BIMSTEC Outcome Document: Countries agree to intensify our efforts to realise the objectives and purposes of BIMSTEC
BIMSTEC Outcome Document: Countries pledge to work collectively towards making BIMSTEC stronger, more effective, and result oriented
BIMSTEC Outcome Document: Terrorism continues to remain the single most significant threat to peace and stability in our region
BIMSTEC countries reiterate strong commitment to combat terrorism in all its forms and manifestations

আমরা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ভূটানের প্রধানমন্ত্রী,ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, মায়ানমার প্রজাতন্ত্রের স্টেট কাউন্সিলার, নেপালেরপ্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী শ্রীলঙ্কা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধানএবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ব্রিকস-বিমস্টেক আউটরিচ শিখর সম্মেলনউপলক্ষ্যে গোয়ায় ১৬ অক্টোবর বৈঠকে মিলিত হই।

থাইল্যান্ডের নৃপতি ভূমিবল আদুল্লদেজ-এর প্রয়াণে আমরা গভীরশোকপ্রকাশ করি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রথম মানবোন্নয়ন জীবনকৃতী সম্মানে ভূষিত করার মধ্যদিয়ে বিশ্বজোড়া উন্নয়নে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। থাইল্যান্ডের সরকার,রাজপরিবার এবং সেদেশের জনসাধারণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা অর্পণ করা হল।

ব্রিকস ও বিমস্টেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনের সুযোগ পাওয়ায়পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক নানাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত বিনিময়ের যে সুযোগ করে দেবে এই শীর্ষ বৈঠক তাকে আমরাস্বাগত জানাই।

১৯৮৭-এর ব্যাঙ্কক ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত নীতিগুলির কথা স্বরণ করে আমরাবিমস্টেক-এর অভ্যন্তরে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলি যে এই সহযোগিতা প্রত্যেকরাষ্ট্রের সার্বভৌম সমতা, আঞ্চলিক অখন্ডতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা একে অপরেরঅভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্হান এবং পারস্পরিক আস্হারওপর-ই নির্ভরশীল।

১৯৮৭ সালের ব্যাঙ্ককঘোষণাপত্রে গৃহীত নীতি ও উদ্দেশ্যগুলিকে রূপায়ণের জন্য আরও জোরদার প্রয়াস করারবিষয়ে আমরা সম্মত হই। বিমস্টেক-কে আরও বলিষ্ঠ ও কার্যকরী এবং পারস্পরিক সুবিধামূলকসহযোগিতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলিতে অর্থনৈতিক ওসামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে বিমস্টেকের যে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে সেকথা আমরা স্বীকার করেনিয়েছি। বিমস্টেক গোষ্ঠীকে আরও বলিষ্ঠ ও কার্যকরী এবং পরিণামমূখী করে তুলতে একযোগেকাজ করার জন্য আমরা শপথ নিয়েছি।

তৃতীয় বিমস্টেক শিখরসম্মেলনে নে পি তাউ-তে ২০১৪-র ৪ঠা মার্চ যে ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছিল সেকথা স্মরণকরে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতির উন্নয়নে সংগঠন হিসেবে বিমস্টেকেরদায়বদ্ধতার পুনরাবৃত্তি করে আমরা স্বীকার করি যে এই অঞ্চলে শান্তি, সম্বৃদ্ধি ওস্হিতিশীলতার প্রশ্নে বিমস্টেক-ই পারে আদর্শ মঞ্চ হিসেবে কাজ করতে।

