#MannKiBaat: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে রাখী বন্ধন ও জন্মাষ্টমীর অভিনন্দন জানিয়েছেন
জ্ঞান ও গুরু তুলনাহীন, অমূল্য! ‘মা’ ছাড়া একমাত্র শিক্ষকই পারেন শিশুর ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালনার দায়িত্ব নিতে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
ভয়াবহ বন্যা কেরলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ কেরলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বিপর্যয় যেভাবে জনজীবনকে বিধ্বস্ত করে তোলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু এই দুর্দিনেই আবার আমরা মানবতার ধর্মকেও উপলব্ধি করি: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র সুরক্ষাবলের জওয়ানরা কেরলের এই বিপর্যয়ে উদ্ধারকার্যের নায়ক। তাঁরা বন্যাকবলিত মানুষদের বাঁচাবার জন্য সব রকম উপায় অবলম্বন করেছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
এনডিআরএফের ক্ষমতা, তাঁদের দায়বদ্ধতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতিকে আয়ত্বে আনার ক্ষমতা সমস্ত দেশবাসীর মনে এক শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
১৬-ই আগষ্ট যে মুহূর্তে দেশের ও বিশ্বের মানুষ অটলজীর প্রয়াণের খবর পেয়েছেন, প্রত্যেকে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
অটলজীর জন্য সকলের যে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও শোকভাবনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল, তা ওনার বিশাল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
জনমানসে অটলজী একজন যোগ্য সাংসদ, সংবেদনশীল লেখক, সুবক্তা ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
সুশাসন-কে মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য এই দেশ অটলজীর প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
অটলজী এক সত্যিকারের দেশভক্ত ছিলেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আরও একটি ‘আজাদী’ আমরা অটলজীর কার্যকালে লাভ করি ‘ইণ্ডিয়ান ফ্ল্যাগ কোড’ তৈরির মাধ্যমে। এটি লাগু হয় ২০০২ থেকে, যার ফলে সার্বজনিক জায়গায় তিরঙ্গা উত্তোলন সম্ভব হয়: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
সংসদের এই বাদল অধিবেশন সামাজিক ন্যায় এবং যুবকল্যাণের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
এই অধিবেশনে তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতিদের অধিকারকে সু্রক্ষিত করার জন্য সংশোধিত বিল পাস করা হয়েছে। এই আইন এসসি ও এসটি শ্রেণির মানুষদের স্বার্থকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
আমাদের খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে শুটিং এবং কুস্তিতে খুব ভালো প্রদর্শন করছেই, যে সব খেলাতে আগে আমরা ভালো ফল করতে পারিনি, সেসব খেলাতেও আমাদের খেলোয়াড়রা পদক নিয়ে আসছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
যে সব খেলোয়াড়রা পদক জিতেছেন, তাঁদের অনেকেই অখ্যাত গ্রাম ও মফঃস্বল থেকে উঠে এসেছেন, দেশের জন্য পদক জেতার তালিকায় আমাদের মেয়েদের সংখ্যা অনেক - এটা একটা ইতিবাচক দিক: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
দেশের সমস্ত নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা সবাই খেলাধূলা করুন এবং নিজের ফিটনেসের প্রতি নজর দিন, কারণ সুস্থ ভারতই সম্পন্ন ও সমৃদ্ধ ভারতের নির্মাণ করবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
ভারতে এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ার জন্মেছেন যারা অকল্পনীয়কে কল্পনীয় করেছেন এবং আমাদের মহান ইঞ্জিনিয়ারদের ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে এমন রত্নও আছেন যাঁর কাজ আজও মানুষকে আশ্চর্য করে দেয়: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আজ সমগ্র দেশ রাখীবন্ধন উৎসব পালন করছে। এই পুণ্যলগ্নে সমস্ত দেশবাসীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা! রাখীবন্ধনের এই উৎসব বোন ও ভাইয়ের প্রেম ও বিশ্বাসের প্রতীক। বহু শতাব্দী ধরে এই উৎসব সামাজিক সৌহার্দ্যের এক বড় উদাহরণ। দেশের ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা আছে, যখন দেখা গেছে একটি রক্ষাসূত্র কীভাবে দুটি রাজ্য, বা আলাদা আলাদা ধর্মের মানুষকে বিশ্বাসের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। কিছুদিন বাদেই জন্মাষ্টমী। আকাশে বাতাসে শোনা যাবে ‘হাথী ঘোড়া পাল-কি জয় কান্‌হাইয়া লাল-কি’ আর ‘গোবিন্দা – গোবিন্দা’ নামের জয়ধ্বনি। কৃষ্ণের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়ে এই উল্লাসে মেতে ওঠার আনন্দই আলাদা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত মহারাষ্ট্রে ‘দহী-হাণ্ডি’র আয়োজনও ছেলেমেয়েরা করতে শুরু করে দিয়েছে নিশ্চয়ই। সমস্ত দেশবাসীকে জানাই রাখীবন্ধন ও জন্মাষ্টমীর আন্তরিক অভিনন্দন!

