প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাতীয় আয়ুষ মিশন ২০২১-এর পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২৬-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই কর্মসূচি রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ৪,৬০৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার ৩ হাজার কোটি টাকা এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি ১,৬০৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় ভার বহণ করবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৪-র ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট জাতীয় আয়ুষ মিশনের সূচনা হয়।
ভারতে আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, সোয়া রিগপা, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি (আদ্যাক্ষর মিলিয়ে আয়ুষ)-র মত পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির এক অতুলনীয় ঐতিহ্য রয়েছে। পরম্পরাগত এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং উপশমের ক্ষেত্রে জ্ঞান ভান্ডার। ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির সাধারণ মানুষের কাছে কার্যকরিতার দিক থেকে বিপুল চাহিদা ও স্বীকৃতি উভয়ই রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি অত্যন্ত ব্যয় সাশ্রয়ী এবং কার্যকর উপশমের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনাময়।
কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক জাতীয় স্তরে কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট আয়ুষ মিশন রূপায়ণ করছে। আয়ুষ হাসপাতাল ও রোগ নির্ণয়কারী কেন্দ্রগুলির মানোন্নয়ন ঘটিয়ে আয়ুষ পরিষেবাকে সর্বজনীন করে তুলতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সমুদায়িক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং জেলা হাসপাতালগুলির মানোন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে, যাতে সেখানে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়। আয়ুষ হাসপাতালগুলির মানোন্নয়ন ঘটিয়ে সেখানে আয়ুষ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যাতে ১২,৫০০টি আয়ুষ স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। এর ফলে, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা খাতে ব্যয় সাশ্রয় হবে।
দেশে আয়ুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রয়াসে সাহায্য করতে জাতীয় আয়ুষ মিশনের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী এলাকাগুলিতে আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির আরও প্রসারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় আয়ুষ মিশনে নিম্ন লিখিত পরিনাম আশা করা হচ্ছে -
• আয়ুষ পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে এমন চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির মানোন্নয়ন ঘটিয়ে আরও গুণগত মানের পরিষেবা সুনিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আয়ুষ ওষুধপত্রের যোগান বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষিত মানব সম্পদের ঘাটতি মেটানো।
• সর্বাধুনিক আয়ুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়ে আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসার ঘটানো।
• আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সুনির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে সংক্রামক/অ-সংক্রামক রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কমানো।