Quote#MannKiBaat: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে রাখী বন্ধন ও জন্মাষ্টমীর অভিনন্দন জানিয়েছেন
Quoteজ্ঞান ও গুরু তুলনাহীন, অমূল্য! ‘মা’ ছাড়া একমাত্র শিক্ষকই পারেন শিশুর ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালনার দায়িত্ব নিতে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteভয়াবহ বন্যা কেরলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ কেরলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteবিপর্যয় যেভাবে জনজীবনকে বিধ্বস্ত করে তোলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু এই দুর্দিনেই আবার আমরা মানবতার ধর্মকেও উপলব্ধি করি: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteসশস্ত্র সুরক্ষাবলের জওয়ানরা কেরলের এই বিপর্যয়ে উদ্ধারকার্যের নায়ক। তাঁরা বন্যাকবলিত মানুষদের বাঁচাবার জন্য সব রকম উপায় অবলম্বন করেছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteএনডিআরএফের ক্ষমতা, তাঁদের দায়বদ্ধতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতিকে আয়ত্বে আনার ক্ষমতা সমস্ত দেশবাসীর মনে এক শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote১৬-ই আগষ্ট যে মুহূর্তে দেশের ও বিশ্বের মানুষ অটলজীর প্রয়াণের খবর পেয়েছেন, প্রত্যেকে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Quoteঅটলজীর জন্য সকলের যে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও শোকভাবনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল, তা ওনার বিশাল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteজনমানসে অটলজী একজন যোগ্য সাংসদ, সংবেদনশীল লেখক, সুবক্তা ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteসুশাসন-কে মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য এই দেশ অটলজীর প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Quoteঅটলজী এক সত্যিকারের দেশভক্ত ছিলেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Quoteআরও একটি ‘আজাদী’ আমরা অটলজীর কার্যকালে লাভ করি ‘ইণ্ডিয়ান ফ্ল্যাগ কোড’ তৈরির মাধ্যমে। এটি লাগু হয় ২০০২ থেকে, যার ফলে সার্বজনিক জায়গায় তিরঙ্গা উত্তোলন সম্ভব হয়: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteসংসদের এই বাদল অধিবেশন সামাজিক ন্যায় এবং যুবকল্যাণের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteএই অধিবেশনে তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতিদের অধিকারকে সু্রক্ষিত করার জন্য সংশোধিত বিল পাস করা হয়েছে। এই আইন এসসি ও এসটি শ্রেণির মানুষদের স্বার্থকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteআমাদের খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে শুটিং এবং কুস্তিতে খুব ভালো প্রদর্শন করছেই, যে সব খেলাতে আগে আমরা ভালো ফল করতে পারিনি, সেসব খেলাতেও আমাদের খেলোয়াড়রা পদক নিয়ে আসছেন: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteযে সব খেলোয়াড়রা পদক জিতেছেন, তাঁদের অনেকেই অখ্যাত গ্রাম ও মফঃস্বল থেকে উঠে এসেছেন, দেশের জন্য পদক জেতার তালিকায় আমাদের মেয়েদের সংখ্যা অনেক - এটা একটা ইতিবাচক দিক: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteদেশের সমস্ত নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা সবাই খেলাধূলা করুন এবং নিজের ফিটনেসের প্রতি নজর দিন, কারণ সুস্থ ভারতই সম্পন্ন ও সমৃদ্ধ ভারতের নির্মাণ করবে: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
Quoteভারতে এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ার জন্মেছেন যারা অকল্পনীয়কে কল্পনীয় করেছেন এবং আমাদের মহান ইঞ্জিনিয়ারদের ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে এমন রত্নও আছেন যাঁর কাজ আজও মানুষকে আশ্চর্য করে দেয়: #MannKiBaat অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আজ সমগ্র দেশ রাখীবন্ধন উৎসব পালন করছে। এই পুণ্যলগ্নে সমস্ত দেশবাসীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা! রাখীবন্ধনের এই উৎসব বোন ও ভাইয়ের প্রেম ও বিশ্বাসের প্রতীক। বহু শতাব্দী ধরে এই উৎসব সামাজিক সৌহার্দ্যের এক বড় উদাহরণ। দেশের ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা আছে, যখন দেখা গেছে একটি রক্ষাসূত্র কীভাবে দুটি রাজ্য, বা আলাদা আলাদা ধর্মের মানুষকে বিশ্বাসের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। কিছুদিন বাদেই জন্মাষ্টমী। আকাশে বাতাসে শোনা যাবে ‘হাথী ঘোড়া পাল-কি জয় কান্‌হাইয়া লাল-কি’ আর ‘গোবিন্দা – গোবিন্দা’ নামের জয়ধ্বনি। কৃষ্ণের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়ে এই উল্লাসে মেতে ওঠার আনন্দই আলাদা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত মহারাষ্ট্রে ‘দহী-হাণ্ডি’র আয়োজনও ছেলেমেয়েরা করতে শুরু করে দিয়েছে নিশ্চয়ই। সমস্ত দেশবাসীকে জানাই রাখীবন্ধন ও জন্মাষ্টমীর আন্তরিক অভিনন্দন!

বেঙ্গালুরুর বিজয়ভারতী বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী চিন্ময়ী সংস্কৃত ভাষায় জানিয়েছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নমস্কার! আমি চিন্ময়ী। মহাশয়, আজ ‘সংস্কৃত দিবস’। সংস্কৃত ভাষা যে সহজ সরল, সবাই জানে। আমরা এখানে সাধারণত সংস্কৃত ভাষাতেই কথা বলে থাকি। এই কারণে সংস্কৃত ভাষার গুরুত্ব এবং গভীরতাকে এইভাবে তুলে ধরছি।”

— ভগিনী চিন্ময়ী, সংস্কৃতের গুরুত্ব নিয়ে তোমার এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই। তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও ‘সংস্কৃত সপ্তাহ’উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা!