বেঙ্গালুরুর বিজয়ভারতী বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী চিন্ময়ী সংস্কৃত ভাষায় জানিয়েছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নমস্কার! আমি চিন্ময়ী। মহাশয়, আজ ‘সংস্কৃত দিবস’। সংস্কৃত ভাষা যে সহজ সরল, সবাই জানে। আমরা এখানে সাধারণত সংস্কৃত ভাষাতেই কথা বলে থাকি। এই কারণে সংস্কৃত ভাষার গুরুত্ব এবং গভীরতাকে এইভাবে তুলে ধরছি।”

— ভগিনী চিন্ময়ী, সংস্কৃতের গুরুত্ব নিয়ে তোমার এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই। তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও ‘সংস্কৃত সপ্তাহ’উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা!

     আমি চিন্ময়ীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে সে এই বিষয়টি নজরে এনেছে। বন্ধুরা, রাখীবন্ধন ছাড়াও শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনটি পালন করা হয় ‘সংস্কৃত দিবস’ হিসাবে। আমি সেই সমস্ত মানুষকেও অভিনন্দন জানাই, যাঁরা এই মহান ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রত্যেকটি ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব আছে। ভারতের এটা গর্ব যে ‘তামিল’ ভাষা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা আর এটাও সমগ্র দেশবাসীর গর্ব যে বেদের সময় থেকে আজ পর্যন্ত জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে সংস্কৃত ভাষা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগার মত জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে। তা সে বিজ্ঞান হোক বা তন্ত্রের জ্ঞান, কৃষি হোক বা স্বাস্থ্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান হোক বা আর্কিটেকচার, অঙ্ক হোক বা ম্যানেজমেন্ট, অর্থশাস্ত্র হোক বা পরিবেশ — বলা হয়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়বার মন্ত্রও আমাদের বেদে বিস্তারিত ভাবে উল্লিখিত আছে। আপনারা সবাই জেনে খুশি হবেন যে, কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার ‘মট্টুর’ গ্রামের সমস্ত মানুষ আজ কথাবার্তার মাধ্যম হিসাবে সংস্কৃত ভাষাকে বেছে নিয়েছেন।

     আপনারা একটা কথা জেনে আশ্চর্য বোধ করবেন যে সংস্কৃত এমন একটি ভাষা, যার মধ্যে অনন্ত শব্দের নির্মাণ সম্ভব। দু-হাজার ধাতু, ২০০ প্রত্যয় — অর্থাৎ Suffix, ২২-টি উপসর্গ অর্থাৎ Prefix, আর সমাজজীবনের কাজে লাগার মত অসংখ্য শব্দের নির্মাণ সম্ভব এই ভাষায়। এই কারণে সূক্ষ্মাতীত ভাব ও বিষয় যাই হোক না কেন, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তার বর্ণনা করতে পারা সংস্কৃত ভাষার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। আমরা কোনও কথাকে ওজনদার করতে হলে ইংরাজি কোটেশন ব্যবহার করি, কখনও কখনও শায়রী ইত্যাদিও বলে থাকি। কিন্তু যাঁরা সংস্কৃতের সুভাষিত শব্দগুলির সঙ্গে পরিচিত, তাঁরা জানেন, কত কম শব্দে বিষয়ের সঠিক ব্যাখ্যা সংস্কৃতের এই সুভাষিত শব্দগুলির মাধ্যমে হতে পারে। তাছাড়া এই ভাষা, শব্দ আমাদের মাটির সঙ্গে, আমাদের পরম্পরার সঙ্গে জড়িত থাকায় একে বোঝাও খুব সহজ।

