স্বাস্থ্যপরিকাঠামোয় ব্যপক জোর দিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা বুধবার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনকে ০১-০৪-২০১৭ থেকে ৩১-০৩-২০২০ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ারঅনুমোদন দিল| এর জন্য কেন্দ্রীয় অংশের ব্যয় বরাদ্দ সহায়তার পরিমাণ ধরা হয়েছে৮৫,২১৭ কোটি টাকা|
তাছাড়াকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জম্মু-কাশ্মীরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্যাকেজ ২০১৫–“পাঁচ বছর ধরে জেলা হাসপাতাল, উপ-জেলা হাসপাতাল এবং প্রাথমিকস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পরিকাঠামো তৈরির জন্য সহায়তা বৃদ্ধি” — কেও০১ এপ্রিল ২০১৭ থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার অনুমোদন দিয়েছে, যার জন্যব্যয় বরাদ্দ সহায়তার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৬২৫.২০ কোটি টাকা, যা সম্পূর্ণরূপেকেন্দ্রীয় তহবিলের প্রকল্প|
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১.সর্বজনীন স্বাস্থ্যকভারেজের (ইউ.এইচ.সি.) জন্য প্রধান বাহক হবে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এন.এইচ.এম.)
২.এর লক্ষ্য/উদ্দেশ্য জাতীয়স্বাস্থ্য নীতি, ২০১৭ এবং এস.ডি.জি.-থ্রি-এর সঙ্গে বিন্যস্ত করা হয়েছে|
৩.এন.এইচ.এম. দেশকে এম.ডি.জি. ’ রলক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে এবং ইউ.এইচ.সি. ’ রলক্ষ্য সহ এস.ডি.জি.-থ্রি ’ র লক্ষ্যঅর্জনে প্রধান বাহক হবে|
৪.জন-স্বাস্থ্য পদ্ধতি, বিশেষকরে উচ্চাকাঙ্ক্ষার জেলাগুলো সহ উচ্চ অগ্রাধিকারের জেলাগুলোতে জন-স্বাস্থ্যপদ্ধতিকে শক্তিশালী করার কাজ করে যাবে এন.এইচ.এম.|
৫.নির্ধারিত স্বাস্থ্যসুরক্ষা থেকে সরে গিয়ে ব্যাপক প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা, যারমধ্যে রয়েছে এস.এইচ.সি./পি.এইচ.সি.-গুলোকে হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার(এইচ.ডব্লিউ.সি.) হিসেবে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সাধারণ অ-সংক্রামক রোগ, বয়সকালীনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, উপশমকারী সুরক্ষা ও পুনর্বাসন সেবা ইত্যাদির জন্য সুরক্ষাদেওয়ার ব্যবস্থা|
৬.এইচ.ডব্লিউ.সি.-গুলোএন.সি.ডি. স্ক্রিনিং ও পরিচালনা প্রদান করা সহ প্রতিষেধক, প্রচারমূলক, নিরাময়মূলকও পুনর্বাসনমূলক পরিষেবা প্রদান করবে এবং এগুলোর মাধ্যমে একটি দু ’ দিনেররেফারেল ও পরবর্তী পদ্ধতির মাধ্যমে সি.এইচ.সি. ও ডি.এইচ.-গুলোকে যুক্ত করারসম্ভাবনা, যাতে সুরক্ষার বিচ্ছিন্নতা ঠেকিয়ে ধারাবাহিকতার উন্নয়ন ঘটানো যায়|সাধারণ এন.সি.ডি.-গুলোর জন্য বিনামূল্যের সর্বজনীন স্ক্রিনিং সহ বারোটি পরিষেবারপ্যাকেজ|
৭.উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রপর্যায়ে ‘ মধ্য-পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিষেবাপ্রদানকারী ’ নিয়োগ করা, যিনি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও জন-স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দক্ষতায় প্রশিক্ষিত থাকবেন|
৮.আয়ুষের সংহতির মাধ্যমেসুস্থ থাকার ওপর জোর দেওয়া এবং রোগের ক্ষেত্রে বিশেষত দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রেপ্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রচারে জোর দেওয়া|
৯.দক্ষতাকে উন্নীত করার জন্যপ্রধান স্বাস্থ্য সূচক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা|
১০. প্রধান ফলাফল ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেরসংস্কারের আরও ভালো কাজকে উত্সাহ দেওয়ার জন্য নির্ধারিত বর্ধিত তহবিলের আরওউদ্দেশ্যমূলক ফলাফল|
১১.স্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রতি সুদৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গিসুনিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ভার্টিকেল রোগ কর্মসূচির অনুভূমিক সংহতি|
১২.নিশ্চিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরিবিভিন্ন রণনীতি ও হস্তক্ষেপ|
১৩.জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বিনামূল্যে ওষুধ ওরোগনির্ণয় পরিষেবার উদ্যোগ, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ডায়ালিসিস কর্মসূচি —পৃথক লক্ষ্য হিসেবেযুক্ত ও.ও.পি.ই.-তে (আউট অফ পকেট এক্সপেন্ডিচার) ছাড় দেওয়ার মত পদক্ষেপগুলোকেগতিশীল করার পাশাপাশি ও.ও.পি.ই. কম করার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ|
১৪.স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আন্তঃক্ষেত্রীয় কেন্দ্রাভিমুককাজের জন্য সহজলভ্য মঞ্চের কার্যকর ব্যবহার|
১৫.সামনের সারির কর্মীদের উত্সাহ দেওয়ার জন্য ও তাদেরমধ্যে সহযোগিতার মনোভাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দলভিত্তিক সহায়তা|
১৬.সর্বজনীন স্বাস্থ্যের সুবিধা, কায়াকল্প, লক্ষ্য-এর শংসাপত্রেরমাধ্যমে গুণমানের ওপর বিশেষ জোর| সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুবিধার ব্যবহার একসুনিশ্চিত লক্ষ্য|
১৭.সমস্ত রাজ্যগুলোতে টিকাকরণ বিস্তারের প্রস্তাব|
১৮.আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে প্রস্তাবিত জাতীয় স্বাস্থ্যসুরক্ষা মিশনের সঙ্গে একে সংহত করা হবে|
প্রভাব:
এর ফলে যা হবে/সুবিধা হবে:
অ) এন.এইচ.এম.-এর জন্যনির্ধারিত লক্ষ্যকে ধারাবাহিক সময়ের মধ্যে অর্জন করা|
আ) নবজাতক মৃত্যু হার(এন.এম.আর.), শিশু মৃত্যু হার (আই.এম.আর.), পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুহার(ইউ.-ফাইভ এম.আর.), মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার (এম.এম.আর.) এবং সম্পূর্ণ ফার্টিলিটিরহারের (টি.এফ.আর.) মত প্রধান স্বাস্থ্যসূচকে উন্নতি|
ই) সংক্রামক রোগের ঘটনা কমানো|
ঈ) স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আউট অফপকেট খরচ (ও.ও.পি.ই.) কমিয়ে আনা|
উ) নিয়মিত টিকাকরণ পরিষেবার কভারেজ ওব্যবহার এবং অ-সংক্রামক রোগের পরিষেবার পরিস্থিতির পরিবর্তন|