     আমি চিন্ময়ীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে সে এই বিষয়টি নজরে এনেছে। বন্ধুরা, রাখীবন্ধন ছাড়াও শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনটি পালন করা হয় ‘সংস্কৃত দিবস’ হিসাবে। আমি সেই সমস্ত মানুষকেও অভিনন্দন জানাই, যাঁরা এই মহান ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রত্যেকটি ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব আছে। ভারতের এটা গর্ব যে ‘তামিল’ ভাষা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা আর এটাও সমগ্র দেশবাসীর গর্ব যে বেদের সময় থেকে আজ পর্যন্ত জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে সংস্কৃত ভাষা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগার মত জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে। তা সে বিজ্ঞান হোক বা তন্ত্রের জ্ঞান, কৃষি হোক বা স্বাস্থ্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান হোক বা আর্কিটেকচার, অঙ্ক হোক বা ম্যানেজমেন্ট, অর্থশাস্ত্র হোক বা পরিবেশ — বলা হয়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়বার মন্ত্রও আমাদের বেদে বিস্তারিত ভাবে উল্লিখিত আছে। আপনারা সবাই জেনে খুশি হবেন যে, কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার ‘মট্টুর’ গ্রামের সমস্ত মানুষ আজ কথাবার্তার মাধ্যম হিসাবে সংস্কৃত ভাষাকে বেছে নিয়েছেন।

     আপনারা একটা কথা জেনে আশ্চর্য বোধ করবেন যে সংস্কৃত এমন একটি ভাষা, যার মধ্যে অনন্ত শব্দের নির্মাণ সম্ভব। দু-হাজার ধাতু, ২০০ প্রত্যয় — অর্থাৎ Suffix, ২২-টি উপসর্গ অর্থাৎ Prefix, আর সমাজজীবনের কাজে লাগার মত অসংখ্য শব্দের নির্মাণ সম্ভব এই ভাষায়। এই কারণে সূক্ষ্মাতীত ভাব ও বিষয় যাই হোক না কেন, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তার বর্ণনা করতে পারা সংস্কৃত ভাষার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। আমরা কোনও কথাকে ওজনদার করতে হলে ইংরাজি কোটেশন ব্যবহার করি, কখনও কখনও শায়রী ইত্যাদিও বলে থাকি। কিন্তু যাঁরা সংস্কৃতের সুভাষিত শব্দগুলির সঙ্গে পরিচিত, তাঁরা জানেন, কত কম শব্দে বিষয়ের সঠিক ব্যাখ্যা সংস্কৃতের এই সুভাষিত শব্দগুলির মাধ্যমে হতে পারে। তাছাড়া এই ভাষা, শব্দ আমাদের মাটির সঙ্গে, আমাদের পরম্পরার সঙ্গে জড়িত থাকায় একে বোঝাও খুব সহজ।

     জীবনে ‘গুরু’র স্থান বোঝানোর জন্য বলা হয় —

‘একমপি অক্‌সরমস্তু, গুরুঃ শিষ্যং প্রবোধয়েত্‌

পৃথীব্যাং নাস্তি তদ্‌-দ্রব্যং, ইয়দ্‌-দত্ত্বা হ্যণৃণী ভবেৎ।।’

অর্থাৎ, কোনও গুরু তাঁর শিষ্যকে যদি এক অক্ষর জ্ঞানও প্রদান করেন, তাহলে সমগ্র বিশ্বে এমন কোনও বস্তু বা ধন নেই, যা দিয়ে শিষ্য গুরুর ঋণ চুকিয়ে দিতে পারে। আসুন, আসন্ন ‘শিক্ষক দিবস’ দিনটি আমরা এই মনোভাব নিয়ে পালন করি। জ্ঞান ও গুরু তুলনাহীন, অমূল্য! ‘মা’ ছাড়া একমাত্র শিক্ষকই পারেন শিশুর ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আর সেই কারণে তাঁর প্রভাবও থাকে সমস্ত জীবন জুড়ে। ‘শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষ্যে মহান দার্শনিক ও দেশের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণকে আমরা সর্বদাই স্মরণ করি। তাঁর জন্মজয়ন্তীতেই পুরো দেশ জুড়ে ‘শিক্ষক দিবস’ পালিত হয়। আমি দেশের সমস্ত শিক্ষকদের আসন্ন ‘শিক্ষক দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানাই ও সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ছাত্রদের প্রতি তাঁর সমর্পণকে, তাঁর নিষ্ঠাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।

     আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের কৃষকভাইরা, যাঁরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য বর্ষা খুশির খবর নিয়ে আসে। গ্রীষ্মের ভীষণ দাবদাহে ঝলসে যাওয়া গাছপালা, শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়গুলি বর্ষার আগমনে স্বস্তি লাভ করে। কিন্তু কখনও কখনও আবার অতিবৃষ্টি, বিধ্বংসী বন্যারূপেও দেখা দেয়। এমন একটা প্রাকৃতিক অবস্থা তৈরি হয়েছে যে কোথাও কোথাও অন্য স্থানগুলির তুলনায় অতিরিক্ত বর্ষা হচ্ছে। ক’দিন আগেই আমরা দেখলাম, ভীষণ বন্যা কীভাবে কেরলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ 
কেরলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যাঁরা এই বিপর্যয়ে নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই সেই সব পরিবারগুলিকে। যা ক্ষতি হয়ে গেছে, তা হয়তো কোনও দিনই 
পূরণ হবে না ঠিক, কিন্তু সেই সমস্ত শোকসন্তপ্ত পরিবারজনেদের আমি ভরসা যোগাতে 
চাই, ১২৫ কোটি দেশবাসী এই দুর্দিনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনার পাশে রয়েছে। 
আমি প্রার্থনা করি, যাঁরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আহত হয়েছেন, তাঁরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। আমার পুরো বিশ্বাস আছে যে অদম্য প্রাণশক্তি ও সাহসের উপর ভর করে কেরলের জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

     বিপর্যয় যেভাবে জনজীবনকে বিধ্বস্ত করে তোলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু এই দুর্দিনেই আবার আমরা মানবতার ধর্মকেও উপলব্ধি করি। কচ্ছ থেকে কামরূপ আর কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষ নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, যাতে যে যে প্রান্তগুলিতে বিপর্যয় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, তা সে কেরল হোক বা ভারতের যে কোনও জেলা বা এলাকা, সেই সমস্ত স্থানের জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে। সমস্ত বয়সের মানুষ এবং সমস্তরকম কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেকে ভাবছেন কেরলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট কীভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়, যাতে তা লাঘব হয়। আমরা সবাই জানি, সশস্ত্র সুরক্ষাবলের জওয়ানরা কেরলের এই বিপর্যয়ে উদ্ধারকার্যের নায়ক। তাঁরা বন্যাকবলিত মানুষদের বাঁচাবার জন্য সব রকম উপায় অবলম্বন করেছেন। এয়ার ফোর্স, নেভি বা আর্মি, বি-এস-এফ, সি-আই-এস-এফ, আর-এ-এফ — প্রত্যেকে উদ্ধার কার্যে ও ত্রাণ পৌঁছে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই এন-ডি-আর-এফের জওয়ানদের কঠোর পরিশ্রমের কথা। এই বিপদের মোকাবিলায় তাঁরা যেভাবে কাজ করেছেন তা বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এন-ডি-আর-এফের ক্ষমতা, তাঁদের দায়বদ্ধতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতিকে আয়ত্বে আনার ক্ষমতা সমস্ত দেশবাসীর মনে এক শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছে।