     জীবনে ‘গুরু’র স্থান বোঝানোর জন্য বলা হয় —

‘একমপি অক্‌সরমস্তু, গুরুঃ শিষ্যং প্রবোধয়েত্‌

পৃথীব্যাং নাস্তি তদ্‌-দ্রব্যং, ইয়দ্‌-দত্ত্বা হ্যণৃণী ভবেৎ।।’

অর্থাৎ, কোনও গুরু তাঁর শিষ্যকে যদি এক অক্ষর জ্ঞানও প্রদান করেন, তাহলে সমগ্র বিশ্বে এমন কোনও বস্তু বা ধন নেই, যা দিয়ে শিষ্য গুরুর ঋণ চুকিয়ে দিতে পারে। আসুন, আসন্ন ‘শিক্ষক দিবস’ দিনটি আমরা এই মনোভাব নিয়ে পালন করি। জ্ঞান ও গুরু তুলনাহীন, অমূল্য! ‘মা’ ছাড়া একমাত্র শিক্ষকই পারেন শিশুর ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আর সেই কারণে তাঁর প্রভাবও থাকে সমস্ত জীবন জুড়ে। ‘শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষ্যে মহান দার্শনিক ও দেশের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণকে আমরা সর্বদাই স্মরণ করি। তাঁর জন্মজয়ন্তীতেই পুরো দেশ জুড়ে ‘শিক্ষক দিবস’ পালিত হয়। আমি দেশের সমস্ত শিক্ষকদের আসন্ন ‘শিক্ষক দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানাই ও সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ছাত্রদের প্রতি তাঁর সমর্পণকে, তাঁর নিষ্ঠাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।

     আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের কৃষকভাইরা, যাঁরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য বর্ষা খুশির খবর নিয়ে আসে। গ্রীষ্মের ভীষণ দাবদাহে ঝলসে যাওয়া গাছপালা, শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়গুলি বর্ষার আগমনে স্বস্তি লাভ করে। কিন্তু কখনও কখনও আবার অতিবৃষ্টি, বিধ্বংসী বন্যারূপেও দেখা দেয়। এমন একটা প্রাকৃতিক অবস্থা তৈরি হয়েছে যে কোথাও কোথাও অন্য স্থানগুলির তুলনায় অতিরিক্ত বর্ষা হচ্ছে। ক’দিন আগেই আমরা দেখলাম, ভীষণ বন্যা কীভাবে কেরলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ 
কেরলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যাঁরা এই বিপর্যয়ে নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই সেই সব পরিবারগুলিকে। যা ক্ষতি হয়ে গেছে, তা হয়তো কোনও দিনই 
পূরণ হবে না ঠিক, কিন্তু সেই সমস্ত শোকসন্তপ্ত পরিবারজনেদের আমি ভরসা যোগাতে 
চাই, ১২৫ কোটি দেশবাসী এই দুর্দিনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনার পাশে রয়েছে। 
আমি প্রার্থনা করি, যাঁরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আহত হয়েছেন, তাঁরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। আমার পুরো বিশ্বাস আছে যে অদম্য প্রাণশক্তি ও সাহসের উপর ভর করে কেরলের জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

