প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ আয়ুষ্মান ভারত – জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিশন নামেকেন্দ্রের অর্থানুকূল্যে একটি নতুন প্রকল্প চালু করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হ’ল। এইপ্রকল্পে বছরে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা পাওয়া যাবে। দেশের জনসংখ্যারদরিদ্র ও বিপন্ন অংশে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে এই প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আনাইএর লক্ষ্য। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা এবং বর্ষীয়ান নাগরিক স্বাস্থ্য বিমাপ্রকল্প এই দুটি চালু কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও এই আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে।
বৈশিষ্ট্য
আয়ুষ্মান ভারত – জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিশন-এ পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা –
এর আওতায় মধ্যবর্তী পর্যায়ের সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবংতাঁর পরবর্তী পর্যায়ের অধিকাংশ স্বাস্থ্য সুরক্ষাই আসবে। শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধ সহপরিবারের কেউ-ই যাতে এর আওতার বাইরে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পরিবারেরলোকসংখ্যা ও বয়সের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে এবংহাসপাতালে চিকিৎসার পরবর্তী পর্যায়ের খরচও এর আওতায় থাকবে। বিমার প্রথম দিন থেকেইআগের সব শারীরিক সমস্যা এর আওতাভুক্ত হবে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রেপরিবহণ ভাতাও দেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধা দেশের যে কোনও জায়গায়স্থানান্তরযোগ্য এবং সুবিধাপ্রপকরা দেশের যে কোনও সরকারি/বেসরকারি তালিকাভুক্তহাসপাতালে ক্যাশলেস সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
আয়ুষ্মান ভারত হবে প্রাপ্য-ভিত্তিক প্রকল্প আর এইপ্রাপ্যতা বঞ্চনার মাপকাঠি অনুযায়ী স্থির করা হবে। গ্রামাঞ্চলে বসবাসের অবস্থা,পরিবারে ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সের মধ্যে কোনও পুরুষ সদস্য না থাকা, প্রতিবন্ধী সদস্যথাকা তপশিলি জাতি/উপজাতি, ভূমিহীন পরিবার প্রভৃতি এর বিবেচনার মধ্যে থাকবে।শহরাঞ্চলে ১১টি পেশাগত শ্রেণী এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।
খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্যাকেজ হারে চিকিৎসার ব্যবস্থাহবে। সুবিধাপ্রাপকদের ক্ষেত্রে লেনদেন হবে ক্যাশলেস ও কাগজ বিহীন উপায়ে।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অন্যতম প্রধান নীতি হ’লসহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়বাদ। সহ-সমন্বয়ের মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে অংশীদার করারওসংস্থান আছে। রাজ্য সরকারগুলিকেও এই প্রকল্পকে ওপর-নীচ ও আড়াআড়ি – দু’ভাবেই এইপ্রকল্প সম্প্রসারণের সুযোগ দেওয়া হবে।
কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে শীর্ষ স্তরেআয়ুষ্মান ভারত জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিশন পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরপৌরহিত্য করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী।
রাজ্যগুলিকে এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্যসংস্থা এসএইচএ গঠন করতে হবে। জেলাস্তরেও এই প্রকল্প রূপায়ণের কাঠামো তৈরি করারপ্রয়োজন হবে।