গতকালই ছিল ‘ওনাম’ উৎসব। আমরা প্রার্থনা করি, ‘ওনাম’-এর শুভ পার্বণ দেশকে বিশেষত কেরলকে এই বিপর্যয় দ্রুত কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিক আর কেরলের উন্নতির গতিবৃদ্ধি হোক। আমি আরও একবার সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে কেরলের জনসাধারণকে এবং দেশের অন্যান্য বিপর্যস্ত জায়গাগুলির মানুষজনকে বলতে চাই — এই দুর্দিনে পুরো দেশ তাঁদের পাশে আছে।

     প্রিয় দেশবাসী, এবারের ‘মন কি বাত’-এর জন্য পাঠানো পরামর্শগুলি পড়তে গিয়ে দেখলাম সবচেয়ে বেশি লোক যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন তা হল আমাদের সবার প্রিয় 
শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। গাজিয়াবাদ থেকে কীর্তি, সোনিপত থেকে স্বাতি বৎস, কেরলের ভাই প্রবীণ, পশ্চিমবাংলা থেকে ডক্টর স্বপন ব্যানার্জী, বিহারের কাটিহার থেকে অখিলেশ পাণ্ডে — আরও অসংখ্য মানুষ ‘নরেন্দ্র মোদী মোবাইল অ্যাপ’-এ এবং ‘মাই গভ’-এ অটলজীর জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে আমাকে বলতে অনুরোধ করেছেন। ১৬-ই আগষ্ট যে মুহূর্তে দেশের ও বিশ্বের মানুষ অটলজীর প্রয়াণের খবর পেয়েছেন, প্রত্যেকে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। 
তিনি এমন একজন রাষ্ট্রনেতা, যিনি ১৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন এবং গত দশ বছরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহু দূরে চলে গিয়েছিলেন বলা চলে। তাঁকে খবরে বিশেষ দেখা যেত না। জনসমক্ষে তেমন আসতেন না। দশ বছরের অন্তরাল অনেকখানি। কিন্তু গত ১৬-ই আগষ্ট দেশ ও দুনিয়া দেখল যে ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের মনে দশ বছরের এই ব্যবধান বিন্দুমাত্র রেখাপাত করেনি। অটলজীর জন্য সকলের যে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও শোকভাবনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল, তা ওঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। বিগত কয়েক দিনে ওঁর আরও অনেক গুণের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। জনমানসে তিনি একজন যোগ্য সাংসদ, সংবেদনশীল লেখক, সুবক্তা ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। সুশাসন অর্থাৎ Good Governance-কে মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য এই দেশ অটলজীর প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে। আমি আজ অটলজীর বিশাল 
ব্যক্তিত্বের আরও এক নিদর্শনের ব্যাপারে আপনাদের জানাতে চাই — সেটি হল ওঁর প্রবর্তন করা Political Culture। উনি Political Culture-এ যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সুব্যবস্থিত পরিকাঠামো দেওয়ার যে প্রয়াস করেছেন, তার ফলে
দেশের অনেক লাভ হয়েছে ও ভবিষ্যতেও হবে, একথা নিশ্চিত। ভারত সব সময় 
‘একানব্বইতম সংশোধন অধিনিয়ম ২০০৩’-এর জন্য অটলজীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। 
এই সংশোধন আমাদের দেশের রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে। 
প্রথমটি হল রাজ্যগুলির মন্ত্রীমণ্ডলীকে বিধানসভার মোট আসনের পনের শতাংশ পর্যন্ত সীমিত করা। দ্বিতীয়টি হল দল-বদল বিরোধী আইনের নির্দিষ্ট সীমাকে এক-তৃতীয়াংশ থেকে বাড়িয়ে দুই-তৃতীয়াংশ করা এবং তার পাশাপাশি দল-বদলকারী নেতা-কর্মীদের অনুপযুক্ত ঘোষণা করার স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা।

     বহু বছর পর্যন্ত ভারতে জাম্বো অর্থাৎ বিরাট মন্ত্রীমণ্ডল গঠনের এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল। এই বিশাল মন্ত্রীমণ্ডল গঠনের মূল অভিপ্রায় ছিল বিভিন্ন নেতাদের খুশি করা, কাজের যথাযথ বণ্টন নয়। অটলজী এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনেন যার ফলস্বরূপ অর্থ ও সম্পদের সাশ্রয় সম্ভব হয়, কর্মদক্ষতা বাড়ে। একমাত্র অটলজীই এমন দূরদর্শী ছিলেন যিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন আনেন ও রাজনীতিতে সুস্থ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।

     অটলজী এক সত্যিকারের দেশভক্ত ছিলেন। ওঁর সময়েই বাজেট পেশ করার সময়কে বদলানো হয়। আগে, ইংরেজদের প্রথানুযায়ী বিকেল পাঁচটায় বাজেট পেশ করা হত। কারণ সেই সময়েই লণ্ডনে পার্লামেণ্ট বসত। ২০০১-এ অটলজী বাজেট পেশ করার সময়কে বিকেল পাঁচটার বদলে বেলা এগারোটা করে দেন। আরও একটি ‘আজাদী’ আমরা অটলজীর কার্যকালে লাভ করি  ‘ইণ্ডিয়ান ফ্ল্যাগ কোড’ তৈরির মাধ্যমে। এটি লাগু হয় ২০০২ থেকে, যার ফলে সার্বজনিক জায়গায় তিরঙ্গা উত্তোলন সম্ভব হয়। সাধারণ ভারতীয়রা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সুযোগ পায়। এই ভাবে উনি আমাদের প্রাণপ্রিয় তিরঙ্গাকে জনসাধারণের কাছে নিয়ে আসেন।

     আপনারা দেখেছেন কীভাবে অটলজী ভোট প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে, জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ভিত মজবুত করেছেন। আপনারা দেখছেন 
আজকাল কেন্দ্রে ও রাজ্যে একইসঙ্গে নির্বাচন করানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। লোকে এর পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত রাখছেন, যা হিতকারী ও লোকতন্ত্রের পক্ষে শুভ সংকেত।

আমি অবশ্যই উল্লেখ করব, সুস্থ লোকতন্ত্রের জন্য, উত্তম লোকতন্ত্রের জন্য হিতকারী পরম্পরাগুলির বিকাশ, নানা বিষয়ে খোলামনে আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্র মজবুত করার ক্রমাগত প্রয়াস করাই উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে অটলজীর প্রতি। ওঁর সমৃদ্ধ ও উন্নত ভারতের স্বপ্নকে পূরণ করার সংকল্পকে আরও একবার স্মরণ করে, সকলের পক্ষ থেকে অটলজীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি।