     বিপর্যয় যেভাবে জনজীবনকে বিধ্বস্ত করে তোলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু এই দুর্দিনেই আবার আমরা মানবতার ধর্মকেও উপলব্ধি করি। কচ্ছ থেকে কামরূপ আর কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষ নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, যাতে যে যে প্রান্তগুলিতে বিপর্যয় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, তা সে কেরল হোক বা ভারতের যে কোনও জেলা বা এলাকা, সেই সমস্ত স্থানের জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে। সমস্ত বয়সের মানুষ এবং সমস্তরকম কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেকে ভাবছেন কেরলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট কীভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়, যাতে তা লাঘব হয়। আমরা সবাই জানি, সশস্ত্র সুরক্ষাবলের জওয়ানরা কেরলের এই বিপর্যয়ে উদ্ধারকার্যের নায়ক। তাঁরা বন্যাকবলিত মানুষদের বাঁচাবার জন্য সব রকম উপায় অবলম্বন করেছেন। এয়ার ফোর্স, নেভি বা আর্মি, বি-এস-এফ, সি-আই-এস-এফ, আর-এ-এফ — প্রত্যেকে উদ্ধার কার্যে ও ত্রাণ পৌঁছে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই এন-ডি-আর-এফের জওয়ানদের কঠোর পরিশ্রমের কথা। এই বিপদের মোকাবিলায় তাঁরা যেভাবে কাজ করেছেন তা বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এন-ডি-আর-এফের ক্ষমতা, তাঁদের দায়বদ্ধতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতিকে আয়ত্বে আনার ক্ষমতা সমস্ত দেশবাসীর মনে এক শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছে।

গতকালই ছিল ‘ওনাম’ উৎসব। আমরা প্রার্থনা করি, ‘ওনাম’-এর শুভ পার্বণ দেশকে বিশেষত কেরলকে এই বিপর্যয় দ্রুত কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিক আর কেরলের উন্নতির গতিবৃদ্ধি হোক। আমি আরও একবার সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে কেরলের জনসাধারণকে এবং দেশের অন্যান্য বিপর্যস্ত জায়গাগুলির মানুষজনকে বলতে চাই — এই দুর্দিনে পুরো দেশ তাঁদের পাশে আছে।

     প্রিয় দেশবাসী, এবারের ‘মন কি বাত’-এর জন্য পাঠানো পরামর্শগুলি পড়তে গিয়ে দেখলাম সবচেয়ে বেশি লোক যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন তা হল আমাদের সবার প্রিয় 
শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। গাজিয়াবাদ থেকে কীর্তি, সোনিপত থেকে স্বাতি বৎস, কেরলের ভাই প্রবীণ, পশ্চিমবাংলা থেকে ডক্টর স্বপন ব্যানার্জী, বিহারের কাটিহার থেকে অখিলেশ পাণ্ডে — আরও অসংখ্য মানুষ ‘নরেন্দ্র মোদী মোবাইল অ্যাপ’-এ এবং ‘মাই গভ’-এ অটলজীর জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে আমাকে বলতে অনুরোধ করেছেন। ১৬-ই আগষ্ট যে মুহূর্তে দেশের ও বিশ্বের মানুষ অটলজীর প্রয়াণের খবর পেয়েছেন, প্রত্যেকে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। 
তিনি এমন একজন রাষ্ট্রনেতা, যিনি ১৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন এবং গত দশ বছরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহু দূরে চলে গিয়েছিলেন বলা চলে। তাঁকে খবরে বিশেষ দেখা যেত না। জনসমক্ষে তেমন আসতেন না। দশ বছরের অন্তরাল অনেকখানি। কিন্তু গত ১৬-ই আগষ্ট দেশ ও দুনিয়া দেখল যে ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের মনে দশ বছরের এই ব্যবধান বিন্দুমাত্র রেখাপাত করেনি। অটলজীর জন্য সকলের যে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও শোকভাবনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল, তা ওঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। বিগত কয়েক দিনে ওঁর আরও অনেক গুণের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। জনমানসে তিনি একজন যোগ্য সাংসদ, সংবেদনশীল লেখক, সুবক্তা ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। সুশাসন অর্থাৎ Good Governance-কে মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য এই দেশ অটলজীর প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে। আমি আজ অটলজীর বিশাল 
ব্যক্তিত্বের আরও এক নিদর্শনের ব্যাপারে আপনাদের জানাতে চাই — সেটি হল ওঁর প্রবর্তন করা Political Culture। উনি Political Culture-এ যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সুব্যবস্থিত পরিকাঠামো দেওয়ার যে প্রয়াস করেছেন, তার ফলে
দেশের অনেক লাভ হয়েছে ও ভবিষ্যতেও হবে, একথা নিশ্চিত। ভারত সব সময় 
‘একানব্বইতম সংশোধন অধিনিয়ম ২০০৩’-এর জন্য অটলজীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। 
এই সংশোধন আমাদের দেশের রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে। 
প্রথমটি হল রাজ্যগুলির মন্ত্রীমণ্ডলীকে বিধানসভার মোট আসনের পনের শতাংশ পর্যন্ত সীমিত করা। দ্বিতীয়টি হল দল-বদল বিরোধী আইনের নির্দিষ্ট সীমাকে এক-তৃতীয়াংশ থেকে বাড়িয়ে দুই-তৃতীয়াংশ করা এবং তার পাশাপাশি দল-বদলকারী নেতা-কর্মীদের অনুপযুক্ত ঘোষণা করার স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা।

