ছত্তিশগড়ের সঞ্জয় ভারগেম নামে ২১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বুকে যন্ত্রনা, প্যালপিটিশন, ভার্টিগো, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় সঞ্জয়ের হৃদপিন্ডে দুটি ভাল্ভ বা ধমনী প্রতিস্হাপনের প্রয়োজন রয়েছে।
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার সঞ্জয়ের পক্ষে এই চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব ছিলনা। আশাহত হয়ে সঞ্জয় ও তার পরিবার গ্রামে ফিরে যান। কিন্তু গ্রামে ফিরে আসার পর সঞ্জয়ের পরিবার প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএম-জেএওয়াই) সম্পর্কে জানতে পারেন। এই কর্মসূচি সঞ্জয় ও তার পরিবারের কাছে আশার আলো নিয়ে আসে। সঞ্জয়ের হৃদপিন্ডে এই অস্ত্রপচারের জন্য খরচ ছিল কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকার মতো। পিএম-জেএওয়াই কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী তার সফল অস্ত্রপচার হয় সম্পূর্ণ নিখরচায়।
সঞ্জয় এখন বুকের যন্ত্রনা ভুলে গিয়ে আনন্দময় ও স্বাস্হ্যকর জীবনযাপন করছেন।
ছত্তিশগড় থেকে আরও ৩১জন সুফলভোগীর মধ্যে সঞ্জয় একজন, যাঁরা আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ কর্মসূচির সাফল্যের কথা প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে শোনান।
ঠিক এক বছর আগে ২০১৮তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্হবিমা কর্মসূচি আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা হয়েছিল। উদ্দেশ্য, দেশের ১০ কোটি ৭৪ লক্ষের বেশি দরিদ্র মানুষের কাছে সহজে চিকিসাৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।
সঞ্জয় ভারগেমের মতো ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বিগত এক বছরে নিজেদের রাজ্যের বাইরে প্রয়োজনীয় চিকিসাৎ সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে এই চিকিসাৎ পরিষেবা বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আয়ুষ্মান ভারত- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএমজেএওয়াই)কর্মসূচির আওতায় নথিভুক্ত হাসপাতালের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৫। নথিভুক্ত হাসপাতালগুলি থেকে ৪১ লক্ষের বেশি মানুষ এই কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন এবং ১০ কোটির বেশি ই-কার্ড দেওয়া হয়েছে।
আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় সারা দেশজুড়ে ২০ হাজার ৭০০র বেশি স্বাস্হ্য পরিষেবা ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র চালু রয়েছে।