     আমার প্রিয় দেশবাসী, আজকাল সংসদের সম্পর্কে যখনই আলোচনা হয়, তখন অবরোধ, হইহল্লার কথাই বলা হয়। কিন্তু যখন ভাল কিছু হয়, সেই বিষয়ে বিশেষ চর্চা হতে দেখা যায় না। কিছু দিন আগেই সংসদের বাদল অধিবেশন সমাপ্ত হয়। আপনারা জেনে প্রসন্ন হবেন লোকসভার productivity ১১৮ শতাংশ ও রাজ্যসভার ৭৪ শতাংশ ছিল। দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করে সমস্ত সাংসদ বাদলঅধিবেশনকে সবথেকে বেশি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন, তারই পরিনাম হলো, লোকসভা ২১ টি ও রাজ্যসভা ১৪ টি বিল পাস করেছে। সংসদের এই বাদল অধিবেশন সামাজিক ন্যায় এবং যুবকল্যাণের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই অধিবেশনে যুব এবং অনগ্রসর শ্রেণির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কতগুলো বিল পাস করা হয়েছে।  আপনারা সবাই জানেন, কয়েক দশক ধরে SC/ST কমিশনের মতো OBC কমিশন তৈরির দাবী করা হচ্ছিল। অনগ্রসর শ্রেণীর অধিকারকে সুনিশ্চিত করার জন্য, দেশ এই বার OBC কমিশন তৈরির সংকল্পকে পূর্ণকরেছেএবং এই প্রতিষ্ঠানকে একটি সাংবিধানিক অধিকার দিয়েছে। এই পদক্ষেপ সামাজিক ন্যায়ের উদ্দেশ্যকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতিদের অধিকারকে সু্রক্ষিত করার জন্য সংশোধিত বিল পাস করার কাজও এই অধিবেশনে শুরু হয়েছে। এই আইন SC ও ST শ্রেণির মানুষদের স্বার্থকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। একই সঙ্গে এটি তাদেরঅপরাধীদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করবে এবং তাদের আস্থা বাড়াবে।

     দেশের নারীদের প্রতি কোনও সভ্যসমাজ কোনও প্রকার অন্যায় বরদাস্ত করতে পারে না। ধর্ষণের অপরাধীদের দেশ সহ্য করতে প্রস্তুত নয়, তাই সংসদে‘ফৌজদারী আইন সংশোধনী বিল’ পাস করে কঠোরতম সাজার বিধান করা হয়েছে। এই অপকর্মের অপরাধীদের ন্যূনতম
১০ বছরের সাজা হবে, ১২ বছরের কম মেয়েদের ধর্ষণ করলে ফাঁসির সাজা হবে। 
কিছু দিন আগে আপনারা হয়তো সংবাদপত্রে পড়েছেন, মধ্যপ্রদেশের মন্দসোরের একটি আদালত মাত্র দু’ মাসের শুনানির পর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অপরাধে দু’জন দোষীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন। এরও আগে মধ্যপ্রদেশের কাটনীর এক আদালত মাত্র পাঁচ দিন শুনানির পর অপরাধীদের ফাঁসির শাস্তি দেন। রাজস্থানের একটি আদালতও এরকম দ্রুত রায় দিয়েছেন। এই আইন মহিলা এবং বালিকাদের প্রতি অপরাধের মামলাকে নিষ্পত্তি করতে গঠনমূলক ভূমিকা নেবে। সামাজিক পরিবর্তন ছাড়া আর্থিক প্রগতি অসম্পূর্ণ। লোকসভাতে ‘তিন তালাক’ বিলটিকে পাস করা হয়েছে, যদিও রাজ্যসভাতে এই অধিবেশনে পাস করানো সম্ভব হয়নি। আমি মুসলিম মহিলাদের আশ্বাস প্রদান করতে চাই, সমগ্র দেশ ওঁদের ন্যায় প্রদান করার জন্য সমস্ত শক্তি দিয়ে সঙ্গে রয়েছে।

যখন আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসি, তখন দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া, শোষিত ও বঞ্চিতদের জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব। এবারের বাদল অধিবেশনে সবাই একসঙ্গে একটি আদর্শ স্থাপন করে দেখিয়েছি। আমি দেশের সমস্ত সাংসদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  

     আমার প্রিয় দেশবাসী, এই মুহূর্তে কোটি কোটি দেশবাসীর দৃষ্টি জাকার্তাতে আয়োজিত এশিয়ান গেমসের প্রতি নিবদ্ধ। প্রতিদিন সকালে সবার আগে সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে, খবরে, Social Media-তে নজর থাকে কোন ভারতীয় খেলোয়াড় পদক জিতেছেন। এশিয়ান গেমস এখনও চলছে। আমি দেশের জন্য যাঁরা পদক জিতেছেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যাঁদের প্রতিযোগিতা এখনও বাকি, ওঁদেরওঅনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

ভারতের খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে Shooting আর Wrestling-এখুব ভালো প্রদর্শন করছেই, যে সব খেলাতে আগে আমরা ভালো ফল করতে পারিনি, সেসব খেলাতেও আমাদের খেলোয়াড়রা পদক নিয়ে আসছেন, যেরকম Wushu আর Rowing। এগুলো কেবলমাত্র পদক নয়, এটা ভারতীয় খেলা আর ভারতীয় প্রতিযোগীদের আকাশ ছোঁয়ার সাহস এবং তাঁদের স্বপ্নপূরণের প্রমাণস্বরূপ। দেশের জন্য পদক জেতার তালিকায় আমাদের মেয়েদের সংখ্যা অনেক।
এটা একটা ইতিবাচকদিক।এমনকি যেসব যুবরা পদক জিতেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই  ১৫–১৬ বছরের। এটাও একটা ভালো চিহ্ন যে, যে সব খেলোয়াড়রা পদক জিতেছেন, তাঁদের অনেকেই অখ্যাত গ্রাম ও মফঃস্বল থেকে উঠে এসেছেন এবং কঠিন পরিশ্রম করে এই সাফল্যঅর্জন করেছেন। 

     ২৯-শেআগস্ট আমরা ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ পালন করব, এই উপলক্ষ্যে আমি সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমীদের শুভেচ্ছা জানাই, একই সঙ্গে হকির জাদুকর মহান খেলোয়াড় শ্রীধ্যানচাঁদজী-কে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি ।  

