প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের ১৬টি রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারতনেট সংশোধিত কর্মসূচি রূপায়ণে অনুমতি মিলেছে। এই কর্মসূচি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির পাশাপাশি, বসবাসযোগ্য সমস্ত গ্রামেও রূপায়িত হবে। সংশোধিত কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন সংযোগ স্থাপন, ইতিমধ্যেই চালু পরিষেবার মানোন্নয়ন, নেট পরিষেবার সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণা-বেক্ষণ ও তার সদ্ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রূপায়ণকারী সংস্থাকে চিহ্নিত করা হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারতনেট কর্মসূচি রূপায়ণে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং বা সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি বাবদ আর্থিক সংস্থান হিসাবে সর্বাধিক ১৯ হাজার ৪১ কোটি টাকার সংস্থান করা হবে। মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে যে রাজ্যগুলিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সহ রয়েছে – কেরল, কর্ণাটক, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা প্রভৃতি। ভারতনেট কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েত সহ ৩ লক্ষ ৬১ হাজার গ্রামে ভারতনেট পরিষেবা পৌঁছে যাবে।
এছাড়াও মন্ত্রিসভা উপরোক্ত ১৬টি রাজ্য বাদে বাকি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বসবাসযোগ্য সমস্ত গ্রামে ভারতনেট কর্মসূচি সম্প্রসারণে নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে। টেলিযোগাযোগ দপ্তর এই রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কর্মসূচি রূপায়ণে পৃথক পন্থা-পদ্ধতি গ্রহণে কাজ করবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারতনেট কর্মসূচি রূপায়ণে আরও গতি আসবে। সেই সঙ্গে, পরিষেবার মান বজায় রাখা ও সদ্ব্যবহার আরও সুনিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে, দ্রুত রূপায়ণের ফলে রাজস্ব সংগ্রহের সম্ভাব্য পথা খুলে যাবে। বসবাসযোগ্য সমস্ত গ্রামে ভারতনেট কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য হ’ল – এক নির্ভরযোগ্য, গুণমানসম্পন্ন ও হাইস্পীড ব্রডব্যান্ড পরিষেবা প্রদান করা, যাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির যাবতীয় পরিষেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এই ইন্টারনেট পরিষেবা রূপায়িত হলে অনলাইন শিক্ষা, টেলিমেডিসিন, দক্ষতা বৃদ্ধি, ই-বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিষেবা প্রায় বাড়ির দোরগোড়াতেই মিলবে। ব্যক্তি-বিশেষ থেকে প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন পক্ষ এই পরিষেবা ব্যবহার করলে, তা থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণও বাড়বে।
গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবার সম্প্রসারণ ঘটলে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে গ্রাম-শহর বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে। পক্ষান্তরে, ডিজিটাল ভারত কর্মসূচির উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করা আরও ত্বরান্বিত হবে। এই কর্মসূচি রূপায়ণের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি, আয়ের একাধিক উৎস খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারতনেট পরিষেবা নিম্নলিখিত গ্রাহক-বান্ধব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেবে :
• বেসরকারি পরিষেবা দাতাদের মাধ্যমে গ্রাহক কল্যাণে উদ্ভাবনমূলক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে।
• উচ্চ গুণমানসম্পন্ন পরিষেবা এবং গ্রাহকদের জন্য আরও দ্রুত পরিষেবা।
• নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি ও যোগাযোগ।
• আরও বেশি ন্যায়সঙ্গত নেট-মাশুল।
• সকলের কাছে অনলাইন পরিষেবা গ্রহণের সুবিধা।
ভারতনেট কর্মসূচি রূপায়িত হলে ইন্টারনেট পরিষেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষের অর্থ সাশ্রয় হবে।