আমাদের এই অঞ্চলেসন্ত্রাসবাদ-ই যে শান্তি ও স্হিতিশীলতার প্রতি সবথেকে বড় আশঙ্কা হয়ে রয়েছে সেকথাস্বীকার করে আমরা সবরকম আকার ও প্রকারে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় আমাদের জোরালোদায়বদ্ধতার পুনরাবৃত্তি করে এই অঞ্চলে সম্প্রতি জঙ্গি হামলার বর্বর ঘটনাকে কঠোরতমভাষায় নিন্দা করি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শুধু যে জঙ্গি,সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও কাঠামোকে ধ্বংস করে দেবে তাই নয়, সেইসঙ্গে যেসব রাষ্ট্রসন্ত্রাসবাদের উৎসাহ, সমর্থন ও অর্থ যোগায় ও সন্ত্রাসবাদীদের এবং ওইসব গোষ্ঠীকেআশ্রয় যোগায় আর তাদের গুন সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচার করে সেইসব রাষ্ট্রকে চিহ্নিতকরা, এব্যাপারে দায়ি করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্হা গ্রহণের ব্যবস্হা করবে।জঙ্গিদের শহীদ বলে চিহ্নিত করে গৌরবান্বিত করার কোনও অবকাশ নেই। সন্ত্রাস,হিংসাত্মক মৌলবাদ, প্রভৃতি প্রসারের মোকাবিলা ও নিবারণের আশু প্রয়োজনীয়তা আমরাস্বীকার করি। এই প্রসঙ্গে আমাদের আইন বলবৎকারী সংস্হা, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাসংস্হগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানো ক্ষেত্রেও আমাদের সংকল্পের কথাও আমারপ্রকাশ করি।

দুষ্কৃতি সংক্রান্তবিষয়ে পারস্পরিক সহায়তামূলক বিমস্টেক কনভেনশন স্বাক্ষরের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করাএবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, বহুরাষ্ট্রে ছড়ানো সংগঠিত অপরাধ এবং বেআইনী মাদকপাচারের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক বিমস্টেক কনভেনশনটি দ্রুত অনুমোদন দেওয়ারবিষয়েও আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনেরফলে আমাদের এই গ্রহের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিশেষকরে বঙ্গোপসাগরঅঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবন ও জীবিকার দিক থেকে এই বিপদ সম্পর্কে অবহিত হওয়ারফলে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।সুস্হায়ী উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিসচুক্তিকে আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরে রূপায়ণেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।

যৌথ মহড়া, আগামসর্তকতা ব্যবস্হার মাধ্যমে তথ্য ভাগ করে নেওয়া, নিবারণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ, ত্রাণও পুনর্বাসনে যৌথ পদক্ষেপ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো নানা উপায়ের মধ্য দিয়ে বিপর্যয়ব্যবস্হাপনায় ঘনিষ্টতর সহযোগিকে আমরা উৎসাহিত করি। এই অঞ্চলে বিদ্যমান সক্ষমতারভিত্তিতে আরও সামর্থ বৃদ্ধি এবং এই ক্ষেত্রে অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকঅংশিদারিত্ব গড়ে তোলার সম্ভাবনার প্রতিও আমার নজর দিই।

আঞ্চলিক অখন্ডতাবাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা আকারের যোগাযোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা বহুপক্ষিওপ্রকৃত যোগাযোগ (বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথ) এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের ধারাবাহিকপ্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে বিমস্টেক পরিবহণ পরিকাঠামো ও লজিস্টিকস সমীক্ষায় করাসুপারিশগুলি রূপায়ণে যে অগ্রগতি ঘটেছে সেস্পর্কে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করি এবংবিমস্টেক মোটরযান চুক্তি করা চলে কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সম্মত হই।

সুস্হায়ী কৃষি এবংখাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে অঙ্গিকারের পুরনাবৃত্তি করে আমরা কৃষি, পশুপালন,উদ্যানচর্চা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো আর সেইসঙ্গে উৎপাদনশীলতা ওকৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়াস নেবার ব্যাপারে সম্মত হই।

বিশ্বের ৩০ শতাংশেরওবেশি মৎস্যজীবির বসবাস এই বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আর এ বিষয়ে সচেতনতার প্রসঙ্গে আমরা এওস্বীকার করি যে এই অঞ্চলে মৎস্যচাষের সুস্হায়ী উন্নয়ন খাদ্য নিরাপত্তা ও আমাদের এইঅঞ্চলভুক্ত দেশগুলির জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রতি উপযুক্ত অবদানরাখতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমরা সম্মত হই।এই প্রসঙ্গে আমাদের অঞ্চলে সমুদ্রজাত সামগ্রীর উন্নয়নের বিরাট সম্ভাবনার কথাস্বীকার করে অন্তর্দেশীয় ও উপকূল অঞ্চলে অ্যাকোয়া কালচার, সমূদ্রগর্ভে খনিজঅনুসন্ধান, উপকূলভিত্তিক জাহাজ পরিবহণ, ইকো ট্যুরিজম, পুনর্নবিকরণযোগ্যসমুদ্রশক্তির বিকাশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় খুঁজতেও আমরা সম্মতহয়েছি।

