প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সংসদে পেশ হওয়া বাজেটে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন, নতুন ভারতের জন্য এই বাজেট সমগ্র জাতিকে উজ্জীবিত করবে।২০১৯ – ২০’র অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হওয়ার পর একাধিক ট্যুইট বার্তায় ও এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ১২ কোটির বেশি কৃষক ও তাদের পরিবার, ৩ কোটির বেশি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর করদাতা ও তাঁদের পরিবার সহ ৩০ থেকে ৪০ কোটি শ্রমজীবী মানুষ নতুন ভারতের জন্য এই বাজেটকে সাধুবাদ জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এনডিএ সরকারের উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলির ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন, যার প্রতিফলন ঘটেছে এবারের বাজেটে।এই বাজেটে কৃষক কল্যাণ থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সুবিধার কথা, আয়করে ছাড় থেকে পরিকাঠামো ক্ষেত্র, পরিকাঠামো ক্ষেত্র থেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কল্যাণের কথা ভাবা হয়েছে।
দারিদ্র্যের কবল থেকে অসংখ্য মানুষ মুক্তি পাচ্ছেন দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, আমাদের নব্য-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে তাঁদের স্বপ্নও।কর ছাড় পাবার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে অভিনন্দন জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, দেশের উন্নয়নে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিরাট অবদানের জন্য আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই।
বাজেটে কৃষক কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলি প্রসঙ্গে শ্রী মোদী খেদের সঙ্গে বলেন, বেশ কিছু বছর ধরে কৃষক স্বার্থে বহু উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এই উদ্যোগগুলির সুযোগ-সুবিধা থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছেন।পিএম কিষাণ নিধি কর্মসূচিকে কৃষক কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করে শ্রী মোদী বলেন, ৫ একর কম জমি রয়েছে, এমন কৃষকরা এই উদ্যোগে বিশেষভাবে লাভবান হবেন।এবারের বাজেটে গবাদি পশু পালন, মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে যে সমস্ত প্রস্তাবের উল্লেখ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী সেকথারও উল্লেখ করেন।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের স্বার্থ রক্ষার গুরত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মন ধন যোজনা এই ক্ষেত্রের জন্য ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে।এবারের বাজেটে স্বাভাবিকভাবেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ও সামাজিক সুরক্ষার মতো প্রকল্পগুলি অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষের স্বার্থবাহী হবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
সমাজের সব শ্রেণীর কাছে উন্নয়নের সুফলগুলি পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেট গরিব মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটাবে, কৃষকদের স্বার্থবাহী হবে এবং আর্থিক অগ্রগতিতে গতি সঞ্চার করবে”।