     বহু বছর পর্যন্ত ভারতে জাম্বো অর্থাৎ বিরাট মন্ত্রীমণ্ডল গঠনের এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল। এই বিশাল মন্ত্রীমণ্ডল গঠনের মূল অভিপ্রায় ছিল বিভিন্ন নেতাদের খুশি করা, কাজের যথাযথ বণ্টন নয়। অটলজী এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনেন যার ফলস্বরূপ অর্থ ও সম্পদের সাশ্রয় সম্ভব হয়, কর্মদক্ষতা বাড়ে। একমাত্র অটলজীই এমন দূরদর্শী ছিলেন যিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন আনেন ও রাজনীতিতে সুস্থ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।

     অটলজী এক সত্যিকারের দেশভক্ত ছিলেন। ওঁর সময়েই বাজেট পেশ করার সময়কে বদলানো হয়। আগে, ইংরেজদের প্রথানুযায়ী বিকেল পাঁচটায় বাজেট পেশ করা হত। কারণ সেই সময়েই লণ্ডনে পার্লামেণ্ট বসত। ২০০১-এ অটলজী বাজেট পেশ করার সময়কে বিকেল পাঁচটার বদলে বেলা এগারোটা করে দেন। আরও একটি ‘আজাদী’ আমরা অটলজীর কার্যকালে লাভ করি  ‘ইণ্ডিয়ান ফ্ল্যাগ কোড’ তৈরির মাধ্যমে। এটি লাগু হয় ২০০২ থেকে, যার ফলে সার্বজনিক জায়গায় তিরঙ্গা উত্তোলন সম্ভব হয়। সাধারণ ভারতীয়রা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সুযোগ পায়। এই ভাবে উনি আমাদের প্রাণপ্রিয় তিরঙ্গাকে জনসাধারণের কাছে নিয়ে আসেন।

     আপনারা দেখেছেন কীভাবে অটলজী ভোট প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে, জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ভিত মজবুত করেছেন। আপনারা দেখছেন 
আজকাল কেন্দ্রে ও রাজ্যে একইসঙ্গে নির্বাচন করানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। লোকে এর পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত রাখছেন, যা হিতকারী ও লোকতন্ত্রের পক্ষে শুভ সংকেত।

আমি অবশ্যই উল্লেখ করব, সুস্থ লোকতন্ত্রের জন্য, উত্তম লোকতন্ত্রের জন্য হিতকারী পরম্পরাগুলির বিকাশ, নানা বিষয়ে খোলামনে আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্র মজবুত করার ক্রমাগত প্রয়াস করাই উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে অটলজীর প্রতি। ওঁর সমৃদ্ধ ও উন্নত ভারতের স্বপ্নকে পূরণ করার সংকল্পকে আরও একবার স্মরণ করে, সকলের পক্ষ থেকে অটলজীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি।