বিমস্টেক সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়কে আমরা স্বাগত জানাই এবংগ্রীড আন্তর্সংযুক্তির জন্য বিমস্টেক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের বিষয়টিকে ত্বরান্বিতকরারও সিদ্ধান্ত নিই। শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনারচনায় আমরা সম্মত হয়েছি।

বিমস্টেক মুক্তবানিজ্য অঞ্চল-এর বিষয়টির আশু সমাধান, বানিজ্য আলোচনামূলক কমিটি ওকর্মীগোষ্ঠীগুলিকে সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলি চুড়ান্ত করার পাশাপাশি বানিজ্যিকসহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমরা সুষ্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে সহমত হয়েছি।

উন্নয়ন, প্রযুক্তিরসুযোগ ও তার ব্যবহার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা শ্রীলঙ্কায়বিমস্টের প্রযুক্তিকেন্দ্র গড়ার জন্য সমঝোতাপত্র দ্রুত চুড়ান্ত করারও নির্দেশদিয়েছি।

জনস্বাস্হ্যসংক্রান্তক্ষেত্রগুলিত সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখতে এবং বিমস্টেকের মাধ্যমে সনাতনচিকিৎসায় সমন্বয় ঘটানোর লক্ষ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে।

আমাদের এই অঞ্চলেরসভ্যতা, ঐতিহাসিক ও সাস্কৃতিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন উন্নয়নের প্রভূতসম্ভাবনার কথা মেনে নিয়ে ও আন্ত-বিমস্টেক পর্যটন উন্নয়নে আমাদের নিবিড় আগ্রহেরবিবেচনায় এই অঞ্চলে বৌদ্ধ পর্যটন সার্কিট ও মন্দির পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলায় আমরাউৎসাহ দিচ্ছি। প্রসঙ্গত আমরা ভূটানে বিমস্টেক সাংস্কৃতিক শিল্প কমিশন ওঅবর্জাভেটরি গড়ে তোলার বিষয়টি ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংস্কৃতি সংক্রান্তশিল্পের ক্ষেত্রে এগুলি তথ্য যোগাবে।

বিমস্টেক দারিদ্রদূরীকরণ সংক্রান্ত্র পরিকল্পনা ২০১২ জানুয়ারিতে নেপালে বিমস্টেক দারিদ্র দূরীকরণসংক্রান্ত্র মন্ত্রিপর্যাযের দ্বিতীয় সম্মেলেন গৃহীত হয়েছিল আর ২০১৪ মার্চে মায়ানমারেতৃতীয় বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে তা গৃহীত হয়। ঢাকায় বিমস্টেক স্হায়ী সচিবালয়টি ২০১৪সেপ্টেম্বর মাসে চালু হয়েছে এবং এটি চালু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সরকারেরঅবদানেরও আমরা প্রশংসা করি। ২০১৭ সালে বিমস্টেক প্রতিষ্ঠার বিংশতিতম বার্ষিকীউপলক্ষে বিমস্টেক সচিবালয়কে এটি পালনে উপযুক্ত ব্যবস্হা গ্রহনে নির্দেশ দেওয়াহয়েছে।

আমরা বাংলাদেশ,ভূটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদী ব্রিকস- বিমস্টেক আউটরিচ শীর্ষ বৈঠকে বিমস্টেক নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণজানানোয় এবং এই শিখর সম্মেলন চলাকালীন উষ্ণ আতিথেয়তা ও অসাধারণ ব্যবস্হাপনার জন্যতাঁকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

নেপালে ২০১৭ সালেচতুর্থ বিমস্টেক শিখর সম্মেলনে আবার মিলিত হবার আশা রইলো।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!