     দেশের সমস্ত নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা সবাই খেলাধূলা করুন এবং নিজের ফিটনেসের প্রতি নজর দিন, কারণ সুস্থ ভারতই সম্পন্ন ও সমৃদ্ধ ভারতের নির্মাণ করবে। যখন ইন্ডিয়া ফিট হবে তখনই ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নির্মাণ হবে। আরেকবার, এশিয়ান গেমসে পদক বিজেতাদের অভিনন্দন জানাই, একইসঙ্গে বাকি খেলোয়াড়দেরও ভালো ফলাফলের শুভকামনা জানাই। সবাইকে ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’-এর অনেক অনেক শুভকামনা ।                        

“প্রধানমন্ত্রীজি নমস্কার! আমি কানপুর থেকে ভাবনা ত্রিপাঠী বলছি। আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। প্রধানমন্ত্রীজি গত ‘মন কি বাত’-এআপনি কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তার আগেও আপনি ডাক্তার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যাণ্টদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 

আপনার কাছে আমার অনুরোধ আগামী 15 সেপ্টেম্বর Engineers’ Day উপলক্ষ্যে আপনি যদি আমার মত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কিছু কথা বলেন তাহলে আমাদের সবার মনোবল বাড়বে, আমরা খুব আনন্দিত হব এবং আগামী দিনে দেশের জন্য কিছু করার উৎসাহ পাব। ধন্যবাদ।”

নমস্কার ভাবনাজি! আমি আপনার ভাবনার প্রশংসা করছি। আমরা সবাই ইঁট-পাথর দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি হতে দেখেছি। কিন্তু আপনারা কল্পনা করতে পারেন, প্রায় বারোশো বছর আগে একটি Single Stone বিশাল  পাহাড়কে এক বিরাট, উৎকৃষ্ট এবং অত্যাশ্চর্যমন্দিরের রূপ দেওয়া হয়েছিল!হয়তো কল্পনা করা কঠিন কিন্তু এমনটা সত্যিই হয়েছিল এবং সেই মন্দিরটি হল মহারাষ্ট্রের ইলোরাতে অবস্থিত কৈলাশনাথ মন্দির। যদি কেউ আপনাকে বলে প্রায় হাজার বছর আগে ৬০ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ একটি গ্রানাইট স্তম্ভ বানানো হয়েছিল এবং তার শীর্ষে প্রায় ৮০ টন ওজনের একটি গ্রানাইট শিলাখন্ড রাখা হয়েছিল, তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করবেন? কিন্তু তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর-এর বৃহদেশ্বর মন্দির সেই স্থান, যেখানে স্থাপত্যকলা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই অবিস্মরণীয় মেলবন্ধন দেখা যায়। গুজরাতের পাটনে একাদশ শতাব্দীর ‘রানী কি বাও’ দেখে সকলেই আশ্চর্য হয়ে যান। ভারতভূমি বরাবরই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগশালা। ভারতে এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ার জন্মেছেন যারা অকল্পনীয়কে কল্পনীয় করেছেন এবং Engineering জগতে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়ে উদাহরণ স্থাপন করেছেন। আমাদের মহান ইঞ্জিনিয়ারদের ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে এমন রত্নও আছেন যাঁর কাজ আজও মানুষকে আশ্চর্য করে দেয়। উনি হলেন ভারতরত্ন Dr. M. Vishweshwaraiah। কাবেরী নদীর উপর ওঁর বানানো Krishnarajasagar বাঁধের মাধ্যমে আজও লক্ষ লক্ষ কৃষক ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। দেশের ওই অংশে তিনি তো পূজনীয় বটেই দেশের বাকি অংশের সব মানুষও তাকে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাঁরই স্মরণে 15–ই সেপ্টেম্বর Engineers’ Day হিসেবে পালিত হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা প্রাচ্য দুনিয়ায় নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন। Engineering জগতের অভাবনীয় কৃতিত্বের কথা বলতে গেলে 2001 সালে গুজরাটের কচ্ছের সেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময়কার একটা ঘটনা আমার মনে পড়ে। তখন আমি সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলাম। সেই সূত্রে আমার একটি গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে ১০০বছরেরও বেশি বয়সীমাতৃস্থানীয়া একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। উনি আমাকে দেখে মজা করে বলছিলেন, দেখুন এই আমার বাড়ি। কচ্ছে একে ‘ভুঙ্গা’বলে। আমার বাড়ি তিনটে ভূমিকম্প দেখেছে। আমি নিজে তিনটে ভূমিকম্প দেখেছি। এই বাড়িতেই দেখেছি। কিন্তু কোথাও আপনি ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন দেখতে পাবেন না। এই ঘর আমার পূর্বপুরুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বানিয়েছিলেন। এই কথাটা উনি খুব গর্বের সঙ্গে বলছিলেন। তখন আমার মনে হল বহু যুগ আগেও আমাদের সেই সময়ের ইঞ্জিনিয়াররা স্থানীয় পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিচার করে বাড়ি তৈরি করতেন যার ফলে মানুষ সুরক্ষিত থাকত। এখন যখন আমরা Engineers’ Day উদ্‌যাপন করি তখন আমাদের ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে, বিভিন্ন জায়গায় কর্মশালার আয়োজনকরতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে পরিবর্তিত সময়ে আমাদের কি কি নতুন বিষয় শিখতে হবে? শেখাতে হবে?নতুন কি কি যুক্ত করতে হবে? আজকাল Disaster Management খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সারা পৃথিবী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়ছে।এখানে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নতুন প্রয়োগ কি হবে?তার কোর্স কী কী আছে? ছাত্র-ছাত্রীদের কি শেখানো উচিত? পরিবেশবান্ধবনির্মাণ কীভাবে সম্ভব? লোকাল মেটারিয়ালের ভ্যালু এডিশন করে কন্সট্রাকশনের অগ্রগতিকীভাবে করা যায়? Zero Waste-কে আমাদের অগ্রাধিকার হিসেবে কীভাবে গণ্য করতে পারি?Engineers’ Day উদযাপনের সময় এই কথাগুলি আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, উৎসবের পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে দীপাবলীর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যাবে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমরা মিলিত হতে থাকব। মনের কথা বলতে থাকব এবং নিজেদের মন থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজেও আমরা একসঙ্গে নিযুক্ত থাকব। এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ! আবার কথা হবে।

  • Priya Satheesh January 15, 2025

    🐯
  • krishangopal sharma Bjp January 12, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 12, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 12, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • ram Sagar pandey November 05, 2024