     আমার প্রিয় দেশবাসী, আজকাল সংসদের সম্পর্কে যখনই আলোচনা হয়, তখন অবরোধ, হইহল্লার কথাই বলা হয়। কিন্তু যখন ভাল কিছু হয়, সেই বিষয়ে বিশেষ চর্চা হতে দেখা যায় না। কিছু দিন আগেই সংসদের বাদল অধিবেশন সমাপ্ত হয়। আপনারা জেনে প্রসন্ন হবেন লোকসভার productivity ১১৮ শতাংশ ও রাজ্যসভার ৭৪ শতাংশ ছিল। দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করে সমস্ত সাংসদ বাদলঅধিবেশনকে সবথেকে বেশি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন, তারই পরিনাম হলো, লোকসভা ২১ টি ও রাজ্যসভা ১৪ টি বিল পাস করেছে। সংসদের এই বাদল অধিবেশন সামাজিক ন্যায় এবং যুবকল্যাণের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই অধিবেশনে যুব এবং অনগ্রসর শ্রেণির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কতগুলো বিল পাস করা হয়েছে।  আপনারা সবাই জানেন, কয়েক দশক ধরে SC/ST কমিশনের মতো OBC কমিশন তৈরির দাবী করা হচ্ছিল। অনগ্রসর শ্রেণীর অধিকারকে সুনিশ্চিত করার জন্য, দেশ এই বার OBC কমিশন তৈরির সংকল্পকে পূর্ণকরেছেএবং এই প্রতিষ্ঠানকে একটি সাংবিধানিক অধিকার দিয়েছে। এই পদক্ষেপ সামাজিক ন্যায়ের উদ্দেশ্যকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতিদের অধিকারকে সু্রক্ষিত করার জন্য সংশোধিত বিল পাস করার কাজও এই অধিবেশনে শুরু হয়েছে। এই আইন SC ও ST শ্রেণির মানুষদের স্বার্থকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। একই সঙ্গে এটি তাদেরঅপরাধীদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করবে এবং তাদের আস্থা বাড়াবে।

     দেশের নারীদের প্রতি কোনও সভ্যসমাজ কোনও প্রকার অন্যায় বরদাস্ত করতে পারে না। ধর্ষণের অপরাধীদের দেশ সহ্য করতে প্রস্তুত নয়, তাই সংসদে‘ফৌজদারী আইন সংশোধনী বিল’ পাস করে কঠোরতম সাজার বিধান করা হয়েছে। এই অপকর্মের অপরাধীদের ন্যূনতম
১০ বছরের সাজা হবে, ১২ বছরের কম মেয়েদের ধর্ষণ করলে ফাঁসির সাজা হবে। 
কিছু দিন আগে আপনারা হয়তো সংবাদপত্রে পড়েছেন, মধ্যপ্রদেশের মন্দসোরের একটি আদালত মাত্র দু’ মাসের শুনানির পর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অপরাধে দু’জন দোষীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন। এরও আগে মধ্যপ্রদেশের কাটনীর এক আদালত মাত্র পাঁচ দিন শুনানির পর অপরাধীদের ফাঁসির শাস্তি দেন। রাজস্থানের একটি আদালতও এরকম দ্রুত রায় দিয়েছেন। এই আইন মহিলা এবং বালিকাদের প্রতি অপরাধের মামলাকে নিষ্পত্তি করতে গঠনমূলক ভূমিকা নেবে। সামাজিক পরিবর্তন ছাড়া আর্থিক প্রগতি অসম্পূর্ণ। লোকসভাতে ‘তিন তালাক’ বিলটিকে পাস করা হয়েছে, যদিও রাজ্যসভাতে এই অধিবেশনে পাস করানো সম্ভব হয়নি। আমি মুসলিম মহিলাদের আশ্বাস প্রদান করতে চাই, সমগ্র দেশ ওঁদের ন্যায় প্রদান করার জন্য সমস্ত শক্তি দিয়ে সঙ্গে রয়েছে।

যখন আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসি, তখন দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া, শোষিত ও বঞ্চিতদের জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব। এবারের বাদল অধিবেশনে সবাই একসঙ্গে একটি আদর্শ স্থাপন করে দেখিয়েছি। আমি দেশের সমস্ত সাংসদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  

