নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহাকাশ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতির সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে স্যাটেলাইট সাব সেক্টরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি ভাগের ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগের সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারী অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহাকাশ ক্ষেত্রের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রকে খুলে দেওয়ার জন্য ভারতীয় মহাকাশ নীতি ২০২৩ নিয়ে আসা হয়। এই নীতির উদ্দেশ্য হল মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের কাজকর্মের প্রসার ঘটাতে অংশীদারদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা এবং মহাকাশে বাণিজ্যিক কাজকর্ম বাড়াতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সম্ভাবনা গড়ে তোলা।
বর্তমান প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতির শর্ত হল, কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত রুটগুলির ক্ষেত্রেই উপগ্রহ চলাচল ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ করা যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই নীতির সংশোধন ঘটিয়েছে। এই সংশোধনের ফলে উপগ্রহ ভিত্তিক নানা ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করা হল।
নতুন সংশোধিত এই প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগর নীতিতে মহাকাশ ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন সংশোধিত এই নীতির ফলে মহাকাশ ক্ষেত্রে জড়িত ভারতীয় কোম্পানীগুলিতে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় বিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারবে।
সংশোধিত এই নীতির ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এন্ট্রি রুটগুলিতে যে পরিবর্তন আসবে তা হল :
ক) উপগ্রহ নির্মাণ পরিচালন, স্যাটেলাইট ডেটা প্রোডাক্ট এবং গ্রাউন্ড সেগমেন্ট ও ইউজার সেগমেন্টের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসতে পারে। ৭৪ শতাংশের বেশি হলে তা হতে হবে সরকারি নিয়ন্ত্রিত রুটে।
খ) উপগ্রহ যান উৎক্ষেপন এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ স্বয়ংক্রিয় পথে হতে পারে। ৪৯ শতাংশের বেশি হতে হলে তা সরকার নিয়ন্ত্রিত রুটে হতে হবে।
গ) উপগ্রহ উপাদান নির্মাণ এবং উপগ্রহ ভিত্তিক অন্য কাজকর্মের ক্ষেত্রকে স্বয়ংক্রিয় ১০০ শতাংশই প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
উপগ্রহ ক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান প্রসার এবং এই ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকে উৎসাহ দিতে মহাকাশ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতিতে এই সংশোধন ঘটানো হয়েছে।