    🌹🌹🙏🙏🌹🌹जय श्रीराम 🙏💐🌹🌹🌹🙏🙏🌹🌹
  • Reena chaurasia September 09, 2024

    ram
  • Ashok bhai dhadhal September 07, 2024

    Jai ma bharti
  • Pradhuman Singh Tomar July 26, 2024

    bjp
  • Sanjay Shivraj Makne VIKSIT BHARAT AMBASSADOR June 07, 2024

    नमो
  • rida rashid February 19, 2024

    Jay shree ram
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Aiming for 100% PC manufacturing in India in next 3 years: Lenovo

Media Coverage

Aiming for 100% PC manufacturing in India in next 3 years: Lenovo
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
This decade is becoming the decade of Uttarakhand: PM Modi at Harsil
March 06, 2025
QuoteBlessed to be in Devbhoomi Uttarakhand once again: PM
QuoteThis decade is becoming the decade of Uttarakhand: PM
QuoteDiversifying our tourism sector, making it perennial, is very important for Uttarakhand: PM
QuoteThere should not be any off season, tourism should be on in every season in Uttarakhand: PM
QuoteOur governments at Center and state are working together to make Uttarakhand a developed state: PM

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

भारत माता की जय!

उत्तराखंड का म्यारा प्यारा भै-वैण्यों, आप सबी तैं मेरी सेवा-सौंली, नमस्कार!

यहां के ऊर्जावान मुख्यमंत्री, मेरे छोटे भाई पुष्कर सिंह धामी जी, केंद्रीय मंत्री श्री अजय टम्टा जी, राज्य के मंत्री सतपाल महाराज जी, संसद में मेरे साथी और भारतीय जनता पार्टी के प्रदेश अध्यक्ष महेंद्र भट्ट जी, संसद में मेरे साथी माला राज्य लक्ष्मी जी, विधायक सुरेश चौहान जी, सभी गणमान्य लोग, भाइयों और बहनों।

सबसे पहले मैं माणा गांव में कुछ दिन पहले जो हादसा हुआ है, उस पर अपना दु:ख व्यक्त करता हूं। मैं हादसे में जान गंवाने वाले साथियों के परिवारों के प्रति अपनी संवेदना प्रकट करता हूं। संकट की घड़ी में देश के लोगों ने जो एकजुटता दिखाई है, उससे पीड़ित परिवारों को बहुत हौसला मिला है।

|

साथियों,

उत्तराखंड की ये भूमि, हमारी ये देवभूमि, आध्यात्मिक ऊर्जा से ओतप्रोत है। चार धाम और अनंत तीर्थों का आशीर्वाद, जीवनदायिनी मां गंगा का ये शीतकालीन गद्दी स्थल, आज एक बार फिर यहाँ आकर, आप सब अपने परिवारजनों से मिलकर, मैं धन्य हो गया हूं। माँ गंगा की कृपा से ही मुझे दशकों तक उत्तराखंड की सेवा का सौभाग्य मिला है। मैं मानता हूँ, उन्हीं के आशीर्वाद से मैं काशी तक पहुंचा, और अब सांसद के रूप में काशी की सेवा कर रहा हूँ। और इसलिए, मैंने काशी में कहा भी था- मुझे माँ गंगा ने बुलाया है। और कुछ महीने पहले मुझे ये भी अनुभूति हुई कि जैसे मां गंगा ने मुझे अब गोद ले लिया है। ये माँ गंगा की ही दुलार है। अपने इस बच्चे के प्रति उनका स्नेह है कि आज मैं उनके मायके मुखवा गांव आया हूँ। यहाँ मुझे मुखीमठ-मुखवा में दर्शन पूजन का भी सौभाग्य प्राप्त हुआ है।

साथियों,

आज हर्षिल की इस धरती पर आया हूं तो मैं अपनी दीदी-भुलियों के स्नेह को भी याद कर रहा हूं। वो मुझे हर्षिल का राजमा और दूसरे लोकल प्रोडक्ट्स भेजती रहती हैं। आपके इस लगाव और उपहार के लिए मैं आपका आभारी हूं।

साथियों,

कुछ साल पहले जब मैं बाबा केदारनाथ के दर्शन के लिए, बाबा के चरणों में गया था, तो बाबा के दर्शन-अर्चन के बाद मेरे मुंह से अचानक कुछ भाव प्रकट हुए थे, और मैं बोल पड़ा था- ये दशक उत्तराखंड का दशक होगा। वो शब्द मेरे थे, भाव मेरे थे, लेकिन उनके पीछे सामर्थ्य देने की शक्ति स्वयं बाबा केदारनाथ ने दी थी। मैं देख रहा हूँ, बाबा केदार के आशीर्वाद से धीरे-धीरे वो शब्द, वो भाव सच्चाई में, हकीकत में बदल रहे हैं। ये दशक उत्तराखंड का बन रहा है। यहां उत्तराखंड की प्रगति के लिए नए-नए रास्ते खुल रहे हैं। जिन आकांक्षाओं को लेकर उत्तराखंड का जन्म हुआ था, उत्तराखंड के विकास के लिए जो संकल्प हमने लिए थे, नित नई सफलताओं और नए लक्ष्यों की ओर बढ़ते हुए वो संकल्प आज पूरे हो रहे हैं। इसी दिशा में, शीतकालीन पर्यटन एक और बड़ा महत्वपूर्ण कदम है। इसके माध्यम से उत्तराखंड के आर्थिक सामर्थ्य को साकार करने में बहुत बड़ी मदद मिलेगी। मैं इस अभिनव प्रयास के लिए धामी जी को, उत्तराखंड सरकार को बहुत-बहुत बधाई देता हूँ, और उत्तराखंड की प्रगति के लिए कामना करता हूँ।

|

साथियों,

अपने टूरिज्म सेक्टर को diversify करना, बारहमासी बनाना, 365 दिन, ये उत्तराखंड के लिए बहुत जरूरी है। मैं चाहता हूं कि उत्तराखंड में कोई भी सीजन हो, कोई भी सीजन ऑफ सीजन ना हो, हर सीजन में टूरिज्म ऑन रहे। अब ऑफ नहीं ऑन का जमाना। अभी पहाड़ों पर पर्यटन सीजन के हिसाब से चलता है। आप सब जानते हैं, मार्च, अप्रैल, मई, जून के महीने में बड़ी संख्या में पर्यटक आते हैं, लेकिन इसके बाद उनकी गिनती बहुत कम हो जाती है। सर्दियों में अधिकतर होटल्स, resorts और होमस्टे खाली पड़े रहते हैं। ये असंतुलन उत्तराखंड में, साल के एक बड़े हिस्से में आर्थिक सुस्ती ला देता है, इससे पर्यावरण के लिए भी चुनौती पैदा होती है।