     আমার প্রিয় দেশবাসী, এই মুহূর্তে কোটি কোটি দেশবাসীর দৃষ্টি জাকার্তাতে আয়োজিত এশিয়ান গেমসের প্রতি নিবদ্ধ। প্রতিদিন সকালে সবার আগে সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে, খবরে, Social Media-তে নজর থাকে কোন ভারতীয় খেলোয়াড় পদক জিতেছেন। এশিয়ান গেমস এখনও চলছে। আমি দেশের জন্য যাঁরা পদক জিতেছেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যাঁদের প্রতিযোগিতা এখনও বাকি, ওঁদেরওঅনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

ভারতের খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে Shooting আর Wrestling-এখুব ভালো প্রদর্শন করছেই, যে সব খেলাতে আগে আমরা ভালো ফল করতে পারিনি, সেসব খেলাতেও আমাদের খেলোয়াড়রা পদক নিয়ে আসছেন, যেরকম Wushu আর Rowing। এগুলো কেবলমাত্র পদক নয়, এটা ভারতীয় খেলা আর ভারতীয় প্রতিযোগীদের আকাশ ছোঁয়ার সাহস এবং তাঁদের স্বপ্নপূরণের প্রমাণস্বরূপ। দেশের জন্য পদক জেতার তালিকায় আমাদের মেয়েদের সংখ্যা অনেক।
এটা একটা ইতিবাচকদিক।এমনকি যেসব যুবরা পদক জিতেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই  ১৫–১৬ বছরের। এটাও একটা ভালো চিহ্ন যে, যে সব খেলোয়াড়রা পদক জিতেছেন, তাঁদের অনেকেই অখ্যাত গ্রাম ও মফঃস্বল থেকে উঠে এসেছেন এবং কঠিন পরিশ্রম করে এই সাফল্যঅর্জন করেছেন। 

     ২৯-শেআগস্ট আমরা ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ পালন করব, এই উপলক্ষ্যে আমি সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমীদের শুভেচ্ছা জানাই, একই সঙ্গে হকির জাদুকর মহান খেলোয়াড় শ্রীধ্যানচাঁদজী-কে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি ।  

     দেশের সমস্ত নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা সবাই খেলাধূলা করুন এবং নিজের ফিটনেসের প্রতি নজর দিন, কারণ সুস্থ ভারতই সম্পন্ন ও সমৃদ্ধ ভারতের নির্মাণ করবে। যখন ইন্ডিয়া ফিট হবে তখনই ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নির্মাণ হবে। আরেকবার, এশিয়ান গেমসে পদক বিজেতাদের অভিনন্দন জানাই, একইসঙ্গে বাকি খেলোয়াড়দেরও ভালো ফলাফলের শুভকামনা জানাই। সবাইকে ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’-এর অনেক অনেক শুভকামনা ।                        

“প্রধানমন্ত্রীজি নমস্কার! আমি কানপুর থেকে ভাবনা ত্রিপাঠী বলছি। আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। প্রধানমন্ত্রীজি গত ‘মন কি বাত’-এআপনি কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তার আগেও আপনি ডাক্তার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যাণ্টদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 

আপনার কাছে আমার অনুরোধ আগামী 15 সেপ্টেম্বর Engineers’ Day উপলক্ষ্যে আপনি যদি আমার মত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কিছু কথা বলেন তাহলে আমাদের সবার মনোবল বাড়বে, আমরা খুব আনন্দিত হব এবং আগামী দিনে দেশের জন্য কিছু করার উৎসাহ পাব। ধন্যবাদ।”

