুবিধা পাবেন।
এই অনুমোদনের ফলে ৭০ বছর ও তার বেশি বয়স্ক সব প্রবীণ নাগরিকই তাঁদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রবীন নাগরিকদের এই প্রকল্পের জন্য একটি স্বতন্ত্র কার্ড দেওয়া হবে। যেসব পরিবার ইতোমধ্যেই এই বিমার আওতায় রয়েছে, সেইসব পরিবারের প্রবীণরা বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত টপআপ সুবিধা পাবেন। (অতিরিক্ত এই সুবিধা কেবলমাত্র ওই প্রবীণদের জন্যই, এই সুবিধাকে তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে না)। অন্য প্রবীণ নাগরিকরা পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিমার সুবিধা পাবেন। যেবস প্রবীণ নাগরিক অন্য কোনো সরকারি প্রকল্প যেমন কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্প (সিজিএইচএস), এক্স সার্ভিস ম্যান কন্ট্রিবিউটারি হেল্থ স্কিম (ইসিএইচএস), আয়ুষ্মান সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ) প্রভৃতির সুবিধা ভোগ করছেন, তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামতো সেই প্রকল্পেও থাকতে পারেন অথবা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি আর্থিক সহায়তাযুক্ত স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প। এর আওতায় ১২.৩৪ কোটি পরিবারের ৫৫ কোটি ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রতি বছর পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হচ্ছে। বয়স যাই হোক না কেন, যোগ্য পরিবারের সব সদস্যই এর আওতায় রয়েছেন। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৭.৩৭ কোটি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ শতাংশই মহিলা। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিমার সুবিধা পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৭০ বছর ও তার বেশি বয়স্ক প্রবীণ নাগরিকদের এই প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা করেছিলেন।
আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সূচনায় ভারতের জনগোষ্ঠীর সব থেকে দরিদ্র ও অসহায় ৪০ শতাংশ, ১০ কোটি ৭৪ লক্ষ মানুষকে এর আওতায় আনা হয়েছিল। ক্রমশ এর পরিধি প্রসারিত হতে থাকে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এর সুবিধাভোগী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি হয়। পরবর্তীকালে ৩৭ লক্ষ আশা ও অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীর পরিবারকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই প্রথাকে অব্যাহত রেখে এবার ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব প্রবীণ নাগরিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হল।