साथियों,

सच्चाई ये है कि अगर देश-विदेश के लोग सर्दियों के मौसम में यहाँ आएं, तो उन्हें सच्चे अर्थ में देवभूमि की आभा का वास्तविक परिचय मिलेगा। विंटर टूरिज्म में यहां लोगों को ट्रैकिंग, स्कीइंग जैसी Activities का रोमांच, सचमुच में रोमांचित कर देगा। धार्मिक यात्रा के लिए भी उत्तराखंड में सर्दियों का समय बेहद खास होता है। कई तीर्थ स्थलों पर इसी समय विशेष अनुष्ठान भी होते हैं। यहां मुखवा गांव में ही देखिए, यहाँ जो धार्मिक अनुष्ठान किया जाता है, वो हमारी प्राचीन और अद्भुत परंपरा का हिस्सा है। इसलिए, उत्तराखंड सरकार का बारहमासी पर्यटन का विजन, 365 दिन के पर्यटन का विजन लोगों को दिव्य अनुभूतियों से जुड़ने का अवसर देगा। इससे यहां साल भर उपलब्ध रहने वाले रोजगार के अवसर विकसित होंगे, इसका बड़ा फायदा उत्तराखंड के स्थानीय लोगों को होगा, यहां के युवाओं को होगा।

साथियों,

उत्तराखंड को विकसित राज्य बनाने के लिए हमारी डबल इंजन सरकार मिलकर काम कर रही हैं। चारधाम-ऑल वेदर रोड, आधुनिक एक्सप्रेस-वे, राज्य में रेलवे, विमान औऱ हेलीकॉप्टर सेवाओं का विस्तार, 10 वर्षों में उत्तराखंड में तेजी से विकास हुआ है। अभी कल ही उत्तराखंड के लिए केंद्र सरकार ने बहुत बड़े निर्णय लिए हैं। कल केंद्रीय कैबिनेट ने केदारनाथ रोपवे प्रोजेक्ट और हेमकुंड रोपवे प्रोजेक्ट को मंजूरी दे दी है। केदारनाथ रोपवे बनने के बाद जो यात्रा 8 से 9 घंटे में पूरी होती है, अब उसे लगभग 30 मिनट में पूरा किया जाएगा। इससे बुजुर्गों, बच्चों, महिलाओं के लिए केदारनाथ यात्रा और सुगम हो जाएगी। इन रोप-वे प्रोजेक्ट्स पर हजारों करोड़ रुपए खर्च किए जाएंगे। मैं उत्तराखंड समेत पूरे देश को इन प्रोजेक्ट्स की बधाई देता हूं।

|

साथियों,

आज पहाड़ों पर इको लॉग हट्स, कन्वेंशन सेंटर, हेलीपैड इंफ्रास्ट्रक्चर पर फोकस भी किया जा रहा है। उत्तराखंड के टिम्मर-सैण महादेव, माणा गांव, जादुंग गांव में टूरिज्म इंफ्रास्ट्रक्चर नए सिरे से विकसित हो रहा है, और देशवासियों को पता होगा, शायद नहीं होगा, 1962 में जब चीन ने भारत पर आक्रमण किया, तब ये हमारा जादुंग गांव को खाली करवा दिया गया था, ये हमारे दो गांव खाली कर दिए गए थे। 60-70 साल हो गए, लोग भूल गए, हम नहीं भूल सकते, हमने उन दो गांवों को फिर से बसाने का अभियान चलाया है, और बहुत बड़ा टूरिस्ट डेस्टिनेशन बनाने की दिशा में हम आगे बढ़ रहे हैं। और इसी का परिणाम है कि उत्तराखंड में पर्यटकों की संख्या इस एक दशक में तेजी से बढ़ी है। 2014 से पहले चारधाम यात्रा पर हर साल औसतन 18 लाख यात्री आते थे। अब हर साल लगभग 50 लाख तीर्थयात्री आने लगे हैं। इस साल के बजट में 50 Tourist destinations को विकसित करने का प्रावधान किया गया है। इन destinations पर होटलों को इंफ्रास्ट्रक्चर का दर्जा दिया जाएगा। इससे पर्यटकों के लिए सुविधाएं बढ़ेंगी और स्थानीय रोजगार को भी बढ़ावा मिलेगा।

साथियों,

हमारा प्रयास है, उत्तराखंड के बॉर्डर वाले इलाकों को भी पर्यटन का विशेष लाभ मिले। पहले सीमावर्ती गांवों को आखिरी गाँव कहा जाता था। हमने ये सोच बदल दी, हमने कहा ये आखिरी गांव नहीं है, ये हमारे प्रथम गाँव कहा। उनके विकास के लिए वाइब्रेंट विलेज प्रोग्राम शुरू किया। इस क्षेत्र के भी 10 गांव इस योजना में शमिल किए गए हैं, और मुझे बताया गया, उस गांव से भी कुछ बंधु आज यहां हमारे सामने मौजूद हैं। नेलांग और जादुंग गांव, जिसका मैंने वर्णन किया, 1962 में क्या हुआ था, फिर से बसाने का काम शुरू किया गया है। आज यहां से जादुंग के लिए मैंने अभी-अभी बाइक रैली को रवाना किया। हमने होमस्टे बनाने वालों को मुद्रा योजना का लाभ देने का ऐलान किया है। उत्तराखंड सरकार भी राज्य में होमस्टे को बढ़ावा देने में जुटी है। जो गांव इतने दशकों तक इंफ्रास्ट्रक्चर से वंचित रहें, वहाँ नए होमस्टे खुलने से पर्यटन बढ़ रहा है, लोगों की आय बढ़ रही है।

साथियों,

आज मैं देवभूमि से, देश के पूरब-पश्चिम-उत्तर-दक्षिण, और मध्य भी, हर कोने के लोगों से, खासकर युवा पीढ़ी से, और मां गंगा के मायके से, इस पवित्र भूमि से, देश की नौज़वान पीढ़ी को विशेष रूप से आह्वान कर रहा हूं, आग्रह कर रहा हूं।

|

साथियों,

सर्दियों में देश के बड़े हिस्से में जब कोहरा होता है, सूर्यदेव के दर्शन नहीं होते, तब पहाड़ों पर धूप का आनंद मिल रहा होता है। ये एक स्पेशल इवेंट बन सकता है। और गढ़वाली में इसे क्या कहेंगे? 'घाम तापो पर्यटन', सही है ना? 'घाम तापो पर्यटन'। इसके लिए देश के कोने-कोने से लोग उत्तराखंड जरूर आयें। खासकर, हमारे कॉरपोरेट वर्ल्ड के साथी, वे विंटर टूरिज्म का हिस्सा बनें। Meetings करनी हों, conferences करनी हों, exhibitions करने हों, तो विंटर का समय और देवभूमि, इससे होनहार कोई जगह नहीं हो सकती है। मैं कॉरपोरेट वर्ल्ड के बड़े महानुभावों से भी आग्रह करूंगा, वो अपने बड़े-बड़े सेमिनार्स के लिए उत्तराखंड आएं, माइस सेक्टर को explore करें। यहाँ आकर लोग योग और आयुर्वेद के जरिए recharge और re-energise भी हो सकते हैं। देश की यूनिवर्सिटीज, प्राइवेट स्कूल्स और कॉलेज में, मैं उन सब नौज़वान साथियों से भी कहूंगा कि students के विंटर ट्रिप्स के लिए आप उत्तराखंड को पसंद कीजिए।