নমস্কার ভাবনাজি! আমি আপনার ভাবনার প্রশংসা করছি। আমরা সবাই ইঁট-পাথর দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি হতে দেখেছি। কিন্তু আপনারা কল্পনা করতে পারেন, প্রায় বারোশো বছর আগে একটি Single Stone বিশাল  পাহাড়কে এক বিরাট, উৎকৃষ্ট এবং অত্যাশ্চর্যমন্দিরের রূপ দেওয়া হয়েছিল!হয়তো কল্পনা করা কঠিন কিন্তু এমনটা সত্যিই হয়েছিল এবং সেই মন্দিরটি হল মহারাষ্ট্রের ইলোরাতে অবস্থিত কৈলাশনাথ মন্দির। যদি কেউ আপনাকে বলে প্রায় হাজার বছর আগে ৬০ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ একটি গ্রানাইট স্তম্ভ বানানো হয়েছিল এবং তার শীর্ষে প্রায় ৮০ টন ওজনের একটি গ্রানাইট শিলাখন্ড রাখা হয়েছিল, তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করবেন? কিন্তু তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর-এর বৃহদেশ্বর মন্দির সেই স্থান, যেখানে স্থাপত্যকলা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই অবিস্মরণীয় মেলবন্ধন দেখা যায়। গুজরাতের পাটনে একাদশ শতাব্দীর ‘রানী কি বাও’ দেখে সকলেই আশ্চর্য হয়ে যান। ভারতভূমি বরাবরই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগশালা। ভারতে এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ার জন্মেছেন যারা অকল্পনীয়কে কল্পনীয় করেছেন এবং Engineering জগতে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়ে উদাহরণ স্থাপন করেছেন। আমাদের মহান ইঞ্জিনিয়ারদের ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে এমন রত্নও আছেন যাঁর কাজ আজও মানুষকে আশ্চর্য করে দেয়। উনি হলেন ভারতরত্ন Dr. M. Vishweshwaraiah। কাবেরী নদীর উপর ওঁর বানানো Krishnarajasagar বাঁধের মাধ্যমে আজও লক্ষ লক্ষ কৃষক ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। দেশের ওই অংশে তিনি তো পূজনীয় বটেই দেশের বাকি অংশের সব মানুষও তাকে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাঁরই স্মরণে 15–ই সেপ্টেম্বর Engineers’ Day হিসেবে পালিত হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা প্রাচ্য দুনিয়ায় নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন। Engineering জগতের অভাবনীয় কৃতিত্বের কথা বলতে গেলে 2001 সালে গুজরাটের কচ্ছের সেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময়কার একটা ঘটনা আমার মনে পড়ে। তখন আমি সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলাম। সেই সূত্রে আমার একটি গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে ১০০বছরেরও বেশি বয়সীমাতৃস্থানীয়া একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। উনি আমাকে দেখে মজা করে বলছিলেন, দেখুন এই আমার বাড়ি। কচ্ছে একে ‘ভুঙ্গা’বলে। আমার বাড়ি তিনটে ভূমিকম্প দেখেছে। আমি নিজে তিনটে ভূমিকম্প দেখেছি। এই বাড়িতেই দেখেছি। কিন্তু কোথাও আপনি ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন দেখতে পাবেন না। এই ঘর আমার পূর্বপুরুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বানিয়েছিলেন। এই কথাটা উনি খুব গর্বের সঙ্গে বলছিলেন। তখন আমার মনে হল বহু যুগ আগেও আমাদের সেই সময়ের ইঞ্জিনিয়াররা স্থানীয় পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিচার করে বাড়ি তৈরি করতেন যার ফলে মানুষ সুরক্ষিত থাকত। এখন যখন আমরা Engineers’ Day উদ্‌যাপন করি তখন আমাদের ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে, বিভিন্ন জায়গায় কর্মশালার আয়োজনকরতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে পরিবর্তিত সময়ে আমাদের কি কি নতুন বিষয় শিখতে হবে? শেখাতে হবে?নতুন কি কি যুক্ত করতে হবে? আজকাল Disaster Management খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সারা পৃথিবী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়ছে।এখানে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নতুন প্রয়োগ কি হবে?তার কোর্স কী কী আছে? ছাত্র-ছাত্রীদের কি শেখানো উচিত? পরিবেশবান্ধবনির্মাণ কীভাবে সম্ভব? লোকাল মেটারিয়ালের ভ্যালু এডিশন করে কন্সট্রাকশনের অগ্রগতিকীভাবে করা যায়? Zero Waste-কে আমাদের অগ্রাধিকার হিসেবে কীভাবে গণ্য করতে পারি?Engineers’ Day উদযাপনের সময় এই কথাগুলি আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, উৎসবের পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে দীপাবলীর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যাবে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমরা মিলিত হতে থাকব। মনের কথা বলতে থাকব এবং নিজেদের মন থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজেও আমরা একসঙ্গে নিযুক্ত থাকব। এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ! আবার কথা হবে।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।