साथियों,

हमारे यहाँ हजारों करोड़ की इकोनॉमी, वेडिंग इकोनॉमी है, शादियों में हजारों करोड़ रूपये का खर्च होता है, बहुत बड़ी इकोनॉमी है। आपको याद होगा, मैंने देश के लोगों से आग्रह किया था- Wed in India, हिन्दुस्तान में शादी करों, आजकल लोग दुनिया के देशों में चले जाते हैं, यहां क्या कमी है भई? पैसे यहां खर्च करो ना, और उत्तराखंड से बढ़िया क्या हो सकता है। मैं चाहूँगा कि सर्दियों में destination वेडिंग के लिए भी उत्तराखंड को देशवासी प्राथमिकता दें। इसी तरह भारत की फिल्म इंडस्ट्री से भी मेरी अपेक्षाएं हैं। उत्तराखंड को मोस्ट फिल्म फ्रेंडली स्टेट का पुरस्कार मिला हुआ है। यहां तेजी के साथ आधुनिक सुविधाएं डेवलप हो रही हैं। इसलिए सर्दियों के दिनों में फिल्म की शूटिंग्स के लिए भी उत्तराखंड, पूरे भारत का फेवरेट डेस्टिनेशन बन सकता है।

साथियों,

दुनिया के कई देशों में विंटर टूरिज़्म काफी पॉपुलर है। उत्तराखंड में विंटर टूरिज़्म को बढ़ावा देने के, और इसके लिए हम ऐसे देशों से बहुत कुछ सीख सकते हैं। मैं चाहूँगा, उत्तराखंड के टूरिज़्म सेक्टर से जुड़े सभी स्टेकहोल्डर्स, होटल और resorts उन देशों की जरूर स्टडी करें। अभी मैं यहां, एक छोटी सी प्रदर्शनी लगी है, उसको मैंने देखा, बहुत प्रभावित करने वाला मुझे लगा, जो कल्पना की गई है, जो लोकेशंस तय किए गए हैं, जो आधुनिक रचनाएं खड़ी की जा रही हैं, एक-एक लोकेशन का, एक-एक चित्र इतना प्रभावित करने वाला था, जैसे मन कर रहा था, मेरे 50 साल पुरानी वो जिंदगी के दिन, मैं फिर एक बार यहां आपके बीच आकर के बिताऊ, और हर डेस्टिनेशन पर कभी जाने का मौका तलाशू, इतने बढ़िया बना रहे हैं। मैं उत्तराखंड सरकार से कहूंगा कि जो विदशों से स्टडी हो, और स्टडी से निकले एक्शनेबल प्वाइंट्स पर सक्रिय रूप से काम करे। हमें स्थानीय परंपराओं, म्यूजिक, डांस और कुजीन को बढ़ावा देना होगा। यहां कई हॉट स्प्रिंग्स हैं, सिर्फ बद्रीनाथ जी में ही है, ऐसा नहीं है, और भी है, उन क्षेत्रों को वेलनेस स्पा के रूप में भी विकसित किया जा सकता है। शांत और बर्फीले क्षेत्रों में विंटर योगा रिट्रीट का आयोजन किया जा सकता है। मैं सभी बड़े-बड़े साधु-महात्माओं को, मठ-मंदिर के मठाधिपतियों को, सभी योगाचार्यों को, उनसे भी आग्रह करूंगा कि वे साल में एक योगा कैंप अपने शिष्यों का, विंटर में उत्तराखंड में लगाए। विंटर सीजन के लिए स्पेशल वाइल्ड लाइफ सफारी का आकर्षण उत्तराखंड की विशेष पहचान बन सकता है। यानि हमें 360 डिग्री अप्रोच के साथ आगे बढ़ना होगा, हर स्तर पर काम करना होगा।

|

साथियों,

सुविधाओं के विकास के अलावा, लोगों तक जानकारी पहुंचाना भी उतना ही अहम होता है। इसके लिए मैं देश के युवा content creators, आजकल सोशल मीडिया में, बहुत बड़ी संख्या में influencers हैं, content creators हैं, वे अपने यहाँ बैठे-बैठे भी मेरे उत्तराखंड की, मेरी देवभूमि की सेवा कर सकते हैं, वे भी पुण्य कमा सकते हैं। आप देश के पर्यटन सेक्टर को गति देने में, लोगों तक जानकारी पहुंचाने में बहुत बड़ी भूमिका निभा सकते हैं, जो भूमिका निभाई है, उसका और विस्तार करने की जरूरत है। आप उत्तराखंड की विंटर टूरिज़्म की इस मुहिम का भी हिस्सा बनिए, और मैं तो चाहूंगा कि उत्तराखंड सरकार एक बड़ा कंपटीशन आयोजित करें, ये जो content creators हैं, influencers हैं, वे 5 मिनट की, विंटर टूरिज्म की प्रमोशन की फिल्म बनाएं, उनकी कंपटीशन हो और जो अच्छी से अच्छी बनाएं, उसको बढ़िया से बढ़िया इनाम दिया जाए, देशभर के लोगों को कहा जाए, आइए मैदान में, बहुत बड़ा प्रचार-प्रसार होना शुरू हो जाएगा। और मुझे विश्वास है जब ऐसे कंपटीशन करेंगे, तो नई-नई जगहों को एक्सप्लोर करके, नई-नई फिल्में बनाएंगे, लोगों को बताएंगे।

साथियों,

मुझे विश्वास है, आने वाले वर्षों में हम इस सेक्टर में तेज गति से विकास के साक्षी बनेंगे। एक बार फिर 365 दिन का, बारहमासी टूरिज्म अभियान, इसके लिए मैं उत्तराखंड के सभी भाई-बहनों को शुभकामनाएं देता हूं, बधाई देता हूं और राज्य सरकार का अभिनदंन करता हूं। आप सब मेरे साथ बोलिए-

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

गंगा मैया की जय।

बहुत-बहुत धन्यवाद।